Bkash

পটুয়াখালী

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল তরুণ চাষী

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল তরুণ চাষী

পটুয়াখালীর বাউফলে বর্ষা মৌসুমে উচু জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. লোকমান হোসেন। কম খরচে বেশি ফলন ও বাজার দাম ভালো দাম পাওয়ায় খুশি এ চাষী। তার এ সাফল্য দেখে অনেকেই অফ সিজনে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন।

৮ বছর আগে শিক্ষিত এ তরুণ কর্মের খোঁজে প্রবাসে চলে যান। তিন বছর আগে দেশে ফিরে বাবার সাথে শুরু করেন কৃষি কাজ।সাধারণত গ্রীষ্ম মৌসুমে তরমুজের আবাদ হয়ে থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমে প্রথম বারের মত বাড়ি আঙ্গিনায় সল্প জমিতে তরমুজের আবাদ করেন। পাশাপাশি কিছু ফুটি আবাদ করেন। প্রথম বারের ই কম খরচে সফল হয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে সারিসারি তরমুজ গাছ লাগানো। ঝাকায় এসব গাছ লতাপাতা ছড়িয়ে রয়েছে। ফল ফুলে ভরপুর গাছগুলো। পাতার ফাঁকে ফাঁকে উকি দিয়ে আছে রসালো ফল তরমুজ। পাশে রয়েছে ফুটি গাছ। তাতেও বেশ ভালো ফলন হয়েছে। গাছ পরিচর্যা করছেন চাষী লোকমান। তাকে সহায়তা করছেন তার বাবা।

তরুণ চাষী লোকমান জানান, কর্মের জন্য ২০১৭ সালে ব্রæনাই চলে গিয়ে ছিলাম। সেখানে যে কাজ করছিলাম তা অনেক পরিশ্রমের। তার চেয়ে কম পরিশ্রম কৃষিকাজে দিলে অধিক মুনফা অর্জণ করা যায়। যে কারণে বিদেশ থেকে ফিরে বাবার সাথে কৃষি কাজ শুরু করি। ধান চাষের পাশাপাশি বাড়ির পাশে পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি ফলমূল চাষাবাদ শুরু করি।

এ বছর পরীক্ষা মুলক ভাবে ৫শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের তরমুজ ও ফুটি আবাদ করেছি। প্রথমবারের ভালো ফল হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পোকা মাড়কের আক্রমণ কম থাকায় কীটনাশক খরচও কম হয়েছে। সেই তুলনায় লাভ বেশি হয়েছি। মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ১লাখ টাকার ফলন হয়েছে। লোকমানের বাবা সালাম গাজী জানান, আমি ছোট বেলা থেকে কৃষি কাজ করে আসছি।

পড়াশুনা সে করে ছেলে বিদেশ গিয়েছিলেন। তবে সেখানে গিয়ে ভালো কিছু করতে পারছিল না। যেকারণে চলে এসে আমার সাথে কৃষি কাজ শুরু করে। এবছর তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করার ইচ্ছে রয়েছে। এদিকে তরুণ এ চাষীর অসময়ে তরমুজ চাষের খবর চারদিকে জড়িয়ে পরলে দুরদুরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসছেন। তার এমন সাফল্য দেখে স্থানীয় বেকার ও তরুণ চাষীরা অসময় তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

স্থানীয় চাষী মো. রিপন হোসেন (৩২) বলেন, আমরা কৃষি কাজ করি। মৌসুমে তরমুজ চাষাবাদ করে থাকি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমেও তরমজু চাষ করা যায় তাই এই প্রথম দেখলাম। আগামীতে আমিও বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদ করব। এবিষয়ে বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মিলন বলেন, অসময়ে তরমুজ অনেক লাভজনক।

এসময়ে বাজারে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। রোগ বালাই কম থাকায় খরচ কম, লাভ বেশি হয়। যেকারণে কৃষকরা অসময়ে তরমুজ চাষাবাদ করে থাকেন। প্রথম বারের মত এ উপজেলা তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা তরমুজ চাষ করেছেন। তার সফলতার খবরে আমরা আনন্দিত। তাকে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। আমরা তার পাশে থাকব।

আরও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ, প্রকাশ্যে আইনজীবীকে পিটিয়ে জখম

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:২৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পটুয়াখালীতে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ, প্রকাশ্যে আইনজীবীকে পিটিয়ে জখম

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আনোয়ার হোসাইন (৪৮) নামে এক আইনজীবীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় আনোয়ার হোসাইনের বাঁ চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত আইনজীবী আনোয়ার হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, পটুয়াখালীর ধুলাস্বর ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামের একটি মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কুয়াকাটার হারুন মৃধার সঙ্গে তার বিরোধ চলছে।

এ বিষয়ে প্রায় এক মাস আগে তিনি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুয়াকাটায় সালিশ মীমাংসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কুয়াকাটায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হারুন মৃধার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন মৃধা বলেন, আনোয়ার হোসেন আমার জমি জোর করে দখল করে নিয়েছেন। আমাকে চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা ও দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ নিয়ে আমাকে ধরতে এলে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক; পরিচয় দিচ্ছেন যুব জামায়াতের নেতা!

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক; পরিচয় দিচ্ছেন যুব জামায়াতের নেতা!

পটুয়াখালীর বাউফলে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ৷ অভিযোগ উঠেছে, আটকের পরে তাকে ছাড়াতে থানায় আসেন এক জামায়াতের নেতা। আটক ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মো. আব্দুস সালাম সিকদারের ছেলে ও ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে তাকে মমিনপুর গ্রাম থেকে আটক করেন থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।

এরআগে, মাইনুলের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্টতার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ স ম ফিরোজের শ্যালক ও ইউনিয়ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক ওরফে অপু'র পক্ষে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন ভাংচুর করাসহ মারামারি-হানানানির ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে, আটক মাইনুল ইসলামকে ছাড়াতে তোরজোড় শুরু করেনছেন কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ। জানতে চাইলে সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, শুধু মাইনুল নয়, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতারাও অপু 'র (সদ্য সাবেক আওয়ামী চেয়ারম্যান) নির্বাচন করেছে৷ সে ছাত্রলীগের কোন পদে ছিলো না।

আমার ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। তার জন্য স্বাভাবিক ভাবে আমাকে আসতে হয়েছে। এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরুজ্জামান সরকার বলেন, 'মাইনুলকে ছেড়ে দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা করছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে, তাকে আটক করা হয়েছে। সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সাথে তার ছবিও আছে।

আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি৷ আটক মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর।

বাউফলে ৩শত শিক্ষার্থীকে বনজ ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে ৩শত শিক্ষার্থীকে বনজ ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রায় ৩শত শিক্ষার্থীকে ফলোজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করেছে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সারে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ফলস ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভিবিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ গাছের চারা বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নুরুন্নবী, উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ রেদওয়ান সহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.