
১২ জুন, ২০২৫ ১৩:২৪
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভোলার ৭ উপজেলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে প্রতিদিন অবাদে ধরা হচ্ছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু। এসব চিংড়ির রেণুর সঙ্গে নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে শতাধিক প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। চিংড়ির রেণু ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য। নেই পর্যাপ্ত নজরদারি, তবে কঠোর অবস্থানের দাবি মৎস্য বিভাগের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাস চিংড়ির রেণুর ভরা মৌসুম। জেলেরা নদী থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেণু আহরণের পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জেলেদের কাছ থেকে প্রতি এক হাজার চিংড়ি রেণু ক্রয় করেন মাত্র ৯শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১শ টাকায়। এরপর ব্যবসায়ীরা এসব চিংড়ি খুলনা সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রামে করে কৌশলে পাচার করে প্রতি হাজার চিংড়ি রেণু বিক্রি করেন ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ভোলার গলদা ও বাগদা চিংড়ি দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিংড়ির রেণু শিকার। নদীতে অবৈধ মশারি জাল দিয়ে চিংড়ি রেণু শিকারের সময় জেলেদের জালে উঠে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে চিংড়ির রেণু পোনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতের মধ্যে লালমোহন উপজেলার ৫ জন, দৌলতখানের ২ জন ও ভোলা সদর উপজেলার একজন ব্যবসায়ী রয়েছে। এছাড়া ১ কোটি ৮০ লাখ চিংড়ির রেণু জব্দ করে নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। ভোলা সদরে উপজেলার তুলাতুলি, কাঠিরমাথা, ভোলারখাল, দৌলতখান উপজেলার মেদুয়াসহ মেঘনা নদী তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা মশারি জাল দিয়ে নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরছে।
কিছুক্ষণ পর পর জাল নিয়ে জেলেরা নদীর তীরে উঠে এসে চিংড়ির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রেণু 'চা চামচ এবং ঝিনুক' দিয়ে বেছে নির্দিষ্ট পাত্রে রেখে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজপ্রাণী মাটিতে ফেলে দিচ্ছেন এতে মারা যাচ্ছে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ।তবে জেলেদের দাবি পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই তারা চিংড়ির রেণু শিকার করেন। জেলে মো. কাঞ্চন, মো. রফিকুল ও সোহাগ বলেন, চলতি বছরে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে অনেক আশা ছিল নদীতে গিয়ে ইলিশসহ সব ধরনের বেশি পরিমাণে মাছ পাব।
কিন্তু হয়েছে উল্টো, নদীতে মাছ কম। নদীতে এখন প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি রেণু পাওয়া যায়। তাই আমরা বাধ্য হয়েই নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরি। না ধরলে আমাদের সংসার চলে না, কি করব? আমরা রেণুগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিপিছ প্রায় ১ টাকা করে বিক্রি করি। একেকজন জেলে দৈনিক ৫০০ থেকে দেড় হাজার পিস চিংড়ি রেণু শিকার করতে পারেন বলেও জানান তারা।
চিংড়ির পোনা ধরার কারনে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ধ্বংসের বিষয়টি স্বীকার করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে। তারা বলেন,নদীতে মশারি জাল টেনে উপরে তোলার পর দেখা যায় বিভিন্ন মাছের পোনা উঠেছে। পরে চিংড়ির পোনা রেখে বাকিগুলো নদীতে ফেলে দেই। তবে অধিকাংশ জেলেই চিংড়ি রেণু ব্যতীত অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণীর বিষয়ে উদাসীন। সেগুলো তারা অনেকটা স্বেচ্ছায় মেরে ফেলেন।
জেলে সমিতির পক্ষ থেকে জেলেদের নিরুৎসাহিত ও সচেতন করা হচ্ছে, কিছুই কাজে আসছে না জানিয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মৎস্যজীবী জেলে সমিতি ভোলার সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, গত দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় জেলেরা অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন।
ফলে রেণু চিংড়ি ধরে কিছুটা অভাব দূর করার চেষ্টা করছেন জেলেরা। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে জেলেদের প্রশিক্ষণ বা সচেতনতা বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করলে চিংড়ি শিকার থেকে বিরত রাখা সম্ভব হতো। জেলেরা নদীতে চিংড়ি রেণু ধরতে গিয়ে বিভিন্ন মাছের পোনা ধ্বংস করছে জানিয়ে মো. এরশাদ ফরাজি আরও বলেন, একটি চিংড়ি রেণু ধরতে গিয়ে অন্যান্য প্রজাতির আরও একশ প্রজাতির পোনা ধ্বংস করছে।
নদীতে রেণু পোনার পরিমাণ যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি। চিংড়ি রেণু শিকারীদের মধ্যে ৯০ ভাগই শিশু ও নারী। ফলে তাদের ক্ষেত্রে আইন বাস্তবায়ন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও অভিযান পরিচালনা করে আহরিত চিংড়ি রেণু আটক করে ফের নদীতে অবমুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।
বিশ্বজিৎ কুমার দেব আরও বলেন, চলতি মৌসুমে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ চিংড়ি রেণু পোনা আটক করা হয়েছে। যে সব অসাদু ব্যবসায়ীরা জেলেদের চিংড়ির রেণু ধরতে প্ররোচিত করছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনছি।
ইতোমধ্যে ৮ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি রেণু চিংড়ি আহরণ বন্ধ করতে। জেলেরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকাতে চিংড়ির রেণু শিকার করে এবং এ ব্যবসাটা ভ্রাম্যমাণ। তারপরও আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এদিকে ভবিষ্যতে নদীতে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে অতিদ্রুত চিংড়ি রেণু শিকার পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভোলার ৭ উপজেলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে প্রতিদিন অবাদে ধরা হচ্ছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু। এসব চিংড়ির রেণুর সঙ্গে নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে শতাধিক প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। চিংড়ির রেণু ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য। নেই পর্যাপ্ত নজরদারি, তবে কঠোর অবস্থানের দাবি মৎস্য বিভাগের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাস চিংড়ির রেণুর ভরা মৌসুম। জেলেরা নদী থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেণু আহরণের পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জেলেদের কাছ থেকে প্রতি এক হাজার চিংড়ি রেণু ক্রয় করেন মাত্র ৯শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১শ টাকায়। এরপর ব্যবসায়ীরা এসব চিংড়ি খুলনা সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রামে করে কৌশলে পাচার করে প্রতি হাজার চিংড়ি রেণু বিক্রি করেন ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ভোলার গলদা ও বাগদা চিংড়ি দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিংড়ির রেণু শিকার। নদীতে অবৈধ মশারি জাল দিয়ে চিংড়ি রেণু শিকারের সময় জেলেদের জালে উঠে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে চিংড়ির রেণু পোনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতের মধ্যে লালমোহন উপজেলার ৫ জন, দৌলতখানের ২ জন ও ভোলা সদর উপজেলার একজন ব্যবসায়ী রয়েছে। এছাড়া ১ কোটি ৮০ লাখ চিংড়ির রেণু জব্দ করে নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। ভোলা সদরে উপজেলার তুলাতুলি, কাঠিরমাথা, ভোলারখাল, দৌলতখান উপজেলার মেদুয়াসহ মেঘনা নদী তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা মশারি জাল দিয়ে নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরছে।
কিছুক্ষণ পর পর জাল নিয়ে জেলেরা নদীর তীরে উঠে এসে চিংড়ির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রেণু 'চা চামচ এবং ঝিনুক' দিয়ে বেছে নির্দিষ্ট পাত্রে রেখে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজপ্রাণী মাটিতে ফেলে দিচ্ছেন এতে মারা যাচ্ছে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ।তবে জেলেদের দাবি পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই তারা চিংড়ির রেণু শিকার করেন। জেলে মো. কাঞ্চন, মো. রফিকুল ও সোহাগ বলেন, চলতি বছরে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে অনেক আশা ছিল নদীতে গিয়ে ইলিশসহ সব ধরনের বেশি পরিমাণে মাছ পাব।
কিন্তু হয়েছে উল্টো, নদীতে মাছ কম। নদীতে এখন প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি রেণু পাওয়া যায়। তাই আমরা বাধ্য হয়েই নদী থেকে চিংড়ির রেণু ধরি। না ধরলে আমাদের সংসার চলে না, কি করব? আমরা রেণুগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিপিছ প্রায় ১ টাকা করে বিক্রি করি। একেকজন জেলে দৈনিক ৫০০ থেকে দেড় হাজার পিস চিংড়ি রেণু শিকার করতে পারেন বলেও জানান তারা।
চিংড়ির পোনা ধরার কারনে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ধ্বংসের বিষয়টি স্বীকার করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে। তারা বলেন,নদীতে মশারি জাল টেনে উপরে তোলার পর দেখা যায় বিভিন্ন মাছের পোনা উঠেছে। পরে চিংড়ির পোনা রেখে বাকিগুলো নদীতে ফেলে দেই। তবে অধিকাংশ জেলেই চিংড়ি রেণু ব্যতীত অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণীর বিষয়ে উদাসীন। সেগুলো তারা অনেকটা স্বেচ্ছায় মেরে ফেলেন।
জেলে সমিতির পক্ষ থেকে জেলেদের নিরুৎসাহিত ও সচেতন করা হচ্ছে, কিছুই কাজে আসছে না জানিয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মৎস্যজীবী জেলে সমিতি ভোলার সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, গত দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় জেলেরা অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন।
ফলে রেণু চিংড়ি ধরে কিছুটা অভাব দূর করার চেষ্টা করছেন জেলেরা। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে জেলেদের প্রশিক্ষণ বা সচেতনতা বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করলে চিংড়ি শিকার থেকে বিরত রাখা সম্ভব হতো। জেলেরা নদীতে চিংড়ি রেণু ধরতে গিয়ে বিভিন্ন মাছের পোনা ধ্বংস করছে জানিয়ে মো. এরশাদ ফরাজি আরও বলেন, একটি চিংড়ি রেণু ধরতে গিয়ে অন্যান্য প্রজাতির আরও একশ প্রজাতির পোনা ধ্বংস করছে।
নদীতে রেণু পোনার পরিমাণ যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি। চিংড়ি রেণু শিকারীদের মধ্যে ৯০ ভাগই শিশু ও নারী। ফলে তাদের ক্ষেত্রে আইন বাস্তবায়ন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও অভিযান পরিচালনা করে আহরিত চিংড়ি রেণু আটক করে ফের নদীতে অবমুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।
বিশ্বজিৎ কুমার দেব আরও বলেন, চলতি মৌসুমে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ চিংড়ি রেণু পোনা আটক করা হয়েছে। যে সব অসাদু ব্যবসায়ীরা জেলেদের চিংড়ির রেণু ধরতে প্ররোচিত করছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনছি।
ইতোমধ্যে ৮ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি রেণু চিংড়ি আহরণ বন্ধ করতে। জেলেরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকাতে চিংড়ির রেণু শিকার করে এবং এ ব্যবসাটা ভ্রাম্যমাণ। তারপরও আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এদিকে ভবিষ্যতে নদীতে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে অতিদ্রুত চিংড়ি রেণু শিকার পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৩
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তিন ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো, হাকিমউদ্দিনের দালালপুরে মেসার্স এস এন এস ব্রিকস, কুঞ্জেরহাটের মেসার্স রাকিব ব্রিকস ও মেসার্স মোল্লা ব্রিকস।
এদের মধ্যে এস এন এস ব্রিকস ও মোল্লা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা করে এবং রাকিব ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ফায়ার সার্ভিসের পাম্প মেশিন ব্যবহার করে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয় এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন নৌবাহিনী, পুলিশ লাইন, বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন ভোলা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজবীউল ইসলাম ইসকেম এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তিন ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো, হাকিমউদ্দিনের দালালপুরে মেসার্স এস এন এস ব্রিকস, কুঞ্জেরহাটের মেসার্স রাকিব ব্রিকস ও মেসার্স মোল্লা ব্রিকস।
এদের মধ্যে এস এন এস ব্রিকস ও মোল্লা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা করে এবং রাকিব ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ফায়ার সার্ভিসের পাম্প মেশিন ব্যবহার করে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয় এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন নৌবাহিনী, পুলিশ লাইন, বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন ভোলা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজবীউল ইসলাম ইসকেম এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৩
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ, তখন কুয়াশার বাধায় মুন্সিগঞ্জে আটকা পড়ে ভোলা চরফ্যাশন ও মনপুরাসহ বরিশাল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিশাল বহর। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ ৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদী অতিক্রম করে মুন্সিগঞ্জ সীমানায় ধলেশ্বরীতে পৌঁছালে ঘন কুয়াশায় কারণে নৌপথের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি যাত্রা বিরতি দেয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
এরপর প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় যাত্রা বিরতি শেষে সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
এর আগে, যাত্রা বিরতি চলাকালে ভোলা থেকে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দীর্ঘদিন পর কাছ থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নামের এক বিএনপি কর্মী জানান, ভোলা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী নুর ইসলাম নয়নের উদ্যোগে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যাত্রাপথে ঘন কুয়াশায় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোর জরুরি বিরতি দেয়া হয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
লঞ্চ যাত্রী ও মনপুরা উপজেলা যুবদলের সভাপতি শামসু মোল্লা জানান, পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিলন-মেলায় অংশ নিয়ে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সুদূর ভোলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন তারা।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোলা থেকে সংবর্ধনার উদ্দেশ্যে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রা বিরতি দেয় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
ঘন কুয়াশায় জরুরি যাত্রা বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারহান-৮ লঞ্চের লাইন মাস্টার রুহুল আমিন কিবরিয়া জানান, প্রায় চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। তবে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথের কোনও কিছু দেখতে না পাওয়ায়। মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়েছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এতে প্রায় সাত হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী আটকা পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে আটকে থাকতে দেখা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ, এমভি জাকির সম্রাট-৪, এমভি অথৈ-৩, ফারহান-৮, গ্লোরি অফ শ্রীনগর-৭ ও চাঁদপুর অ্যাডভেঞ্চার-৩ নামের পাঁচটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের সহযোগী ইজারাদার ও টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ, তখন কুয়াশার বাধায় মুন্সিগঞ্জে আটকা পড়ে ভোলা চরফ্যাশন ও মনপুরাসহ বরিশাল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিশাল বহর। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ ৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদী অতিক্রম করে মুন্সিগঞ্জ সীমানায় ধলেশ্বরীতে পৌঁছালে ঘন কুয়াশায় কারণে নৌপথের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি যাত্রা বিরতি দেয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
এরপর প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় যাত্রা বিরতি শেষে সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
এর আগে, যাত্রা বিরতি চলাকালে ভোলা থেকে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দীর্ঘদিন পর কাছ থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৮।
মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নামের এক বিএনপি কর্মী জানান, ভোলা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী নুর ইসলাম নয়নের উদ্যোগে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যাত্রাপথে ঘন কুয়াশায় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোর জরুরি বিরতি দেয়া হয় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
লঞ্চ যাত্রী ও মনপুরা উপজেলা যুবদলের সভাপতি শামসু মোল্লা জানান, পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিলন-মেলায় অংশ নিয়ে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সুদূর ভোলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন তারা।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোলা থেকে সংবর্ধনার উদ্দেশ্যে আগত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রা বিরতি দেয় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
ঘন কুয়াশায় জরুরি যাত্রা বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারহান-৮ লঞ্চের লাইন মাস্টার রুহুল আমিন কিবরিয়া জানান, প্রায় চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। তবে তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথের কোনও কিছু দেখতে না পাওয়ায়। মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে জরুরি যাত্রা বিরতি দিতে বাধ্য হয়েছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এতে প্রায় সাত হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী আটকা পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে আটকে থাকতে দেখা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ, এমভি জাকির সম্রাট-৪, এমভি অথৈ-৩, ফারহান-৮, গ্লোরি অফ শ্রীনগর-৭ ও চাঁদপুর অ্যাডভেঞ্চার-৩ নামের পাঁচটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের সহযোগী ইজারাদার ও টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১৭
ভোলায় পূর্ববিরোধের জেরে সিফাত হাওলাদার নামের বিশোর্ধ্ব ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারাসহ কয়েকজন কুপিয়ে আহত করে রেখে যান।
এসময় সিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ভোলায় পূর্ববিরোধের জেরে সিফাত হাওলাদার নামের বিশোর্ধ্ব ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারাসহ কয়েকজন কুপিয়ে আহত করে রেখে যান।
এসময় সিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.