১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০৪
পর্যটননগরী কুয়াকাটায় ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ছুটির দিনে এই গাড়ির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, ফলে কুয়াকাটার প্রধান সড়কগুলোতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। স্থানীয় চালকদের অভিযোগ, বাইরের গাড়িগুলো ঢোকার কারণেই অতিরিক্ত যানযট সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন চৌরাস্তায় দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের অতিরিক্ত যাতায়াতের কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আগত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা চান স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও আগত পর্যটকরা।
এদিকে কুয়াকাটায় আগত একাধিক পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, সৈকতের পথে কিছুতেই সময়মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না, কারণ সর্বত্র ব্যাটারিচালিত গাড়ির ভিড়। একটি পর্যটন নগরী এলাকায় এত পরিমাণ গাড়ি যা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। তীব্র যানযট মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন অনেক পর্যটক।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, শুক্র ও শনিবার কিংবা দীর্ঘ ছুটির দিনে এসব যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ সৈকতের আশপাশের এলাকায় তৈরি হয় তীব্র যানজট।
এতে করে যেমন দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা, তেমনি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারলে পর্যটকরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবে না।
স্থানীয় ইজিবাইকচালক সমিতির সভাপতি রহমান বিশ্বাস বলেন, কুয়াকাটায় মোট ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যানের সংখ্যা ৯০০-এর মতো। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যাটা দিগুণ হয়ে যায়। নিয়ম না মেনেই অনেক চালক রাস্তায় যান, আবার অনেকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালান।
এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। তবে কুয়াকাটার স্থানীয় যেসব চালক রয়েছেন তারা বছরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। যেমন, পর্যটকদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হবে এবং গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা।
এসব বিষয়গুলো আমরা মাথায় রেখেই কুয়াকাটার চালকরা গাড়ি চালিয়ে থাকি। তবে কুয়াকাটার বাইরে থেকে যেসব গাড়ি আসে তারা কোনো নিয়ম তো মানেই না এবং অতিরিক্ত গাড়ি ঢোকার কারণে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। বাইরের গাড়িগুলো বন্ধ করতে পারলে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ বলেন, পর্যটক আসুক আমরা চাই, কিন্তু এত যানজট হলে ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে হাঁটতেই পারছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। এগুলো থেকে আমরা কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিস্তার চাই।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় নির্দিষ্ট কোনো ট্রাফিক পুলিশের টিম নেই। তবে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ থেকে কিছু দিন পর পর একটি টিম পাঠানো হয়, কিন্তু তারা সার্বক্ষণিক এখানে থাকে না।
বর্তমানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে একজন সার্জেন্ট দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কারণে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, কুয়াকাটায় লাগামহীন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুয়াকাটা পৌরসভার লাইসেন্সের আওতায় আনার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছে কিন্তু তারা আসছে না।
তবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ৩৮টি গাড়ি নিবন্ধন করা সম্ভব হয়েছে। এই বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।
পর্যটননগরী কুয়াকাটায় ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ছুটির দিনে এই গাড়ির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, ফলে কুয়াকাটার প্রধান সড়কগুলোতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। স্থানীয় চালকদের অভিযোগ, বাইরের গাড়িগুলো ঢোকার কারণেই অতিরিক্ত যানযট সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন চৌরাস্তায় দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের অতিরিক্ত যাতায়াতের কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আগত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা চান স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও আগত পর্যটকরা।
এদিকে কুয়াকাটায় আগত একাধিক পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, সৈকতের পথে কিছুতেই সময়মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না, কারণ সর্বত্র ব্যাটারিচালিত গাড়ির ভিড়। একটি পর্যটন নগরী এলাকায় এত পরিমাণ গাড়ি যা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। তীব্র যানযট মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন অনেক পর্যটক।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, শুক্র ও শনিবার কিংবা দীর্ঘ ছুটির দিনে এসব যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ সৈকতের আশপাশের এলাকায় তৈরি হয় তীব্র যানজট।
এতে করে যেমন দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা, তেমনি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারলে পর্যটকরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবে না।
স্থানীয় ইজিবাইকচালক সমিতির সভাপতি রহমান বিশ্বাস বলেন, কুয়াকাটায় মোট ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যানের সংখ্যা ৯০০-এর মতো। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যাটা দিগুণ হয়ে যায়। নিয়ম না মেনেই অনেক চালক রাস্তায় যান, আবার অনেকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালান।
এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। তবে কুয়াকাটার স্থানীয় যেসব চালক রয়েছেন তারা বছরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। যেমন, পর্যটকদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হবে এবং গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা।
এসব বিষয়গুলো আমরা মাথায় রেখেই কুয়াকাটার চালকরা গাড়ি চালিয়ে থাকি। তবে কুয়াকাটার বাইরে থেকে যেসব গাড়ি আসে তারা কোনো নিয়ম তো মানেই না এবং অতিরিক্ত গাড়ি ঢোকার কারণে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। বাইরের গাড়িগুলো বন্ধ করতে পারলে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ বলেন, পর্যটক আসুক আমরা চাই, কিন্তু এত যানজট হলে ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে হাঁটতেই পারছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। এগুলো থেকে আমরা কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিস্তার চাই।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় নির্দিষ্ট কোনো ট্রাফিক পুলিশের টিম নেই। তবে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ থেকে কিছু দিন পর পর একটি টিম পাঠানো হয়, কিন্তু তারা সার্বক্ষণিক এখানে থাকে না।
বর্তমানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে একজন সার্জেন্ট দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কারণে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, কুয়াকাটায় লাগামহীন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুয়াকাটা পৌরসভার লাইসেন্সের আওতায় আনার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছে কিন্তু তারা আসছে না।
তবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ৩৮টি গাড়ি নিবন্ধন করা সম্ভব হয়েছে। এই বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৮
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩১
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.