
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৩২
বরিশাল নগরের কাউনিয়ার সেকশন খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারু কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও শুভংকর চক্রবর্তি; সুজনের জেলার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত; বেলার বরিশালের সমন্বয়ক লিকংন বায়েন; নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুভাষ দাস; শুকতারা খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিনা ও মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কাউনিয়া সেকশন রোডের একমাত্র খেলার মাঠটির জেলা পুলিশ বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কিন্তু নগরীর ৭নং ও ২নং ওয়ার্ডের শিশু-কিশোররা নিয়মিত খেলাধুলার জন্য একটিমাত্র মাঠ রয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডে বসবাসকারী নাগরিকদের অন্য কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। ফলে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃত ব্যক্তির জানাজা নামাজ পর্যন্ত এ মাঠকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়।
এ ছাড়া মাঠকে কেন্দ্র করে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও যাবতীয় অনুষ্ঠান, একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার নিয়মিত বার্ষিক মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের একটি শাখা আসরের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ মাঠ দখল হয়ে গেলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশু-কিশোরদের ওপরে। তাই আমরা লিজ বাতিলসহ খেলার মাঠটি শিশু কিশোরদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। যার অনুলিপি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুল কবির বলেন, ‘এই মাঠ ৭নং ওয়ার্ডের প্রাণ। এ ওয়ার্ডে অন্যকোনো মাঠ কিংবা খালি জায়গা নেই। যেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে। এটিই একমাত্র ভরসা। এই মাঠ আমরা কিছুতেই ছাড়ব না।’
তিনি জানান, এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান/গোডাউন বরাদ্দ চলছে লেখা একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছিল। ওই সময়ে মাঠে গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছিল স্থানীয়রা। এর প্রেক্ষিতে ওই সাইনবোর্ড মাঠ থেকে অপসারণ করে মাঠটি উন্মুখ রাখা হয়।
বরিশা্ল জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ‘১৯৬৪ সাল থেকে ওই সম্পত্তির মালিক জেলা পুলিশ। জমির একাংশের ওপর স্থানীয়রা মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছেন। অবশিষ্ট মাঠ বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। বছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পুলিশকে খাজনা দিতে হয় এ মাঠের জন্য। সেজন্যই মাঠে জেলা পুলিশ স্টল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে মাঠটি চারদিক থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে মাসেজ দেওয়া হলে তিনি সিন করলেও কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা সেকশনের মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে দিয়েছেন। সেটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বরিশাল নগরের কাউনিয়ার সেকশন খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারু কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও শুভংকর চক্রবর্তি; সুজনের জেলার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত; বেলার বরিশালের সমন্বয়ক লিকংন বায়েন; নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুভাষ দাস; শুকতারা খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিনা ও মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কাউনিয়া সেকশন রোডের একমাত্র খেলার মাঠটির জেলা পুলিশ বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কিন্তু নগরীর ৭নং ও ২নং ওয়ার্ডের শিশু-কিশোররা নিয়মিত খেলাধুলার জন্য একটিমাত্র মাঠ রয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডে বসবাসকারী নাগরিকদের অন্য কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। ফলে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃত ব্যক্তির জানাজা নামাজ পর্যন্ত এ মাঠকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়।
এ ছাড়া মাঠকে কেন্দ্র করে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও যাবতীয় অনুষ্ঠান, একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার নিয়মিত বার্ষিক মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের একটি শাখা আসরের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ মাঠ দখল হয়ে গেলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশু-কিশোরদের ওপরে। তাই আমরা লিজ বাতিলসহ খেলার মাঠটি শিশু কিশোরদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। যার অনুলিপি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুল কবির বলেন, ‘এই মাঠ ৭নং ওয়ার্ডের প্রাণ। এ ওয়ার্ডে অন্যকোনো মাঠ কিংবা খালি জায়গা নেই। যেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে। এটিই একমাত্র ভরসা। এই মাঠ আমরা কিছুতেই ছাড়ব না।’
তিনি জানান, এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান/গোডাউন বরাদ্দ চলছে লেখা একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছিল। ওই সময়ে মাঠে গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছিল স্থানীয়রা। এর প্রেক্ষিতে ওই সাইনবোর্ড মাঠ থেকে অপসারণ করে মাঠটি উন্মুখ রাখা হয়।
বরিশা্ল জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ‘১৯৬৪ সাল থেকে ওই সম্পত্তির মালিক জেলা পুলিশ। জমির একাংশের ওপর স্থানীয়রা মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছেন। অবশিষ্ট মাঠ বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। বছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পুলিশকে খাজনা দিতে হয় এ মাঠের জন্য। সেজন্যই মাঠে জেলা পুলিশ স্টল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে মাঠটি চারদিক থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে মাসেজ দেওয়া হলে তিনি সিন করলেও কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা সেকশনের মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে দিয়েছেন। সেটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩২
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বরিশালে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মূল প্রতিপক্ষ ৮ দলীয় জোটের দুই শরিকের মধ্যে আসন সমঝোতা না হবার মধ্যে উভয় দলই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে প্রচার প্রচারণা জোরদার করছে। এ জোটের মধ্যে এখনো বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী নিয়েই প্রকাশ্যে ও পর্দার অন্তরালে টানাপোড়েন চলছে। উভয় দলই প্রার্থী ঘোষণার পরে শক্ত প্রচারণায়ও রয়েছেন গত কয়েকমাস ধরে। এমনকি ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াত ইসলামী, উভয়ই বরিশাল সদর আসনে তাদের দাবী অগ্রগণ্য বলে প্রকাশ্যে নানা যুক্তিও উপস্থাপন করে চলেছেন। গত সপ্তাহেই বরিশাল প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ও দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করিম ‘বরিশাল সদর আসনটি অন্য কারো দাবী করা উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে জামায়াত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল এ প্রসঙ্গে সরাসরি কোন মন্তব্য না করে ‘জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী নির্ধারণ হবে’ বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী ইতোপূর্বে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি সংসদীয় আসনেই প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রচারণার মাঠেও জোটের এ মূল দুই শরিকই সরগরম প্রচারণায় রয়েছেন। এরইমধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ৮ দলীয় জোটের বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াতের আমীর উপস্থিত না হলেও বিশাল ঐ সমাবেশে দুটি দলের কর্মীরাই হাতপাখা ও দাড়িপাল্লার প্রতীক নিয়ে মহানগরীতে সমর্থনের পাল্লার জানান দিয়েছেন। তবে আমীরের বরিশাল সমাবেশে যোগ না দেয়ার বিষয়টি ‘সদর আসনে ইসলামী আন্দোলনকে ছাড় দেয়ার পূর্বাভাস’ বলে কেউ কেউ মন্তব্য করলেও দলের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বিষয়টি নাকচ করে বরিশাল সদর আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা সহ এ আসনে তাদেরই নির্বাচন করার অনেক যুক্তিও তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেই এনসিপি’র সাথে জামায়াতে ইসলামীর নতুন করে আলোচনার বিষয়টিও ৮ দলীয় জোট শরিকদের মাঝে নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। জোটের কোন কোন শরিকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনে জোটের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ের মধ্যে নতুন করে শরিক বৃদ্ধি করায় অনেক কিছুই এলোমেলো হতে চলেছে। এনসিপি কতটি আসন চাইবে এবং তাদের কতটি আসন দেয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত না হলেও দলটি ৮ দলীয় জোটভুক্ত হলে, তাদের আসন ছেড়ে দিতে গিয়ে এতদিনের সব হিসেব নতুন করে করতে হবে বলে মনে করছেন একাধিক শরিক দল নেতবৃন্দ।
তবে এসব কিছুর মধ্যে ৮ দলীয় জোটের মূল শরিক ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি রেজাউল করিম, পীর ছাহেব চরমোনাই শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের হাতে মনোনয়নের চূড়ান্ত কাগজ তুলে দিয়েছেন। যেখানে বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে মুফতি ফয়জুল করিমকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বরিশাল সদর আসনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে বরিশাল-৬ আসনটি ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে ইসলামী আন্দোলনের একাধিক সূত্র ‘বরিশাল সদর আসন নিয়ে কোন দল বা জোটের সাথে ছাড় দেয়া হবে না’ বলেই এখনো জানান হচ্ছে। জামায়াত ইসলামীর দায়িত্বশীল মহল প্রকাশ্যে কোন বক্তব্য না দিলেও ‘বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে’ বলে জানালেও তারা যে যথেষ্ট বিব্রত এবং কর্মীরা ক্ষুব্ধ তা আড়াল থাকছে না।
তবে বিএনপি ও তাদের শরিকরা পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। কারণ বরিশাল সদর আসনে ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী কোন দল থেকে কে হচ্ছেন, তার ওপরই তাদের ভোটের মাঠের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে ।
এমনকি বরিশাল সদর আসনে দল ও প্রার্থীদের ওপরই নির্বাচনী পরিবেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে, বলে মনে করছেন নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, ভোটের লড়াইয়ে দল ও প্রার্থী মনোনয়ন দেখেই নির্বাচনী পরিবেশ চিন্তা করবেন তারা। সেভাবেই সব প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টিও ভাবতে হবে বলেও মনে করেন একাধিক দায়িত্বশীল মহলও।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বরিশালে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মূল প্রতিপক্ষ ৮ দলীয় জোটের দুই শরিকের মধ্যে আসন সমঝোতা না হবার মধ্যে উভয় দলই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে প্রচার প্রচারণা জোরদার করছে। এ জোটের মধ্যে এখনো বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী নিয়েই প্রকাশ্যে ও পর্দার অন্তরালে টানাপোড়েন চলছে। উভয় দলই প্রার্থী ঘোষণার পরে শক্ত প্রচারণায়ও রয়েছেন গত কয়েকমাস ধরে। এমনকি ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াত ইসলামী, উভয়ই বরিশাল সদর আসনে তাদের দাবী অগ্রগণ্য বলে প্রকাশ্যে নানা যুক্তিও উপস্থাপন করে চলেছেন। গত সপ্তাহেই বরিশাল প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ও দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করিম ‘বরিশাল সদর আসনটি অন্য কারো দাবী করা উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে জামায়াত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল এ প্রসঙ্গে সরাসরি কোন মন্তব্য না করে ‘জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী নির্ধারণ হবে’ বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী ইতোপূর্বে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি সংসদীয় আসনেই প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রচারণার মাঠেও জোটের এ মূল দুই শরিকই সরগরম প্রচারণায় রয়েছেন। এরইমধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ৮ দলীয় জোটের বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াতের আমীর উপস্থিত না হলেও বিশাল ঐ সমাবেশে দুটি দলের কর্মীরাই হাতপাখা ও দাড়িপাল্লার প্রতীক নিয়ে মহানগরীতে সমর্থনের পাল্লার জানান দিয়েছেন। তবে আমীরের বরিশাল সমাবেশে যোগ না দেয়ার বিষয়টি ‘সদর আসনে ইসলামী আন্দোলনকে ছাড় দেয়ার পূর্বাভাস’ বলে কেউ কেউ মন্তব্য করলেও দলের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বিষয়টি নাকচ করে বরিশাল সদর আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা সহ এ আসনে তাদেরই নির্বাচন করার অনেক যুক্তিও তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেই এনসিপি’র সাথে জামায়াতে ইসলামীর নতুন করে আলোচনার বিষয়টিও ৮ দলীয় জোট শরিকদের মাঝে নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। জোটের কোন কোন শরিকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনে জোটের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ের মধ্যে নতুন করে শরিক বৃদ্ধি করায় অনেক কিছুই এলোমেলো হতে চলেছে। এনসিপি কতটি আসন চাইবে এবং তাদের কতটি আসন দেয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত না হলেও দলটি ৮ দলীয় জোটভুক্ত হলে, তাদের আসন ছেড়ে দিতে গিয়ে এতদিনের সব হিসেব নতুন করে করতে হবে বলে মনে করছেন একাধিক শরিক দল নেতবৃন্দ।
তবে এসব কিছুর মধ্যে ৮ দলীয় জোটের মূল শরিক ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি রেজাউল করিম, পীর ছাহেব চরমোনাই শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের হাতে মনোনয়নের চূড়ান্ত কাগজ তুলে দিয়েছেন। যেখানে বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে মুফতি ফয়জুল করিমকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বরিশাল সদর আসনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে বরিশাল-৬ আসনটি ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে ইসলামী আন্দোলনের একাধিক সূত্র ‘বরিশাল সদর আসন নিয়ে কোন দল বা জোটের সাথে ছাড় দেয়া হবে না’ বলেই এখনো জানান হচ্ছে। জামায়াত ইসলামীর দায়িত্বশীল মহল প্রকাশ্যে কোন বক্তব্য না দিলেও ‘বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে’ বলে জানালেও তারা যে যথেষ্ট বিব্রত এবং কর্মীরা ক্ষুব্ধ তা আড়াল থাকছে না।
তবে বিএনপি ও তাদের শরিকরা পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। কারণ বরিশাল সদর আসনে ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী কোন দল থেকে কে হচ্ছেন, তার ওপরই তাদের ভোটের মাঠের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে ।
এমনকি বরিশাল সদর আসনে দল ও প্রার্থীদের ওপরই নির্বাচনী পরিবেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে, বলে মনে করছেন নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, ভোটের লড়াইয়ে দল ও প্রার্থী মনোনয়ন দেখেই নির্বাচনী পরিবেশ চিন্তা করবেন তারা। সেভাবেই সব প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টিও ভাবতে হবে বলেও মনে করেন একাধিক দায়িত্বশীল মহলও।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪২
ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা) বাবু লাল বৈদ্য। তিনি জানান, হঠাৎ করে নদী এলাকায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নৌপথে দৃষ্টিসীমা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা ও উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের সব নৌরুটে লঞ্চ, ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চলাচলরত লঞ্চগুলোকে যে যেখানে অবস্থান করছে, সেখানেই নদীর তীরে নিরাপদ স্থানে নোঙর করে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পুনরায় নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা) বাবু লাল বৈদ্য। তিনি জানান, হঠাৎ করে নদী এলাকায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নৌপথে দৃষ্টিসীমা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা ও উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের সব নৌরুটে লঞ্চ, ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চলাচলরত লঞ্চগুলোকে যে যেখানে অবস্থান করছে, সেখানেই নদীর তীরে নিরাপদ স্থানে নোঙর করে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পুনরায় নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৩
বরিশালের বানারীপাড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্বার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি মামলার আসামি হিসেবে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে বরিশালে আদালতে পাঠানো হবে।
বরিশালের বানারীপাড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্বার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি মামলার আসামি হিসেবে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে বরিশালে আদালতে পাঠানো হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩২
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৩
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৮