০৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৫৫
'লেখাপড়া শিখে যিনি লেখাপড়া শেখান, এক প্রদীপের আলো দিয়ে হাজার প্রদীপ জ্বালান'- সেই মহান মানুষটি নাম শিক্ষক। পৃথিবীতে মা-বাবার পরে যার নাম শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায় তিনি শিক্ষক। তাকে বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর। বরিশালের বাবুগঞ্জে সেই জাতি গড়ার মহান কারিগররা অবশেষে তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের ঠিকানা পেয়েছেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিকে এ উপলক্ষ্যে এক অনন্য এবং ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তারা। টিচার্স ক্লাব ভবনের উদ্বোধনের দিনেই উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষককে দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা।
বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ গুণী শিক্ষককে ওই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় তাদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। টিচার্স ক্লাবের ভবন নির্মাণসহ শিক্ষক সংবর্ধনার গোটা অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন উপজেলার বিশিষ্ট দানবীর, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি ও ঢাকার এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। পাশে থেকে শিক্ষকদের উৎসাহ প্রদান এবং সহায়তা করেন আরেক দানবীর, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে টিচার্স ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শাহে আলমের সভাপতিত্বে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম শফিউল্লাহ।
টিচার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম আব্দুল হালিম, সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান মিজান, ঢাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডর উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, কেদারপুর সোনার বাংলা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুর রহমান টুটুল, ভোলার ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মেজবাউল আমিন, বরিশাল বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল রহিম, টিচার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম শাহজাহান, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আলম ফকির প্রমুখ।
এসময় সংবর্ধিত অতিথি শুণী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, ডাকুয়া মারুফুল হক ও হারুন অর রশিদ খান। টিচার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন ও কাজী এনায়েত হোসেন। এসময় উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষক এনায়েত করিম ফারুক, আব্দুল লতিফ হাওলাদার, প্রধান শিক্ষক এইচ.এম ইউসুফ আলী, ফারুক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান টুলু, শফিকুল ইসলাম বাদল, মনিরুল ইসলাম, এ.কে আজাদ, ইসমত আরা কনা, আরিফুর রহমান সুমন প্রমুখ। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাইফুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, আবুল বাশার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের মহিউদ্দিন খাঁন রানা, রুবেল সরদার, আবু হানিফ ফকির, সুমন আকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষক হলেন- মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, মাওলানা আব্দুল মতিন, ডাকুয়া মারুফুল হক, খান আবু জাফর মোঃ সালেহ, শামসুল হক, হারুন অর রশিদ খান, নুরুল হক, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, মজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান শাহআলম, মফিজুল ইসলাম মির্জা, আফরোজা খানম, হোসনেয়ারা বেগম, রাহিমা আক্তার, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, আবু সায়েম বাচ্চু শিকদার, আনোয়ার হোসেন এবং অপু চন্দ্র দাস। সংবর্ধিত শিক্ষকদের উত্তরীয় পরিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন অতিথিরা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সংবর্ধিত অনেক শিক্ষক। এটা তাদের শিক্ষকতা জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে অভিহিত করেন এবং আয়োজক টিচার্স ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন বলেন, 'শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষক হলেন সেই জাতি গড়ার কারিগর। তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের আসনে বসাতে হবে। শিক্ষকদের অবদানেই আজকে আমি এই চেয়ারে বসেছি। শিক্ষকদের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'শিক্ষকের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরে যার অবদান সবচেয়ে বেশি থাকে তিনি হলেন শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়। সমাজ আলোকিত করে এমন সকল ভালো কাজের সাথে আছি এবং থাকবো।'
অপর বিশেষ অতিথি বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ বলেন, 'পাসের হার বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় বিগত দিনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে পুনরুদ্ধার করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে। এই গুরুদায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষাগুরুদেরকেই। শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস তৈরি করা এবং তাদের নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করা জরুরি। এজন্য শিক্ষক-অভিভাবকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ভূমিকা রাখতে হবে।'
অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়। ফিতা কেটে ওই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভবনদাতা শিক্ষানুরাগী আবুল কালাম আজাদ। এসময় তার সহধর্মিণী প্রধান অতিথি মেহেরুন্নেসা শিরিনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। পরে টিচার্স ক্লাবের জন্য একটি বড় পর্দার এলইডি টিভি উপহার দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আরেক শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৮ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। টিচার্স ক্লাবের জন্য জমি দান করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক এবং তার সহধর্মিণী নূর-ই-করিমা। সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে টিচার্স ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। সম্প্রতি সেখানে একতলা বিশিষ্ট একটি পাকাভবন তৈরি করে দেন দানবীর শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ। #
বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের উদ্বোধন ও অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেন দানবীর শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ।
'লেখাপড়া শিখে যিনি লেখাপড়া শেখান, এক প্রদীপের আলো দিয়ে হাজার প্রদীপ জ্বালান'- সেই মহান মানুষটি নাম শিক্ষক। পৃথিবীতে মা-বাবার পরে যার নাম শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায় তিনি শিক্ষক। তাকে বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর। বরিশালের বাবুগঞ্জে সেই জাতি গড়ার মহান কারিগররা অবশেষে তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের ঠিকানা পেয়েছেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিকে এ উপলক্ষ্যে এক অনন্য এবং ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তারা। টিচার্স ক্লাব ভবনের উদ্বোধনের দিনেই উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষককে দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা।
বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ গুণী শিক্ষককে ওই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় তাদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। টিচার্স ক্লাবের ভবন নির্মাণসহ শিক্ষক সংবর্ধনার গোটা অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন উপজেলার বিশিষ্ট দানবীর, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি ও ঢাকার এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। পাশে থেকে শিক্ষকদের উৎসাহ প্রদান এবং সহায়তা করেন আরেক দানবীর, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে টিচার্স ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শাহে আলমের সভাপতিত্বে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম শফিউল্লাহ।
টিচার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম আব্দুল হালিম, সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান মিজান, ঢাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডর উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, কেদারপুর সোনার বাংলা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুর রহমান টুটুল, ভোলার ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মেজবাউল আমিন, বরিশাল বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল রহিম, টিচার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম শাহজাহান, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আলম ফকির প্রমুখ।
এসময় সংবর্ধিত অতিথি শুণী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, ডাকুয়া মারুফুল হক ও হারুন অর রশিদ খান। টিচার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন ও কাজী এনায়েত হোসেন। এসময় উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষক এনায়েত করিম ফারুক, আব্দুল লতিফ হাওলাদার, প্রধান শিক্ষক এইচ.এম ইউসুফ আলী, ফারুক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান টুলু, শফিকুল ইসলাম বাদল, মনিরুল ইসলাম, এ.কে আজাদ, ইসমত আরা কনা, আরিফুর রহমান সুমন প্রমুখ। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাইফুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, আবুল বাশার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের মহিউদ্দিন খাঁন রানা, রুবেল সরদার, আবু হানিফ ফকির, সুমন আকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষক হলেন- মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, মাওলানা আব্দুল মতিন, ডাকুয়া মারুফুল হক, খান আবু জাফর মোঃ সালেহ, শামসুল হক, হারুন অর রশিদ খান, নুরুল হক, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, মজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান শাহআলম, মফিজুল ইসলাম মির্জা, আফরোজা খানম, হোসনেয়ারা বেগম, রাহিমা আক্তার, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, আবু সায়েম বাচ্চু শিকদার, আনোয়ার হোসেন এবং অপু চন্দ্র দাস। সংবর্ধিত শিক্ষকদের উত্তরীয় পরিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন অতিথিরা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সংবর্ধিত অনেক শিক্ষক। এটা তাদের শিক্ষকতা জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে অভিহিত করেন এবং আয়োজক টিচার্স ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন বলেন, 'শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষক হলেন সেই জাতি গড়ার কারিগর। তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের আসনে বসাতে হবে। শিক্ষকদের অবদানেই আজকে আমি এই চেয়ারে বসেছি। শিক্ষকদের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'শিক্ষকের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরে যার অবদান সবচেয়ে বেশি থাকে তিনি হলেন শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়। সমাজ আলোকিত করে এমন সকল ভালো কাজের সাথে আছি এবং থাকবো।'
অপর বিশেষ অতিথি বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ বলেন, 'পাসের হার বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় বিগত দিনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে পুনরুদ্ধার করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে। এই গুরুদায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষাগুরুদেরকেই। শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস তৈরি করা এবং তাদের নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করা জরুরি। এজন্য শিক্ষক-অভিভাবকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ভূমিকা রাখতে হবে।'
অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়। ফিতা কেটে ওই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভবনদাতা শিক্ষানুরাগী আবুল কালাম আজাদ। এসময় তার সহধর্মিণী প্রধান অতিথি মেহেরুন্নেসা শিরিনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। পরে টিচার্স ক্লাবের জন্য একটি বড় পর্দার এলইডি টিভি উপহার দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আরেক শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৮ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। টিচার্স ক্লাবের জন্য জমি দান করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক এবং তার সহধর্মিণী নূর-ই-করিমা। সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে টিচার্স ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। সম্প্রতি সেখানে একতলা বিশিষ্ট একটি পাকাভবন তৈরি করে দেন দানবীর শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ। #
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.