
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:১৭
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ফেনীর আজিজুর রহমান রিজভীকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ওই ঘটনায় তার আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
একই সাথে তাকে কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না; আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তার যথাযথ ব্যাখ্যা শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত রিজভী ফেনীর পৌর এলাকার ইমাম বাক্স হাজী বাড়ির সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ফেনীর আজিজুর রহমান রিজভীকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ওই ঘটনায় তার আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
একই সাথে তাকে কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না; আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তার যথাযথ ব্যাখ্যা শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত রিজভী ফেনীর পৌর এলাকার ইমাম বাক্স হাজী বাড়ির সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২২
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় ইউপি সদস্যসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম।
এর আগে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চরচাঁদড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মোল্যা (৬৭), গোপালপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি চর চান্দরা গ্রামের বাসিন্দা কাজী রুবেল (৩৫) এবং টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন মোল্যা (৩৫)।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার বাসিন্দা নিনমজুর ইদ্রিস সর্দারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সর্দার। মামলাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের আসামি করা হয়। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ওই তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় ইউপি সদস্যসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম।
এর আগে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চরচাঁদড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মোল্যা (৬৭), গোপালপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি চর চান্দরা গ্রামের বাসিন্দা কাজী রুবেল (৩৫) এবং টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন মোল্যা (৩৫)।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার বাসিন্দা নিনমজুর ইদ্রিস সর্দারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সর্দার। মামলাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের আসামি করা হয়। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ওই তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৪
বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ)। তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর যমজ ভাই।
আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির সদস্যপদ নেন স্নিগ্ধ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করে দলের নতুন সদস্য হয়েছেন। এ সময় স্নিগ্ধের বাবা মোস্তাফিজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। সে সময় ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল স্নিগ্ধকে। পরে তিনি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন। গত ৮ মে তিনি এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের উপ- প্রধান জাতীয় কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।
বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ)। তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর যমজ ভাই।
আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির সদস্যপদ নেন স্নিগ্ধ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করে দলের নতুন সদস্য হয়েছেন। এ সময় স্নিগ্ধের বাবা মোস্তাফিজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। সে সময় ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল স্নিগ্ধকে। পরে তিনি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন। গত ৮ মে তিনি এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের উপ- প্রধান জাতীয় কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।

০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫
দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দীঘিতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গোবিন্দাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের দীঘিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়।
গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন এলাকায় হাবিবুর রহমানের ওই দীঘি। ৩৫ বিঘা আয়তনের ওই দীঘিতে বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি হাবিবুর রহমানের।
তার অভিযোগ, ডিএম জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা দীঘিতে বিষ দিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিএম জিয়াউর রহমান বলেছেন, নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন হাবিবুর। তাও দীঘির একটি মাছও মরেনি। মাছ মারা গেলে তিনি ক্ষতিপূরণ দেবেন।
সোমবার বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমানকে এ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেনও। হাবিবুর রহমান অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী।
চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আমি বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী। রাজনৈতিক কারণে আমার দীঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতেই বিষ প্রয়োগ করা হয়। সকালে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকলে পাহারাদার বিষয়টি লক্ষ্য করে আমাকে জানান।
তিনি দাবি করেন, দীঘির আয়তন ৩৫ বিঘা। তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।
হাবিবুর বলেন, আমার দীঘির পাশেই বিল। বিলের মাছচাষি খুরশেদ, রফিক, সাইফুল, সাইদুরসহ কয়েকজনকে জিয়ার সমর্থক আয়নাল, রেজাউল, শহিদুল মেম্বার ও আব্দুল হুমকি দিয়ে বলেছে- ‘আমাদের সঙ্গে থাকলে না, এখন যেন পুকুর থেকে মাছ মারা না হয়।’ এরপর রাতেই আমার দীঘিতে বিষ দেওয়া হয়েছে। বিলে তো আমার দীঘি না। আমার ক্ষতিটা করল কেন? এ বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। দেখি, পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়।’
জানতে চাইলে ডিএম জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ শুনে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। দীঘির মাছ মরেনি। হাবিবুর নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন। এমন বিষ যে ছোট মাছ মারা যাবে, বড় মাছ মরবে না- সে রকম ছোট ছোট কিছু মাছ মরেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাছ যদি মারা যায় আমি নিজে তাকে ক্ষতিপূরণ দেব।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, হাবিবুর রহমান মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ হলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দীঘিতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গোবিন্দাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের দীঘিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়।
গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন এলাকায় হাবিবুর রহমানের ওই দীঘি। ৩৫ বিঘা আয়তনের ওই দীঘিতে বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি হাবিবুর রহমানের।
তার অভিযোগ, ডিএম জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা দীঘিতে বিষ দিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিএম জিয়াউর রহমান বলেছেন, নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন হাবিবুর। তাও দীঘির একটি মাছও মরেনি। মাছ মারা গেলে তিনি ক্ষতিপূরণ দেবেন।
সোমবার বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমানকে এ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেনও। হাবিবুর রহমান অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী।
চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আমি বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী। রাজনৈতিক কারণে আমার দীঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতেই বিষ প্রয়োগ করা হয়। সকালে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকলে পাহারাদার বিষয়টি লক্ষ্য করে আমাকে জানান।
তিনি দাবি করেন, দীঘির আয়তন ৩৫ বিঘা। তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।
হাবিবুর বলেন, আমার দীঘির পাশেই বিল। বিলের মাছচাষি খুরশেদ, রফিক, সাইফুল, সাইদুরসহ কয়েকজনকে জিয়ার সমর্থক আয়নাল, রেজাউল, শহিদুল মেম্বার ও আব্দুল হুমকি দিয়ে বলেছে- ‘আমাদের সঙ্গে থাকলে না, এখন যেন পুকুর থেকে মাছ মারা না হয়।’ এরপর রাতেই আমার দীঘিতে বিষ দেওয়া হয়েছে। বিলে তো আমার দীঘি না। আমার ক্ষতিটা করল কেন? এ বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। দেখি, পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়।’
জানতে চাইলে ডিএম জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ শুনে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। দীঘির মাছ মরেনি। হাবিবুর নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন। এমন বিষ যে ছোট মাছ মারা যাবে, বড় মাছ মরবে না- সে রকম ছোট ছোট কিছু মাছ মরেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাছ যদি মারা যায় আমি নিজে তাকে ক্ষতিপূরণ দেব।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, হাবিবুর রহমান মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ হলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.