
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
দেশের নানা প্রান্তে চলছে প্রতিভার উৎসব—মার্কস অলরাউন্ডার। ‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগানকে সঙ্গে নিয়ে দেশের অন্যতম বড় এই প্ল্যাটফর্ম শিশু–কিশোরদের জন্য হয়ে উঠেছে নিজেদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা প্রকাশের এক অনন্য মঞ্চ। বরাবরের মতো এবারও আয়োজনে অংশ নিচ্ছে অসংখ্য প্রতিযোগী।
আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে চলবে এ প্রতিযোগিতা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক পর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে অসংখ্য নতুন মুখ ও নতুন গল্প।
শুক্রবার ও শনিবার (১৪ ও ১৫ নভেম্বর) বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ১৪ নভেম্বর, শুক্রবার
ভেন্যু: ব্রজমোহন বিদ্যালয় (বিএম স্কুল), কালীবাড়ি রোড, বরিশাল।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বরিশালের কোতোয়ালি থানার একাংশ (কাশীপুর, রহমতপুর, নতুন বাজার, বিএম কলেজ, নবগ্রাম, কড়াপুর ও রায়পাশা এলাকা)।
ভেন্যু: কাউনিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাউনিয়া হাউজিং রোড, বরিশাল।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বরিশালের কাউনিয়া, বন্দর, বিমানবন্দর, আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও মুলাদী থানা।
তারিখ: ১৫ নভেম্বর, শনিবার
ভেন্যু: আছমত আলী খান (এ কে) ইনস্টিটিউশন, গির্জা মহল্লা, বরিশাল সদর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বরিশালের কোতোয়ালি থানার একাংশ (রূপাতলী, কালিজিরা, ধপধপিয়া, কোয়েরচর, ব্যান্ড রোড, জাগুয়া এরিয়া), কাজীরহাট, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, বাকেরগঞ্জ থানা এবং ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা।
ভেন্যু: লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, লতিফ স্কুল রোড, পটুয়াখালী।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়—
প্লে থেকে ৪র্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা) ; ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং ৯ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাইস্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)
পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। ইতিমধ্যে ৪২টি জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
পুরস্কার
মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট ১ কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে ৫ লাখ এবং ৩ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফর্মারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।
আয়োজকদের মতে, ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু–কিশোরদের প্রতিভা, মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস বিকাশের এক বিস্তৃত পরিসর। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত এই আয়োজন প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য হয়ে উঠেছে শেখার এক চমৎকার অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি নিজেকে নতুনভাবে চিনে নেওয়ার সুযোগ এবং ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার এক শক্ত প্রেরণা।
বিস্তারিত জানতে ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।
দেশের নানা প্রান্তে চলছে প্রতিভার উৎসব—মার্কস অলরাউন্ডার। ‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগানকে সঙ্গে নিয়ে দেশের অন্যতম বড় এই প্ল্যাটফর্ম শিশু–কিশোরদের জন্য হয়ে উঠেছে নিজেদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা প্রকাশের এক অনন্য মঞ্চ। বরাবরের মতো এবারও আয়োজনে অংশ নিচ্ছে অসংখ্য প্রতিযোগী।
আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে চলবে এ প্রতিযোগিতা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক পর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে অসংখ্য নতুন মুখ ও নতুন গল্প।
শুক্রবার ও শনিবার (১৪ ও ১৫ নভেম্বর) বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ১৪ নভেম্বর, শুক্রবার
ভেন্যু: ব্রজমোহন বিদ্যালয় (বিএম স্কুল), কালীবাড়ি রোড, বরিশাল।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বরিশালের কোতোয়ালি থানার একাংশ (কাশীপুর, রহমতপুর, নতুন বাজার, বিএম কলেজ, নবগ্রাম, কড়াপুর ও রায়পাশা এলাকা)।
ভেন্যু: কাউনিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাউনিয়া হাউজিং রোড, বরিশাল।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বরিশালের কাউনিয়া, বন্দর, বিমানবন্দর, আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও মুলাদী থানা।
তারিখ: ১৫ নভেম্বর, শনিবার
ভেন্যু: আছমত আলী খান (এ কে) ইনস্টিটিউশন, গির্জা মহল্লা, বরিশাল সদর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বরিশালের কোতোয়ালি থানার একাংশ (রূপাতলী, কালিজিরা, ধপধপিয়া, কোয়েরচর, ব্যান্ড রোড, জাগুয়া এরিয়া), কাজীরহাট, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, বাকেরগঞ্জ থানা এবং ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা।
ভেন্যু: লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, লতিফ স্কুল রোড, পটুয়াখালী।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়—
প্লে থেকে ৪র্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা) ; ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং ৯ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাইস্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)
পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। ইতিমধ্যে ৪২টি জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
পুরস্কার
মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট ১ কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে ৫ লাখ এবং ৩ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফর্মারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।
আয়োজকদের মতে, ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু–কিশোরদের প্রতিভা, মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস বিকাশের এক বিস্তৃত পরিসর। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত এই আয়োজন প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য হয়ে উঠেছে শেখার এক চমৎকার অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি নিজেকে নতুনভাবে চিনে নেওয়ার সুযোগ এবং ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার এক শক্ত প্রেরণা।
বিস্তারিত জানতে ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৩
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী ও গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই, সংগীত পরিচালক ললিত পণ্ডিত।
সুলক্ষণা পণ্ডিত দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। জীবনের শেষ অধ্যায় কেটেছে নিঃসঙ্গতা আর নীরবতায়। যেন দিন গুনছিলেন সেই মানুষটির সঙ্গে দেখা হওয়ার- যার প্রতি তার একতরফা ভালোবাসা ছিল আজীবনের। কাকতালীয় হলেও বেদনাদায়ক সত্য- ৬ নভেম্বরই মৃত্যুবরণ করেন তার জীবনের ভালোবাসা, কিংবদন্তি অভিনেতা সঞ্জীব কুমার। ঠিক সেই তারিখেই পরপারে মিলিত হলেন সুলক্ষণা।
সত্তর ও আশির দশকে বলিউডে সমানতালে গান ও অভিনয়ে ছাপ রেখেছিলেন তিনি। লতা মঙ্গেশকর-আশা ভোঁসলের মতো কিংবদন্তিদের যুগেও নিজের মায়াময় কণ্ঠে জায়গা করে নিয়েছিলেন শ্রোতাদের হৃদয়ে। মাত্র ৯ বছর বয়সে গানের জগতে পা রাখেন সুলক্ষণা। ১৯৬৭ সালে শুরু করেন প্লেব্যাক জীবন। ১৯৭৫ সালে ‘সংকল্প’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘তু হি সাগর হ্যায়, তু হি কিনারা’ গেয়ে পান ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
গানের পাশাপাশি অভিনয়েও ছিলেন সমান সফল। ১৯৭৫ সালের ‘উলজান’ ও ১৯৭৬ সালের ‘সঙ্কোচ’ সিনেমায় তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। শুধু বলিউড নয়, বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। উত্তম কুমার অভিনীত ‘বন্দি’ ছবিতে তার পারফরম্যান্স ছিল স্মরণীয়। গানে তার শিকড় ছিল গভীর। সুলক্ষণা ছিলেন বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত যশরাজের ভাগ্নি। তার ভাই যতীন ও ললিত পণ্ডিতও বলিউডের খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক।
তবে ক্যারিয়ারের সাফল্যের আড়ালে ব্যক্তিজীবনে সুখ পাননি এই প্রতিভাবান শিল্পী। সঞ্জীব কুমারের প্রতি ভালোবাসা কখনো পূর্ণতা পায়নি। সেই অপূর্ণতার দুঃখে ধীরে ধীরে সরে যান আলো ঝলমলে বলিউড দুনিয়া থেকে। অবশেষে প্রিয় মানুষের মৃত্যুদিনেই পরপারে পাড়ি জমালেন সুলক্ষণা পণ্ডিত।
চলে গেলেন তিনি, কিন্তু রেখে গেলেন সুরে ভরা এক সোনালি যুগের স্মৃতি-যে স্মৃতি আজও মুগ্ধ করে বলিউডপ্রেমীদের হৃদয়।
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী ও গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই, সংগীত পরিচালক ললিত পণ্ডিত।
সুলক্ষণা পণ্ডিত দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। জীবনের শেষ অধ্যায় কেটেছে নিঃসঙ্গতা আর নীরবতায়। যেন দিন গুনছিলেন সেই মানুষটির সঙ্গে দেখা হওয়ার- যার প্রতি তার একতরফা ভালোবাসা ছিল আজীবনের। কাকতালীয় হলেও বেদনাদায়ক সত্য- ৬ নভেম্বরই মৃত্যুবরণ করেন তার জীবনের ভালোবাসা, কিংবদন্তি অভিনেতা সঞ্জীব কুমার। ঠিক সেই তারিখেই পরপারে মিলিত হলেন সুলক্ষণা।
সত্তর ও আশির দশকে বলিউডে সমানতালে গান ও অভিনয়ে ছাপ রেখেছিলেন তিনি। লতা মঙ্গেশকর-আশা ভোঁসলের মতো কিংবদন্তিদের যুগেও নিজের মায়াময় কণ্ঠে জায়গা করে নিয়েছিলেন শ্রোতাদের হৃদয়ে। মাত্র ৯ বছর বয়সে গানের জগতে পা রাখেন সুলক্ষণা। ১৯৬৭ সালে শুরু করেন প্লেব্যাক জীবন। ১৯৭৫ সালে ‘সংকল্প’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘তু হি সাগর হ্যায়, তু হি কিনারা’ গেয়ে পান ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
গানের পাশাপাশি অভিনয়েও ছিলেন সমান সফল। ১৯৭৫ সালের ‘উলজান’ ও ১৯৭৬ সালের ‘সঙ্কোচ’ সিনেমায় তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। শুধু বলিউড নয়, বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। উত্তম কুমার অভিনীত ‘বন্দি’ ছবিতে তার পারফরম্যান্স ছিল স্মরণীয়। গানে তার শিকড় ছিল গভীর। সুলক্ষণা ছিলেন বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত যশরাজের ভাগ্নি। তার ভাই যতীন ও ললিত পণ্ডিতও বলিউডের খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক।
তবে ক্যারিয়ারের সাফল্যের আড়ালে ব্যক্তিজীবনে সুখ পাননি এই প্রতিভাবান শিল্পী। সঞ্জীব কুমারের প্রতি ভালোবাসা কখনো পূর্ণতা পায়নি। সেই অপূর্ণতার দুঃখে ধীরে ধীরে সরে যান আলো ঝলমলে বলিউড দুনিয়া থেকে। অবশেষে প্রিয় মানুষের মৃত্যুদিনেই পরপারে পাড়ি জমালেন সুলক্ষণা পণ্ডিত।
চলে গেলেন তিনি, কিন্তু রেখে গেলেন সুরে ভরা এক সোনালি যুগের স্মৃতি-যে স্মৃতি আজও মুগ্ধ করে বলিউডপ্রেমীদের হৃদয়।

২৭ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:২৮
ঢালিউডের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য নিয়ে আবারও আলোচনার ঝড় উঠেছে। ২৯ বছর আগের সেই ঘটনার তদন্ত নতুন করে শুরু হয়েছে, আর তাতে আসামি হিসেবে নাম এসেছে চলচ্চিত্রের অভিনেতা মোহাম্মদ আশরাফুল হক তথা ডনের।
মামলার পর থেকে ডনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গণমাধ্যমে এমন খবরে এসেছে। তবে ডন জানিয়েছেন, তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না; বরং শিগগিরই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
ডন বলেন, সবাই বলছে আমি নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। দুয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কারণ ৩০ বছর ধরে যে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি, এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র ভালোবেসেই ঘর ছেড়েছিলাম। অভিনয়ে সুযোগের আশায় হার্টথ্রব সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়েছিলাম। মা-বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছি। তাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সালমানকে ভালোবেসেছি বলেই জীবনের প্রচণ্ড ঝড় মেনে নিয়েছি।
ডন আরও বলেন, সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমিও মানুষ, আমারও বাঁচতে ইচ্ছে করে। সালমানকে ভালোবেসে অনেকে আত্মহত্যা করেছে, আমি করিনি, এটাই কি আমার অপরাধ? আমি যদি আত্মহত্যা করতাম, তাহলে কি সবাই খুশি হতো? ওপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই; তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কি না জানি না।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ২৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। তার মৃত্যুর পর রমনা থানায় অপমৃত্যু মামলা হলেও, সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর ২১ অক্টোবর সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন, যেখানে সালমানের স্ত্রী সামিরাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।
ডন বলেন, সালমান শাহর মৃত্যুর আগের সাক্ষাৎ যেন আজও চোখে ভাসে। ৩০ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম। সালমান আমাকে বলেছিল, পরিচালক শিবলী সাদিক ভাইকে জানাতে যে সে ৩ সেপ্টেম্বর ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেবে। আমি খবরটা পৌঁছে দিয়েছিলাম। ভাবলাম দুই দিনের জন্য বগুড়ায় ঘুরে আসি, কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে ফিরতে পারিনি। ৬ সেপ্টেম্বর ঝড়ের মতো খবর, সালমান শাহ আর নেই।
নব্বইয়ের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রে ধূমকেতুর মতো উত্থান ঘটেছিল সালমান শাহর। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে তিনি কোটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। আর তার অকাল মৃত্যু আজও রয়ে গেছে রহস্যে মোড়া এক অধ্যায় হিসেবে।
ঢালিউডের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য নিয়ে আবারও আলোচনার ঝড় উঠেছে। ২৯ বছর আগের সেই ঘটনার তদন্ত নতুন করে শুরু হয়েছে, আর তাতে আসামি হিসেবে নাম এসেছে চলচ্চিত্রের অভিনেতা মোহাম্মদ আশরাফুল হক তথা ডনের।
মামলার পর থেকে ডনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গণমাধ্যমে এমন খবরে এসেছে। তবে ডন জানিয়েছেন, তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না; বরং শিগগিরই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
ডন বলেন, সবাই বলছে আমি নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। দুয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কারণ ৩০ বছর ধরে যে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি, এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র ভালোবেসেই ঘর ছেড়েছিলাম। অভিনয়ে সুযোগের আশায় হার্টথ্রব সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়েছিলাম। মা-বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছি। তাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সালমানকে ভালোবেসেছি বলেই জীবনের প্রচণ্ড ঝড় মেনে নিয়েছি।
ডন আরও বলেন, সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমিও মানুষ, আমারও বাঁচতে ইচ্ছে করে। সালমানকে ভালোবেসে অনেকে আত্মহত্যা করেছে, আমি করিনি, এটাই কি আমার অপরাধ? আমি যদি আত্মহত্যা করতাম, তাহলে কি সবাই খুশি হতো? ওপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই; তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কি না জানি না।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ২৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। তার মৃত্যুর পর রমনা থানায় অপমৃত্যু মামলা হলেও, সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর ২১ অক্টোবর সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন, যেখানে সালমানের স্ত্রী সামিরাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।
ডন বলেন, সালমান শাহর মৃত্যুর আগের সাক্ষাৎ যেন আজও চোখে ভাসে। ৩০ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম। সালমান আমাকে বলেছিল, পরিচালক শিবলী সাদিক ভাইকে জানাতে যে সে ৩ সেপ্টেম্বর ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেবে। আমি খবরটা পৌঁছে দিয়েছিলাম। ভাবলাম দুই দিনের জন্য বগুড়ায় ঘুরে আসি, কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে ফিরতে পারিনি। ৬ সেপ্টেম্বর ঝড়ের মতো খবর, সালমান শাহ আর নেই।
নব্বইয়ের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রে ধূমকেতুর মতো উত্থান ঘটেছিল সালমান শাহর। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে তিনি কোটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। আর তার অকাল মৃত্যু আজও রয়ে গেছে রহস্যে মোড়া এক অধ্যায় হিসেবে।

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫০
অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরেই গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম নিমেরি উপল।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তান রেখে গেছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ফরিদা পারভীন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে গত ৫ জুলাই রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। মাঝে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বাসায় ফিরেন। তবে ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চলে যান না–ফেরার দেশে।
সংগীতজীবনে দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও ফরিদা পারভীন সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন লালনসংগীতে।
১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। এ ছাড়াও জাপান সরকার তাকে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদকে সম্মানিত করে।’
অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরেই গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম নিমেরি উপল।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তান রেখে গেছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ফরিদা পারভীন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে গত ৫ জুলাই রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। মাঝে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বাসায় ফিরেন। তবে ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চলে যান না–ফেরার দেশে।
সংগীতজীবনে দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও ফরিদা পারভীন সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন লালনসংগীতে।
১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। এ ছাড়াও জাপান সরকার তাকে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদকে সম্মানিত করে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.