১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪১
১৮৮৯ সালে স্থাপিত বরিশালের ঐতিবাহী বানারীপাড়া সরকারি মডেল ইউনিয়ন ইনিস্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন অ্যালামনাই এসোশিয়েশনের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) শরৎ"র স্নিগ্ধ বিকেলে ঢাকায় হাইকোর্টের প্লাটিনাম লাউঞ্জে দেশবরণ্যে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এটিএম খলিলুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাসুদুর রহমানকে আহবায়ক ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহাবুবকে সদস্য সচিব করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যরা হলেন যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মাহামুদ মাহাবুব মাষ্টার,আশিকুল ইসলাম আজাদ ও সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য
মাসুমা আলম বেবী, মো: জাকির হোসেন, মো:এমাম হোসেন, তারিকুল ইসলাম, মো:শাহিনুজ্জামান, সোহেল সানি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, মো.জামাল রেজা, মো. মিজানুর রহমান, কে এম শফিকুল আলম জুয়েল, মো.আতিকুর রহমান, মো. সাইদুর রহমান, শামসুদ্দিন আহমেদ, এইচ এম আখতার হোসেন, মোহাম্মাদ আবদুর রব, মো. শাহ জামাল খান, মো.মাসুম বিল্লাহ মনু, দেবাশীষ দাস, মো. হাবিবুর রহমান জুয়েল, শীবানন্দ শীল, রাহাদ সুমন, মো. নাজমুল হোসেন শামীম ,সুজন হালদার, মো. সাব্বির আহমেদ রাজন, মো. রিয়াজউদ্দিন খান, মো. জাহিদ হোসেন,ও সাব্বির মোরশেদ শিশির। এদিকে বানারীপাড়া সরকারি মডেল ইউনিয়ন ইনিস্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের অ্যালামনাই এসোশিয়েশনের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন উষ্ণ অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
১৮৮৯ সালে স্থাপিত বরিশালের ঐতিবাহী বানারীপাড়া সরকারি মডেল ইউনিয়ন ইনিস্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন অ্যালামনাই এসোশিয়েশনের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) শরৎ"র স্নিগ্ধ বিকেলে ঢাকায় হাইকোর্টের প্লাটিনাম লাউঞ্জে দেশবরণ্যে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এটিএম খলিলুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাসুদুর রহমানকে আহবায়ক ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহাবুবকে সদস্য সচিব করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যরা হলেন যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মাহামুদ মাহাবুব মাষ্টার,আশিকুল ইসলাম আজাদ ও সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য
মাসুমা আলম বেবী, মো: জাকির হোসেন, মো:এমাম হোসেন, তারিকুল ইসলাম, মো:শাহিনুজ্জামান, সোহেল সানি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, মো.জামাল রেজা, মো. মিজানুর রহমান, কে এম শফিকুল আলম জুয়েল, মো.আতিকুর রহমান, মো. সাইদুর রহমান, শামসুদ্দিন আহমেদ, এইচ এম আখতার হোসেন, মোহাম্মাদ আবদুর রব, মো. শাহ জামাল খান, মো.মাসুম বিল্লাহ মনু, দেবাশীষ দাস, মো. হাবিবুর রহমান জুয়েল, শীবানন্দ শীল, রাহাদ সুমন, মো. নাজমুল হোসেন শামীম ,সুজন হালদার, মো. সাব্বির আহমেদ রাজন, মো. রিয়াজউদ্দিন খান, মো. জাহিদ হোসেন,ও সাব্বির মোরশেদ শিশির। এদিকে বানারীপাড়া সরকারি মডেল ইউনিয়ন ইনিস্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের অ্যালামনাই এসোশিয়েশনের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন উষ্ণ অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:০৭
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৫৭
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৩১
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪৮
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৫৭
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের আলোচিত্র নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল শহরের সদর রোডসংলগ্ন শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর স্নেহভাজন কেকা ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে একটি বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হন।
ঝালকাঠির একটি সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে শারমিন মৌসুমী কেকা একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। এবং গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি ঝালকাঠি ছেড়ে বরিশালের সদর রোডে শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলছেন স্বামী লিটুসহ স্বজনেরা। তাদের দাবি, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শারমিন মৌসুমী কেকা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
পুলিশ বলছে, স্বজনদের খবরের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, আওয়ামী লীগ নেত্রীর মত্যু রহস্যজনক। তার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের আলোচিত্র নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল শহরের সদর রোডসংলগ্ন শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর স্নেহভাজন কেকা ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে একটি বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হন।
ঝালকাঠির একটি সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে শারমিন মৌসুমী কেকা একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। এবং গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি ঝালকাঠি ছেড়ে বরিশালের সদর রোডে শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলছেন স্বামী লিটুসহ স্বজনেরা। তাদের দাবি, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শারমিন মৌসুমী কেকা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
পুলিশ বলছে, স্বজনদের খবরের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, আওয়ামী লীগ নেত্রীর মত্যু রহস্যজনক। তার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৩১
বরিশাল শিল্পকলা একাডেমির বিতর্কিত কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাস গুপ্তকে আকস্মিক বদলি করা হয়েছে। সোমবার রাতে তার কুড়িগ্রামে বদলি সংক্রান্ত একটি খবর ছড়িয়ে পড়লে এই কীর্তনখোলা তীর জনপদের শিল্পসমাজের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। এবং এই কর্মকর্তার বদলি নিয়ে শিল্পসমাজের ব্যক্তি-বিশেষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে করতে দেখা গেছে, যা হাফ ছেড়ে বাঁচার ন্যায়।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর অসিত বরণের বিরুদ্ধে কর্মস্থল বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পরে এই কর্মকর্তা বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে যোগদান করার পরপরই বিভন্ন সমালোচিত কাজের মাধ্যমে নিজেকে বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান।
সম্ভবত বিতর্কিত কর্মকান্ডের মধ্যে তার প্রথম পদক্ষেপ ছিল গত ৩০ জুন জেলা সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া। এতে শিল্পকলা একাডেমিতে দায়িত্বরত প্রশিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হন। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কালচারাল কর্মকর্তা হাসানুর রশীদ শিল্পকলায় নিযুক্ত ১২ জন প্রশিক্ষকের ২০২৪-২৫ সালের চুক্তিনামা নবায়ন করে যেতে পারেননি। তবে প্রশিক্ষকরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নবায়নের জন্য কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে গেছেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা সুরাহা হয়নি। তাদের অভিযোগ, অসিত বরণ দাশগুপ্ত প্রশিক্ষক নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতি করছেন।
অসিত বরণ দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করে লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়াও হয়েছিল। গত ১ জুলাই বরিশালের গণমাধ্যমকর্মী মুহম্মদ ইমন খন্দকার হৃদয় অভিযোগপত্রটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ওয়ারেছ হোসেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এবং দুদকের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. এইচএম আক্তারুজ্জামানের বরাবর পেশ করেন।
অভিযোগপত্রে মুহম্মদ ইমন খন্দকার উল্লেখ করেন, অসিত বরণ দাশগুপ্ত ২০১৩ সালে কালচারাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ ও বর্তমানে বরিশালে দায়িত্ব পালনকালে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৬ সালে সিলেটে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা স্মারকলিপি দেন। ২০২৪ সালে সিলেটে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়। ২০২৫ সালে তাকে বরিশালে বদলি করা হয়। বরিশালে যোগদানের পর থেকেই সরকারি রেস্ট হাউজে পরিবারসহ মাসের পর মাস অবৈধভাবে বসবাস করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। একইসঙ্গে হলরুম ভাড়ার টাকা গোপন রেখে তা ব্যক্তিগতভাবে এবং স্থানীয় ও সাধারণ ফান্ডের ২৯ লাখ টাকার একটি বড় অংশ তুলে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া জনসাধারণের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে পুরো প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
এই অভিযোগটি তদন্তে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) উপমা ফারিসাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৮ আগস্ট তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেন।
শিল্পকলার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন তুলে ধরার পরপরই তাকে বরিশাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে তার এই বদলিকে এক ধরনের শাস্তিমূলকও বলা যায়।
সূত্রটি জানিয়েছে, রোববার এক আদেশে সারা দেশের অন্তত ১৯ জেলার কালচারাল অফিসারকে বদলি করে শিল্পকলা এডাডেমি। এবং আদেশে বলা হয় স্ব-স্ব কর্মকর্তাগণ আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন। যদি এর ব্যত্তয় ঘটে তাহলে ওইদিনই কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।
বদলির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অসিত বরণকে ফোন করা হলে তিনি এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। বরং সংবাদ করার আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে তার বদলির আদেশটি সঠিক বলে বরিশালটাইমসকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবং জানিয়েছে, অসিত বরণকে কুড়িগ্রামে পাঠানোর পাশাপাশি বরিশালে নতুন কালচারাল কর্মকর্তা হিসেবে পটুয়াখালীর তানবীর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের শিল্পসমাজ অসিত বরণের বদলির খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বৈরাচারের দোসর অসিত বরণ বরিশালে যোগদান করে শিল্পকলাকে নিজের সম্পত্তি মনে করেছিলেন। বিএনপি ঘরনার ২/৩ জন রাজনৈতিকের সাথে সম্পর্ক রাখতে বা তাদের খুশি করতে গিয়ে তিনি একাধিক বিতর্কিত কর্মকান্ড করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার করে শিল্পীদের অর্থ আত্মসাৎ করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগটি সংবাদপত্রে মোটা দাগে শিরোনাম হয় এবং এতে শিল্পীসমাজ নড়েচড়ে বসে।’
বরিশাল শিল্পকলা একাডেমির বিতর্কিত কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাস গুপ্তকে আকস্মিক বদলি করা হয়েছে। সোমবার রাতে তার কুড়িগ্রামে বদলি সংক্রান্ত একটি খবর ছড়িয়ে পড়লে এই কীর্তনখোলা তীর জনপদের শিল্পসমাজের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। এবং এই কর্মকর্তার বদলি নিয়ে শিল্পসমাজের ব্যক্তি-বিশেষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে করতে দেখা গেছে, যা হাফ ছেড়ে বাঁচার ন্যায়।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর অসিত বরণের বিরুদ্ধে কর্মস্থল বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পরে এই কর্মকর্তা বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে যোগদান করার পরপরই বিভন্ন সমালোচিত কাজের মাধ্যমে নিজেকে বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান।
সম্ভবত বিতর্কিত কর্মকান্ডের মধ্যে তার প্রথম পদক্ষেপ ছিল গত ৩০ জুন জেলা সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া। এতে শিল্পকলা একাডেমিতে দায়িত্বরত প্রশিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হন। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কালচারাল কর্মকর্তা হাসানুর রশীদ শিল্পকলায় নিযুক্ত ১২ জন প্রশিক্ষকের ২০২৪-২৫ সালের চুক্তিনামা নবায়ন করে যেতে পারেননি। তবে প্রশিক্ষকরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নবায়নের জন্য কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে গেছেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা সুরাহা হয়নি। তাদের অভিযোগ, অসিত বরণ দাশগুপ্ত প্রশিক্ষক নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতি করছেন।
অসিত বরণ দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করে লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়াও হয়েছিল। গত ১ জুলাই বরিশালের গণমাধ্যমকর্মী মুহম্মদ ইমন খন্দকার হৃদয় অভিযোগপত্রটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ওয়ারেছ হোসেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এবং দুদকের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. এইচএম আক্তারুজ্জামানের বরাবর পেশ করেন।
অভিযোগপত্রে মুহম্মদ ইমন খন্দকার উল্লেখ করেন, অসিত বরণ দাশগুপ্ত ২০১৩ সালে কালচারাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ ও বর্তমানে বরিশালে দায়িত্ব পালনকালে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৬ সালে সিলেটে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা স্মারকলিপি দেন। ২০২৪ সালে সিলেটে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়। ২০২৫ সালে তাকে বরিশালে বদলি করা হয়। বরিশালে যোগদানের পর থেকেই সরকারি রেস্ট হাউজে পরিবারসহ মাসের পর মাস অবৈধভাবে বসবাস করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। একইসঙ্গে হলরুম ভাড়ার টাকা গোপন রেখে তা ব্যক্তিগতভাবে এবং স্থানীয় ও সাধারণ ফান্ডের ২৯ লাখ টাকার একটি বড় অংশ তুলে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া জনসাধারণের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে পুরো প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
এই অভিযোগটি তদন্তে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) উপমা ফারিসাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৮ আগস্ট তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেন।
শিল্পকলার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন তুলে ধরার পরপরই তাকে বরিশাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে তার এই বদলিকে এক ধরনের শাস্তিমূলকও বলা যায়।
সূত্রটি জানিয়েছে, রোববার এক আদেশে সারা দেশের অন্তত ১৯ জেলার কালচারাল অফিসারকে বদলি করে শিল্পকলা এডাডেমি। এবং আদেশে বলা হয় স্ব-স্ব কর্মকর্তাগণ আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন। যদি এর ব্যত্তয় ঘটে তাহলে ওইদিনই কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।
বদলির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অসিত বরণকে ফোন করা হলে তিনি এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। বরং সংবাদ করার আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে তার বদলির আদেশটি সঠিক বলে বরিশালটাইমসকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবং জানিয়েছে, অসিত বরণকে কুড়িগ্রামে পাঠানোর পাশাপাশি বরিশালে নতুন কালচারাল কর্মকর্তা হিসেবে পটুয়াখালীর তানবীর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের শিল্পসমাজ অসিত বরণের বদলির খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বৈরাচারের দোসর অসিত বরণ বরিশালে যোগদান করে শিল্পকলাকে নিজের সম্পত্তি মনে করেছিলেন। বিএনপি ঘরনার ২/৩ জন রাজনৈতিকের সাথে সম্পর্ক রাখতে বা তাদের খুশি করতে গিয়ে তিনি একাধিক বিতর্কিত কর্মকান্ড করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার করে শিল্পীদের অর্থ আত্মসাৎ করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগটি সংবাদপত্রে মোটা দাগে শিরোনাম হয় এবং এতে শিল্পীসমাজ নড়েচড়ে বসে।’
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩৮
বরিশালের বানারীপাড়ায় উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের করপাড়া গ্রামের সুমন হাওলাদার নামের সাবেক এক প্রবাসীর বসত ঘর "রহস্যজনক" অগ্নিকান্ডের পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার ( ১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ওই বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এ সময় সুমন হাওলাদারের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিল না। তার পরিবার অন্যত্র বেড়াতে গিয়েছিল। তাদের দাবি তালাবদ্ধ ঘরের বৈদ্যুতিক লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করা ছিল।
প্রতিবেশীরা বানারীপাড়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসকে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি জানালে সন্ধ্যা নদীতে ফেরি পারাপারে প্রায় ঘন্টা খানেক বিলম্ব হওয়ার কারণে যথা সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারেনি। যে কারণে ঘরটি সম্পূর্ণ ভশ্মীভূত হয়ে যায়। এসময় আগুনের লেলিহান শিখায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রাতেই ফায়ার সার্ভিস তাদের কার্যক্রম সমাপ্ত করে ফিরে আসে।স্হানীয়রা জানায় সুমন হাওলাদার মালয়েশিয়ার প্রবাসী হওয়ার কারণে দেশি-বিদেশি ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ ওভেন সহ বেশ কিছু ইলেকট্রিক সামগ্রী বাসায় ছিল যা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে সুমন হাওলাদার আন্তঃজেলা ট্রাক ড্রাইভার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
বরিশালের বানারীপাড়ায় উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের করপাড়া গ্রামের সুমন হাওলাদার নামের সাবেক এক প্রবাসীর বসত ঘর "রহস্যজনক" অগ্নিকান্ডের পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার ( ১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ওই বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এ সময় সুমন হাওলাদারের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিল না। তার পরিবার অন্যত্র বেড়াতে গিয়েছিল। তাদের দাবি তালাবদ্ধ ঘরের বৈদ্যুতিক লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করা ছিল।
প্রতিবেশীরা বানারীপাড়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসকে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি জানালে সন্ধ্যা নদীতে ফেরি পারাপারে প্রায় ঘন্টা খানেক বিলম্ব হওয়ার কারণে যথা সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারেনি। যে কারণে ঘরটি সম্পূর্ণ ভশ্মীভূত হয়ে যায়। এসময় আগুনের লেলিহান শিখায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রাতেই ফায়ার সার্ভিস তাদের কার্যক্রম সমাপ্ত করে ফিরে আসে।স্হানীয়রা জানায় সুমন হাওলাদার মালয়েশিয়ার প্রবাসী হওয়ার কারণে দেশি-বিদেশি ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ ওভেন সহ বেশ কিছু ইলেকট্রিক সামগ্রী বাসায় ছিল যা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে সুমন হাওলাদার আন্তঃজেলা ট্রাক ড্রাইভার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.