
২৯ মে, ২০২৫ ১৬:৪৩
এক রাজ্যের এক রাজা, দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। এবার সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে এখন পড়েছেন বিপাকে। অনুসারী সমর্থকরা হচ্ছেন বিব্রত। সেই সাথে তার নির্দেশ মানতে গিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ এখন ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ পরিস্থিতির মুখে ইউটার্ন দিতে চাইছে। সংসদ পঙ্কজ একজন বিধবা নারীকে বেইজ্জতি করায় সেই সংবাদ বরিশালের গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ ও বেসামাল হয়ে পড়েন যে- আত্মরক্ষার কৌশল এবং শায়েস্তা করতে গিয়ে বরিশালের সংবাদকর্মীদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন। দিয়েছেন ২জন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা।
গত ৭ সেপ্টেম্বর অনেকটা গোপনে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় তার ইজ্জত হরণে একটি মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বরিশালের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘বরিশালটাইমস’-এ সংসদ পঙ্কজের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে ইস্যু করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় নিউজপোর্টালটির সম্পাদক শাকিব বিপ্লব ও বার্তা সম্পাদক হাসিবুল ইলসামকে আসামী করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়- মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক ইমেজ ক্ষুণ্নে অপপ্রয়াস চালাতেই দুই মিডিয়াকর্মী কোন এক মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। কিন্তু সেই মহলটি কারা বা পরিচয় কী সেই বিষয়ে পরিস্কার কোন ধারণা দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম এই সাংসদের কাছে কয়েক দফা সহায়তা চেয়ে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ডাকবাংলো সম্মুখে গত ২৭ আগস্ট দুপুরে তার প্রাইভেটকারের সামনে দাড়িয়ে পথ আগলে ধরে প্রতিবাদ জানান। এসময় পঙ্কজ একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য ব্যস্ততার মাঝে এই বিধবা নারীর বিদ্রোহী অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং পরে দেখা করার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে ওই নারী তার গাড়ির ওপর হাত চাপরাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাংসদের অনুসারীরা মরিয়ম বেগমকে টেনে হিচড়ে এক ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেন।
এই অভিযোগ নিয়ে বিধবা ওই নারী ০১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে বরিশাল আদালতে আসেন সাংসদ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে। ঘটনাচক্রে খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে একজন আইনজীবীর চেম্বারে ওই নারী সাক্ষাতকার নেন। এসময় তিনি ডাকবাংলোর সম্মুখে কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা জানিয়ে ক্ষোভ থেকে বরিশালে আইনে আশ্রয় নিতে আসার উদ্দেশের কথা জানান।
সরকার দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে একজন বিধবা নারীর মামলা দায়ের করার প্রস্তুতির খবরে সঙ্গত কারণে মিডিয়াসহ বরিশালের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তার পিছু নেয়। এবং মামলাটি কখন দায়ের হবে তা নিয়ে অপেক্ষার পালা শুরু হয়। অগ্যতা ওই নারী অনেকটা গোপনে তার এজাহার দায়ের করে বাড়ি ফিরে যান। এরপর থেকে তিনি মিডিয়াকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। কিন্তু একটি গোয়েন্দা সংস্থা ওই নারীর সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করে মামলা দায়ের করেছেন কী না সেই বিষয়ে প্রশ্ন রাখলে এড়িয়ে গিয়ে পরদিন এই বিষয়ে জানতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন।
ওই গোয়েন্দা সংস্থার মাঠপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা ডাকবাংলোর ঘটনা নিশ্চিত হয়ে মিডিয়ার কাছেও এই বিষয়ে বেশকিছু তথ্য দেন। এমনকি ঘটনার সময়কালে সেখানে উপস্থিত মেহেন্দিগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার নাসির উদ্দিন অভিন্ন তথ্য স্বীকার করলেও শারীরিক লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান।
ওই নারীর অভিযোগ অনুসারে তাকে লাঞ্ছিতকারী পৌর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমু হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু তা ডাকবাংলো সম্মুখে নয়। সাংসদ একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় আরসি কলেজ সম্মুখে মরিয়ম বেগম তার পথ আগলে ধরলে তাকে সরে যেতে বলা সত্ত্বেও উশৃঙ্খল আচারণ করলে স্থান ত্যাগে বাধ্য করা হয়। এবং ওই নারীকে বিকারগ্রস্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে তার অভিযোগ পাগলে প্রলোভ বলে ওই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দাবি করেন।
অবশ্য সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ এই ধরনের ঘটনা অর্থাৎ ডাকবাংলো কিংবা আরসি কলেজ সম্মুখে ঘটেনি বলে অস্বীকার করেন। সাংসদের এই বক্তব্য এবং তার অনুগত সেই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতার ভাষ্য সাংঘর্ষিক হলে প্রতীয়মাণ হয় সেদিন কিছু একটি ঘটেছে। যা কী না গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত হয়ে মিডিয়ার কাছে তথ্য দিয়েছিল।
ওই নারী ঠিক ওইদিন সোমবার বরিশাল আদালতে ৫ জনকে আসামি এবং পঙ্কজকে হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারে উল্লেখ একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিচারক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। মামলা হয়েছে কী না, এনিয়ে সন্দেহ এবং সত্যতা নিশ্চিতে মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থা পরদিন আর ঘাটাঘাটি না করায় বিষয়টি গোপনীয় ছিল। অর্থাৎ বিধবা ওই সেদিন মামলা দায়ের করেই হয়তো কৌশলগত কারণে তা চেপে গিয়ে সবাইকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। ধারণা, পঙ্কজ নাথ বা তার অনুসারীদের তোপের মুখে পড়তে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই মামলা দায়েরের পদক্ষেপটি চুপিসারে সম্পাদন করে নিরব থাকেন।
এদিকে ওই বিবধা নারীর আর্তি এবং সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পেছনকার নেপথ্যের খবর নিয়ে ‘বরিশালটাইমস’সহ আঞ্চলিক কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়। যার শিরোনাম ছিল ‘সেদিন মেহেন্দিগঞ্জের ডাকবাংলোয় সাংসদের বিধবা নারী কী ঘটেছিল”। সূত্র জানায় এই সংবাদ প্রকাশের পর মেহেন্দিগঞ্জে অবস্থানরত ক্ষুব্ধ পঙ্কজ দেবনাথ তার অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডেকে অন্তত ‘বরিশালটাইমস’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। সেক্ষেত্রে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলুকে এই মামলার বাদী করা হয়।
ওই সূত্রটি জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে প্রকাশিত সংবাদে সেধরনের কোন গ্রাউন্ড না থাকায় স্থানীয় থানা পুলিশ এই অভিযোগ নিতে প্রথমে গড়িমসি করে। সাংসদ পঙ্কজ পরে থানার ওসিকে চাপের মুখে মামলাটি গ্রহণে বাধ্য করেন। সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি ধরায় মামলা দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা পুলিশ সুপারকেও ওসি অবহিত করেননি। ওই সূত্রটি আভাস দেয় যে, মেহেন্দিগঞ্জের পরিস্থিতিগত কারণে থানার ওসি সাংসদ পঙ্কজের আঙ্গুলের ইশারায় চলতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার ওসির সাথে জেলা পুলিশ সুপারের এক ধরনের মানসিক দ্বন্দ্ব থাকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতেই সাংসদের সান্নিধ্যে থাকছেন। যে কারণেই ওই মামলাটি গ্রহণের ক্ষেত্রে জেলার উচ্চপদস্থ কোন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
এমন তথ্য স্বীকার করে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে বরিশালটাইমসসহ অন্যান্য মিডিয়াকর্মীদেরকে জানান, এই মামলাটি দায়েরের ক্ষেত্রে তিনি অবগত নন। একপর্যায়ে তার কাছে প্রকাশিত সংবাদটি উপস্থাপন করলে তিনিও স্বীকার করেন, এ ধরনের খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণে আইনগত কোন নির্দেশনা নেই। সুতরাং প্রমাণিত হয়, জবরদস্তিমূলক থানা পুলিশকে ব্যবহার করে সরকার দলীয় এই সাংসদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
বিস্ময়কর বিষয় হলো, ওই মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রকাশিত যা বলা হয়েছে, তা উল্লেখ না করে তার ইজ্জত হরণে একদল আসামি সংবাদকর্মীদের তার বিরুদ্ধে প্রভাবিত করেছে। আসামি বা মহল বলতে সাংসদ কি বোঝাতে চেয়েছেন সে বিষয়ে থানার ওসি আবিদুর রহমানকে প্রশ্ন রাখা হলে তিনি খেই হারিয়ে ফেলে বারবার ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে টেলিফোন সংযোগ কেটে দেন। একপর্যায়ে তার এক সহকর্মীকে দিয়ে বরিশাল মিডিয়ার দুই সাংবাদিককে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
জেলা পুলিশ সুপার যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে, শুধু সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে নয়, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপরও ছড়ি ঘুরাতে চান। তিনি আশ্বস্ত করেন যে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি তিনি নিজেই তদন্তে তদারকি করবেন এবং কী ভাবে মামলাটি গ্রহণ করা হলো, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ বলছেন, পঙ্কজ দলীয় সাংসদ হলেও জেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই। মূলত তিনি দ্বীপাঞ্চল মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলায় নিজের ক্ষমতা কায়েম করে প্রকৃত কর্মীদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে তার অনুগতদের মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতৃত্বের শীর্ষ স্থানে বসিয়ে রাজার ন্যায় রাজত্ব চালাচ্ছেন। নির্যাতিত হচ্ছে, অনেক নিরহ মানুষ, এমনকি দলের ত্যাগী নেতাকর্মী-সমর্থকরাও।
স্থানীয় সূত্রমতে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ভাইস চেয়ারম্যান
মামলার বাদী খোরশেদ আলম ভুলু ক্ষমতাধর এই সাংসদের অনুগত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মঙ্গলবার রাতে ভুলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আলাপচারিতায় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একপর্যায়ে অন্যের মামলায় নিজে বাদী হওয়ায়ার ক্ষেত্রে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ পায়। এমনকি মামলাটি দায়ের সিদ্ধান্ত যে সঠিক হয়নি, তারও আভাস দেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে মরিয়ম বেগম বরিশাল আদালতে যে মামলটি দায়ের করেছেন, সেখানে ৫ আসামির মধ্যে খোরশেদ আলম ভুলুর এক ছেলেও রয়েছেন। এই নেতার সাথে আলাপ এবং বিভিন্ন সূত্র আভাস ইঙ্গিত দিয়ে বলছে, ‘বরিশালটাইম’র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বরিশালের একটি মহলের ইন্ধন রয়েছে। সাংসদ পঙ্কজকে বোঝানো হয়েছে, সাংবাদিক শাকিব বিপ্লব এবং হাসিবুল ইসলাম জেলা আ’লীগের শীর্ষ নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র পরিবার ঘনিষ্ট বা সমর্থক হিসেবে তার পুত্র বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র পক্ষালম্বনে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করে। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র সাথে নেতৃত্ব নিয়ে পঙ্কজ দেবনাথের বিরোধও এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে একটি ইস্যু হিসেবে বরিশালের ওই মহলটি উপস্থাপন করে মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার অঘোষিত ওই রাজাকে ফুঁসলে দেয়, যুগিয়েছে সাহস।’
অথচ দেশে ক্যাসিনো কান্ডে যখন পঙ্কজ দেবনাথের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গণমাধ্যম সোচ্চার, ঠিক তখন মেহেন্দিগঞ্জের এক যুবক তার ওপর নির্যাতনে অভিযোগ তুললে সরকার দলীয় এই সাংসদ সাংবাদিক শাকিব বিপ্লব ও হাসিবুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে তার রাজ্য সভায় আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে রাজকীয় আথিতেয়তায় মধ্যহ্নভোজনে তৃপ্ত করে স্বপক্ষে থেকে গীত গাওয়ার অনুরোধ রেখেছিলেন। অন্তত ওই মুহূর্তে জেলার শীর্ষ নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র পক্ষালম্বন করা করার একটি আবহ তৈরির কৌশল হিসেবে।’
এমপি পঙ্কজ দেবনাথ
এক রাজ্যের এক রাজা, দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। এবার সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে এখন পড়েছেন বিপাকে। অনুসারী সমর্থকরা হচ্ছেন বিব্রত। সেই সাথে তার নির্দেশ মানতে গিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ এখন ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ পরিস্থিতির মুখে ইউটার্ন দিতে চাইছে। সংসদ পঙ্কজ একজন বিধবা নারীকে বেইজ্জতি করায় সেই সংবাদ বরিশালের গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ ও বেসামাল হয়ে পড়েন যে- আত্মরক্ষার কৌশল এবং শায়েস্তা করতে গিয়ে বরিশালের সংবাদকর্মীদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন। দিয়েছেন ২জন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা।
গত ৭ সেপ্টেম্বর অনেকটা গোপনে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় তার ইজ্জত হরণে একটি মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বরিশালের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘বরিশালটাইমস’-এ সংসদ পঙ্কজের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে ইস্যু করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় নিউজপোর্টালটির সম্পাদক শাকিব বিপ্লব ও বার্তা সম্পাদক হাসিবুল ইলসামকে আসামী করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়- মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক ইমেজ ক্ষুণ্নে অপপ্রয়াস চালাতেই দুই মিডিয়াকর্মী কোন এক মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। কিন্তু সেই মহলটি কারা বা পরিচয় কী সেই বিষয়ে পরিস্কার কোন ধারণা দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম এই সাংসদের কাছে কয়েক দফা সহায়তা চেয়ে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ডাকবাংলো সম্মুখে গত ২৭ আগস্ট দুপুরে তার প্রাইভেটকারের সামনে দাড়িয়ে পথ আগলে ধরে প্রতিবাদ জানান। এসময় পঙ্কজ একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য ব্যস্ততার মাঝে এই বিধবা নারীর বিদ্রোহী অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং পরে দেখা করার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে ওই নারী তার গাড়ির ওপর হাত চাপরাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাংসদের অনুসারীরা মরিয়ম বেগমকে টেনে হিচড়ে এক ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেন।
এই অভিযোগ নিয়ে বিধবা ওই নারী ০১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে বরিশাল আদালতে আসেন সাংসদ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে। ঘটনাচক্রে খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে একজন আইনজীবীর চেম্বারে ওই নারী সাক্ষাতকার নেন। এসময় তিনি ডাকবাংলোর সম্মুখে কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা জানিয়ে ক্ষোভ থেকে বরিশালে আইনে আশ্রয় নিতে আসার উদ্দেশের কথা জানান।
সরকার দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে একজন বিধবা নারীর মামলা দায়ের করার প্রস্তুতির খবরে সঙ্গত কারণে মিডিয়াসহ বরিশালের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তার পিছু নেয়। এবং মামলাটি কখন দায়ের হবে তা নিয়ে অপেক্ষার পালা শুরু হয়। অগ্যতা ওই নারী অনেকটা গোপনে তার এজাহার দায়ের করে বাড়ি ফিরে যান। এরপর থেকে তিনি মিডিয়াকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। কিন্তু একটি গোয়েন্দা সংস্থা ওই নারীর সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করে মামলা দায়ের করেছেন কী না সেই বিষয়ে প্রশ্ন রাখলে এড়িয়ে গিয়ে পরদিন এই বিষয়ে জানতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন।
ওই গোয়েন্দা সংস্থার মাঠপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা ডাকবাংলোর ঘটনা নিশ্চিত হয়ে মিডিয়ার কাছেও এই বিষয়ে বেশকিছু তথ্য দেন। এমনকি ঘটনার সময়কালে সেখানে উপস্থিত মেহেন্দিগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার নাসির উদ্দিন অভিন্ন তথ্য স্বীকার করলেও শারীরিক লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান।
ওই নারীর অভিযোগ অনুসারে তাকে লাঞ্ছিতকারী পৌর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমু হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু তা ডাকবাংলো সম্মুখে নয়। সাংসদ একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় আরসি কলেজ সম্মুখে মরিয়ম বেগম তার পথ আগলে ধরলে তাকে সরে যেতে বলা সত্ত্বেও উশৃঙ্খল আচারণ করলে স্থান ত্যাগে বাধ্য করা হয়। এবং ওই নারীকে বিকারগ্রস্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে তার অভিযোগ পাগলে প্রলোভ বলে ওই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দাবি করেন।
অবশ্য সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ এই ধরনের ঘটনা অর্থাৎ ডাকবাংলো কিংবা আরসি কলেজ সম্মুখে ঘটেনি বলে অস্বীকার করেন। সাংসদের এই বক্তব্য এবং তার অনুগত সেই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতার ভাষ্য সাংঘর্ষিক হলে প্রতীয়মাণ হয় সেদিন কিছু একটি ঘটেছে। যা কী না গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত হয়ে মিডিয়ার কাছে তথ্য দিয়েছিল।
ওই নারী ঠিক ওইদিন সোমবার বরিশাল আদালতে ৫ জনকে আসামি এবং পঙ্কজকে হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারে উল্লেখ একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিচারক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। মামলা হয়েছে কী না, এনিয়ে সন্দেহ এবং সত্যতা নিশ্চিতে মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থা পরদিন আর ঘাটাঘাটি না করায় বিষয়টি গোপনীয় ছিল। অর্থাৎ বিধবা ওই সেদিন মামলা দায়ের করেই হয়তো কৌশলগত কারণে তা চেপে গিয়ে সবাইকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। ধারণা, পঙ্কজ নাথ বা তার অনুসারীদের তোপের মুখে পড়তে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই মামলা দায়েরের পদক্ষেপটি চুপিসারে সম্পাদন করে নিরব থাকেন।
এদিকে ওই বিবধা নারীর আর্তি এবং সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পেছনকার নেপথ্যের খবর নিয়ে ‘বরিশালটাইমস’সহ আঞ্চলিক কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়। যার শিরোনাম ছিল ‘সেদিন মেহেন্দিগঞ্জের ডাকবাংলোয় সাংসদের বিধবা নারী কী ঘটেছিল”। সূত্র জানায় এই সংবাদ প্রকাশের পর মেহেন্দিগঞ্জে অবস্থানরত ক্ষুব্ধ পঙ্কজ দেবনাথ তার অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডেকে অন্তত ‘বরিশালটাইমস’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। সেক্ষেত্রে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলুকে এই মামলার বাদী করা হয়।
ওই সূত্রটি জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে প্রকাশিত সংবাদে সেধরনের কোন গ্রাউন্ড না থাকায় স্থানীয় থানা পুলিশ এই অভিযোগ নিতে প্রথমে গড়িমসি করে। সাংসদ পঙ্কজ পরে থানার ওসিকে চাপের মুখে মামলাটি গ্রহণে বাধ্য করেন। সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি ধরায় মামলা দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা পুলিশ সুপারকেও ওসি অবহিত করেননি। ওই সূত্রটি আভাস দেয় যে, মেহেন্দিগঞ্জের পরিস্থিতিগত কারণে থানার ওসি সাংসদ পঙ্কজের আঙ্গুলের ইশারায় চলতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার ওসির সাথে জেলা পুলিশ সুপারের এক ধরনের মানসিক দ্বন্দ্ব থাকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতেই সাংসদের সান্নিধ্যে থাকছেন। যে কারণেই ওই মামলাটি গ্রহণের ক্ষেত্রে জেলার উচ্চপদস্থ কোন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
এমন তথ্য স্বীকার করে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে বরিশালটাইমসসহ অন্যান্য মিডিয়াকর্মীদেরকে জানান, এই মামলাটি দায়েরের ক্ষেত্রে তিনি অবগত নন। একপর্যায়ে তার কাছে প্রকাশিত সংবাদটি উপস্থাপন করলে তিনিও স্বীকার করেন, এ ধরনের খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণে আইনগত কোন নির্দেশনা নেই। সুতরাং প্রমাণিত হয়, জবরদস্তিমূলক থানা পুলিশকে ব্যবহার করে সরকার দলীয় এই সাংসদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
বিস্ময়কর বিষয় হলো, ওই মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রকাশিত যা বলা হয়েছে, তা উল্লেখ না করে তার ইজ্জত হরণে একদল আসামি সংবাদকর্মীদের তার বিরুদ্ধে প্রভাবিত করেছে। আসামি বা মহল বলতে সাংসদ কি বোঝাতে চেয়েছেন সে বিষয়ে থানার ওসি আবিদুর রহমানকে প্রশ্ন রাখা হলে তিনি খেই হারিয়ে ফেলে বারবার ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে টেলিফোন সংযোগ কেটে দেন। একপর্যায়ে তার এক সহকর্মীকে দিয়ে বরিশাল মিডিয়ার দুই সাংবাদিককে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
জেলা পুলিশ সুপার যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে, শুধু সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে নয়, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপরও ছড়ি ঘুরাতে চান। তিনি আশ্বস্ত করেন যে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি তিনি নিজেই তদন্তে তদারকি করবেন এবং কী ভাবে মামলাটি গ্রহণ করা হলো, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ বলছেন, পঙ্কজ দলীয় সাংসদ হলেও জেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই। মূলত তিনি দ্বীপাঞ্চল মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলায় নিজের ক্ষমতা কায়েম করে প্রকৃত কর্মীদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে তার অনুগতদের মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতৃত্বের শীর্ষ স্থানে বসিয়ে রাজার ন্যায় রাজত্ব চালাচ্ছেন। নির্যাতিত হচ্ছে, অনেক নিরহ মানুষ, এমনকি দলের ত্যাগী নেতাকর্মী-সমর্থকরাও।
স্থানীয় সূত্রমতে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ভাইস চেয়ারম্যান
মামলার বাদী খোরশেদ আলম ভুলু ক্ষমতাধর এই সাংসদের অনুগত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মঙ্গলবার রাতে ভুলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আলাপচারিতায় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একপর্যায়ে অন্যের মামলায় নিজে বাদী হওয়ায়ার ক্ষেত্রে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ পায়। এমনকি মামলাটি দায়ের সিদ্ধান্ত যে সঠিক হয়নি, তারও আভাস দেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে মরিয়ম বেগম বরিশাল আদালতে যে মামলটি দায়ের করেছেন, সেখানে ৫ আসামির মধ্যে খোরশেদ আলম ভুলুর এক ছেলেও রয়েছেন। এই নেতার সাথে আলাপ এবং বিভিন্ন সূত্র আভাস ইঙ্গিত দিয়ে বলছে, ‘বরিশালটাইম’র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বরিশালের একটি মহলের ইন্ধন রয়েছে। সাংসদ পঙ্কজকে বোঝানো হয়েছে, সাংবাদিক শাকিব বিপ্লব এবং হাসিবুল ইসলাম জেলা আ’লীগের শীর্ষ নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র পরিবার ঘনিষ্ট বা সমর্থক হিসেবে তার পুত্র বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র পক্ষালম্বনে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করে। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র সাথে নেতৃত্ব নিয়ে পঙ্কজ দেবনাথের বিরোধও এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে একটি ইস্যু হিসেবে বরিশালের ওই মহলটি উপস্থাপন করে মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার অঘোষিত ওই রাজাকে ফুঁসলে দেয়, যুগিয়েছে সাহস।’
অথচ দেশে ক্যাসিনো কান্ডে যখন পঙ্কজ দেবনাথের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গণমাধ্যম সোচ্চার, ঠিক তখন মেহেন্দিগঞ্জের এক যুবক তার ওপর নির্যাতনে অভিযোগ তুললে সরকার দলীয় এই সাংসদ সাংবাদিক শাকিব বিপ্লব ও হাসিবুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে তার রাজ্য সভায় আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে রাজকীয় আথিতেয়তায় মধ্যহ্নভোজনে তৃপ্ত করে স্বপক্ষে থেকে গীত গাওয়ার অনুরোধ রেখেছিলেন। অন্তত ওই মুহূর্তে জেলার শীর্ষ নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র পক্ষালম্বন করা করার একটি আবহ তৈরির কৌশল হিসেবে।’

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৭
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের সমর্থক এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সাঘাটা উপজেলায় সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল।
আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
জানা গেছে, এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিল্পপতি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সে কারণে এই মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীরদের মধ্যেও কোন্দল মনোমালিন্য শুরু হয়।
রোববার দুপুর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত এলাকায় এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। তিনি তার লোকজনকে সংগঠিত করে নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও আজ নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষেই অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা জুড়ে। বহিষ্কৃত নেতা নিশাত আজ শত শত নারী-পুরুষ নিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়ার দিকে রওনা দেন।
এ সময় নিশাতের মোটরসাইকেল বহরের সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়ার মোড় নামক এলাকায় এলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর এবং কয়েক জনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের সমর্থক এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সাঘাটা উপজেলায় সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল।
আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
জানা গেছে, এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিল্পপতি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সে কারণে এই মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীরদের মধ্যেও কোন্দল মনোমালিন্য শুরু হয়।
রোববার দুপুর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত এলাকায় এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। তিনি তার লোকজনকে সংগঠিত করে নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও আজ নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষেই অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা জুড়ে। বহিষ্কৃত নেতা নিশাত আজ শত শত নারী-পুরুষ নিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়ার দিকে রওনা দেন।
এ সময় নিশাতের মোটরসাইকেল বহরের সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়ার মোড় নামক এলাকায় এলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর এবং কয়েক জনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’
দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।
তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’
ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’
দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।
তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।
পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।
পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.