১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৫০
ঢাকায় মোটরসাইকেল মেরামত করে বাড়ি ফেরার পথে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নিহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দুই ছাত্রদল নেতা। এ মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রোমানের নিজ বাড়িতে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- শিবচর উপজেলার মৃধাকান্দি গ্রামের তোতা মৃধার ছেলে আহমেদ রোমান (৩২) ও পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে মুজিবুল হক দুর্জয় (৩২)। রোমান শিবচর পৌরসভা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দুর্জয় পাঁচ্চর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তারা দুইজন বন্ধু।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে মোটরসাইকেল মেরামত করার উদ্দেশ্য ঢাকা যান রোমান ও দূর্জয়। পরে মেরামত শেষে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ি শিবচর ফিরছিলেন তারা।
পথিমধ্যে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় এলে পেছন থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। পরে অপরজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনিও মারা যান। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে রাতেই পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। নিহতদের লাশ বাড়িতে পৌঁছালে শোকের মাতম শুরু হয়।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ খান তুরাগ বলেন, নিহত দুইজনই আমার বন্ধু। আহমেদ রোমান শিবচর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দুর্জয় পাঁচ্চর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিল।
রোমানের জানাজা আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার নিজ বাড়ি নলগোড়ার মৃধাকান্দিতে সম্পন্ন হয়েছে এবং মুজিবুল হক দূর্জয়ের জানাজা বাদ জোহর বাহাদুরপুর পীর মঞ্জিলের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় মোটরসাইকেল মেরামত করে বাড়ি ফেরার পথে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নিহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দুই ছাত্রদল নেতা। এ মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রোমানের নিজ বাড়িতে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- শিবচর উপজেলার মৃধাকান্দি গ্রামের তোতা মৃধার ছেলে আহমেদ রোমান (৩২) ও পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে মুজিবুল হক দুর্জয় (৩২)। রোমান শিবচর পৌরসভা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দুর্জয় পাঁচ্চর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তারা দুইজন বন্ধু।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে মোটরসাইকেল মেরামত করার উদ্দেশ্য ঢাকা যান রোমান ও দূর্জয়। পরে মেরামত শেষে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ি শিবচর ফিরছিলেন তারা।
পথিমধ্যে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় এলে পেছন থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। পরে অপরজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনিও মারা যান। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে রাতেই পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। নিহতদের লাশ বাড়িতে পৌঁছালে শোকের মাতম শুরু হয়।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ খান তুরাগ বলেন, নিহত দুইজনই আমার বন্ধু। আহমেদ রোমান শিবচর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দুর্জয় পাঁচ্চর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিল।
রোমানের জানাজা আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার নিজ বাড়ি নলগোড়ার মৃধাকান্দিতে সম্পন্ন হয়েছে এবং মুজিবুল হক দূর্জয়ের জানাজা বাদ জোহর বাহাদুরপুর পীর মঞ্জিলের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৪৮
রাজধানী ঢাকার মিরপুরে একটি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টসের ২য় এবং ৩য় তলা থেকে ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আরও সময় লাগবে। ভেতরে ৬/৭ ধরনের কেমিক্যাল ছিল। আগুন ধরার সাথে সাথেই সেগুলো দ্রুত ছড়িয়েছে, তাই গার্মেন্টস অংশে থাকা কর্মীরা বাইরে বের হতে পারেনি এবং ছাদেও উঠতে পারেনি। তাই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে পোশাক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই পাশে থাকা রাসায়নিকের গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে সহায়তায় যোগ দেন আশপাশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
রাজধানী ঢাকার মিরপুরে একটি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টসের ২য় এবং ৩য় তলা থেকে ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আরও সময় লাগবে। ভেতরে ৬/৭ ধরনের কেমিক্যাল ছিল। আগুন ধরার সাথে সাথেই সেগুলো দ্রুত ছড়িয়েছে, তাই গার্মেন্টস অংশে থাকা কর্মীরা বাইরে বের হতে পারেনি এবং ছাদেও উঠতে পারেনি। তাই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে পোশাক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই পাশে থাকা রাসায়নিকের গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে সহায়তায় যোগ দেন আশপাশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪২
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে ওই নেতাকে।
রবিবার এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। অব্যাহতির আদেশে বলা হয়েছে, ‘আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশ মোতাবেক আপনাকে দলের সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে এতদ্বারা সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এ অব্যাহতি আদেশ আজ হতে কার্যকর হবে।’
‘একইসঙ্গে আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নিকট আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রদান করার জন্য এতদ্বারা অনুরোধ করা হলো।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে ওই নেতাকে।
রবিবার এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। অব্যাহতির আদেশে বলা হয়েছে, ‘আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশ মোতাবেক আপনাকে দলের সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে এতদ্বারা সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এ অব্যাহতি আদেশ আজ হতে কার্যকর হবে।’
‘একইসঙ্গে আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নিকট আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রদান করার জন্য এতদ্বারা অনুরোধ করা হলো।’
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৬
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন। এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট আজ দেশের সাধারণ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের ছাত্র-জনতা, শিক্ষক-চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নিজেদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ খবর আসছে, তারা ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য গাড়ি কেনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। অথচ যখন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয় তখন তাদের উত্তর থাকে, ‘সরকারের হাতে টাকা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু তারা এখন দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করে, তাদের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থান পরিলক্ষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন ভেবেছিলাম, দেশে একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠিত হবে।
কিন্তু সেই আশাও বিফলে গেছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পিতভাবে যেভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, তা ঠেকাতে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ জাতিকে শুধু একটি নির্বাচনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, অথচ শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও দাবি পূরণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গুলি করে গণহত্যা চালানো আর শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা দুটোই সমান অপরাধ।’
শিক্ষকদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলার কথা তুলে ধরে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষকদের অবমূল্যায়নই হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সব ক্ষেত্রেই অবহেলা করা হয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এই ন্যূনতম দাবিগুলোর জন্যও শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা এই সরকারের দেউলিয়াত্বকেই প্রমাণ করে।’
শিক্ষা উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপদেষ্টা যেহেতু নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তিনি অন্তত শিক্ষকদের দুরবস্থার জায়গাটি বুঝবেন। কিন্তু মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর তার ভূমিকা দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না, সময় দেন না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের উপদেষ্টারা যদি সবসময় মানুষের জন্য অ্যাভেইলেবল না থাকেন, তাহলে তাদের সেই জায়গায় থাকার নৈতিকতা কী?’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জাতীয়করণ দূরে থাক, শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বা চিকিৎসা ভাতা পর্যন্ত বাড়ানো যাচ্ছে না! আর এসব দাবি জানাতে আসায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এনসিপি শিক্ষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা আপনাদের ন্যায্য দাবিতে অবিচল থাকুন। সরকারকে এ দাবি মানতেই হবে।’
শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে সামান্তা শারমিন ছাড়াও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সচিবালয়ে যায় এবং সেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় শিক্ষক নেতারা জানান, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি।
বৈঠক শেষে দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিরে এসে শিক্ষকরা দুটি ঘোষণা দেন। এক) তারা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ছাড়বেন না। দুই) মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করবেন।
ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষকরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন ও অধ্যক্ষ আজিজীর নেতৃত্বে একটি পক্ষ শহীদ মিনারের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওনা হয়। অন্যদিকে, আরেক পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনেই থেকে যায় এবং সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচির ঘোষণা দাবি করেন। তারা শহীদ মিনারে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ অ্যাকশনে নামে। প্রথমে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক রাস্তায় পড়ে যান এবং আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন। এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট আজ দেশের সাধারণ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের ছাত্র-জনতা, শিক্ষক-চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নিজেদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ খবর আসছে, তারা ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য গাড়ি কেনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। অথচ যখন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয় তখন তাদের উত্তর থাকে, ‘সরকারের হাতে টাকা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু তারা এখন দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করে, তাদের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থান পরিলক্ষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন ভেবেছিলাম, দেশে একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠিত হবে।
কিন্তু সেই আশাও বিফলে গেছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পিতভাবে যেভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, তা ঠেকাতে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ জাতিকে শুধু একটি নির্বাচনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, অথচ শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও দাবি পূরণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গুলি করে গণহত্যা চালানো আর শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা দুটোই সমান অপরাধ।’
শিক্ষকদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলার কথা তুলে ধরে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষকদের অবমূল্যায়নই হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সব ক্ষেত্রেই অবহেলা করা হয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এই ন্যূনতম দাবিগুলোর জন্যও শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা এই সরকারের দেউলিয়াত্বকেই প্রমাণ করে।’
শিক্ষা উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপদেষ্টা যেহেতু নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তিনি অন্তত শিক্ষকদের দুরবস্থার জায়গাটি বুঝবেন। কিন্তু মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর তার ভূমিকা দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না, সময় দেন না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের উপদেষ্টারা যদি সবসময় মানুষের জন্য অ্যাভেইলেবল না থাকেন, তাহলে তাদের সেই জায়গায় থাকার নৈতিকতা কী?’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জাতীয়করণ দূরে থাক, শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বা চিকিৎসা ভাতা পর্যন্ত বাড়ানো যাচ্ছে না! আর এসব দাবি জানাতে আসায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এনসিপি শিক্ষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা আপনাদের ন্যায্য দাবিতে অবিচল থাকুন। সরকারকে এ দাবি মানতেই হবে।’
শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে সামান্তা শারমিন ছাড়াও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সচিবালয়ে যায় এবং সেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় শিক্ষক নেতারা জানান, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি।
বৈঠক শেষে দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিরে এসে শিক্ষকরা দুটি ঘোষণা দেন। এক) তারা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ছাড়বেন না। দুই) মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করবেন।
ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষকরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন ও অধ্যক্ষ আজিজীর নেতৃত্বে একটি পক্ষ শহীদ মিনারের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওনা হয়। অন্যদিকে, আরেক পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনেই থেকে যায় এবং সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচির ঘোষণা দাবি করেন। তারা শহীদ মিনারে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ অ্যাকশনে নামে। প্রথমে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক রাস্তায় পড়ে যান এবং আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:০৫
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৯
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৪৮
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:০২