১২ জুন, ২০২৫ ০৬:১৪
ঈদের ছুটি শেষে লঞ্চ ও বাসে যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় কাউন্টারে মিলছে না টিকিট। অধিকাংশ বাস কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকেও টিকিট কিনতে ব্যর্থ হচ্ছে যাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে দেড় থেকে দুই গুণেরও বেশি টাকায় দালালদের কাছ টিকিট কিনতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তবে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টার্মিনালগুলোতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (১২ জুন) বরিশাল নৌবন্দর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে সরেজমিনে দেখা গেছে। তথ্য মতে, যাত্রী সামাল দিতে প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ভায়া ও সরাসরি মিলিয়ে অর্ধ ডজন বিলাসবহুল নৌযান যাত্রী পরিবহণ করছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এ রুটের লঞ্চে এক হাজার টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১২শ ও ২ হাজার টাকার ডাবল কেবিন হয়েছে ২৪০০ টাকায় বিক্রি করলেও তা পাচ্ছে না সাধারণ যাত্রীরা। কারণ এসব টিকিট আগেই দখলে নিয়েছে কালোবাজারিরা।
ফলে কাউন্টার বা নৌবন্দরে গিয়েও মিলছে টিকিট। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীদের দেড় বা দুইগুণ বেশি দামে সেই টিকিট কিনতে হচ্ছে নৌবন্দরে থাকা দালাল চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে। লেদু, ইমাম, বসির, খোকনসহ ডজনখানেক ব্যক্তি টিকিট কালোবাজারি করে থাকেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এছাড়া এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রী হয়রানির অভিযোগে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোস্টগার্ড।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল সড়ক পথে অধিকাংশ বাসের অগ্রিম সকল টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়েছে। কাউন্টারেও মিলছে না টিকিট।
পরে সাড়ে ৫শ টাকার টিকিট এক হাজার থেকে ১২শ টাকায় দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে যাত্রীদের। ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদে কাশেম ও মান্নানের নামে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ রয়েছে।
চালাল চক্রের সদস্যরা অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় বিভিন্ন কৌশলে তা দখলে নিয়ে নেয়। এর সঙ্গে লঞ্চ ও বাসের কাউন্টারের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীরাও জড়িত বলে জানা গেছে। তবে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ও বাস কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা নিয়মানুযায়ী ভাড়া আদায় করছে।
বাসযাত্রী ইমতিয়াজ অমিত বলেন, ১৪ তারিখ ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট কিনতে একটি বাস কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি। তখন বিক্রির জন্য টিকিট উন্মুক্ত করার পর দুটি সিট অবিক্রীত দেখতে পাই। তখন ওই একটি সিট কিনতে চেষ্টা করেও পারিনি। পরে স্বাভাবিক সময়ের সাড়ে ৫শ টাকার বাসের টিকিট দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে ১২০০ টাকায়।
লঞ্চ যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চের কাউন্টারে ঘুরেও কেবিনের একটি টিকিট কিনতে পারিনি। পরে লঞ্চঘাটে থাকা একজন দালালের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে কেবিনের টিকিট কিনতে হয়েছে। আর যাত্রী হয়রানিও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি তার।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। দালালদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। তাছাড়া আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেব।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপ-পরিচালক সেলিম রেজা জানান, দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। যাত্রী হয়রানিসহ যেকোনো অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ও বাসটার্মিনালে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধসহ শতভাগ যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সদস্যরাও রয়েছেন। স্থায়ীভাবে এ সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কর্মকর্তাসহ জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা কামনা করেন তিনি।
ঈদের ছুটি শেষে লঞ্চ ও বাসে যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় কাউন্টারে মিলছে না টিকিট। অধিকাংশ বাস কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকেও টিকিট কিনতে ব্যর্থ হচ্ছে যাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে দেড় থেকে দুই গুণেরও বেশি টাকায় দালালদের কাছ টিকিট কিনতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তবে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টার্মিনালগুলোতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (১২ জুন) বরিশাল নৌবন্দর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে সরেজমিনে দেখা গেছে। তথ্য মতে, যাত্রী সামাল দিতে প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ভায়া ও সরাসরি মিলিয়ে অর্ধ ডজন বিলাসবহুল নৌযান যাত্রী পরিবহণ করছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এ রুটের লঞ্চে এক হাজার টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১২শ ও ২ হাজার টাকার ডাবল কেবিন হয়েছে ২৪০০ টাকায় বিক্রি করলেও তা পাচ্ছে না সাধারণ যাত্রীরা। কারণ এসব টিকিট আগেই দখলে নিয়েছে কালোবাজারিরা।
ফলে কাউন্টার বা নৌবন্দরে গিয়েও মিলছে টিকিট। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীদের দেড় বা দুইগুণ বেশি দামে সেই টিকিট কিনতে হচ্ছে নৌবন্দরে থাকা দালাল চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে। লেদু, ইমাম, বসির, খোকনসহ ডজনখানেক ব্যক্তি টিকিট কালোবাজারি করে থাকেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এছাড়া এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রী হয়রানির অভিযোগে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোস্টগার্ড।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল সড়ক পথে অধিকাংশ বাসের অগ্রিম সকল টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়েছে। কাউন্টারেও মিলছে না টিকিট।
পরে সাড়ে ৫শ টাকার টিকিট এক হাজার থেকে ১২শ টাকায় দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে যাত্রীদের। ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদে কাশেম ও মান্নানের নামে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ রয়েছে।
চালাল চক্রের সদস্যরা অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় বিভিন্ন কৌশলে তা দখলে নিয়ে নেয়। এর সঙ্গে লঞ্চ ও বাসের কাউন্টারের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীরাও জড়িত বলে জানা গেছে। তবে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ও বাস কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা নিয়মানুযায়ী ভাড়া আদায় করছে।
বাসযাত্রী ইমতিয়াজ অমিত বলেন, ১৪ তারিখ ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট কিনতে একটি বাস কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি। তখন বিক্রির জন্য টিকিট উন্মুক্ত করার পর দুটি সিট অবিক্রীত দেখতে পাই। তখন ওই একটি সিট কিনতে চেষ্টা করেও পারিনি। পরে স্বাভাবিক সময়ের সাড়ে ৫শ টাকার বাসের টিকিট দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে ১২০০ টাকায়।
লঞ্চ যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চের কাউন্টারে ঘুরেও কেবিনের একটি টিকিট কিনতে পারিনি। পরে লঞ্চঘাটে থাকা একজন দালালের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে কেবিনের টিকিট কিনতে হয়েছে। আর যাত্রী হয়রানিও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি তার।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। দালালদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। তাছাড়া আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেব।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপ-পরিচালক সেলিম রেজা জানান, দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। যাত্রী হয়রানিসহ যেকোনো অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ও বাসটার্মিনালে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধসহ শতভাগ যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সদস্যরাও রয়েছেন। স্থায়ীভাবে এ সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কর্মকর্তাসহ জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা কামনা করেন তিনি।
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:২০
একের পর এক দুর্ঘটনায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এখন আতঙ্কের সড়কে পরিণত হয়েছে। ঈদুল আজহার দিন ৭ জুন থেকে শুরু করে শুক্রবার (১৩ জুন) পর্যন্ত এই ছয় দিনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী হাইওয়ে অংশে সাতটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহতসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ শুক্রবার (১৩ জুন) মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ইল্লা এলাকায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেপরোয়াগতির দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ কমপক্ষে আট যাত্রী আহত হয়েছেন।
বাস দুটি মহাসড়কের ওপর দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ায় দুই ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন ও বরিশালগামী ইতি পরিবহনে বেপরোয়াগতির কারণে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই চালকের অবস্থা গুরুতর।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কের ওপর থেকে বাস দুটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে জেলার উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলো সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় অটোরিকশার ধাক্কায় আলতাফ সরদার (৫৩) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
নিহত আলতাফ গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের মেসের আলী সরদারের ছেলে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একের পর এক দুর্ঘটনায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এখন আতঙ্কের সড়কে পরিণত হয়েছে। ঈদুল আজহার দিন ৭ জুন থেকে শুরু করে শুক্রবার (১৩ জুন) পর্যন্ত এই ছয় দিনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী হাইওয়ে অংশে সাতটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহতসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ শুক্রবার (১৩ জুন) মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ইল্লা এলাকায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেপরোয়াগতির দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ কমপক্ষে আট যাত্রী আহত হয়েছেন।
বাস দুটি মহাসড়কের ওপর দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ায় দুই ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন ও বরিশালগামী ইতি পরিবহনে বেপরোয়াগতির কারণে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই চালকের অবস্থা গুরুতর।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কের ওপর থেকে বাস দুটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে জেলার উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলো সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় অটোরিকশার ধাক্কায় আলতাফ সরদার (৫৩) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
নিহত আলতাফ গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের মেসের আলী সরদারের ছেলে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৩ জুন, ২০২৫ ১০:৫১
বরিশাল জেলার উজিরপুরে অটো রিক্সার ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর ১২.৩০ টায় উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলোর সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হলেন, জেলার গৌরনদী উপজেলার সাঁকোকাঠি গ্রামের মেসের সরদারের পুত্র আলতাফ সরদার (৫৩)। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলোর সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় এক পথচারী রাস্তা পার হওয়ার সময় অটো রিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর জখম হয়। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের শ্যালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম শিপন। অটো রিক্সার ধাক্কায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরিশাল জেলার উজিরপুরে অটো রিক্সার ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর ১২.৩০ টায় উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলোর সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হলেন, জেলার গৌরনদী উপজেলার সাঁকোকাঠি গ্রামের মেসের সরদারের পুত্র আলতাফ সরদার (৫৩)। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলোর সড়কের ব্রাক কার্যালয়ের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় এক পথচারী রাস্তা পার হওয়ার সময় অটো রিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর জখম হয়। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের শ্যালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম শিপন। অটো রিক্সার ধাক্কায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৩ জুন, ২০২৫ ০৭:১৯
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ হাফেজ মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামে পাকা বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের এ শহীদ পরিবারের জন্য বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ও অর্থায়নে চার কক্ষ বিশিষ্ট ছাদসহ পাকা এ বসত বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে শহীদ হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিনের মা মেহেরুন্নেসা বেগম পাকা এ বসতঘর (বিল্ডিং) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহদাত, সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাওসার হোসাইন, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ক্বারী আনোয়ার হোসেন, চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চাখারী, জামায়াত নেতা ইসহাক খান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও শহীদ হাফেজ জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমী আক্তার, শিশু পুত্র সাইফ ও মেয়ে জান্নাতসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ জসিমউদ্দিন ছিলেন জুলাই আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান।
তার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারকে সহায়তা করতে এ মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকেও সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। ওই দিন রাতেই বরিশালের বানারীপাড়ার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে তার এক সময়ের বিদ্যাপীঠ পূর্ব সলিয়াবাকপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া কওমি কেরাতিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদের ছেলে। জানা গেছে,গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এমএসএ ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন।
ঘটনার দিন ৭ নম্বর সেক্টরে ফরহাদ অটো পার্টসের দোকানে যান মাইক্রোবাসের পার্টস কিনতে। সেখান থেকে নিজ ওয়ার্কশপে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ছিলেন জসিম উদ্দিন। সেই মাসহ স্বজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ হাফেজ মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামে পাকা বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের এ শহীদ পরিবারের জন্য বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ও অর্থায়নে চার কক্ষ বিশিষ্ট ছাদসহ পাকা এ বসত বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে শহীদ হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিনের মা মেহেরুন্নেসা বেগম পাকা এ বসতঘর (বিল্ডিং) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহদাত, সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাওসার হোসাইন, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ক্বারী আনোয়ার হোসেন, চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চাখারী, জামায়াত নেতা ইসহাক খান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও শহীদ হাফেজ জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমী আক্তার, শিশু পুত্র সাইফ ও মেয়ে জান্নাতসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ জসিমউদ্দিন ছিলেন জুলাই আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান।
তার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারকে সহায়তা করতে এ মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকেও সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। ওই দিন রাতেই বরিশালের বানারীপাড়ার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে তার এক সময়ের বিদ্যাপীঠ পূর্ব সলিয়াবাকপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া কওমি কেরাতিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদের ছেলে। জানা গেছে,গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এমএসএ ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন।
ঘটনার দিন ৭ নম্বর সেক্টরে ফরহাদ অটো পার্টসের দোকানে যান মাইক্রোবাসের পার্টস কিনতে। সেখান থেকে নিজ ওয়ার্কশপে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ছিলেন জসিম উদ্দিন। সেই মাসহ স্বজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হন তিনি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.