১০ জুন, ২০২৫ ১১:২৫
পটুয়াখালীর বাউফলে ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন কনফারেন্স ও সিঙ্গেল ডিজিট কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাউফল উপজেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় বাউফল সরকারী কলেজ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ হাজার শিক্ষার্থীকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট, ব্যাগ, নোট বুক, টিশার্ট/ হিজাব, কলম ও বই বিতরণ করা হয়।
ইসলামী ছাত্র শিবির বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. লিমন হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মো. সিবগাতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলা শাখার আমির এড. মো. নাজমুল আহসান, জামায়াতে ইসলামী বাউফল উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মো. ইসহাক মিয়া, ইসলামী ছাত্রশিবির পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম নূর।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের উন্নত, সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার বিনির্মানে বিষয়ভিত্তিক মোটিভেশনাল বিষয়ে আলোচনা করেন, সাবেক বুয়েট শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলী আম্মার মুয়াজ, শেবাচিম হাসপাতালের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. মো. মুনতাসির ওয়াদুদ, ব্লিস ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি'র প্রিন্সিপাল নাহিদ ফারুক আল আজহারী।
অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশে অভিনয় ও সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতিমান শিল্পী ও নাট্যকার কবির বিন সামাদ ও হেরার রশ্মি শিল্পগোষ্ঠী বরিশাল। অনুষ্ঠানে উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।’
পটুয়াখালীর বাউফলে ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন কনফারেন্স ও সিঙ্গেল ডিজিট কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাউফল উপজেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় বাউফল সরকারী কলেজ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ হাজার শিক্ষার্থীকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট, ব্যাগ, নোট বুক, টিশার্ট/ হিজাব, কলম ও বই বিতরণ করা হয়।
ইসলামী ছাত্র শিবির বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. লিমন হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মো. সিবগাতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলা শাখার আমির এড. মো. নাজমুল আহসান, জামায়াতে ইসলামী বাউফল উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মো. ইসহাক মিয়া, ইসলামী ছাত্রশিবির পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম নূর।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের উন্নত, সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার বিনির্মানে বিষয়ভিত্তিক মোটিভেশনাল বিষয়ে আলোচনা করেন, সাবেক বুয়েট শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলী আম্মার মুয়াজ, শেবাচিম হাসপাতালের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. মো. মুনতাসির ওয়াদুদ, ব্লিস ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি'র প্রিন্সিপাল নাহিদ ফারুক আল আজহারী।
অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশে অভিনয় ও সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতিমান শিল্পী ও নাট্যকার কবির বিন সামাদ ও হেরার রশ্মি শিল্পগোষ্ঠী বরিশাল। অনুষ্ঠানে উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।’
১১ জুন, ২০২৫ ০৯:০৩
ইলিশের প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে হচ্ছে বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে। ইতোমধ্যেই সমুদযাত্রার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন উপকূলের জেলেরা। দীর্ঘ দুইমাস পরে ফের সমুদ্রে মাছ ধরতে নামছেন উপকূলীয় জেলেরা। নীল জলরাশির বুকে এবার তারা পাড়ি দিচ্ছেন এক বুক স্বপ্ন, কিছুটা শঙ্কা আর অনেকটা প্রত্যাশা নিয়ে।
আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রজুড়ে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। ট্রলার পরিষ্কার, জাল সেলাই, ইঞ্জিন মেরামত, বরফ ও খাদ্য মজুতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারো জেলে। এককথায় সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।
জানা গেছে, ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছিল সরকার। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সময়ের অসামঞ্জস্যতা এবং জেলেদের দাবির প্রেক্ষিতে এবার সময় পরিবর্তন করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নির্ধারণ করা হয়।
এই সময়ে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। আইন ভঙ্গকারীদের জেল ও জরিমানাও দেওয়া হয়েছে। জেলেসহ মৎস্য সংশ্লিষ্টদের আশা এবার সমুদ্রে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় অনেক প্রকৃত জেলে সরকারি প্রনোদনার চাল পায়নি বলে জানিয়েছেন। এছাড়া যারা পেয়েছেন তাদের প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি।
আলীপুর বন্দরের জেলে ইউনূস মিয়া বলেন, ‘আমি ২৩ বছর ধরে সমুদ্রে যাই। কিন্তু এখনও সরকারি প্রণোদনার তালিকায় আমার নাম নেই। বরং দেখেছি, যারা জেলে নয় তারাও চাল পেয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত জেলেদের তালিকাভুক্ত করা হোক।’
জেলে কাদের পহলান বলেন, ‘৫৮ দিন ধরে ধারদেনা করে চলেছি। সরকার যে চাল দিয়েছে, তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হয়নি। এখন সমুদ্রে নেমেও যদি ইলিশ না পাই, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে।’
মন্নান নামে আরেক জেলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমর সরকারের নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করেছি। এখন সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, এবার কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে।’
মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা মিয়া বলেন, ‘জেলেরা সঠিকভাবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে। আশা করছি, মাছের সরবরাহ বাড়বে। এতে বাজারে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে। ব্যবসাও জমে উঠবে।’
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য ছিল ইলিশের উৎপাদন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা। আমরা সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছি। জেলেরা সরাসরি এর সুফল পাবে। প্রণোদনার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ইলিশের প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে হচ্ছে বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে। ইতোমধ্যেই সমুদযাত্রার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন উপকূলের জেলেরা। দীর্ঘ দুইমাস পরে ফের সমুদ্রে মাছ ধরতে নামছেন উপকূলীয় জেলেরা। নীল জলরাশির বুকে এবার তারা পাড়ি দিচ্ছেন এক বুক স্বপ্ন, কিছুটা শঙ্কা আর অনেকটা প্রত্যাশা নিয়ে।
আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রজুড়ে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। ট্রলার পরিষ্কার, জাল সেলাই, ইঞ্জিন মেরামত, বরফ ও খাদ্য মজুতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারো জেলে। এককথায় সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।
জানা গেছে, ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছিল সরকার। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সময়ের অসামঞ্জস্যতা এবং জেলেদের দাবির প্রেক্ষিতে এবার সময় পরিবর্তন করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নির্ধারণ করা হয়।
এই সময়ে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। আইন ভঙ্গকারীদের জেল ও জরিমানাও দেওয়া হয়েছে। জেলেসহ মৎস্য সংশ্লিষ্টদের আশা এবার সমুদ্রে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় অনেক প্রকৃত জেলে সরকারি প্রনোদনার চাল পায়নি বলে জানিয়েছেন। এছাড়া যারা পেয়েছেন তাদের প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি।
আলীপুর বন্দরের জেলে ইউনূস মিয়া বলেন, ‘আমি ২৩ বছর ধরে সমুদ্রে যাই। কিন্তু এখনও সরকারি প্রণোদনার তালিকায় আমার নাম নেই। বরং দেখেছি, যারা জেলে নয় তারাও চাল পেয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত জেলেদের তালিকাভুক্ত করা হোক।’
জেলে কাদের পহলান বলেন, ‘৫৮ দিন ধরে ধারদেনা করে চলেছি। সরকার যে চাল দিয়েছে, তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হয়নি। এখন সমুদ্রে নেমেও যদি ইলিশ না পাই, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে।’
মন্নান নামে আরেক জেলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমর সরকারের নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করেছি। এখন সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, এবার কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে।’
মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা মিয়া বলেন, ‘জেলেরা সঠিকভাবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে। আশা করছি, মাছের সরবরাহ বাড়বে। এতে বাজারে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে। ব্যবসাও জমে উঠবে।’
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য ছিল ইলিশের উৎপাদন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা। আমরা সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছি। জেলেরা সরাসরি এর সুফল পাবে। প্রণোদনার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
১১ জুন, ২০২৫ ০৮:৫৯
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৬ জেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা।
সামুদ্রিক মাছ আহরণের ওপর সরকারের
৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ (১১ জুন) মধ্যরাতে শেষ হবে। এই শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় ‘এফবি আনোয়ারা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
ট্রলারটিতে থাকা ১৬ জন মাঝিমাল্লা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ দূর্ঘটনার ঘটে।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাষ্যমতে, কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলি বাজার এলাকা জাহিদ ব্যাপারীর মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে সোমবার বিকেলে সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেন। লক্ষাধিক টাকার রসদ নিয়ে তারা সমুদ্রে নামেন। যাত্রা পথেই এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে ট্রলারটি ঢেউয়ের তোড়ে ফেটে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচেও কাজ হয়নি। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়। ডুবির পরপরই ট্রলারে থাকা জেলেরা মালিকপক্ষকে ফোনে খবর দিলে স্পিডবোট পাঠিয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা পর প্রথম দফায় ৬ জন ও দ্বিতীয় দফায় ১০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ট্রলার মাঝি মজনু ফরাজী বলেন, হঠাৎ ট্রলারে প্রচুর পানি উঠতে শুরু করে। আমরা খোঁজাখুৃঁজি করেও পানির ওঠার স্থান পাইনি। এর পরে জীবন রক্ষা জন্য দ্রুত কিনারায় আসার জন্য চালাতে থাকি। আমরা বালতি, থাল দিয়া পানি সেঁচতে থাকি তবে এত পরিমান পানি উঠে যা বলে বুঝানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন, পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে কিনারায় আসতেই মাঝপথে বসে হঠাৎ পানি উঠে ট্রলারটি তলিয়ে যায়। পরে স্পিড বোডের মাধ্যমে আমাদেরকে উদ্ধার করে জেলেরা।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন-রহমান মাঝি (৪০) মজনু ফরাজি (৪২) সবুজ (৩০) এনায়েত হোসেন(৪৮), মেজবাউদ্দীন মিজু (৩৭) সজিব (২২) নাসির, হৃদয় ও মুছা (৩১)।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। এবিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে হয়তো চুরি করেই তারা সাগরে গিয়েছিলেন৷
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা'র মুঠোফোন একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৬ জেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা।
সামুদ্রিক মাছ আহরণের ওপর সরকারের
৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ (১১ জুন) মধ্যরাতে শেষ হবে। এই শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় ‘এফবি আনোয়ারা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
ট্রলারটিতে থাকা ১৬ জন মাঝিমাল্লা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ দূর্ঘটনার ঘটে।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাষ্যমতে, কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলি বাজার এলাকা জাহিদ ব্যাপারীর মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে সোমবার বিকেলে সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেন। লক্ষাধিক টাকার রসদ নিয়ে তারা সমুদ্রে নামেন। যাত্রা পথেই এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে ট্রলারটি ঢেউয়ের তোড়ে ফেটে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচেও কাজ হয়নি। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়। ডুবির পরপরই ট্রলারে থাকা জেলেরা মালিকপক্ষকে ফোনে খবর দিলে স্পিডবোট পাঠিয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা পর প্রথম দফায় ৬ জন ও দ্বিতীয় দফায় ১০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ট্রলার মাঝি মজনু ফরাজী বলেন, হঠাৎ ট্রলারে প্রচুর পানি উঠতে শুরু করে। আমরা খোঁজাখুৃঁজি করেও পানির ওঠার স্থান পাইনি। এর পরে জীবন রক্ষা জন্য দ্রুত কিনারায় আসার জন্য চালাতে থাকি। আমরা বালতি, থাল দিয়া পানি সেঁচতে থাকি তবে এত পরিমান পানি উঠে যা বলে বুঝানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন, পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে কিনারায় আসতেই মাঝপথে বসে হঠাৎ পানি উঠে ট্রলারটি তলিয়ে যায়। পরে স্পিড বোডের মাধ্যমে আমাদেরকে উদ্ধার করে জেলেরা।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন-রহমান মাঝি (৪০) মজনু ফরাজি (৪২) সবুজ (৩০) এনায়েত হোসেন(৪৮), মেজবাউদ্দীন মিজু (৩৭) সজিব (২২) নাসির, হৃদয় ও মুছা (৩১)।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। এবিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে হয়তো চুরি করেই তারা সাগরে গিয়েছিলেন৷
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা'র মুঠোফোন একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
১১ জুন, ২০২৫ ০৬:৫৩
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিরান নামের এক যুবকের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ সময় বাম হাতও বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালায় হামলাকারী।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বালিয়াতলী ইউপির মধুপাড়া বাজারে একটি সালিশ বৈঠকের পর এ হামলা চালানো হয়। আহত মিরান ওই ইউপির ছোট বালিয়াতলী গ্রামের মো. রফিক খন্দকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল মিরান ও তার চাচাতো ভাই সোহেল খন্দকারের মধ্যে। ঘটনার দিন সালিশ বৈঠকে বসে উভয়পক্ষ।
পরে রাতে মধুপাড়া বাজারে মিরান একা থাকাকালে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় সোহেল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর ফলে মিরানের ডান হাত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বা হাত আংশিক কাটা পড়ে।
তারা আরও জানান, রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
কলাপাড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়া এখনো অভিযান অব্যাহত আছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিরান নামের এক যুবকের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ সময় বাম হাতও বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালায় হামলাকারী।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বালিয়াতলী ইউপির মধুপাড়া বাজারে একটি সালিশ বৈঠকের পর এ হামলা চালানো হয়। আহত মিরান ওই ইউপির ছোট বালিয়াতলী গ্রামের মো. রফিক খন্দকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল মিরান ও তার চাচাতো ভাই সোহেল খন্দকারের মধ্যে। ঘটনার দিন সালিশ বৈঠকে বসে উভয়পক্ষ।
পরে রাতে মধুপাড়া বাজারে মিরান একা থাকাকালে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় সোহেল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর ফলে মিরানের ডান হাত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বা হাত আংশিক কাটা পড়ে।
তারা আরও জানান, রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
কলাপাড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়া এখনো অভিযান অব্যাহত আছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.