dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

বরিশালের ৬টি আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছড়াছড়ি!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালের ৬টি আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছড়াছড়ি!

ধানের শীষ প্রতিক বাগাতে হাইকমান্ডে লবিং-তদ্বির। বিভাজিত নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে অন্তর্কোন্দল।

ত্রয়োদশ নির্বাচনের চূড়ন্ত দিনক্ষণ এখন পর্যন্ত নির্ধারন না হলেও এই ভোটযুদ্ধে বিএনপির ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে অংশ নিতে বরিশাল জেলার ৬টি আসনে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি জোরালো প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ দলীয় পদপদবি বিহীন অনেকে দলটির মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে রয়েছেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সরকার নির্বাচন করার সম্ভব্য সময় ঘোষণা দেওয়ার পরে পর্যায়ক্রমে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যা ক্রমাগত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বিএনপির হাইকমান্ডে বিভিন্ন মাধ্যমে নানা লবিং ও তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন বাগানোর এই প্রতিযোগিতায় যে যার মত অংশ নিতে যাওয়ায় বিভাজিত বরিশাল বিএনপিতে বেড়েছে অন্তর্কোন্দল, যা নিয়ে রীতিমত বিব্রত লন্ডনে অবস্থানরত নেতা তারেক রহমানসহ দলের হাইকমান্ড।

স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বরিশালের ৬টি আসনের প্রতিটিতে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন প্রত্যাশী, যারা ত্রয়োদশ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবং তারা গত ৫ আগস্টের পর থেকে প্রার্থিতার বিষয়টি কেন্দ্রকে জানান দিয়ে মাঠে থেকে জনসমর্থন আদায়ে সংসদীয় আসনগুলো চষে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি বিএনপির হাইকমান্ডে চলছে জোর লবিং।

জানা গেছে, ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-১ (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চাইছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহান এবং বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে সংসদীয় আসনের জনগণের মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজেদের মেলে ধরতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। এবং তাদের প্রার্থিতার বিষয়টি ইতিমধ্যে বিএনপির হাইকমান্ডও অবগত আছেন।

অনুরুপভাবে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, মোহাম্মদ দুলাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশক সহ-সম্পাদক কাজী রওনুকুল ইসলাম টিপু এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদ মাহামুদ জুয়েল। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে প্রার্থী হতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদীন। বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান।

বরিশাল-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষ প্রতিক চাইছেন তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ এবং এবায়েদুল হক চাঁন। এছাড়াও প্রার্থীর তালিকায় আছেন সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন এবং মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন। বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারও প্রার্থিতার কথা জানান দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন এবং আগামীতে সিটি নির্বাচন করার কথা ভাবছেন।

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হতে চান বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজন এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর শিকদার বাদল।

বরিশালের প্রতিটি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এই ছড়াছড়িতে স্থানীয় বিএনপিতে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে গ্রুপিং এবং অভন্তরীণ বিরোধ। এই বিরোধ বর্তমানে এতটাই প্রকট যে শীর্ষস্থানীয় নেতারা একে অপরের মুখ দেখাদেখিতো দুরের কথা, কখনও কখনও বাকযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়ছেন। সূত্র নিশ্চিত করে, মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের একে অপরের সাথে বিরোধে না জড়াতে অনেক আগে থেকেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই নির্দেশনা দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানায়, বরিশালের ৬ টি আসনে যে অর্ধশত মনোনয়ন প্রত্যাশী তা খোদ তারেক রহমানও অবগত রয়েছেন। তার নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি আসনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে বৈঠক করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম। নিশ্চিত হওয়া গেছে, বৈঠকের পরেই বরিশাল-১, ৩ এবং ৪ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জহির উদ্দিন স্বপন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন এবং রাজিব আহসানকে গ্রিন সিগনাল দিয়ে মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এই তিনটি আসনের বাকি মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এ খবর স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে মনোনয়প্রত্যাশীদের কর্মী-অনুসারীরা তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে হাইকমান্ড বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মর্যাদাপূর্ণ বরিশাল-৫ সদরসহ বাকি তিনটি আসনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের কর্মী-অনুগতদের মধ্যে নানান আলোচনা শোনা যায়। এই তিনটি আসনে অন্তত ৩০ জনের বেশি ব্যক্তি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী রয়েছেন। বরিশালের ৬টি আসনে ৫০ জনের বেশি সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে তারেক রহমানসহ বিএনপির হাইকমান্ড চিন্তিত।

এই তথ্য নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় সূত্র জানিয়েছে, বরিশালের ৬ সংসদীয় আসনে অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি বিএনপির শীর্ষনেতৃত্ব পর্যবেক্ষক করছেন। এবং অনেককে ডেকে নিয়ে তাদের মতামতও গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে প্রতিটি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছড়াছড়িতে মোটেও বিচলিত নয় বিএনপি হাইকমান্ড। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপি বড় একটি রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে এ দল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রার্থীও বেশি। তবে দল থেকে প্রতিটি আসনের একক প্রার্থী ঘোষণার পর এখন যে গ্রুপিং দেখছেন তা দেখা যাবে না। আমার ধারণা, কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনেই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

তবে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলের ক্ষতি করবে না মন্তব্য করে এই নারী নেত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দেশের স্বার্থে প্রয়োজন সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন। ওই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে সাধারণ ভোটাররা। তারাও দীর্ঘদিন তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারেননি। আমরা আশা করছি, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ ভোটাররা তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।’

আরও পড়ুন:

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। 

এদিকে  শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির  অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে  সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর  অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে  অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান  তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস  পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।

অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক  পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য, অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য,  অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও  পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।

সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।

সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক। 

হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে।  যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। 

বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’

গৌরনদীতে ২ ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:২০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গৌরনদীতে ২ ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ

ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে আটক করেছে জনতা। খবর পেয়ে আটকদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মেদাকুল বাজারে।

আটকরা হলেন- মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চর কামারকান্দি গ্রামের চান মিয়া ভূইয়ার ছেলে আবু জাফর ও মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজির হাওলা গ্রামের বাসিন্দা সামাদ খান।

ছিনতাইয়ের শিকার ব্যাংক গ্রাহক জাহানারা বেগম বলেন, বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে মেদাকুল বাজারের সোনালী ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা উত্তোলন করে এক লাখ টাকা আমার স্বামীর হাতে দিয়ে আরেক লাখ টাকা গণনা করছিলাম। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি আমার হাত থেকে টাকা ছিনতাই করে দৌঁড়ে পালায়। আমি চিৎকার দিয়ে ওই ছিনতাইকারীর পিছু নেই। এ সময় আমার ডাক চিৎকারে ব্যাংকের নিরাপত্তা রক্ষী ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। পরবর্তীতে ওই ছিনতাইকারীর সহযোগীকেও আটক করা হয়।

বাজারের ব্যবসায়ী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানান, ব্যাংকের নারী গ্রাহকের টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয় জনতা। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আটকদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.