৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৩৫
পটুয়াখালী—কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী স্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী জেএইচ ক্লাসিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছয়জনকে বরিশাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুয়াকাটা থেকে জেএইচ ক্লাসিকের যাত্রীবাহী বাস পটুয়াখালী যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পটুয়াখালী—কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী স্ট্যান্ডে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এতে ওই বাসে থাকা ১৫ জন যাত্রী আহত হন। গুরুতর আহত অপরাজিতা (খুলনা), সুলতানা পারভীন (কুমিল্লা), নাহিদা সুলতানা (জয়পুরহাট), নুসরাত জাহান (খুলনা), রণজিৎ ও দুলাল চন্দ্রকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অপরাজিতা, রণজিৎ ও সুলতানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের—ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, ‘কুয়াকাটা ভ্রমণ শেষে গ্রামের বাড়ি যেতে কুয়াকাটা থেকে গাড়িতে উঠি। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
অপর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’ আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন।
পটুয়াখালী—কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী স্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী জেএইচ ক্লাসিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছয়জনকে বরিশাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুয়াকাটা থেকে জেএইচ ক্লাসিকের যাত্রীবাহী বাস পটুয়াখালী যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পটুয়াখালী—কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী স্ট্যান্ডে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এতে ওই বাসে থাকা ১৫ জন যাত্রী আহত হন। গুরুতর আহত অপরাজিতা (খুলনা), সুলতানা পারভীন (কুমিল্লা), নাহিদা সুলতানা (জয়পুরহাট), নুসরাত জাহান (খুলনা), রণজিৎ ও দুলাল চন্দ্রকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অপরাজিতা, রণজিৎ ও সুলতানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের—ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, ‘কুয়াকাটা ভ্রমণ শেষে গ্রামের বাড়ি যেতে কুয়াকাটা থেকে গাড়িতে উঠি। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
অপর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’ আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন।
৩১ জুলাই, ২০২৫ ১৪:০০
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কাঠালতলী এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ১০টার সময় মির্জাগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি বিশেষ টিম ও মির্জাগঞ্জ থানা এসআই (নিরস্ত্র) মো. ফারুক হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান চালায়।
গ্রেফতার আসামি হলেন উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামের মোঃ আঃ রাজ্জাক এর পুত্র মোঃ শাহাদাত হোসেন (৪০)।
তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যে মামলার বাদী হলেন মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই বাদীর নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন শাহাদত। চাঁদা না দেওয়ায় বাদী আমিনুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে ও খুন জখমের হুমকি দেয়।
এছাড়াও মোঃ শাহদাত হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের জামে মসজিদ হতে জোরপূর্বক
আনুমানিক পাঁচ চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যমানের ৫শ কেজি মসজিদের রড নিয়ে যায়।
কাঠালতলী এলাকার সরোয়ার হোসেন এর নিকট হতে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ হাবিবুর রহমান এর মেয়ে খুশি আক্তার এর দোকান হতে জোরপূর্বক মালামাল নিয়েছে এই শাহাদত।
মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে এবং আরও জোরদার করা হবে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কাঠালতলী এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ১০টার সময় মির্জাগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি বিশেষ টিম ও মির্জাগঞ্জ থানা এসআই (নিরস্ত্র) মো. ফারুক হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান চালায়।
গ্রেফতার আসামি হলেন উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামের মোঃ আঃ রাজ্জাক এর পুত্র মোঃ শাহাদাত হোসেন (৪০)।
তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যে মামলার বাদী হলেন মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই বাদীর নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন শাহাদত। চাঁদা না দেওয়ায় বাদী আমিনুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে ও খুন জখমের হুমকি দেয়।
এছাড়াও মোঃ শাহদাত হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের জামে মসজিদ হতে জোরপূর্বক
আনুমানিক পাঁচ চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যমানের ৫শ কেজি মসজিদের রড নিয়ে যায়।
কাঠালতলী এলাকার সরোয়ার হোসেন এর নিকট হতে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ হাবিবুর রহমান এর মেয়ে খুশি আক্তার এর দোকান হতে জোরপূর্বক মালামাল নিয়েছে এই শাহাদত।
মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে এবং আরও জোরদার করা হবে।
৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৫২
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে মো. নূরউদ্দিন মিয়া (২২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের বাদুরতলী এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত নূরউদ্দিন ওই এলাকার মো. ফারুক মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মাদারীপুরের কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামের দুলাল সরদারের মেয়ে আলিফা আক্তারের সঙ্গে নূরউদ্দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, পরে প্রায় ৬–৭ মাস আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে আলিফা স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
প্রায় ২০ দিন আগে তিনি মা ও ফুফুর সঙ্গে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান এবং সেখান থেকে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন। দুই দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে স্ত্রী জানান, তিনি আর নূরউদ্দিনের সঙ্গে সংসার করবেন না। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নূরউদ্দিন। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে মো. নূরউদ্দিন মিয়া (২২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের বাদুরতলী এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত নূরউদ্দিন ওই এলাকার মো. ফারুক মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মাদারীপুরের কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামের দুলাল সরদারের মেয়ে আলিফা আক্তারের সঙ্গে নূরউদ্দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, পরে প্রায় ৬–৭ মাস আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে আলিফা স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
প্রায় ২০ দিন আগে তিনি মা ও ফুফুর সঙ্গে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান এবং সেখান থেকে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন। দুই দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে স্ত্রী জানান, তিনি আর নূরউদ্দিনের সঙ্গে সংসার করবেন না। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নূরউদ্দিন। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৪৭
পটুয়াখালীর বাউফলে বগা ফেরিঘাটে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ইজারা বাতিল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স দাস অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক শিবু লাল দাসের কাছ থেকে ২৪ জুলাই ঘাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝে নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রতিদিন এ ফেরিঘাট দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই চাকার যানবাহনের সরকারি ভাড়া ৫ টাকা হলেও আদায় করা হতো ১০-১৫ টাকা। অটোরিকশা থেকে ১০ টাকার স্থলে নেওয়া হতো ৪০-৫০ টাকা। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের জন্য নির্ধারিত ভাড়া যথাক্রমে ১৫, ২৫ টাকা থাকলেও নেওয়া হতো ৮০, ১০০ টাকা পর্যন্ত। বাস ও মিনিবাসের জন্য ৪৫ ও ২৫ টাকার স্থলে আদায় করা হতো ২৫০ ও ১৫০ টাকা। ভারী ট্রাক থেকে নেওয়া হতো ৪৫০ টাকা পর্যন্ত, যেখানে সরকারি ভাড়া ছিল ১০০ টাকা।
এ বিষয়ে এনসিপি যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন বলেন, বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষের ওপর এই ইজারাদার জুলুম করে আসছিলেন। আমি প্রথমে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও কাজ হয়নি। পরে লিখিত অভিযোগ দেই। তদন্ত কমিটি গঠনের পর অভিযোগের সত্যতা মেলে এবং ইজারা বাতিল করা হয়।
পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার লিমন বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, ইজারাদার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা নিচ্ছিলেন। এরপর তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়।
তবে অভিযুক্ত ইজারাদার শিবু লাল দাস দাবি করেন, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ৬ কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সব নিয়েছি। এটা আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি হাইকোর্টে আবেদন করেছি, বিশ্বাস করি, ইজারা ফিরে পাবো।
ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে যেভাবে ভাড়া নেওয়া হতো, এখনো সেভাবেই নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।
পটুয়াখালীর বাউফলে বগা ফেরিঘাটে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ইজারা বাতিল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স দাস অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক শিবু লাল দাসের কাছ থেকে ২৪ জুলাই ঘাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝে নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রতিদিন এ ফেরিঘাট দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই চাকার যানবাহনের সরকারি ভাড়া ৫ টাকা হলেও আদায় করা হতো ১০-১৫ টাকা। অটোরিকশা থেকে ১০ টাকার স্থলে নেওয়া হতো ৪০-৫০ টাকা। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের জন্য নির্ধারিত ভাড়া যথাক্রমে ১৫, ২৫ টাকা থাকলেও নেওয়া হতো ৮০, ১০০ টাকা পর্যন্ত। বাস ও মিনিবাসের জন্য ৪৫ ও ২৫ টাকার স্থলে আদায় করা হতো ২৫০ ও ১৫০ টাকা। ভারী ট্রাক থেকে নেওয়া হতো ৪৫০ টাকা পর্যন্ত, যেখানে সরকারি ভাড়া ছিল ১০০ টাকা।
এ বিষয়ে এনসিপি যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন বলেন, বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষের ওপর এই ইজারাদার জুলুম করে আসছিলেন। আমি প্রথমে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও কাজ হয়নি। পরে লিখিত অভিযোগ দেই। তদন্ত কমিটি গঠনের পর অভিযোগের সত্যতা মেলে এবং ইজারা বাতিল করা হয়।
পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার লিমন বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, ইজারাদার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা নিচ্ছিলেন। এরপর তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়।
তবে অভিযুক্ত ইজারাদার শিবু লাল দাস দাবি করেন, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ৬ কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সব নিয়েছি। এটা আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি হাইকোর্টে আবেদন করেছি, বিশ্বাস করি, ইজারা ফিরে পাবো।
ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে যেভাবে ভাড়া নেওয়া হতো, এখনো সেভাবেই নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.