
২৯ মে, ২০২৫ ১৬:২৬
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারী খুনের মামলা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সকারের মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গত ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার ভাটারাধীন এলাকায় তিনি ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছেন। সেই হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধা আল-আমিনের মৃত্যু হয়। জাকিরসহ সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত শিক্ষার্থীর আপন চাচা পঞ্চাশোর্ধ্ব ‘রহমান মাল’ বাদী হয়ে গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করেন। আলোচিত এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, জাতীয় পার্টির শীর্ষসারির নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়।
মামলাটির ৮৪ নং অভিযুক্ত জাকির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বরিশালে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছে। এবং রাজনৈতিক ব্যানারে বহুমুখী অপকর্ম করতে গিয়ে সে সমূহ বিপদের আলামত পেয়ে একাধিকবার নেতাও বদল করে। প্রথমে সে শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নাম ভাঙিয়ে চললেও পরর্তীতে তারই পুত্র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র কাছাকাছি জাকিরকে দেখা যায়। পরে সাদিকের সাথে দূরত্ব তৈরি হলে এসএম জাকির বরিশাল সদর আসনের এমপি ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সান্নিধ্য পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে, এবং কিছুদিন পর কাঙ্খিত লক্ষেও পৌছে যায়।

সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে হাসানাত আব্দুল্লাহ, পরে তার ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহ এবং সর্বশেষ জাহিদ ফারুকের সাথে ছত্রছায়ায় থেকে জাকির ধনকূবের বনে গেছে। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়ে সে ব্যাপক অর্থ কামিয়ে নিয়েছে। এবং রাজনৈতিক পদবিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বেলসপার্কসংলগ্ন শতকোটি টাকার সরকারি ভূমি তার স্ত্রীর নামে বরাদ্দও নিয়ে নেয়।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, সাবেক জেলা প্রশাসককে জনৈক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার চাপের মুখে অফিসার্স মেসের ভূমিটি জাকিরের স্ত্রীর নামে বরাদ্দ দিতে বাধ্য করে। এবং প্রশাসন তাকে ভূমিটিতে ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে শর্তজুড়ে দিলেও তা উপেক্ষা করেছে। এছাড়া সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে জাকিরের স্ত্রী নামে প্লানবিহীন ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করা নিয়েও তুমুল বিতর্ক রয়েছে।
এছাড়াও বহু অঘটন পটিয়াসি এসএম জাকির হোসেন বরিশালে বিরোধী মতের সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করা এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে একাধিক সংবাদকর্মীকে জেল খাটানোর অভিযোগও আছে। তৎকালীন সময় তার হাত থেকে রেহাই পাননি বিএনপি নেতাকর্মীরাও। সে বরিশাল বিএনপি নেতা মুসফিকুল হাসান মাসুমকে মামলা দিয়ে তার হয়রানি করাসহ ইন্টারনেট ব্যবসা বন্ধ করেও দেয়।
বরিশালের এই ত্রাস সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার ভাটারা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধার ওপর সদলবলে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে, যা অনেকের ছিল অজনা, আসেনি আলোচনায়ও। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত আল-আমিনের চাচা ঢাকার আদালতে গত ১ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী জাকিরসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষসারির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভাটারা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন। বরিশাল আওয়ামী সন্ত্রাস জাকির ঢাকায় আন্দোলনকারী খুনে জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে, এই খবর বুধবার রাতে ছড়িয়ে পড়লে সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগ্রহে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন।
এদিকে ভাটারা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছে, আদালতের আদেশে মামলাটি নথিভুক্ত করাসহ অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আওয়ামী সন্ত্রাসী এসএম জাকির ৫ আগস্ট ঢাকায় খুন করে কদিন আত্মগোপনে থাকলেও পরবর্তীতে বরিশালে এসে বীরদর্পে ঘোরাঘুরি শুরু করে। এবং বোল পাল্টে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীসহ বরিশাল প্রশাসনের সান্নিধ্য পেতে মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে, যা নিয়েও তুমুল বিকর্ত দেখা দেয়। তবে রহস্যজনক কারণে বরিশালে সে কোনো মামলায় অভিযুক্ত হয়নি।
অভিযোগ আছে, এই আওয়ামী সন্ত্রাসীকে বরিশালের খিস্ট্রান সম্প্রদায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। এবং আইনজীবীর মাধ্যমে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ফিরিস্তি উপস্থাপন করলেও তার উগ্রতা রোহিত করা সম্ভব হয়নি।
অভিজ্ঞমহল বলছে, এসএম জাকির আওয়ামী লীগের ব্যানারে গত কয়েক বছরে নানান অপকর্ম করেছে। সর্বশেষ সে আন্দোলনকারী খুনে জড়িত এমন তথ্য এতদিন লুকোচাপা থাকলেও শেষত্বক প্রকাশে এসেছে। এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিৎ এই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।’
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারী খুনের মামলা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সকারের মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গত ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার ভাটারাধীন এলাকায় তিনি ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছেন। সেই হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধা আল-আমিনের মৃত্যু হয়। জাকিরসহ সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত শিক্ষার্থীর আপন চাচা পঞ্চাশোর্ধ্ব ‘রহমান মাল’ বাদী হয়ে গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করেন। আলোচিত এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, জাতীয় পার্টির শীর্ষসারির নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়।
মামলাটির ৮৪ নং অভিযুক্ত জাকির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বরিশালে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছে। এবং রাজনৈতিক ব্যানারে বহুমুখী অপকর্ম করতে গিয়ে সে সমূহ বিপদের আলামত পেয়ে একাধিকবার নেতাও বদল করে। প্রথমে সে শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নাম ভাঙিয়ে চললেও পরর্তীতে তারই পুত্র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র কাছাকাছি জাকিরকে দেখা যায়। পরে সাদিকের সাথে দূরত্ব তৈরি হলে এসএম জাকির বরিশাল সদর আসনের এমপি ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সান্নিধ্য পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে, এবং কিছুদিন পর কাঙ্খিত লক্ষেও পৌছে যায়।

সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে হাসানাত আব্দুল্লাহ, পরে তার ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহ এবং সর্বশেষ জাহিদ ফারুকের সাথে ছত্রছায়ায় থেকে জাকির ধনকূবের বনে গেছে। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়ে সে ব্যাপক অর্থ কামিয়ে নিয়েছে। এবং রাজনৈতিক পদবিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বেলসপার্কসংলগ্ন শতকোটি টাকার সরকারি ভূমি তার স্ত্রীর নামে বরাদ্দও নিয়ে নেয়।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, সাবেক জেলা প্রশাসককে জনৈক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার চাপের মুখে অফিসার্স মেসের ভূমিটি জাকিরের স্ত্রীর নামে বরাদ্দ দিতে বাধ্য করে। এবং প্রশাসন তাকে ভূমিটিতে ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে শর্তজুড়ে দিলেও তা উপেক্ষা করেছে। এছাড়া সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে জাকিরের স্ত্রী নামে প্লানবিহীন ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করা নিয়েও তুমুল বিতর্ক রয়েছে।
এছাড়াও বহু অঘটন পটিয়াসি এসএম জাকির হোসেন বরিশালে বিরোধী মতের সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করা এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে একাধিক সংবাদকর্মীকে জেল খাটানোর অভিযোগও আছে। তৎকালীন সময় তার হাত থেকে রেহাই পাননি বিএনপি নেতাকর্মীরাও। সে বরিশাল বিএনপি নেতা মুসফিকুল হাসান মাসুমকে মামলা দিয়ে তার হয়রানি করাসহ ইন্টারনেট ব্যবসা বন্ধ করেও দেয়।
বরিশালের এই ত্রাস সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার ভাটারা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধার ওপর সদলবলে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে, যা অনেকের ছিল অজনা, আসেনি আলোচনায়ও। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত আল-আমিনের চাচা ঢাকার আদালতে গত ১ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী জাকিরসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষসারির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভাটারা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন। বরিশাল আওয়ামী সন্ত্রাস জাকির ঢাকায় আন্দোলনকারী খুনে জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে, এই খবর বুধবার রাতে ছড়িয়ে পড়লে সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগ্রহে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন।
এদিকে ভাটারা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছে, আদালতের আদেশে মামলাটি নথিভুক্ত করাসহ অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আওয়ামী সন্ত্রাসী এসএম জাকির ৫ আগস্ট ঢাকায় খুন করে কদিন আত্মগোপনে থাকলেও পরবর্তীতে বরিশালে এসে বীরদর্পে ঘোরাঘুরি শুরু করে। এবং বোল পাল্টে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীসহ বরিশাল প্রশাসনের সান্নিধ্য পেতে মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে, যা নিয়েও তুমুল বিকর্ত দেখা দেয়। তবে রহস্যজনক কারণে বরিশালে সে কোনো মামলায় অভিযুক্ত হয়নি।
অভিযোগ আছে, এই আওয়ামী সন্ত্রাসীকে বরিশালের খিস্ট্রান সম্প্রদায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। এবং আইনজীবীর মাধ্যমে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ফিরিস্তি উপস্থাপন করলেও তার উগ্রতা রোহিত করা সম্ভব হয়নি।
অভিজ্ঞমহল বলছে, এসএম জাকির আওয়ামী লীগের ব্যানারে গত কয়েক বছরে নানান অপকর্ম করেছে। সর্বশেষ সে আন্দোলনকারী খুনে জড়িত এমন তথ্য এতদিন লুকোচাপা থাকলেও শেষত্বক প্রকাশে এসেছে। এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিৎ এই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।’

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫৫
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৮
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.