https://joinnavy.navy.mil.bd/

বিশেষ সংবাদ

বরিশাল স্বরোডে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিতর্কে জড়ালেন আরেক ‘ভগবান’

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ মে, ২০২৫ ১৬:৩৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশাল স্বরোডে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিতর্কে জড়ালেন আরেক ‘ভগবান’

তরুণ সাংবাদিক খন্দকার রাকিবকে হত্যাচেষ্টার যে নাটক সাজানো হয়েছিল তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন মূল ঘটনা ভিন্নদিকে প্রভাবিত করতে ঘটনার নায়ক নামধারী সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেন নতুন ছকে এগিয়েছে। উল্টো মূলধারার সাংবাদিক রাকিবসহ তারই সংগঠনের অপর নেতা হাসিবুল ইসলামকে আইনের মাধ্যমে দৌড়ের ওপরে রাখতে সাজিয়ে নতুন এক নাটক। সেক্ষেত্রে আত্মরক্ষায় পাল্টা মামলা দায়ের করার অভিপ্রায়ে হামলার মূলহোতা আল আমিন সাগরের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউনিয়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করে। এর আগে আল আমিন সাগরকে গুরুতর আহত দেখিয়ে নাটকীয় কায়দায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

বিভিন্ন সূত্রের ধারণা, ০১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাকিবের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে মামলা অবধারিত এবং হুকুমদাতা এসএম জাকিরের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে বিষয়টি খোলসা হলেও বিভিন্ন কায়দায় তাদের প্রভাবিত এবং চাপের মুখে রেখেছে, অন্তত জাকিরকে যেন আসামী না করা হয়। নয়া এই মিশন সফল করতে বরিশাল মিডিয়ার ভগবানরূপী আরেক নেতাকে মাঠে নামানো হয়েছে, যে কিনা প্রথম পদক্ষেপেই তালগোল পাকিয়ে ফেলে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, হচ্ছেন ঢের সমালোচিত।

উল্লেখ্য, এসএম জাকির সাংবাদিক না হলেও ঘটনাচক্রে সাংবাদিকদের একাংশের নেতৃত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-ভূমিদস্যুতা ও প্রতারণার অভিযোগে অন্তত ৫টি মামলাসহ সাতটি সাধারণ ডায়েরির অস্থিত্ব পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা যখন কথিত এই সাংবাদিক নেতার অতীত ইতিহাস-ইতিবৃত্ত খুঁজছে, ঠিক তখনই খন্দকার রাকিবকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ, সম্প্রতি জাকিরসহ তার ৬ অনুসারীর বিরুদ্ধে এই তরুণ সাংবাদিক ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে ফিরে আসার সপ্তাহখানের মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে যে, রাকিবকে বাগে আনতে একটি উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরিতে এক নারীকে ব্যবহার করা হয়। স্বরোডের বাসিন্দা এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তানিয়া আক্তার নামক ওই নারী একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ তুলে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেক্ষেত্রেও রয়েছে নাটকীয়তা। ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তানিয়াকে ব্যবহার করে কথিত সাংবাদিক নেতা জাকিরের অনুসারীরা বিভিন্ন কায়দায় সংবাদ প্রকাশ করলে এই বিষয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরর উদ্দেশে অভিযোগ দেওয়া হয়। মামলাটি গ্রহণ প্রক্রিয়া, তখন তানিয়াকে জাকিরের এক অনুসারী যে কী না, কোতয়ালি থানা পুলিশের দালাল হিসেবে চিহ্নিত, এক তরুণ কোতয়ালি থানায় ওই মামলাটি দায়ের করতে সহায়তা করে বলে জানা যায়।

তানিয়া জানান, তার এই সিদ্ধান্ত নিজের নয়, অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, বিষয়টি ভুল অনুধাবন করে একই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের দ্বারস্থ হন সামাজিক কায়দায় ওই তরুণের সাথে আইনগত লড়াই থেকে বিরত থাকতে একটি আপসরফায় যেতে। সেই অনুযায়ী অনুরোধের প্রেক্ষাপটে ১ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় স্বরোডে তানিয়ার বাসার সামনে যান হাসিব।

একটি নির্ভরযোগ সূত্র জানায়, তানিয়ার সাথে হাসিবের সমঝোতা বৈঠকের খবর কোন এক মাধ্যম অবগত হয় এসএম জাকির। তখনই একঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জাকিরের সাথে হাসিবের নীতিগত দ্বন্দ্ব থাকায় পরিকল্পনা ছিল, ওই নারীর ঘরে হাসিব প্রবেশ করা মাত্র চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে অবরুদ্ধ করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। সেখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, হাসিবকে অবরুদ্ধ করে রাখলে সঙ্গত কারণে তারই সংগঠনের নেতা খন্দকার রাকিব ঘটনাস্থলে অবধারিত আসবেন, এমনটি ভেবেই এসএম জাকির তার একদল ক্যাডার বাহিনীকে তানিয়ার বাসার চারপাশে আগেভাগেই অবস্থান ঘটান। পরিকল্পনা মাফিক ঘটেছেও তাই।

হাসিব ষড়যন্ত্রে অবরুদ্ধ, এমন খবরে খন্দকার রাকিব সেখানে একাকী পৌছা মাত্র ওই ক্যাডার বাহিনী তার ওপরে আচমকা হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর হামলায় রাকিব রক্তাক্ত জখম হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই হামলার ঘটনার সাথে এক মাত্র আল আমিন পলাশপুরের বাসিন্দা এবং জাকিরের মালিকানাধীন পত্রিকায় কর্মরত। বাকি হামলাকারীদের কারও বাড়ি সাহেবেরহাট, আবার কেউ রুপাতলী এবং কাজিরচরের বাসিন্দা। এরা সকলেই জাকিরের চিহ্নিত অনুসারী হিসেবে বরিশালের মিডিয়াসহ সামাজিক ও প্রশাসনিক মহলে কমবেশি পরিচিত। স্থানীয়দের ভাষ্য, হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই মিশনে অংশ নেওয়া যুবকরা ঘটনাস্থলে উচ্চস্বরে জাকিরের সাথে একাধিক দফা সেলফোনে যোগাযোগ রেখে নির্দেশনা নিচ্ছিল এবং প্রতি মুহূর্তের পৌছে দিচ্ছিল।

উদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তানিয়া স্বীকার করেন যে, তার বাসায় হাসিবুলের আগমনের হেতু হচ্ছে তার মামলা নিয়ে আলাপচারিতার মাধ্যমে একটি সামাজিক ফয়সালায় যাওয়ার ক্ষেত্রফল তৈরি করা। কিন্তু কিভাবে জাকিরের অনুসরাীরা সেখানে অতি উৎসাহী হয়ে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে তিনিও বিস্মিত। এই ঘটনায় প্রমাণ করে হাসিবকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক রাকিবকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধ্য করা হয়। এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে তাকে হত্যা করে দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার সম্ভবত পরিকল্পনা ছিল। সেক্ষেত্রে তানিয়া হতে পারতো জাকিরের পরিকল্পনার ‘বলিরপাঠা’।

এই হত্যার মিশনটি ব্যর্থসহ ঘটনায় কারা জড়িত এবং কার নির্দেশে হামলাকারী স্বরোডে তানিয়ার বাসার সামনে এসেছিল, তা খোলসা হয়ে গেলে বিভিন্ন মহলে জাকিরকে নিয়ে ধিক্কার শুরু হয়। প্রশাসনও বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল, বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যদিকে আহত রাকিবের পরিবার হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনাকারী হিসেবে জাকিরকে অভিযুক্ত করে হামলার প্রেক্ষাপটে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে, এই খবর পেয়ে জাকির তার অনুসারী আল আমিন সাগরের ওপর হামলা এবং গুরুতর আহত হয়েছে, এমন নাটক সাজিয়ে তার পরিবারকে ঘটনার পরদিন বুধবার সকালেই কাউনিয়া থানায় পাঠিয়ে একটি এজাহার দায়ের করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আল আমিন সাগরের ওপরেই হামলার উদ্দেশে রাকিবের ঘটনাস্থলে আগমন ঘটে।
দোষারোপ করা হয় হাসিবুল ইসলামকেও। বিষয়টি হাস্যকরে পরিণত হয়।

যে কী না হামলা করল তিনিই উল্টো আহত দেখিয়ে দুই সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে উদ্যোগী হলেন (!) অথচ ঘটনার প্রাক্কালে হাসিব প্রথমে তানিয়া, পরবর্তীতে পুলিশের সাথে সার্বিক ঘটনা নিয়ে আলাপ করছিলেন। অন্যদিকে হামলায় গুরুতর জখম হওয়ায় রাকিব শেবাচিমে তাৎক্ষণিক ভর্তি হতে বাধ্য হন।

তরুণ সাংবাদিক রাকিবের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে শেবাচিমের চিকিৎসকেরা জানান, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত গভীরে পৌঁছে যাওয়ায় তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তবে সুস্থ হয়ে উঠলেও মানসিক ভারসাম্যহীণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুতরাং রাকিবের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যখন রাকিবের পরিবার কাউনিয়া থানায় পৌঁছায় এবং এই বিষয়ে একটি এজাহার দাখিল করেন তখন শুরু হয় আর একটি নাটকীয় পর্ব।

একাধিক সূত্র জানায়, আল আমিন সাগরের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত এজাহার গ্রহণে কাউনিয়া থানা পুলিশ অনীহা প্রকাশ করলেও তা ছিল অনানুষ্ঠানিক। পরবর্তীতে রাকিবের পক্ষ থেকে জাকিরসহ ৬ অনুসারীকে আসামি করে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ঘটনার বাস্তবতা তুলে ধরলে কাউনিয়া থানাসহ পুলিশের শীর্ষমহল বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে আগ্রসর হয়। এসময় বরিশাল মিডিয়ার ‘ভগবান’ হিসেবে খ্যাত বিতর্কিত আর এক নেতা হঠাৎ জাকিরের পক্ষালম্বন করে প্রশাসনের শীর্ষস্তরে নিজের আর্জি তুলে ধরে ইজ্জত রক্ষায় অন্তত এই মুহূর্তে তার সহযোগী আলোচ্চ্য জাকিরকে মামলায় আসামি করা থেকে বিরত রাখতে অনুরোধ রাখে। এতে পুলিশ পড়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু রাকিবের মামলা গ্রহণ আইনসিক্ত বিষয়টি ওই নেতার কাছে উপস্থাপন করলে বুধবার অর্থাৎ গতকাল সন্ধ্যারাতে তিনি হাসিবুল ইসলামের সাথে টেলিফোনে সমঝোতার প্রস্তাব রাখেন।

পক্ষান্তরে হাসিব সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বিষয়টি রাকিবের সাথে পরামর্শের অনুরোধ রাখলে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন এবং একপর্যায়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই এসএম জাকিকের মতবাদ পত্রিকা অফিস থেকে তৈরি একটি পুরানো সংবাদ নতুন আদলে তৈরি করে, যার শিরোনামে হাসিব-রাকিবকে জড়িয়ে গল্প-কাহিনীর আদলে তীরবিদ্ধ করে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে ইমেলে পাঠানো হয়। এতে প্রকাশ পেয়ে যায়, বরিশাল মিডিয়ার সেই ‘ভগবান’ নতুন বিতর্কে জড়িয়েছে। হাস্যকর ও নিন্দনীয় বিষয় হলো যেখানে, সময়ের আলো পত্রিকার ব্যুরো চিফ হাসিব ও অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘বরিশালক্রাইম নিউজ’র প্রকাশক রাকিব সন্তান সমতুল্য, সেখানে পিতারুপী সেই ‘ভগবান’ কিভাবে দুই উদীয়মাণ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে কি বুঝাতে চেয়েছেন, এবং তার নতুন মিশন কি? তানিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। বরিশাল মিডিয়ার অপরাপর সাংবাদিকরা সহজেই বিষয়টি অনুমান করতে পেরেছেন। তবে সংবাদ প্রকাশ করে হাসিব-রাকিবকে বিতর্কিত করার ‘ভগবান’র সেই মিশনও সফল হয়নি। তার অনুগত অনেক পত্রিকায় প্রেরিত সেই সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে।

বাস্তবতা বলছে- সমঝোতার বদলে পরিস্থিতি আরও উষ্কে দিয়ে বরিশাল মিডিয়ায় বিভাজন আরও বিস্তৃত ঘটানোর অভিপ্রায় ওই ‘ভগবান’র উদ্দেশই ছিল, হাসিব-রাকিব বিরোধী ওই সংবাদ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার অতিউৎসাহী ভুমিকা।

সূত্র জানায়, দুই সাংবাদিককে নিয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের নতুন পর্ব সম্পর্কে পুলিশ-প্রশাসনও অবগত হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে নাম প্রকাশে অপরাগতা জানিয়ে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, পাল্টাপাল্টি মামলা গ্রহণে তারা ইচ্ছুক নন। এখন ঘটনার বাস্তবতা পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে তারা কতিপয় মিডিয়ার হুমকি-ধামকির মুখে রয়েছেন বলে আভাস দেন।

সর্বশেষ আজ দুপুরের প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, থানা পুলিশ দ্বারা বিমুখ হওয়ায় সেই ‘ভগবান’র পরামর্শে জাকির ও তার অনুসারীরা ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু তানিয়াকে বিভিন্ন প্রলোভন এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের অনুকুলে নিয়ে বরিশাল আদালতে মামলা দিতে সেখানকার বারান্দায় সকাল থেকে ঘুরে ফিরছে। লজ্জাস্কর বিষয় হচ্ছে, তানিয়া নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি মাদক ব্যবসায়ী। অথচ সেই মাদক ব্যবসায়ী নারীকে নিয়েই মূলধারার বা বিরোধীমতের সাংবাদিকদের আইনী ভাবে শায়েস্তা করতে ‘ভগবান’র এই উদ্যোগ কমবেশি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় কথা উঠেছে স্থানীয় সাংবাদিকতা এখন কোন পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়।

এদিকে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে হাসিব-রাকিবের পক্ষে বরিশাল মিডিয়ার বড় একটি অংশ এতদিন মৌন সমর্থন দিয়ে আসলেও এখন তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলার চিন্তা ভাবনায় অগ্রসর হয়েছে। সম্ভবত ২/১ দিনের মধ্যেই এই আন্দোলনের ডাক আসতে পারে।’

(‘‘বরিশাল মিডিয়ার ভগবানরুপী এই অনুঘটকের প্রায় তিনযুগ ধরে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং নেতৃত্ব কুক্ষিগত করাসহ তার অতীত কালো অধ্যায় নিয়ে আসছে বিস্তারিত প্রতিবেদন’’)

আরও পড়ুন:

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের সমর্থক এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সাঘাটা উপজেলায় সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল। 

আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

জানা গেছে, এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিল্পপতি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সে কারণে এই মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীরদের মধ্যেও কোন্দল মনোমালিন্য শুরু হয়। 

রোববার দুপুর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত এলাকায় এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। তিনি তার লোকজনকে সংগঠিত করে নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। 

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও আজ নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষেই অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা জুড়ে। বহিষ্কৃত নেতা নিশাত আজ শত শত নারী-পুরুষ নিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়ার দিকে রওনা দেন। 

এ সময় নিশাতের মোটরসাইকেল বহরের সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়ার মোড় নামক এলাকায় এলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর এবং কয়েক জনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

‎‎‎‎‎সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।

তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর  এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।

পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.