
৩০ মে, ২০২৫ ১৫:৪৪
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় অধিকাশং নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে ছাত্রলীগ সভাপতি অপুর নাম আসেনি একটিতেও।
অনলাইন জুয়া বা বেটিং সাইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিশেষ করে দেশের বিভাগ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠা করে জেলা শহরগুলোতেও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই জিডিটাল জুয়ার বদৌলতে বিভাগীয় শহর বরিশালে কোটিপতি বনে গেছেন শওকত হোসেন অপু নামের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা। বরিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অপু অর্ধযুগ ধরে এই অঞ্চলে জুয়ার নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অবৈধ উপার্জন দিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ভূ-সম্পত্তি ক্রয় করলেও তাকে আইনি কোনো ঝুটঝামেলায় জড়াতে হয়নি। জুয়া চালিয়ে শুধু অপুই বিত্তশালী বনে যাননি, তার পদঙ্ক অনুসারণ করে বরিশাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরানও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতা অপু এবং তার সহযোগী কামরানের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন এমন অন্তত ১৫ যুবকের সাথে কথা বলেছে বরিশালটাইমস। তাদের মধ্যেকার একজন রুহুল আমিন, যিনি বরিশাল নৌবন্দর এলাকার হোটেল মালিক ছিলেন। পত্রিশোর্ধ্ব রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, রসুলপুরের বাসিন্দা বছর তিনেক পূর্বে অর্থাৎ ২০২২ সালে অপুর সহযোগী কামরান প্রায়শই রাতে তার হোটেলে খেতে যেতেন। তখন রুহুল আমিনকে স্বল্প পুঁজিতে অনলাইনে জুয়া খেলে ব্যাপক অর্থকড়ি লাভ করা সম্ভব প্রলোভন দেখিয়ে একটি সাইটে একাউন্ট খুলে দেন। এবং কামরান তাকে উৎসাহিত করে ১ হাজার টাকা বিনিয়োগও করান।
রুহুল আমিন জানান, সেই ১ হাজার টাকায় কদিন জুয়া খেলার পরে তার একাউন্টে ১৫ হাজার টাকা জমা হয়। কিন্তু সেই জুয়ার অর্থ উত্তোলন করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। অনেক চেষ্টা করে অবৈধ উপার্জন তুলতে না পেরে রুহুল আমিন ছাত্রলীগ নেতার সহযোগী কামরানের স্মরণাপণ্ন হন। কিন্তু কামরান সেই অর্থ তুলতে সহযোগিতা না করে উল্টো আরও জুয়া খেলার পরামর্শ দেন। এরপর ৬ মাসের ব্যবাধানে রুহুল আমিনের ৮ লক্ষাধিক টাকা এই জুয়ার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা। এতে রুহুল আমিন হোটেলসহ সর্বস্ব হারিয়ে শেষে কামরানের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলাও করেন। সেই মামলায় পুলিশ কামরানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও ওস্তাদ শওকত হোসেন অপু ছিলেন ধরাছোয়ার বাইরে। অবশ্য কোতয়ালি পুলিশ অপুকে ধরতেও বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত আর তার লাগাম টেনে ধরতে পারেনি।
বিভিন্ন মাধ্যম নিশ্চিত করেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং হামলা-হামলার শিকার হয়ে অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পালিয়ে থাকলেও অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক অপু বরিশাল শহরেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে একটিও মামলা হয়নি, যা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা শোনা যায়। ছাত্রলীগ নেতা অপু গ্রামের বাড়ি নয়ানী ও শ্বশুরবাড়ি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পানির ট্যাংকি কাছাকাছি স্থানে থাকছেন এবং দুটি জায়গা থেকেই জুয়ার সাইট পরিচালনা করছেন।
অনলাইন জুয়া খপ্পরে নিঃস্ব নয়ানী গ্রামের একাধিক যুবক অভিযোগ করেছেন, এই ডিজিটাল জুয়া সম্পর্কে তাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। ছাত্রলীগ সভাপতি অপুর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের জুয়ায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন এবং তিনিই নয়ানী গ্রামের রিয়াজ ও চরকাউয়া খেয়াঘাটের সুমনের বিকাশের দোকান থেকে অর্থ বিনিয়োগ করে দিয়েছেন। তাছাড়া অপুর দুটি মোবাইল নম্বর (০১৭…….৫৫, ০১৩……..৪৬) থেকেও এই দুটি দোকানের বিকাশ নম্বরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন করা হয়, যা নিয়ে উভয় দোকানি বরিশালটাইমসের এ প্রতিবেদকের কাছে সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। দুই দোকানি জানিয়েছেন, অপু নিজের দুটি ছাড়াও বিভিন্ন নম্বর থেকে প্রতিদিন লেনদেন করেন। কিন্তু এই দেনদেনের সংখ্যা কখনও কখনও লাখ অতিক্রম করে।
নয়ানী গ্রামের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুবক বয়সি অপু ২০২৩ সালে দুর্গাপুর গ্রামে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশে একটি কোটি টাকা মূলে ৭৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, তখন এই বিষয়টি জানাজানি হলে তার আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। কিন্তু তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হওয়ায় ভূমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাতে আর বাধ সাধেনি।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাড়িকাড়ি জুয়ার অর্থে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি অপু শুধু ভূমি ক্রয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেছেন। এবং চরকাউয়ার অজপাড়াগাঁও নয়ানী গ্রামের নিজের বাসাটিকে বিলাসবহুল করে তুলেছেন, যা নিয়ে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, এত তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অপু অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। এবং এমন ভান ধরেন যে তার ডিজিটাল জুয়া সম্পর্কে কোনো ধারনাই নাই। পরে জুয়ার টাকা কোথায় দেনদেন হয় এবং অবৈধ অর্থ তিনি ভূমি ক্রয় করাসহ কোন কোন ব্যবসায় লগ্নি করেছেন বিস্তারিত শুনে তিনি একপর্যায়ে ভরকে যান। এবং এ প্রতিবেদকের সাথে আর্থিক সমঝোতার প্রস্তাবও দেন। কিন্তু অসৎ চরিত্রের লোকের সাথে আপসরফার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ের দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ নিরব থেকে মুঠোফোন সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
সংবাদকর্মীকে নিষিদ্ধছাত্রলীগ নেতার আপসের প্রস্তাবই জানান দেই যে তিনি কোন মাপের জুয়াড়ি। অবশ্য এই ছাত্রলীগ নেতাই যে বরিশাল কেন্দ্রীয় অনলাইন জুয়ার মাস্টারমাইন্ড তা তার সহযোগী কামরানও স্বীকার করেছেন। তবে বর্তমানে অনলাইন জুয়ার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, দাবি করেছেন আরমান।
এই অনলাইন জুয়ার হোতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন অপু এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে জোর দাবি জানিয়েছেন তাদের প্রতারণায় নিঃস্ব যুবকেরা। অবশ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও কদিন পূর্বে অনলাইন জুয়াড়িদের লাগাম টেনে ধরার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। গত ২৫ মে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব ঘোষণা দিয়েছেন অনলাইনভিত্তিক জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এরপরে ২৮ মে রাতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনও ডিজিটাল জুয়াড়িদের ধরতে সাইবার ইউনিটসহ মাঠে থাকার বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে, সাইবার স্পেসে জনস্বার্থ রক্ষার উদ্দেশে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০ ধারা অনুসারে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলার সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
তবে অনলাইন জুয়াড়িদের ধরতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বরিশাল মেট্রোপলিটন মাঠপুলিশের কর্মকর্তাদের। গোয়েন্দা বিভাগের একজন ওসি পদমর্যাদার কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ হেডকোয়াটার্স যেহেতু ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, এখন তা বরিশালে আসা সময়সাপেক্ষপ বিষয়।
এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পুলিশের কোনো নির্দেশনা অফিসিয়ালি না আসলেও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে মাঠপুলিশকে বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ডিজিটাল জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় অধিকাশং নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে ছাত্রলীগ সভাপতি অপুর নাম আসেনি একটিতেও।
অনলাইন জুয়া বা বেটিং সাইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিশেষ করে দেশের বিভাগ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠা করে জেলা শহরগুলোতেও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই জিডিটাল জুয়ার বদৌলতে বিভাগীয় শহর বরিশালে কোটিপতি বনে গেছেন শওকত হোসেন অপু নামের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা। বরিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অপু অর্ধযুগ ধরে এই অঞ্চলে জুয়ার নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অবৈধ উপার্জন দিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ভূ-সম্পত্তি ক্রয় করলেও তাকে আইনি কোনো ঝুটঝামেলায় জড়াতে হয়নি। জুয়া চালিয়ে শুধু অপুই বিত্তশালী বনে যাননি, তার পদঙ্ক অনুসারণ করে বরিশাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরানও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতা অপু এবং তার সহযোগী কামরানের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন এমন অন্তত ১৫ যুবকের সাথে কথা বলেছে বরিশালটাইমস। তাদের মধ্যেকার একজন রুহুল আমিন, যিনি বরিশাল নৌবন্দর এলাকার হোটেল মালিক ছিলেন। পত্রিশোর্ধ্ব রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, রসুলপুরের বাসিন্দা বছর তিনেক পূর্বে অর্থাৎ ২০২২ সালে অপুর সহযোগী কামরান প্রায়শই রাতে তার হোটেলে খেতে যেতেন। তখন রুহুল আমিনকে স্বল্প পুঁজিতে অনলাইনে জুয়া খেলে ব্যাপক অর্থকড়ি লাভ করা সম্ভব প্রলোভন দেখিয়ে একটি সাইটে একাউন্ট খুলে দেন। এবং কামরান তাকে উৎসাহিত করে ১ হাজার টাকা বিনিয়োগও করান।
রুহুল আমিন জানান, সেই ১ হাজার টাকায় কদিন জুয়া খেলার পরে তার একাউন্টে ১৫ হাজার টাকা জমা হয়। কিন্তু সেই জুয়ার অর্থ উত্তোলন করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। অনেক চেষ্টা করে অবৈধ উপার্জন তুলতে না পেরে রুহুল আমিন ছাত্রলীগ নেতার সহযোগী কামরানের স্মরণাপণ্ন হন। কিন্তু কামরান সেই অর্থ তুলতে সহযোগিতা না করে উল্টো আরও জুয়া খেলার পরামর্শ দেন। এরপর ৬ মাসের ব্যবাধানে রুহুল আমিনের ৮ লক্ষাধিক টাকা এই জুয়ার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা। এতে রুহুল আমিন হোটেলসহ সর্বস্ব হারিয়ে শেষে কামরানের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলাও করেন। সেই মামলায় পুলিশ কামরানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও ওস্তাদ শওকত হোসেন অপু ছিলেন ধরাছোয়ার বাইরে। অবশ্য কোতয়ালি পুলিশ অপুকে ধরতেও বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত আর তার লাগাম টেনে ধরতে পারেনি।
বিভিন্ন মাধ্যম নিশ্চিত করেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং হামলা-হামলার শিকার হয়ে অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পালিয়ে থাকলেও অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক অপু বরিশাল শহরেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে একটিও মামলা হয়নি, যা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা শোনা যায়। ছাত্রলীগ নেতা অপু গ্রামের বাড়ি নয়ানী ও শ্বশুরবাড়ি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পানির ট্যাংকি কাছাকাছি স্থানে থাকছেন এবং দুটি জায়গা থেকেই জুয়ার সাইট পরিচালনা করছেন।
অনলাইন জুয়া খপ্পরে নিঃস্ব নয়ানী গ্রামের একাধিক যুবক অভিযোগ করেছেন, এই ডিজিটাল জুয়া সম্পর্কে তাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। ছাত্রলীগ সভাপতি অপুর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের জুয়ায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন এবং তিনিই নয়ানী গ্রামের রিয়াজ ও চরকাউয়া খেয়াঘাটের সুমনের বিকাশের দোকান থেকে অর্থ বিনিয়োগ করে দিয়েছেন। তাছাড়া অপুর দুটি মোবাইল নম্বর (০১৭…….৫৫, ০১৩……..৪৬) থেকেও এই দুটি দোকানের বিকাশ নম্বরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন করা হয়, যা নিয়ে উভয় দোকানি বরিশালটাইমসের এ প্রতিবেদকের কাছে সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। দুই দোকানি জানিয়েছেন, অপু নিজের দুটি ছাড়াও বিভিন্ন নম্বর থেকে প্রতিদিন লেনদেন করেন। কিন্তু এই দেনদেনের সংখ্যা কখনও কখনও লাখ অতিক্রম করে।
নয়ানী গ্রামের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুবক বয়সি অপু ২০২৩ সালে দুর্গাপুর গ্রামে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশে একটি কোটি টাকা মূলে ৭৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, তখন এই বিষয়টি জানাজানি হলে তার আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। কিন্তু তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হওয়ায় ভূমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাতে আর বাধ সাধেনি।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাড়িকাড়ি জুয়ার অর্থে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি অপু শুধু ভূমি ক্রয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেছেন। এবং চরকাউয়ার অজপাড়াগাঁও নয়ানী গ্রামের নিজের বাসাটিকে বিলাসবহুল করে তুলেছেন, যা নিয়ে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, এত তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অপু অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। এবং এমন ভান ধরেন যে তার ডিজিটাল জুয়া সম্পর্কে কোনো ধারনাই নাই। পরে জুয়ার টাকা কোথায় দেনদেন হয় এবং অবৈধ অর্থ তিনি ভূমি ক্রয় করাসহ কোন কোন ব্যবসায় লগ্নি করেছেন বিস্তারিত শুনে তিনি একপর্যায়ে ভরকে যান। এবং এ প্রতিবেদকের সাথে আর্থিক সমঝোতার প্রস্তাবও দেন। কিন্তু অসৎ চরিত্রের লোকের সাথে আপসরফার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ের দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ নিরব থেকে মুঠোফোন সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
সংবাদকর্মীকে নিষিদ্ধছাত্রলীগ নেতার আপসের প্রস্তাবই জানান দেই যে তিনি কোন মাপের জুয়াড়ি। অবশ্য এই ছাত্রলীগ নেতাই যে বরিশাল কেন্দ্রীয় অনলাইন জুয়ার মাস্টারমাইন্ড তা তার সহযোগী কামরানও স্বীকার করেছেন। তবে বর্তমানে অনলাইন জুয়ার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, দাবি করেছেন আরমান।
এই অনলাইন জুয়ার হোতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন অপু এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে জোর দাবি জানিয়েছেন তাদের প্রতারণায় নিঃস্ব যুবকেরা। অবশ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও কদিন পূর্বে অনলাইন জুয়াড়িদের লাগাম টেনে ধরার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। গত ২৫ মে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব ঘোষণা দিয়েছেন অনলাইনভিত্তিক জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এরপরে ২৮ মে রাতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনও ডিজিটাল জুয়াড়িদের ধরতে সাইবার ইউনিটসহ মাঠে থাকার বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে, সাইবার স্পেসে জনস্বার্থ রক্ষার উদ্দেশে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০ ধারা অনুসারে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলার সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
তবে অনলাইন জুয়াড়িদের ধরতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বরিশাল মেট্রোপলিটন মাঠপুলিশের কর্মকর্তাদের। গোয়েন্দা বিভাগের একজন ওসি পদমর্যাদার কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ হেডকোয়াটার্স যেহেতু ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, এখন তা বরিশালে আসা সময়সাপেক্ষপ বিষয়।
এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পুলিশের কোনো নির্দেশনা অফিসিয়ালি না আসলেও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে মাঠপুলিশকে বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ডিজিটাল জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৩৬
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:০৮
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.