Bkash

রাজনীতি

আগস্টে দেশজুড়ে নাশকতার ছক আওয়ামী লীগের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৯:২৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আগস্টে দেশজুড়ে নাশকতার ছক আওয়ামী লীগের

আওয়ামী শোকের মাস আগস্টে দেশবাসীকে কাঁদাতে চায় ফ্যাসিবাদীরা। অন্তর্বর্তী সরকার হটাতে তৈরি করা হচ্ছে ভয়াবহ নাশকতার ছক। বিভিন্ন দেশে পলাতক মুজিববাদী নেতাকর্মী এবং আমলা, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তাদের দিয়ে আঁটা হচ্ছে কূটকৌশল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভারতে বসে এ নীলনকশা প্রস্তুত করছেন শেখ হাসিনা। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে মিলেছে উদ্বেগজনক এ তথ্য।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। সেদিন দেশ দখলের স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। অস্থিরতা তৈরি করতে ঢাকা ও দিল্লিতে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। ইতোমধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার শতাধিক আওয়ামী ক্যাডারকে কর্মশালার নামে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জকে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ধরে সেখানে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র। দেশের বাইরেও পুরোদমে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী ক্যাডাররা। ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জড়ো হচ্ছে পলাতক ও গা-ঢাকা দেওয়া ফ্যাসিবাদীরা। আয়ত্ত করছে নাশকতার বিভিন্ন উপায় ও হামলার কৌশল।

আওয়ামী লীগ আগস্টকে আবেগের অস্ত্র বানাতে চায় জানিয়ে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, এ মাসকে ঘিরে নেতাকর্মীদের নতুন করে শোকের আবহে সংঘবদ্ধ করতে চায় ফ্যাসিবাদী দলটি। ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আন্দোলনের নামে সরকারের বিরুদ্ধে হানতে চায় চূড়ান্ত আঘাত।

প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব‍্যর্থ করার জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত পরিকল্পনা তেমন সাফল্যের মুখ না দেখায় চব্বিশের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পারদর্শী ও ‘ডাই হার্ট’ আওয়ামী লীগারদের বাছাই করা হয়েছে, যারা দলের জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ভারতে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে সপ্তাহ দুই আগ থেকে বুকিং দেওয়া শুরু হয়েছে এয়ার টিকিট। অনেকে ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছেছেন। সেখানে বাছাইকৃত নেতাদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেওয়া হবে।

রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এবং জেলার জন্য একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নাশকতার বিষয়গুলো (আওয়ামী লীগের ভাষায় আন্দোলন) তদারক করবেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ঢাকায় নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কামাল বর্তমানে ভারতে পলাতক আছেন। তিনি ইতোমধ্যে তার বাহিনী গঠনের কাজ শেষ করেছেন এবং বাছাইকৃতদের দেশে ও দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন।

কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সব সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির সাবেক প্রধান, ভারতে পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা এসএসএফের সাবেক ডিজি ও সাবেক কিউএমজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমান বর্তমানে দিল্লিতে আছেন। তিনিও হাসিনার সঙ্গে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত জেনারেল মুজিব। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালান। মুজিব ছাড়াও পলাতক একাধিক জেনারেল নাশকতার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এসবি মনিরুল দেশবিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য দিল্লিতে একটি কার্যালয় নিয়েছেন। সেখানে বসে ‘র’-এর সঙ্গে পরামর্শ করে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাসিনা। নাশকতার সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করছেন জেনারেল মুজিব ও এসবি মনিরুল।

পাশাপাশি দেশে অবস্থান করা কয়েক সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষিত কর্মীদের কাজ হবে নির্দেশনা অনুযায়ী ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে কাজ করা। এমন পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে, যা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এতে নানাভাবে সহায়তা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। ফাঁস হওয়া একটি অডিওবার্তায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ১৬ বছরে অনেক অফিসার ও অধস্তন ফোর্স নিয়োগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরাই সময়মতো আওয়ামী লীগের পক্ষে বন্দুকের নল ঘুরিয়ে দেবে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশ্লেষণে আরও জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় স্থাপনায় নাশকতাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, কৌশলে অভ্যুত্থানপন্থি দলগুলোর কিছু কর্মীকে ভাড়া করে নিজেদের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচনের আগেই ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। বর্তমানে পুলিশের দুর্বল অবস্থার সুযোগে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদেরই প্রথম টার্গেট করা হতে পারে, যাতে পুলিশ আন্দোলন দমনে নিষ্ক্রিয় থাকে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যক্তিদের আঘাত করা, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে আলোড়ন তৈরি হয়। বাছাইকৃত কর্মীদের যোগাযোগের জন্য প্রচলিত মাধ্যম এড়িয়ে অপরিচিত আলাদা অ্যাপ চালু, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে প্রশিক্ষিত দল।

এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়কদের প্রয়োজনে তাদের কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমে ভারত থেকে অর্থ আসছে। এছাড়া দেশে অবস্থান করা তুলনামূলক কম বিতর্কিত নেতাদের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করা সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খানকে বিদেশে ফান্ড ম্যানেজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন হল ভাড়া নিয়ে দিনব্যাপী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এনজিওর প্রশিক্ষণের নামে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে নাশকতার বিভিন্ন আধুনিক কৌশল শেখানো হয়। গুজব ছড়ানোর নানা উপায় সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।

নাশকতার ছকের অংশ হিসেবে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির মতো উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আওয়ামী ক্যাডারদের। সর্বশেষ ২২ জুলাই সচিবালয়ে আক্রমণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে অভিষেক সিকদারসহ চারজনের অনলাইন যোগাযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের নির্দেশনায় ২২ জুলাই সচিবালয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি শাহবাগ দখল করার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগের। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার খোরশেদ আলম গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তার শাকিলও আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগে জড়িত।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শানতু সাংবাদিকদের বলেন, দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত। তাদের যে কোনো অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জসহ যেখানেই অপরাধীরা থাকবে, অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা সজাগ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী সাংবাদিকদের বলেন, সচিবালয়ে হামলা ও মাইলস্টোনের কাছে উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভে উসকানি ও মদতদাতারা রেহাই পাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।’

সংবাদসূত্র: দৈনিক আমার দেশ।

আরও পড়ুন:

গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিল, ডাকসুর জিএস পদও অবৈধ!

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:১৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিল, ডাকসুর জিএস পদও অবৈধ!

২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের আগে এম ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিল হচ্ছে। আর তাতে বৈধ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থীতাও বৈধ ছিল না। তার প্রেক্ষিতে জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

ওই নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খাঁনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি এই সুপারিশ করেছে।

২০১৯ সালে ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধানে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন, জড়িত শিক্ষকদের শান্তি ও বহিষ্কার, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সব সদস্যদের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলপূর্বক ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ডাকসু ভবনে সংঘটিত নৃশংস হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিচার দাবি করে ভূক্তভোগী জিএস প্রার্থী মো. রাশেদ খাঁন এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. সানাউল্লাহ হক’র আবেদনের বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপাচার্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ও সিন্ডিকেট ২৫ ফেব্রুয়ারি কর্তৃক অনুমোদিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বিস্তারিত আসছে...

ঢাকায় এবার পুলিশের সামনেই আ.লীগের মিছিল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঢাকায় এবার পুলিশের সামনেই আ.লীগের মিছিল

কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজধানীতে আরেকটি বড় আকারের মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এবার ঘটনাস্থল রাজধানীর আগারগাঁও।

ইতোমধ্যে এ মিছিলের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে । ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলের পাশ দিয়েই চলে যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি, তবে মিছিল থামানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আগারগাঁও বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলটি বের করেন।

প্রায় হাজার সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যান। মিছিলটি বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে শুরু হয়ে আগারগাঁও মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘শেখ হাসিনা’, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানে কম্পিত হয় পুরো এলাকা ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো. ইমাউল হক জানান, আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সংগঠন মিছিল করেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

ভিডিওতে পুলিশের গাড়ি মিছিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। সেটি একজন অফিসারের বহনকারী গাড়ি ছিল। অফিসারকে আনতে গাড়িটি যাচ্ছিল। ফলে পুলিশের পক্ষে তখন কিছু করা সম্ভব হয়নি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এর তিনদিন পর (৮ আগস্ট) গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শীর্ষ নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নির্বাহী আদেশে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও মাঠের মিছিল পুরোপুরি থামাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায়ই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে ঝটিকা মিছিল নিয়ে নামছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এমন মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হচ্ছেন অনেকে।

সবশেষ গত শুক্রবারও (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বাংলামোটর, উত্তরা ও মিরপুরে বড় ধরনের মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ভুলে আ’লীগের স্লোগান ধরেছে: ফয়জুল করীম

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:২৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ভুলে আ’লীগের স্লোগান ধরেছে: ফয়জুল করীম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘বিএনপি এখন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ভুলে গিয়ে আওয়ামী লীগের স্লোগান ধরেছে।’

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুল মাঠে এক জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শের ওপরে ভিত্তি করে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এবং বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলেন।

তারা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বর্তমানে তারা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ভুলে আওয়ামী লীগের স্লোগান ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’ বলতে শুরু করেছে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘বর্তমানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নিজেরাই নিজেদের খুন করতে শুরু করেছে। তারা দেশব্যাপী চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। এদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।

তাই বাংলাদেশে ইসলামী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ইসলামী দল ক্ষমতায় আসলে দেশের কেউ খুন, হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার হবে না। দেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণপন্থীদের বিস্তীর্ণতায় বিএনপির আজ মন খারাপ। এ দক্ষিণপন্থীরাই জীবনভর বিএনপিকে ভোট দিয়েছে। সেই দক্ষিণপন্থীদের সম্মান ইজ্জত রক্ষা করতে পারে নাই তারা। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের কথা বলে ধোকা দিয়েছে।’

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটে কেউ পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তা না হলে একটি মার্জিন ভোটের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।

‘সব মার্কা দেখা শেষ ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশ’ বলে তিনি বক্তব্য শেষ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।’

ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি শেখ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে জনসভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা শোয়াইব হোসেন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আলহাজ মো. আব্দুল হালিম মিয়া ও সেক্রেটারি মোহাম্মাদ আলী সরদার, ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাস্টার আব্দুল আলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.