১৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৩২
বরিশাল নগরের কাউনিয়ার সেকশন খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারু কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও শুভংকর চক্রবর্তি; সুজনের জেলার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত; বেলার বরিশালের সমন্বয়ক লিকংন বায়েন; নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুভাষ দাস; শুকতারা খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিনা ও মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কাউনিয়া সেকশন রোডের একমাত্র খেলার মাঠটির জেলা পুলিশ বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কিন্তু নগরীর ৭নং ও ২নং ওয়ার্ডের শিশু-কিশোররা নিয়মিত খেলাধুলার জন্য একটিমাত্র মাঠ রয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডে বসবাসকারী নাগরিকদের অন্য কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। ফলে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃত ব্যক্তির জানাজা নামাজ পর্যন্ত এ মাঠকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়।
এ ছাড়া মাঠকে কেন্দ্র করে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও যাবতীয় অনুষ্ঠান, একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার নিয়মিত বার্ষিক মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের একটি শাখা আসরের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ মাঠ দখল হয়ে গেলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশু-কিশোরদের ওপরে। তাই আমরা লিজ বাতিলসহ খেলার মাঠটি শিশু কিশোরদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। যার অনুলিপি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুল কবির বলেন, ‘এই মাঠ ৭নং ওয়ার্ডের প্রাণ। এ ওয়ার্ডে অন্যকোনো মাঠ কিংবা খালি জায়গা নেই। যেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে। এটিই একমাত্র ভরসা। এই মাঠ আমরা কিছুতেই ছাড়ব না।’
তিনি জানান, এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান/গোডাউন বরাদ্দ চলছে লেখা একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছিল। ওই সময়ে মাঠে গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছিল স্থানীয়রা। এর প্রেক্ষিতে ওই সাইনবোর্ড মাঠ থেকে অপসারণ করে মাঠটি উন্মুখ রাখা হয়।
বরিশা্ল জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ‘১৯৬৪ সাল থেকে ওই সম্পত্তির মালিক জেলা পুলিশ। জমির একাংশের ওপর স্থানীয়রা মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছেন। অবশিষ্ট মাঠ বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। বছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পুলিশকে খাজনা দিতে হয় এ মাঠের জন্য। সেজন্যই মাঠে জেলা পুলিশ স্টল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে মাঠটি চারদিক থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে মাসেজ দেওয়া হলে তিনি সিন করলেও কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা সেকশনের মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে দিয়েছেন। সেটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বরিশাল নগরের কাউনিয়ার সেকশন খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারু কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও শুভংকর চক্রবর্তি; সুজনের জেলার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত; বেলার বরিশালের সমন্বয়ক লিকংন বায়েন; নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুভাষ দাস; শুকতারা খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিনা ও মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কাউনিয়া সেকশন রোডের একমাত্র খেলার মাঠটির জেলা পুলিশ বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কিন্তু নগরীর ৭নং ও ২নং ওয়ার্ডের শিশু-কিশোররা নিয়মিত খেলাধুলার জন্য একটিমাত্র মাঠ রয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডে বসবাসকারী নাগরিকদের অন্য কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। ফলে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃত ব্যক্তির জানাজা নামাজ পর্যন্ত এ মাঠকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়।
এ ছাড়া মাঠকে কেন্দ্র করে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও যাবতীয় অনুষ্ঠান, একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার নিয়মিত বার্ষিক মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের একটি শাখা আসরের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ মাঠ দখল হয়ে গেলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশু-কিশোরদের ওপরে। তাই আমরা লিজ বাতিলসহ খেলার মাঠটি শিশু কিশোরদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। যার অনুলিপি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুল কবির বলেন, ‘এই মাঠ ৭নং ওয়ার্ডের প্রাণ। এ ওয়ার্ডে অন্যকোনো মাঠ কিংবা খালি জায়গা নেই। যেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে। এটিই একমাত্র ভরসা। এই মাঠ আমরা কিছুতেই ছাড়ব না।’
তিনি জানান, এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান/গোডাউন বরাদ্দ চলছে লেখা একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছিল। ওই সময়ে মাঠে গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছিল স্থানীয়রা। এর প্রেক্ষিতে ওই সাইনবোর্ড মাঠ থেকে অপসারণ করে মাঠটি উন্মুখ রাখা হয়।
বরিশা্ল জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ‘১৯৬৪ সাল থেকে ওই সম্পত্তির মালিক জেলা পুলিশ। জমির একাংশের ওপর স্থানীয়রা মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছেন। অবশিষ্ট মাঠ বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। বছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পুলিশকে খাজনা দিতে হয় এ মাঠের জন্য। সেজন্যই মাঠে জেলা পুলিশ স্টল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে মাঠটি চারদিক থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে মাসেজ দেওয়া হলে তিনি সিন করলেও কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা সেকশনের মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে দিয়েছেন। সেটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.