২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫৩
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ২জন।
চিকিৎসকের অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সেবাগৃহীতারা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর লোকজন হতাশ হয় ফিরে যাচ্ছে। পাঁচটি ইউনিয়নের সাব সেন্টারে পাঁচজন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও।
ইউনিয়ন সাব সেন্টার বাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন মেডিকেল অফিসারের কথা থাকলে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ দুইজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সময় একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছে।
রোগীদের প্রচন্ড ভিড়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই একজন চিকিৎসকের। একজন চিকিৎসকের পক্ষে কি সম্ভব আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ করার পরও নাইট ডিউটি করা।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ একার পক্ষেই করতে হয়। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন বিভিন্ন রোগীরা সেবা নিতে ভিড় করছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে ভর্তি রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে ডাক্তার আসে না, শুধু নার্স আপারা আসে।
দিনে একবার ডাক্তার আসলেও রাতের কোন ডাক্তার দেখা যায় না। উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত কর্মকার বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে বেশিরভাগ সময় আমাকে দিনে ও রাতে একাই চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হচ্ছে।
ডিউটি করতে করতে নিজেই রোগী হওয়ার উপক্রম। আউটডোরে , আবার জরুরী বিভাগ ও রাতে নাইট ডিউটি করতে হবে। এটা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? তারপরও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক কাজে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয় ।তারপরও আউটডোরে রোগী দেখার চেষ্টা করি।
চিকিৎসকসহ জনবল না থাকায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মতিউর রহমান জানান, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটে কথা আমার জানা আছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ২জন।
চিকিৎসকের অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সেবাগৃহীতারা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর লোকজন হতাশ হয় ফিরে যাচ্ছে। পাঁচটি ইউনিয়নের সাব সেন্টারে পাঁচজন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও।
ইউনিয়ন সাব সেন্টার বাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন মেডিকেল অফিসারের কথা থাকলে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ দুইজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সময় একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছে।
রোগীদের প্রচন্ড ভিড়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই একজন চিকিৎসকের। একজন চিকিৎসকের পক্ষে কি সম্ভব আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ করার পরও নাইট ডিউটি করা।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ একার পক্ষেই করতে হয়। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন বিভিন্ন রোগীরা সেবা নিতে ভিড় করছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে ভর্তি রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে ডাক্তার আসে না, শুধু নার্স আপারা আসে।
দিনে একবার ডাক্তার আসলেও রাতের কোন ডাক্তার দেখা যায় না। উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত কর্মকার বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে বেশিরভাগ সময় আমাকে দিনে ও রাতে একাই চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হচ্ছে।
ডিউটি করতে করতে নিজেই রোগী হওয়ার উপক্রম। আউটডোরে , আবার জরুরী বিভাগ ও রাতে নাইট ডিউটি করতে হবে। এটা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? তারপরও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক কাজে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয় ।তারপরও আউটডোরে রোগী দেখার চেষ্টা করি।
চিকিৎসকসহ জনবল না থাকায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মতিউর রহমান জানান, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটে কথা আমার জানা আছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৬
‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি, এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এ যাবত কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সাথে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।
পাঁচ বছর পূর্বে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আবারও আলোচনায় আসেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তার ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তারা এখনো ভুগছেন সেই ঘরপোড়া মামলায়।
সোহাগ মৃধার চাচা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে আমার ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’
বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন বলে দাবি তাদের। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না— যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কিভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’
‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি, এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এ যাবত কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সাথে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।
পাঁচ বছর পূর্বে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আবারও আলোচনায় আসেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তার ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তারা এখনো ভুগছেন সেই ঘরপোড়া মামলায়।
সোহাগ মৃধার চাচা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে আমার ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’
বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন বলে দাবি তাদের। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না— যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কিভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’
২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৭
পিরোজপুরের নেছারাবাদে গ্রেপ্তার বিপ্লব ফকির নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে তৎপর হয়েছেন বিএনপির সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য মো. শহিদুল হক জামালের এপিএস শাহ মোহাম্মাদ নাসির উদ্দীন ফকির। তার দাবি- গ্রেপ্তার ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপির সক্রিয় কর্মী।
উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পাটিকেলবাড়ী এলাকা থেকে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিপ্লব ফকিরকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত একদল ব্যক্তি।
বিপ্লব ফকির গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব ফকিরকে পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা শুরু করেন বিএনপির নেতা মো. শাহ নাসির উদ্দীন ফকির।
স্থানীয় মো. সোহেল, আরিফ ফকিরসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিপ্লব ফকির এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি কিছুটা বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারের আগ মুহুর্তেও বাজারে তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আখ দিয়ে মারধর করেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেও স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির ফকিরের দাপটে চলতেন।
গুয়ারেখা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লাভলু গাজী বলেন, ‘বিপ্লব মূলত বিএনপি ঘেঁষা মানুষ। শুনেছি, পূর্বে আওয়ামী লীগ করত। সোমবার বিকালে ডিবি পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেছে।’
গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ফকিরকে তার নিজের সম্মতিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে রাখা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে শাহ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিপ্লব আমাদের দলের (বিএনপি) একজন সক্রিয় কর্মী। কে বা কারা তার নাম আওয়ামী লীগের কমিটিতে দিয়েছে, তা জানি না। এটি রাজনৈতিক একটি চক্রান্ত। আমরা আশা করছি তাকে এই চক্রান্তের হাত থেকে মুক্ত করতে পারব।’
এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসে ফোন করা হলেও কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
পিরোজপুরের নেছারাবাদে গ্রেপ্তার বিপ্লব ফকির নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে তৎপর হয়েছেন বিএনপির সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য মো. শহিদুল হক জামালের এপিএস শাহ মোহাম্মাদ নাসির উদ্দীন ফকির। তার দাবি- গ্রেপ্তার ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপির সক্রিয় কর্মী।
উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পাটিকেলবাড়ী এলাকা থেকে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিপ্লব ফকিরকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত একদল ব্যক্তি।
বিপ্লব ফকির গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব ফকিরকে পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা শুরু করেন বিএনপির নেতা মো. শাহ নাসির উদ্দীন ফকির।
স্থানীয় মো. সোহেল, আরিফ ফকিরসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিপ্লব ফকির এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি কিছুটা বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারের আগ মুহুর্তেও বাজারে তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আখ দিয়ে মারধর করেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেও স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির ফকিরের দাপটে চলতেন।
গুয়ারেখা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লাভলু গাজী বলেন, ‘বিপ্লব মূলত বিএনপি ঘেঁষা মানুষ। শুনেছি, পূর্বে আওয়ামী লীগ করত। সোমবার বিকালে ডিবি পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেছে।’
গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ফকিরকে তার নিজের সম্মতিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে রাখা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে শাহ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিপ্লব আমাদের দলের (বিএনপি) একজন সক্রিয় কর্মী। কে বা কারা তার নাম আওয়ামী লীগের কমিটিতে দিয়েছে, তা জানি না। এটি রাজনৈতিক একটি চক্রান্ত। আমরা আশা করছি তাকে এই চক্রান্তের হাত থেকে মুক্ত করতে পারব।’
এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসে ফোন করা হলেও কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:০৫
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ডাকাত অভিযোগে মো. আলী হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোববার সন্ধ্যার দিকে বান্ধাঘাটা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলী হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।
মো. আলী হোসেন (৩৮) শিয়ালকাঠি এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাঁদের বাড়ির সামনে এসে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আলী হোসেন ঘর থেকে বাইরে বের হলে তাঁকে ধরে নিয়ে ঘরের পাশের একটি সুপারিবাগানে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাঁদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, আলী হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখন এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ডাকাত অভিযোগে মো. আলী হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোববার সন্ধ্যার দিকে বান্ধাঘাটা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলী হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।
মো. আলী হোসেন (৩৮) শিয়ালকাঠি এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাঁদের বাড়ির সামনে এসে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আলী হোসেন ঘর থেকে বাইরে বের হলে তাঁকে ধরে নিয়ে ঘরের পাশের একটি সুপারিবাগানে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাঁদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, আলী হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখন এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.