
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৫
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই বাহিনীর ৫ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের জাগলার চর গ্রামে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে আলাউদ্দিন (৪০) নামে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি সুখচর ইউনিয়নের চর আমান উল্যাহ গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় ‘আলাউদ্দিন বাহিনী’র প্রধান। স্থানীয়দের দাবি, নিহত অপর চারজনের মধ্যে ‘কোপা সামছু বাহিনী’র প্রধান সামছুও রয়েছেন। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বাকি চারজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয়দের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, জাগলার চরের জমি এখনো সরকারিভাবে কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ‘কোপা সামছু বাহিনী’ ওই চরের জমি অবৈধভাবে বিক্রি শুরু করে। এর বিপরীতে সুখচরের ‘আলাউদ্দিন বাহিনী’ ওই জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দুই পক্ষই চরের জমি বিক্রির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
তাদের অভিযোগ, দখলদার আলাউদ্দিনের সঙ্গে সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম মেম্বার ও বিএনপি নেতা নবীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাদের মদদেই আলাউদ্দিন বাহিনী সামছু বাহিনীকে হটিয়ে চরের দখল নিতে সংঘর্ষে জড়ায়।
তারা আরো জানান, চরের দখল নিতে মঙ্গলবার সকালে কোপা সামছু, আলাউদ্দিন এবং ফরিদ কমান্ডারের বাহিনী ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হলে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। গুরুতর আহত আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাছান উদ্দিন জানান, চর নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বে তিন বাহিনী—ফরিদ কমান্ডার, শামসু বাহিনী এবং আলাউদ্দিন বাহিনী— মুখোমুখি হয়ে গোলাগুলিতে জড়ায়। এতে সামসু বাহিনীর প্রধান ও আলাউদ্দিন বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। তবে ফরিদ ডাকাত তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চর এলাকায় উশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাহিনীগুলো এখানে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন সেলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, ‘নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে একটি মরদেহ রাখা আছে। চারটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চলের কারণে পুলিশ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।’
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই বাহিনীর ৫ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের জাগলার চর গ্রামে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে আলাউদ্দিন (৪০) নামে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি সুখচর ইউনিয়নের চর আমান উল্যাহ গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় ‘আলাউদ্দিন বাহিনী’র প্রধান। স্থানীয়দের দাবি, নিহত অপর চারজনের মধ্যে ‘কোপা সামছু বাহিনী’র প্রধান সামছুও রয়েছেন। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বাকি চারজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয়দের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, জাগলার চরের জমি এখনো সরকারিভাবে কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ‘কোপা সামছু বাহিনী’ ওই চরের জমি অবৈধভাবে বিক্রি শুরু করে। এর বিপরীতে সুখচরের ‘আলাউদ্দিন বাহিনী’ ওই জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দুই পক্ষই চরের জমি বিক্রির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
তাদের অভিযোগ, দখলদার আলাউদ্দিনের সঙ্গে সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম মেম্বার ও বিএনপি নেতা নবীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাদের মদদেই আলাউদ্দিন বাহিনী সামছু বাহিনীকে হটিয়ে চরের দখল নিতে সংঘর্ষে জড়ায়।
তারা আরো জানান, চরের দখল নিতে মঙ্গলবার সকালে কোপা সামছু, আলাউদ্দিন এবং ফরিদ কমান্ডারের বাহিনী ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হলে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। গুরুতর আহত আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাছান উদ্দিন জানান, চর নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বে তিন বাহিনী—ফরিদ কমান্ডার, শামসু বাহিনী এবং আলাউদ্দিন বাহিনী— মুখোমুখি হয়ে গোলাগুলিতে জড়ায়। এতে সামসু বাহিনীর প্রধান ও আলাউদ্দিন বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। তবে ফরিদ ডাকাত তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চর এলাকায় উশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাহিনীগুলো এখানে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন সেলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, ‘নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে একটি মরদেহ রাখা আছে। চারটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চলের কারণে পুলিশ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।’
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৩
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪১
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৮

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১২
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪১
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.