dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

গৌরনদীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ২০টি পরিবারের রাস্তা বন্ধ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গৌরনদীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ২০টি পরিবারের রাস্তা বন্ধ

আদালতের ১৪৪ ও ১৪৫ ধারার নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে উপেক্ষা করে তৃতীয়বারের মতো ফের দেয়াল নির্মাণ করে আটকে দেওয়া হয়েছে ২০টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা।

ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার তিখাসার মহল্লার। ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান খান অভিযোগ করে বলেন—গৌরনদী ও পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলা থেকে অসংখ্য ভাড়াটিয়া লোকজন জড়ো করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাস্তার মধ্যে দেয়াল নির্মাণ করেছেন প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী কামাল সরদার। ভাড়াটিয়া লোকজনদের ভয়ে স্থানীয় কেউ তাদের সামনে যেতে সাহস পায়নি।

নুরুজ্জামান খান আরও অভিযোগ করেন, বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা সত্ত্বেও তারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে ঘটনাস্থলে আসেননি। যেকারণে কামাল সরদার তার লোকজন নিয়ে রাস্তার মধ্যে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে ২০টি পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে ওই ২০টি পরিবার এখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, নুরুজ্জামান খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর ওই সম্পত্তির ওপর আদালতের বিচারক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ নিয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর আদালতের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. আমির হোসেন সরেজমিনে গিয়ে বিবাদী কামাল সরদারের উপস্থিতিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশ জারি করেন।নুরুজ্জামান খান অভিযোগ করে বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ অমান্য করে প্রবাসী কামাল সরদার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে রবিবার তৃতীয় দফায় ওই এলাকার ২০টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে পাকা দেয়াল নির্মাণ করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কামাল সরদার ওই রাস্তার জায়গা তার ক্রয় করা সম্পত্তি দাবি করে গত মাসে প্রথমে পাকা দেয়াল নির্মাণ করেছিলেন। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙে ফেলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর কামাল সরদার পুনরায় রাস্তা বন্ধ করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করেন।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান সরেজমিনে পরিদর্শন করে জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করে পৌরসভার অনুমতি ছাড়া পাকা দেয়াল নির্মাণ করায় তা (দেয়াল) শ্রমিক দিয়ে ভেঙে দিয়েছেন এবং জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।

এবার তৃতীয় দফায় (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কামাল সরদার আদালতের নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ অমান্য করে রাস্তা বন্ধ করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন—তিকাসার গ্রামের রবিউল ভিলা সংলগ্ন পাইকবাড়ি এলাকার প্রায় ২০টি পরিবারের চলাচলের দীর্ঘদিনের একমাত্র রাস্তাটি তারা নিজস্ব অর্থায়নে একাধিকবার মেরামত করেছেন।

পরবর্তীতে সম্প্রতি গৌরনদী পৌরসভা থেকে রাস্তাটি সংস্কার করতে আসলে কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা, বর্তমানে জমি ক্রয়সূত্রে তিখাসার মহল্লায় বসবাসরত প্রবাসী কামাল সরদার ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা প্রদান করেন।

এরপর তৃতীয়বারের মতো রবিবার ওই এলাকার ২০টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি নিজের ক্রয় করা সম্পত্তি দাবি করে প্রবাসী কামাল সরদার রাস্তার মধ্যে পাকা দেয়াল নির্মাণ করেন। ফলে ২০টি পরিবারের সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রবাসী কামাল সরদার বলেন, ২০১১ সালে আমার ক্রয় করা ২০ শতক সম্পত্তির মধ্যে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা তিনটি রাস্তা দাবি করেন। আমি প্রধান সড়কের জন্য ইতোমধ্যে এক শতক জমি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বাকি দুইটি রাস্তার জন্য জমি না দেওয়ায় আমার ক্রয় করা জমিতে নির্মিত দেয়াল স্থানীয়রা একাধিকবার ভেঙে ফেলেছে। পুনরায় আমি আমার ক্রয় করা সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণ করেছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেয়াল নির্মাণের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরও পড়ুন:

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। 

এদিকে  শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির  অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে  সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর  অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে  অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান  তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস  পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।

অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক  পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য, অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য,  অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও  পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।

সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।

সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক। 

হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে।  যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। 

বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.