২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫৩
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ২জন।
চিকিৎসকের অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সেবাগৃহীতারা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর লোকজন হতাশ হয় ফিরে যাচ্ছে। পাঁচটি ইউনিয়নের সাব সেন্টারে পাঁচজন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও।
ইউনিয়ন সাব সেন্টার বাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন মেডিকেল অফিসারের কথা থাকলে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ দুইজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সময় একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছে।
রোগীদের প্রচন্ড ভিড়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই একজন চিকিৎসকের। একজন চিকিৎসকের পক্ষে কি সম্ভব আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ করার পরও নাইট ডিউটি করা।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ একার পক্ষেই করতে হয়। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন বিভিন্ন রোগীরা সেবা নিতে ভিড় করছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে ভর্তি রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে ডাক্তার আসে না, শুধু নার্স আপারা আসে।
দিনে একবার ডাক্তার আসলেও রাতের কোন ডাক্তার দেখা যায় না। উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত কর্মকার বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে বেশিরভাগ সময় আমাকে দিনে ও রাতে একাই চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হচ্ছে।
ডিউটি করতে করতে নিজেই রোগী হওয়ার উপক্রম। আউটডোরে , আবার জরুরী বিভাগ ও রাতে নাইট ডিউটি করতে হবে। এটা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? তারপরও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক কাজে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয় ।তারপরও আউটডোরে রোগী দেখার চেষ্টা করি।
চিকিৎসকসহ জনবল না থাকায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মতিউর রহমান জানান, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটে কথা আমার জানা আছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ২জন।
চিকিৎসকের অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সেবাগৃহীতারা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর লোকজন হতাশ হয় ফিরে যাচ্ছে। পাঁচটি ইউনিয়নের সাব সেন্টারে পাঁচজন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও।
ইউনিয়ন সাব সেন্টার বাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন মেডিকেল অফিসারের কথা থাকলে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ দুইজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সময় একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছে।
রোগীদের প্রচন্ড ভিড়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই একজন চিকিৎসকের। একজন চিকিৎসকের পক্ষে কি সম্ভব আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ করার পরও নাইট ডিউটি করা।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ একার পক্ষেই করতে হয়। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন বিভিন্ন রোগীরা সেবা নিতে ভিড় করছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে ভর্তি রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে ডাক্তার আসে না, শুধু নার্স আপারা আসে।
দিনে একবার ডাক্তার আসলেও রাতের কোন ডাক্তার দেখা যায় না। উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত কর্মকার বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে বেশিরভাগ সময় আমাকে দিনে ও রাতে একাই চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হচ্ছে।
ডিউটি করতে করতে নিজেই রোগী হওয়ার উপক্রম। আউটডোরে , আবার জরুরী বিভাগ ও রাতে নাইট ডিউটি করতে হবে। এটা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? তারপরও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক কাজে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয় ।তারপরও আউটডোরে রোগী দেখার চেষ্টা করি।
চিকিৎসকসহ জনবল না থাকায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মতিউর রহমান জানান, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটে কথা আমার জানা আছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
২০ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১২
পিরোজপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সদর উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় পিরোজপুর টাউন ক্লাব মিলনায়তন থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয় বিভিন্ন সড়ক দক্ষিণ শেষে পথ সবাই মিলিত হয়।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম শেখ।
সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো: রিয়াজ মাতুব্বর। সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির কল্যাণ একটি স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন। সেই থেকে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করে যাচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবক দল তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
পরে বিভিন্ন স্থানে ফলজ বনজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করা হয়। এছাড়াও জেলা হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
পিরোজপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সদর উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় পিরোজপুর টাউন ক্লাব মিলনায়তন থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয় বিভিন্ন সড়ক দক্ষিণ শেষে পথ সবাই মিলিত হয়।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম শেখ।
সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো: রিয়াজ মাতুব্বর। সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির কল্যাণ একটি স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন। সেই থেকে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করে যাচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবক দল তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
পরে বিভিন্ন স্থানে ফলজ বনজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করা হয়। এছাড়াও জেলা হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
২০ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:০০
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন (১৬) নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে সে দেড় পৃষ্ঠার একটি হৃদয়বিদারক চিরকুট লিখে গেছে। যেখানে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের ব্যর্থতার বর্ণনা দেওয়া।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। নিহত নাসরিন রঘুনাথপুর গ্রামের দিনমজুর এসকেন্দার মিয়া মেয়ে ও হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নাসরিনের ভাগনে বলেন, নাসরিনের মৃত্যুর কারণ সে নিজেই চিরকুটে লিখে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করলেও পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ওই ছেলে। এজন্যই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন। যে ছেলেটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, সে স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পান্না শিকদার। তার বাবার নাম লতিফ শিকদার।
তিনি আরও বলেন, দুপুর ১টার দিকে খবর পেয়ে দোকান থেকে এসে দেখি নাসরিন মারা গেছে। স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। নিহতের ভাবি জানান, পান্না শিকদার দীর্ঘদিন ধরে নাসরিনকে ডিস্টার্ব করত। এজন্য নাসরিন অনেক দিন স্কুলেও যেতে পারেনি। পান্না তাকে নানা রকম খারাপ কথা বলত। পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় নাসরিন আত্মহত্যা করেছে।
চিরকুটে নাসরিন লিখে গেছ, ‘আমি মরার কারণ হলো লতিফ শিকদারের একমাত্র ছেলে পান্না শিকদার। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার দেহ ভোগ করেছে। আমার শেষ ইচ্ছা, ওর এমন সাজা হোক যাতে আমার মতো আর কারও জীবন নষ্ট না হয়। বাবা এবং ভাই-বোনের কথা রাখতে পারলাম না। আমাকে মাফ করে দিও। আমি বিয়ে করলেও কোনোদিন সুখী হতাম না। আমি তো এমনিতেই জাহান্নামি।’
‘মা, আমি নাই, তাতে কী হয়েছে, আরও তো ভাই-বোন আছে। মা, আমাকে বিয়ে দিতা না? মনে করবা আমি শ্বশুরবাড়ি গেছি। একটুও কান্না করবা না। আমার বুকে অনেক কষ্ট, তাই আর সহ্য করতে পারলাম না। পান্নার জন্য কত কিছু করেছি, কিন্তু সে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে।
বলেছে, আমি নাকি অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলি। তাই হলে ওর কাছে বারবার যেতাম না। বিদায়, সবাই ভালো থেকো। ওর জন্য আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি ওর উচিত শিক্ষা চাই। এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ওসি মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন (১৬) নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে সে দেড় পৃষ্ঠার একটি হৃদয়বিদারক চিরকুট লিখে গেছে। যেখানে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের ব্যর্থতার বর্ণনা দেওয়া।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। নিহত নাসরিন রঘুনাথপুর গ্রামের দিনমজুর এসকেন্দার মিয়া মেয়ে ও হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নাসরিনের ভাগনে বলেন, নাসরিনের মৃত্যুর কারণ সে নিজেই চিরকুটে লিখে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করলেও পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ওই ছেলে। এজন্যই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন। যে ছেলেটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, সে স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পান্না শিকদার। তার বাবার নাম লতিফ শিকদার।
তিনি আরও বলেন, দুপুর ১টার দিকে খবর পেয়ে দোকান থেকে এসে দেখি নাসরিন মারা গেছে। স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। নিহতের ভাবি জানান, পান্না শিকদার দীর্ঘদিন ধরে নাসরিনকে ডিস্টার্ব করত। এজন্য নাসরিন অনেক দিন স্কুলেও যেতে পারেনি। পান্না তাকে নানা রকম খারাপ কথা বলত। পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় নাসরিন আত্মহত্যা করেছে।
চিরকুটে নাসরিন লিখে গেছ, ‘আমি মরার কারণ হলো লতিফ শিকদারের একমাত্র ছেলে পান্না শিকদার। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার দেহ ভোগ করেছে। আমার শেষ ইচ্ছা, ওর এমন সাজা হোক যাতে আমার মতো আর কারও জীবন নষ্ট না হয়। বাবা এবং ভাই-বোনের কথা রাখতে পারলাম না। আমাকে মাফ করে দিও। আমি বিয়ে করলেও কোনোদিন সুখী হতাম না। আমি তো এমনিতেই জাহান্নামি।’
‘মা, আমি নাই, তাতে কী হয়েছে, আরও তো ভাই-বোন আছে। মা, আমাকে বিয়ে দিতা না? মনে করবা আমি শ্বশুরবাড়ি গেছি। একটুও কান্না করবা না। আমার বুকে অনেক কষ্ট, তাই আর সহ্য করতে পারলাম না। পান্নার জন্য কত কিছু করেছি, কিন্তু সে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে।
বলেছে, আমি নাকি অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলি। তাই হলে ওর কাছে বারবার যেতাম না। বিদায়, সবাই ভালো থেকো। ওর জন্য আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি ওর উচিত শিক্ষা চাই। এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ওসি মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২০ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৬
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৩৫ বছরের এক নারীকে বিয়ের দাবিতে আবুল কাসেম মুন্সি নামে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের অনশনকে কেন্দ্র করে গ্রামে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ৩৫ বছরের ওই নারী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৃদ্ধের কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামে অনশন করেন পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের আবুল কাসেম মুন্সি। তার দাবি, প্রায় দুই মাস আগে পরিচয়ের পর ওই নারী বিয়েতে রাজি হয়ে তার কাছ থেকে ৩৫-৪০ হাজার টাকা নেন। পরে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। অবশেষে আসল বাড়ি খুঁজে পেয়ে তিনি একটিই শর্ত দেন হয় টাকা ফেরত দেবে, নয়তো আমাকে বিয়ে করবে।
সরেজমিনে বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামের ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি কাঠের ঘরে মাহিনুর নামের ওই নারীর বসবাস। ঘরটিতে এখন তালা ঝুলছে। পাশেই রান্না ঘরে উনুনের উপরে রয়েছে একটি ফাঁকা পাত্র। বাইরে দড়িতে কয়েকটি জামাকাপড় টানানো। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মাহিনুর নামের ওই নারী।
গ্রামজুড়ে এ ঘটনার ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ওই নারী আগেও একাধিক পুরুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে প্রতারণা করতে দিলে আরও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার শাস্তি হওয়া দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা আলফু শেখ বলেন, মাহিনুর আগেও অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে বিয়ের কথা বলে টাকা না নিলে তো আর তিনি বাড়ি আইসা বসতেন না। মাহিনুরের জন্য আমাদের পুরো এলাকার মানসম্মান গেছে আমরা এর সঠিক সমাধান চাই।
রাসেদা বেগম নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ওই নারী এর আগে আরও ৭ থেকে ৮টা বিয়ে করছে। এক স্বামী থাকতে আরেক জনের সঙ্গে বিয়ে করে। আমরা তার সঠিক বিচার চাই।মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম বলেন, আমি আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে এলাকার বিষয়টি শুনেছি। আমি ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৩৫ বছরের এক নারীকে বিয়ের দাবিতে আবুল কাসেম মুন্সি নামে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের অনশনকে কেন্দ্র করে গ্রামে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ৩৫ বছরের ওই নারী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৃদ্ধের কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামে অনশন করেন পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের আবুল কাসেম মুন্সি। তার দাবি, প্রায় দুই মাস আগে পরিচয়ের পর ওই নারী বিয়েতে রাজি হয়ে তার কাছ থেকে ৩৫-৪০ হাজার টাকা নেন। পরে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। অবশেষে আসল বাড়ি খুঁজে পেয়ে তিনি একটিই শর্ত দেন হয় টাকা ফেরত দেবে, নয়তো আমাকে বিয়ে করবে।
সরেজমিনে বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামের ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি কাঠের ঘরে মাহিনুর নামের ওই নারীর বসবাস। ঘরটিতে এখন তালা ঝুলছে। পাশেই রান্না ঘরে উনুনের উপরে রয়েছে একটি ফাঁকা পাত্র। বাইরে দড়িতে কয়েকটি জামাকাপড় টানানো। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মাহিনুর নামের ওই নারী।
গ্রামজুড়ে এ ঘটনার ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ওই নারী আগেও একাধিক পুরুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে প্রতারণা করতে দিলে আরও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার শাস্তি হওয়া দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা আলফু শেখ বলেন, মাহিনুর আগেও অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে বিয়ের কথা বলে টাকা না নিলে তো আর তিনি বাড়ি আইসা বসতেন না। মাহিনুরের জন্য আমাদের পুরো এলাকার মানসম্মান গেছে আমরা এর সঠিক সমাধান চাই।
রাসেদা বেগম নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ওই নারী এর আগে আরও ৭ থেকে ৮টা বিয়ে করছে। এক স্বামী থাকতে আরেক জনের সঙ্গে বিয়ে করে। আমরা তার সঠিক বিচার চাই।মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম বলেন, আমি আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে এলাকার বিষয়টি শুনেছি। আমি ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.