Bkash

ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে ইকো অলিম্পিয়াড’র সফল ফাইনাল রাউন্ড সম্পন্ন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৩৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে ইকো অলিম্পিয়াড’র সফল ফাইনাল রাউন্ড সম্পন্ন

ঝালকাঠিতে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “ইকো অলিম্পিয়াড ২০২৫”-এর ফাইনাল রাউন্ড।

পরিবেশবাদী যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল’র আয়োজনে-উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ঝালকাঠি জেলা অফিসের সহযোগিতায় আয়োজিত এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে জেলার ৮টি স্কুল ও ২টি কলেজের মোট ২০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জনাব আশরাফুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঝালকাঠি জেলার সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা, ইয়ুথনেট গ্লোবালের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শুভ, পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় এবং সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন। ইকো অলিম্পিয়াডের মূল লক্ষ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তন ও প্লাস্টিক দূষণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা এবং তাদের মধ্যে পরিবেশ নেতৃত্বের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

ইয়ুথনেট গ্লোবালের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “জলবায়ু সংকট ও প্লাস্টিক দূষণ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় হুমকি। এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে আমরা ঝালকাঠির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশবান্ধব আচরণ গড়ে তুলতে চাই। ইতোমধ্যে পুরো বরিশাল বিভাগে আমাদের এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।”

ইয়ুথনেট গ্লোবালের জেলা সমন্বয়কারী সাজিদ জানান, প্রথম ধাপে জেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২,০০০ শিক্ষার্থী জলবায়ু বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এখান থেকে নির্বাচিত ২০০ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় রাউন্ডে কুইজ ও কর্মশালার মাধ্যমে চূড়ান্ত ৬ জন শিক্ষার্থীকে (২টি গ্রুপ, প্রতি গ্রুপে ৩ জন) ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচন করা হয়।

ফাইনাল রাউন্ড শেষে বিজয়ী ৬ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “ইকো অলিম্পিয়াড শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি পরিবেশ রক্ষার জন্য তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার একটি আন্দোলন। ইয়ুথনেট গ্লোবাল শুধু বরিশাল বিভাগেই নয়, বাংলাদেশের ৫২টি জেলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করে জলবায়ু আন্দোলনে যুক্ত করেছে।” অনুষ্ঠানস্থলে বিভিন্ন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সচেতনতায় উদ্বুদ্ধ করতে আয়োজিত এই উদ্যোগটি ঝালকাঠিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং পরিবেশ রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আরও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে জাল নোট মামলায় দুজনের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে জাল নোট মামলায় দুজনের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।

সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না অসুস্থ দিনমজুর নাছিরের

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না অসুস্থ দিনমজুর নাছিরের

এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।

অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।

অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।

নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।

আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে  খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।

গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে সিএনজি চালককে হয়রানি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:২০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে সিএনজি চালককে হয়রানি

ঝালকাঠির নলছিটিতে গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সিএনজি চালককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলা 

প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর দোয়ারীর  মেয়ে জান্নাতি আক্তার এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে জান্নাতি আক্তার বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর এলাকার ফিরোজ হাওলাদার ওরফে ফিরোজ ড্রাইভারের চারটি গরু চুরি হয়। প্রতিদিনের মতো গাড়ি চালিয়ে ওইদিন রাতেও আমার বাবা বাড়িতে ফিরেন। রাতের খাবার খেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন। তখন একজন মানুষের মতো দেখতে পান পরে আমার মাকে লাইট নিয়ে আসতে বলে পরে আর কাউকে দেখতে পাননি। পরেরদিন সকালে শুনতে পান পাশের বাসায় ফিরোজ হাওলাদারের চারটি গরু চুরি হয়ে গেছে। তখন গিয়ে এসব খুলে বললে তাদের সন্দেহ হন আমার বাবা গরু চুরির সাথে জড়িত । পরে তারা থানায় মামলা করলে পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পরিবারের চারজন সদস্য তার আয়ের আমাদের সংসার চলে। এখন আয় বন্ধ থাকায় আমাদের না খেয়ে দিন কাটছে। সঠিক তদন্ত করে আমার বাবাকে মুক্তি দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে ফিরোজ হাওলাদার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। এরজন্য তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, গরু চুরির একটি মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।'

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.