২৯ মে, ২০২৫ ১৫:৫৯
দেশের ৬ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব এলাকার নদ-নদীসমূহ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। একই সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিন চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী ইত্যাদি নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; এবং এই সময় মুহুরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে ফেনী জেলার মুহুরী নদীর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। পরবর্তী একদিন নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় উক্ত নদীসমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
Officia doloremque e
দেশের ৬ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব এলাকার নদ-নদীসমূহ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। একই সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিন চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী ইত্যাদি নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; এবং এই সময় মুহুরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে ফেনী জেলার মুহুরী নদীর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। পরবর্তী একদিন নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় উক্ত নদীসমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
১১ আগস্ট, ২০২৫ ০৯:১৬
১১ আগস্ট, ২০২৫ ০১:০৭
১১ আগস্ট, ২০২৫ ০০:৫৪
১০ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:০৩
১০ আগস্ট, ২০২৫ ২০:০০
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় ও একটি চিরকুট ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। চিরকুটে লেখা ছিল— ‘প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ— মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
হুমকি পাওয়া ওই নেতার নাম খালিদ হাসান মিলু। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক। তার বাড়ি মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামে।
খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘‘শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়িতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। পরে বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়।’’
খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘‘শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি বাসায় ফিরি। কিছুক্ষণ পর জানালার পাশ থেকে অপরিচিত একজনের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘বাইরে বের হয়ে দেখ।’ বারান্দায় গিয়ে দেখি, টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে এবং চারপাশে পেট্রলের গন্ধ।’’
তিনি বলেন, “আমি বাইরে না গিয়ে প্রথমে প্রতিবেশীদের ডাকি। ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরীও আসে। পরে বাইরে এসে একটি পলিথিন দেখতে পাই। পুলিশ আসার পর সেটি খোলা হয়, ভেতরে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়। বৃষ্টির কারণে বাড়ির চারপাশ ভেজা থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। যে অংশে আগুন লেগেছিল, তা আমরা নিভিয়ে ফেলতে পেরেছি। হুমকি পেয়ে আমি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। চিরকুটে ‘জয় বাংলা’ লেখা থাকায় কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা অনুমান করা কঠিন নয়।”
এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো আমাদের এভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। প্রশাসন যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিত, সন্ত্রাসীরা এমন সাহস দেখাতে পারত না। আমরা এ ব্যাপারে জিডি করব।”
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, “রাত পৌনে ১২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনা তদন্তাধীন।”
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় ও একটি চিরকুট ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। চিরকুটে লেখা ছিল— ‘প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ— মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
হুমকি পাওয়া ওই নেতার নাম খালিদ হাসান মিলু। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক। তার বাড়ি মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামে।
খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘‘শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়িতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। পরে বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়।’’
খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘‘শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি বাসায় ফিরি। কিছুক্ষণ পর জানালার পাশ থেকে অপরিচিত একজনের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘বাইরে বের হয়ে দেখ।’ বারান্দায় গিয়ে দেখি, টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে এবং চারপাশে পেট্রলের গন্ধ।’’
তিনি বলেন, “আমি বাইরে না গিয়ে প্রথমে প্রতিবেশীদের ডাকি। ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরীও আসে। পরে বাইরে এসে একটি পলিথিন দেখতে পাই। পুলিশ আসার পর সেটি খোলা হয়, ভেতরে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়। বৃষ্টির কারণে বাড়ির চারপাশ ভেজা থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। যে অংশে আগুন লেগেছিল, তা আমরা নিভিয়ে ফেলতে পেরেছি। হুমকি পেয়ে আমি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। চিরকুটে ‘জয় বাংলা’ লেখা থাকায় কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা অনুমান করা কঠিন নয়।”
এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো আমাদের এভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। প্রশাসন যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিত, সন্ত্রাসীরা এমন সাহস দেখাতে পারত না। আমরা এ ব্যাপারে জিডি করব।”
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, “রাত পৌনে ১২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনা তদন্তাধীন।”
১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:২৬
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৬৭০ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল করা বিষয় থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাস করেছে ১৮৭ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন।
আজ রোববার (১০ আগস্ট) সকালে এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যশোর বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী। পাস করে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৯ শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পায় ১৫ হাজার ৪১০ শিক্ষার্থী। বোর্ডের ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে ৪৯ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী।
আজ সেই পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফলে ৬৭০ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ১৮৭ জন। নতুন করে পাস করা ১৮৭ জনের মধ্যে ২৩ জন ‘এ’ গ্রেড, ৩৩ জন ‘এ’ মাইনাস, ২৩ জন ‘বি’ গ্রেড, ৩৪ জন ‘সি’ গ্রেড ও ৭৪ জন ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছে। নতুন করে ২৭১ জন জিপিএ-৫-প্রাপ্তদের মধ্যে ‘এ’ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৫ জন।
‘এ’ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন। ‘বি’ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুজন। ‘সি’ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। এ ছাড়া ‘এ’ মাইনাস থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে ১৩৩ জন।
‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ-মাইনাস’ পেয়েছে ৫৫ জন। ‘বি’ থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে তিনজন। ‘সি’ থেকে ‘বি’ গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন। ‘সি’ থেকে ‘এ-মাইনাস’ পেয়েছে চারজন। ‘ডি’ থেকে ‘সি’ গ্রেড পেয়েছে চারজন।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনর্নিরীক্ষণের রেজাল্টে পরিবর্তন আসে।
সব শিক্ষক সমান নন। কিছু কিছু শিক্ষক দায়িত্বহীনতার প্রমাণ দিয়েছেন। তা ছাড়া এবার প্রশ্নপত্র নিয়েও কিছু সমস্যা ছিল। কিছু প্রশ্নে উত্তর চারটিই ওপেন ছিল।
কিন্তু খাতা মূল্যায়নের শিক্ষক সেদিকে খেয়াল না রেখে ভুল নম্বর দিয়েছেন। এবার অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনর্নিরীক্ষণ করা হয়েছে। নিয়ম অনুয়ায়ী যে প্রাপ্য ফলাফল, সেটাই দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষক দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন; তাঁদের বিরুদ্ধে অব্যশই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের খাতা মূল্যায়নে বাতিল করা হবে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৬৭০ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল করা বিষয় থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাস করেছে ১৮৭ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন।
আজ রোববার (১০ আগস্ট) সকালে এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যশোর বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী। পাস করে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৯ শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পায় ১৫ হাজার ৪১০ শিক্ষার্থী। বোর্ডের ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে ৪৯ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী।
আজ সেই পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফলে ৬৭০ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ১৮৭ জন। নতুন করে পাস করা ১৮৭ জনের মধ্যে ২৩ জন ‘এ’ গ্রেড, ৩৩ জন ‘এ’ মাইনাস, ২৩ জন ‘বি’ গ্রেড, ৩৪ জন ‘সি’ গ্রেড ও ৭৪ জন ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছে। নতুন করে ২৭১ জন জিপিএ-৫-প্রাপ্তদের মধ্যে ‘এ’ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৫ জন।
‘এ’ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন। ‘বি’ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুজন। ‘সি’ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। এ ছাড়া ‘এ’ মাইনাস থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে ১৩৩ জন।
‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ-মাইনাস’ পেয়েছে ৫৫ জন। ‘বি’ থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে তিনজন। ‘সি’ থেকে ‘বি’ গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন। ‘সি’ থেকে ‘এ-মাইনাস’ পেয়েছে চারজন। ‘ডি’ থেকে ‘সি’ গ্রেড পেয়েছে চারজন।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনর্নিরীক্ষণের রেজাল্টে পরিবর্তন আসে।
সব শিক্ষক সমান নন। কিছু কিছু শিক্ষক দায়িত্বহীনতার প্রমাণ দিয়েছেন। তা ছাড়া এবার প্রশ্নপত্র নিয়েও কিছু সমস্যা ছিল। কিছু প্রশ্নে উত্তর চারটিই ওপেন ছিল।
কিন্তু খাতা মূল্যায়নের শিক্ষক সেদিকে খেয়াল না রেখে ভুল নম্বর দিয়েছেন। এবার অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনর্নিরীক্ষণ করা হয়েছে। নিয়ম অনুয়ায়ী যে প্রাপ্য ফলাফল, সেটাই দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষক দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন; তাঁদের বিরুদ্ধে অব্যশই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের খাতা মূল্যায়নে বাতিল করা হবে।
১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৬
রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৯টায় উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
নিহতরা হলেন- কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর এলাকার রূপলাল দাস (৪০) ও মিঠাপুকুরের বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস (৩৫)। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার লালচাদ দাসের ছেলে ডিপজল দাসের সঙ্গে। রোববার (১০ আগস্ট) বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল।
এ জন্য মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে প্রদীপ দাস রূপলাল দাসের বাড়ির দিকে রওনা হন। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ দাস সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলালকে ফোন করেন। সেখানে রূপলাল গেলে দুজনে রিকশায় চড়ে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন।
রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছলে চোর সন্দেহে তাদের দুজনকে কয়েকজন আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ দাসের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন লোকজন। এর একটি বোতল খুললে ভেতরে থাকা তরলের ঘ্রাণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাশারিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন ও বুড়িরহাটের মেহেদী হাসান। এতে লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে।
এরপর ভ্যান চুরির সন্দেহে তাদের মারধর শুরু করেন। বটতলা থেকে মারতে মারতে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয় তাদের। মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হলে সেখানে ফেলে রাখা হয়।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় পুলিশ তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্বব্যরত চিকিৎসক রূপলাল দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত প্রদীপ দাসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোরে তিনিও মারা যান।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, অজ্ঞানপার্টি সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। বোতলে দুর্গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ আছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বোঝা যাবে সেগুলো আসলে কী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৯টায় উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
নিহতরা হলেন- কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর এলাকার রূপলাল দাস (৪০) ও মিঠাপুকুরের বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস (৩৫)। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার লালচাদ দাসের ছেলে ডিপজল দাসের সঙ্গে। রোববার (১০ আগস্ট) বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল।
এ জন্য মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে প্রদীপ দাস রূপলাল দাসের বাড়ির দিকে রওনা হন। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ দাস সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলালকে ফোন করেন। সেখানে রূপলাল গেলে দুজনে রিকশায় চড়ে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন।
রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছলে চোর সন্দেহে তাদের দুজনকে কয়েকজন আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ দাসের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন লোকজন। এর একটি বোতল খুললে ভেতরে থাকা তরলের ঘ্রাণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাশারিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন ও বুড়িরহাটের মেহেদী হাসান। এতে লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে।
এরপর ভ্যান চুরির সন্দেহে তাদের মারধর শুরু করেন। বটতলা থেকে মারতে মারতে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয় তাদের। মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হলে সেখানে ফেলে রাখা হয়।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় পুলিশ তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্বব্যরত চিকিৎসক রূপলাল দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত প্রদীপ দাসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোরে তিনিও মারা যান।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, অজ্ঞানপার্টি সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। বোতলে দুর্গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ আছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বোঝা যাবে সেগুলো আসলে কী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.