
২৯ মে, ২০২৫ ১৬:৩৬
তরুণ সাংবাদিক খন্দকার রাকিবকে হত্যাচেষ্টার যে নাটক সাজানো হয়েছিল তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন মূল ঘটনা ভিন্নদিকে প্রভাবিত করতে ঘটনার নায়ক নামধারী সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেন নতুন ছকে এগিয়েছে। উল্টো মূলধারার সাংবাদিক রাকিবসহ তারই সংগঠনের অপর নেতা হাসিবুল ইসলামকে আইনের মাধ্যমে দৌড়ের ওপরে রাখতে সাজিয়ে নতুন এক নাটক। সেক্ষেত্রে আত্মরক্ষায় পাল্টা মামলা দায়ের করার অভিপ্রায়ে হামলার মূলহোতা আল আমিন সাগরের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউনিয়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করে। এর আগে আল আমিন সাগরকে গুরুতর আহত দেখিয়ে নাটকীয় কায়দায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিভিন্ন সূত্রের ধারণা, ০১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাকিবের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে মামলা অবধারিত এবং হুকুমদাতা এসএম জাকিরের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে বিষয়টি খোলসা হলেও বিভিন্ন কায়দায় তাদের প্রভাবিত এবং চাপের মুখে রেখেছে, অন্তত জাকিরকে যেন আসামী না করা হয়। নয়া এই মিশন সফল করতে বরিশাল মিডিয়ার ভগবানরূপী আরেক নেতাকে মাঠে নামানো হয়েছে, যে কিনা প্রথম পদক্ষেপেই তালগোল পাকিয়ে ফেলে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, হচ্ছেন ঢের সমালোচিত।
উল্লেখ্য, এসএম জাকির সাংবাদিক না হলেও ঘটনাচক্রে সাংবাদিকদের একাংশের নেতৃত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-ভূমিদস্যুতা ও প্রতারণার অভিযোগে অন্তত ৫টি মামলাসহ সাতটি সাধারণ ডায়েরির অস্থিত্ব পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা যখন কথিত এই সাংবাদিক নেতার অতীত ইতিহাস-ইতিবৃত্ত খুঁজছে, ঠিক তখনই খন্দকার রাকিবকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ, সম্প্রতি জাকিরসহ তার ৬ অনুসারীর বিরুদ্ধে এই তরুণ সাংবাদিক ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে ফিরে আসার সপ্তাহখানের মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে যে, রাকিবকে বাগে আনতে একটি উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরিতে এক নারীকে ব্যবহার করা হয়। স্বরোডের বাসিন্দা এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তানিয়া আক্তার নামক ওই নারী একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ তুলে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেক্ষেত্রেও রয়েছে নাটকীয়তা। ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তানিয়াকে ব্যবহার করে কথিত সাংবাদিক নেতা জাকিরের অনুসারীরা বিভিন্ন কায়দায় সংবাদ প্রকাশ করলে এই বিষয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরর উদ্দেশে অভিযোগ দেওয়া হয়। মামলাটি গ্রহণ প্রক্রিয়া, তখন তানিয়াকে জাকিরের এক অনুসারী যে কী না, কোতয়ালি থানা পুলিশের দালাল হিসেবে চিহ্নিত, এক তরুণ কোতয়ালি থানায় ওই মামলাটি দায়ের করতে সহায়তা করে বলে জানা যায়।
তানিয়া জানান, তার এই সিদ্ধান্ত নিজের নয়, অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, বিষয়টি ভুল অনুধাবন করে একই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের দ্বারস্থ হন সামাজিক কায়দায় ওই তরুণের সাথে আইনগত লড়াই থেকে বিরত থাকতে একটি আপসরফায় যেতে। সেই অনুযায়ী অনুরোধের প্রেক্ষাপটে ১ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় স্বরোডে তানিয়ার বাসার সামনে যান হাসিব।
একটি নির্ভরযোগ সূত্র জানায়, তানিয়ার সাথে হাসিবের সমঝোতা বৈঠকের খবর কোন এক মাধ্যম অবগত হয় এসএম জাকির। তখনই একঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জাকিরের সাথে হাসিবের নীতিগত দ্বন্দ্ব থাকায় পরিকল্পনা ছিল, ওই নারীর ঘরে হাসিব প্রবেশ করা মাত্র চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে অবরুদ্ধ করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। সেখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, হাসিবকে অবরুদ্ধ করে রাখলে সঙ্গত কারণে তারই সংগঠনের নেতা খন্দকার রাকিব ঘটনাস্থলে অবধারিত আসবেন, এমনটি ভেবেই এসএম জাকির তার একদল ক্যাডার বাহিনীকে তানিয়ার বাসার চারপাশে আগেভাগেই অবস্থান ঘটান। পরিকল্পনা মাফিক ঘটেছেও তাই।
হাসিব ষড়যন্ত্রে অবরুদ্ধ, এমন খবরে খন্দকার রাকিব সেখানে একাকী পৌছা মাত্র ওই ক্যাডার বাহিনী তার ওপরে আচমকা হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর হামলায় রাকিব রক্তাক্ত জখম হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই হামলার ঘটনার সাথে এক মাত্র আল আমিন পলাশপুরের বাসিন্দা এবং জাকিরের মালিকানাধীন পত্রিকায় কর্মরত। বাকি হামলাকারীদের কারও বাড়ি সাহেবেরহাট, আবার কেউ রুপাতলী এবং কাজিরচরের বাসিন্দা। এরা সকলেই জাকিরের চিহ্নিত অনুসারী হিসেবে বরিশালের মিডিয়াসহ সামাজিক ও প্রশাসনিক মহলে কমবেশি পরিচিত। স্থানীয়দের ভাষ্য, হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই মিশনে অংশ নেওয়া যুবকরা ঘটনাস্থলে উচ্চস্বরে জাকিরের সাথে একাধিক দফা সেলফোনে যোগাযোগ রেখে নির্দেশনা নিচ্ছিল এবং প্রতি মুহূর্তের পৌছে দিচ্ছিল।
উদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তানিয়া স্বীকার করেন যে, তার বাসায় হাসিবুলের আগমনের হেতু হচ্ছে তার মামলা নিয়ে আলাপচারিতার মাধ্যমে একটি সামাজিক ফয়সালায় যাওয়ার ক্ষেত্রফল তৈরি করা। কিন্তু কিভাবে জাকিরের অনুসরাীরা সেখানে অতি উৎসাহী হয়ে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে তিনিও বিস্মিত। এই ঘটনায় প্রমাণ করে হাসিবকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক রাকিবকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধ্য করা হয়। এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে তাকে হত্যা করে দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার সম্ভবত পরিকল্পনা ছিল। সেক্ষেত্রে তানিয়া হতে পারতো জাকিরের পরিকল্পনার ‘বলিরপাঠা’।
এই হত্যার মিশনটি ব্যর্থসহ ঘটনায় কারা জড়িত এবং কার নির্দেশে হামলাকারী স্বরোডে তানিয়ার বাসার সামনে এসেছিল, তা খোলসা হয়ে গেলে বিভিন্ন মহলে জাকিরকে নিয়ে ধিক্কার শুরু হয়। প্রশাসনও বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল, বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যদিকে আহত রাকিবের পরিবার হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনাকারী হিসেবে জাকিরকে অভিযুক্ত করে হামলার প্রেক্ষাপটে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে, এই খবর পেয়ে জাকির তার অনুসারী আল আমিন সাগরের ওপর হামলা এবং গুরুতর আহত হয়েছে, এমন নাটক সাজিয়ে তার পরিবারকে ঘটনার পরদিন বুধবার সকালেই কাউনিয়া থানায় পাঠিয়ে একটি এজাহার দায়ের করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আল আমিন সাগরের ওপরেই হামলার উদ্দেশে রাকিবের ঘটনাস্থলে আগমন ঘটে।
দোষারোপ করা হয় হাসিবুল ইসলামকেও। বিষয়টি হাস্যকরে পরিণত হয়।
যে কী না হামলা করল তিনিই উল্টো আহত দেখিয়ে দুই সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে উদ্যোগী হলেন (!) অথচ ঘটনার প্রাক্কালে হাসিব প্রথমে তানিয়া, পরবর্তীতে পুলিশের সাথে সার্বিক ঘটনা নিয়ে আলাপ করছিলেন। অন্যদিকে হামলায় গুরুতর জখম হওয়ায় রাকিব শেবাচিমে তাৎক্ষণিক ভর্তি হতে বাধ্য হন।
তরুণ সাংবাদিক রাকিবের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে শেবাচিমের চিকিৎসকেরা জানান, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত গভীরে পৌঁছে যাওয়ায় তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তবে সুস্থ হয়ে উঠলেও মানসিক ভারসাম্যহীণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুতরাং রাকিবের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যখন রাকিবের পরিবার কাউনিয়া থানায় পৌঁছায় এবং এই বিষয়ে একটি এজাহার দাখিল করেন তখন শুরু হয় আর একটি নাটকীয় পর্ব।
একাধিক সূত্র জানায়, আল আমিন সাগরের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত এজাহার গ্রহণে কাউনিয়া থানা পুলিশ অনীহা প্রকাশ করলেও তা ছিল অনানুষ্ঠানিক। পরবর্তীতে রাকিবের পক্ষ থেকে জাকিরসহ ৬ অনুসারীকে আসামি করে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ঘটনার বাস্তবতা তুলে ধরলে কাউনিয়া থানাসহ পুলিশের শীর্ষমহল বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে আগ্রসর হয়। এসময় বরিশাল মিডিয়ার ‘ভগবান’ হিসেবে খ্যাত বিতর্কিত আর এক নেতা হঠাৎ জাকিরের পক্ষালম্বন করে প্রশাসনের শীর্ষস্তরে নিজের আর্জি তুলে ধরে ইজ্জত রক্ষায় অন্তত এই মুহূর্তে তার সহযোগী আলোচ্চ্য জাকিরকে মামলায় আসামি করা থেকে বিরত রাখতে অনুরোধ রাখে। এতে পুলিশ পড়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু রাকিবের মামলা গ্রহণ আইনসিক্ত বিষয়টি ওই নেতার কাছে উপস্থাপন করলে বুধবার অর্থাৎ গতকাল সন্ধ্যারাতে তিনি হাসিবুল ইসলামের সাথে টেলিফোনে সমঝোতার প্রস্তাব রাখেন।
পক্ষান্তরে হাসিব সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বিষয়টি রাকিবের সাথে পরামর্শের অনুরোধ রাখলে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন এবং একপর্যায়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই এসএম জাকিকের মতবাদ পত্রিকা অফিস থেকে তৈরি একটি পুরানো সংবাদ নতুন আদলে তৈরি করে, যার শিরোনামে হাসিব-রাকিবকে জড়িয়ে গল্প-কাহিনীর আদলে তীরবিদ্ধ করে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে ইমেলে পাঠানো হয়। এতে প্রকাশ পেয়ে যায়, বরিশাল মিডিয়ার সেই ‘ভগবান’ নতুন বিতর্কে জড়িয়েছে। হাস্যকর ও নিন্দনীয় বিষয় হলো যেখানে, সময়ের আলো পত্রিকার ব্যুরো চিফ হাসিব ও অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘বরিশালক্রাইম নিউজ’র প্রকাশক রাকিব সন্তান সমতুল্য, সেখানে পিতারুপী সেই ‘ভগবান’ কিভাবে দুই উদীয়মাণ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে কি বুঝাতে চেয়েছেন, এবং তার নতুন মিশন কি? তানিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। বরিশাল মিডিয়ার অপরাপর সাংবাদিকরা সহজেই বিষয়টি অনুমান করতে পেরেছেন। তবে সংবাদ প্রকাশ করে হাসিব-রাকিবকে বিতর্কিত করার ‘ভগবান’র সেই মিশনও সফল হয়নি। তার অনুগত অনেক পত্রিকায় প্রেরিত সেই সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে।
বাস্তবতা বলছে- সমঝোতার বদলে পরিস্থিতি আরও উষ্কে দিয়ে বরিশাল মিডিয়ায় বিভাজন আরও বিস্তৃত ঘটানোর অভিপ্রায় ওই ‘ভগবান’র উদ্দেশই ছিল, হাসিব-রাকিব বিরোধী ওই সংবাদ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার অতিউৎসাহী ভুমিকা।
সূত্র জানায়, দুই সাংবাদিককে নিয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের নতুন পর্ব সম্পর্কে পুলিশ-প্রশাসনও অবগত হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে নাম প্রকাশে অপরাগতা জানিয়ে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, পাল্টাপাল্টি মামলা গ্রহণে তারা ইচ্ছুক নন। এখন ঘটনার বাস্তবতা পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে তারা কতিপয় মিডিয়ার হুমকি-ধামকির মুখে রয়েছেন বলে আভাস দেন।
সর্বশেষ আজ দুপুরের প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, থানা পুলিশ দ্বারা বিমুখ হওয়ায় সেই ‘ভগবান’র পরামর্শে জাকির ও তার অনুসারীরা ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু তানিয়াকে বিভিন্ন প্রলোভন এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের অনুকুলে নিয়ে বরিশাল আদালতে মামলা দিতে সেখানকার বারান্দায় সকাল থেকে ঘুরে ফিরছে। লজ্জাস্কর বিষয় হচ্ছে, তানিয়া নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি মাদক ব্যবসায়ী। অথচ সেই মাদক ব্যবসায়ী নারীকে নিয়েই মূলধারার বা বিরোধীমতের সাংবাদিকদের আইনী ভাবে শায়েস্তা করতে ‘ভগবান’র এই উদ্যোগ কমবেশি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় কথা উঠেছে স্থানীয় সাংবাদিকতা এখন কোন পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়।
এদিকে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে হাসিব-রাকিবের পক্ষে বরিশাল মিডিয়ার বড় একটি অংশ এতদিন মৌন সমর্থন দিয়ে আসলেও এখন তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলার চিন্তা ভাবনায় অগ্রসর হয়েছে। সম্ভবত ২/১ দিনের মধ্যেই এই আন্দোলনের ডাক আসতে পারে।’
(‘‘বরিশাল মিডিয়ার ভগবানরুপী এই অনুঘটকের প্রায় তিনযুগ ধরে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং নেতৃত্ব কুক্ষিগত করাসহ তার অতীত কালো অধ্যায় নিয়ে আসছে বিস্তারিত প্রতিবেদন’’)
তরুণ সাংবাদিক খন্দকার রাকিবকে হত্যাচেষ্টার যে নাটক সাজানো হয়েছিল তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন মূল ঘটনা ভিন্নদিকে প্রভাবিত করতে ঘটনার নায়ক নামধারী সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেন নতুন ছকে এগিয়েছে। উল্টো মূলধারার সাংবাদিক রাকিবসহ তারই সংগঠনের অপর নেতা হাসিবুল ইসলামকে আইনের মাধ্যমে দৌড়ের ওপরে রাখতে সাজিয়ে নতুন এক নাটক। সেক্ষেত্রে আত্মরক্ষায় পাল্টা মামলা দায়ের করার অভিপ্রায়ে হামলার মূলহোতা আল আমিন সাগরের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউনিয়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করে। এর আগে আল আমিন সাগরকে গুরুতর আহত দেখিয়ে নাটকীয় কায়দায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিভিন্ন সূত্রের ধারণা, ০১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাকিবের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে মামলা অবধারিত এবং হুকুমদাতা এসএম জাকিরের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে বিষয়টি খোলসা হলেও বিভিন্ন কায়দায় তাদের প্রভাবিত এবং চাপের মুখে রেখেছে, অন্তত জাকিরকে যেন আসামী না করা হয়। নয়া এই মিশন সফল করতে বরিশাল মিডিয়ার ভগবানরূপী আরেক নেতাকে মাঠে নামানো হয়েছে, যে কিনা প্রথম পদক্ষেপেই তালগোল পাকিয়ে ফেলে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, হচ্ছেন ঢের সমালোচিত।
উল্লেখ্য, এসএম জাকির সাংবাদিক না হলেও ঘটনাচক্রে সাংবাদিকদের একাংশের নেতৃত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-ভূমিদস্যুতা ও প্রতারণার অভিযোগে অন্তত ৫টি মামলাসহ সাতটি সাধারণ ডায়েরির অস্থিত্ব পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা যখন কথিত এই সাংবাদিক নেতার অতীত ইতিহাস-ইতিবৃত্ত খুঁজছে, ঠিক তখনই খন্দকার রাকিবকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ, সম্প্রতি জাকিরসহ তার ৬ অনুসারীর বিরুদ্ধে এই তরুণ সাংবাদিক ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে ফিরে আসার সপ্তাহখানের মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে যে, রাকিবকে বাগে আনতে একটি উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরিতে এক নারীকে ব্যবহার করা হয়। স্বরোডের বাসিন্দা এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তানিয়া আক্তার নামক ওই নারী একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ তুলে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেক্ষেত্রেও রয়েছে নাটকীয়তা। ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তানিয়াকে ব্যবহার করে কথিত সাংবাদিক নেতা জাকিরের অনুসারীরা বিভিন্ন কায়দায় সংবাদ প্রকাশ করলে এই বিষয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরর উদ্দেশে অভিযোগ দেওয়া হয়। মামলাটি গ্রহণ প্রক্রিয়া, তখন তানিয়াকে জাকিরের এক অনুসারী যে কী না, কোতয়ালি থানা পুলিশের দালাল হিসেবে চিহ্নিত, এক তরুণ কোতয়ালি থানায় ওই মামলাটি দায়ের করতে সহায়তা করে বলে জানা যায়।
তানিয়া জানান, তার এই সিদ্ধান্ত নিজের নয়, অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, বিষয়টি ভুল অনুধাবন করে একই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক হাসিবুল ইসলামের দ্বারস্থ হন সামাজিক কায়দায় ওই তরুণের সাথে আইনগত লড়াই থেকে বিরত থাকতে একটি আপসরফায় যেতে। সেই অনুযায়ী অনুরোধের প্রেক্ষাপটে ১ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় স্বরোডে তানিয়ার বাসার সামনে যান হাসিব।
একটি নির্ভরযোগ সূত্র জানায়, তানিয়ার সাথে হাসিবের সমঝোতা বৈঠকের খবর কোন এক মাধ্যম অবগত হয় এসএম জাকির। তখনই একঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জাকিরের সাথে হাসিবের নীতিগত দ্বন্দ্ব থাকায় পরিকল্পনা ছিল, ওই নারীর ঘরে হাসিব প্রবেশ করা মাত্র চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে অবরুদ্ধ করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। সেখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, হাসিবকে অবরুদ্ধ করে রাখলে সঙ্গত কারণে তারই সংগঠনের নেতা খন্দকার রাকিব ঘটনাস্থলে অবধারিত আসবেন, এমনটি ভেবেই এসএম জাকির তার একদল ক্যাডার বাহিনীকে তানিয়ার বাসার চারপাশে আগেভাগেই অবস্থান ঘটান। পরিকল্পনা মাফিক ঘটেছেও তাই।
হাসিব ষড়যন্ত্রে অবরুদ্ধ, এমন খবরে খন্দকার রাকিব সেখানে একাকী পৌছা মাত্র ওই ক্যাডার বাহিনী তার ওপরে আচমকা হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর হামলায় রাকিব রক্তাক্ত জখম হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই হামলার ঘটনার সাথে এক মাত্র আল আমিন পলাশপুরের বাসিন্দা এবং জাকিরের মালিকানাধীন পত্রিকায় কর্মরত। বাকি হামলাকারীদের কারও বাড়ি সাহেবেরহাট, আবার কেউ রুপাতলী এবং কাজিরচরের বাসিন্দা। এরা সকলেই জাকিরের চিহ্নিত অনুসারী হিসেবে বরিশালের মিডিয়াসহ সামাজিক ও প্রশাসনিক মহলে কমবেশি পরিচিত। স্থানীয়দের ভাষ্য, হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই মিশনে অংশ নেওয়া যুবকরা ঘটনাস্থলে উচ্চস্বরে জাকিরের সাথে একাধিক দফা সেলফোনে যোগাযোগ রেখে নির্দেশনা নিচ্ছিল এবং প্রতি মুহূর্তের পৌছে দিচ্ছিল।
উদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তানিয়া স্বীকার করেন যে, তার বাসায় হাসিবুলের আগমনের হেতু হচ্ছে তার মামলা নিয়ে আলাপচারিতার মাধ্যমে একটি সামাজিক ফয়সালায় যাওয়ার ক্ষেত্রফল তৈরি করা। কিন্তু কিভাবে জাকিরের অনুসরাীরা সেখানে অতি উৎসাহী হয়ে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে তিনিও বিস্মিত। এই ঘটনায় প্রমাণ করে হাসিবকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক রাকিবকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধ্য করা হয়। এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে তাকে হত্যা করে দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার সম্ভবত পরিকল্পনা ছিল। সেক্ষেত্রে তানিয়া হতে পারতো জাকিরের পরিকল্পনার ‘বলিরপাঠা’।
এই হত্যার মিশনটি ব্যর্থসহ ঘটনায় কারা জড়িত এবং কার নির্দেশে হামলাকারী স্বরোডে তানিয়ার বাসার সামনে এসেছিল, তা খোলসা হয়ে গেলে বিভিন্ন মহলে জাকিরকে নিয়ে ধিক্কার শুরু হয়। প্রশাসনও বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল, বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যদিকে আহত রাকিবের পরিবার হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনাকারী হিসেবে জাকিরকে অভিযুক্ত করে হামলার প্রেক্ষাপটে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে, এই খবর পেয়ে জাকির তার অনুসারী আল আমিন সাগরের ওপর হামলা এবং গুরুতর আহত হয়েছে, এমন নাটক সাজিয়ে তার পরিবারকে ঘটনার পরদিন বুধবার সকালেই কাউনিয়া থানায় পাঠিয়ে একটি এজাহার দায়ের করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আল আমিন সাগরের ওপরেই হামলার উদ্দেশে রাকিবের ঘটনাস্থলে আগমন ঘটে।
দোষারোপ করা হয় হাসিবুল ইসলামকেও। বিষয়টি হাস্যকরে পরিণত হয়।
যে কী না হামলা করল তিনিই উল্টো আহত দেখিয়ে দুই সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে উদ্যোগী হলেন (!) অথচ ঘটনার প্রাক্কালে হাসিব প্রথমে তানিয়া, পরবর্তীতে পুলিশের সাথে সার্বিক ঘটনা নিয়ে আলাপ করছিলেন। অন্যদিকে হামলায় গুরুতর জখম হওয়ায় রাকিব শেবাচিমে তাৎক্ষণিক ভর্তি হতে বাধ্য হন।
তরুণ সাংবাদিক রাকিবের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে শেবাচিমের চিকিৎসকেরা জানান, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত গভীরে পৌঁছে যাওয়ায় তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তবে সুস্থ হয়ে উঠলেও মানসিক ভারসাম্যহীণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুতরাং রাকিবের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যখন রাকিবের পরিবার কাউনিয়া থানায় পৌঁছায় এবং এই বিষয়ে একটি এজাহার দাখিল করেন তখন শুরু হয় আর একটি নাটকীয় পর্ব।
একাধিক সূত্র জানায়, আল আমিন সাগরের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত এজাহার গ্রহণে কাউনিয়া থানা পুলিশ অনীহা প্রকাশ করলেও তা ছিল অনানুষ্ঠানিক। পরবর্তীতে রাকিবের পক্ষ থেকে জাকিরসহ ৬ অনুসারীকে আসামি করে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ঘটনার বাস্তবতা তুলে ধরলে কাউনিয়া থানাসহ পুলিশের শীর্ষমহল বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে আগ্রসর হয়। এসময় বরিশাল মিডিয়ার ‘ভগবান’ হিসেবে খ্যাত বিতর্কিত আর এক নেতা হঠাৎ জাকিরের পক্ষালম্বন করে প্রশাসনের শীর্ষস্তরে নিজের আর্জি তুলে ধরে ইজ্জত রক্ষায় অন্তত এই মুহূর্তে তার সহযোগী আলোচ্চ্য জাকিরকে মামলায় আসামি করা থেকে বিরত রাখতে অনুরোধ রাখে। এতে পুলিশ পড়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু রাকিবের মামলা গ্রহণ আইনসিক্ত বিষয়টি ওই নেতার কাছে উপস্থাপন করলে বুধবার অর্থাৎ গতকাল সন্ধ্যারাতে তিনি হাসিবুল ইসলামের সাথে টেলিফোনে সমঝোতার প্রস্তাব রাখেন।
পক্ষান্তরে হাসিব সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বিষয়টি রাকিবের সাথে পরামর্শের অনুরোধ রাখলে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন এবং একপর্যায়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই এসএম জাকিকের মতবাদ পত্রিকা অফিস থেকে তৈরি একটি পুরানো সংবাদ নতুন আদলে তৈরি করে, যার শিরোনামে হাসিব-রাকিবকে জড়িয়ে গল্প-কাহিনীর আদলে তীরবিদ্ধ করে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে ইমেলে পাঠানো হয়। এতে প্রকাশ পেয়ে যায়, বরিশাল মিডিয়ার সেই ‘ভগবান’ নতুন বিতর্কে জড়িয়েছে। হাস্যকর ও নিন্দনীয় বিষয় হলো যেখানে, সময়ের আলো পত্রিকার ব্যুরো চিফ হাসিব ও অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘বরিশালক্রাইম নিউজ’র প্রকাশক রাকিব সন্তান সমতুল্য, সেখানে পিতারুপী সেই ‘ভগবান’ কিভাবে দুই উদীয়মাণ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে কি বুঝাতে চেয়েছেন, এবং তার নতুন মিশন কি? তানিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। বরিশাল মিডিয়ার অপরাপর সাংবাদিকরা সহজেই বিষয়টি অনুমান করতে পেরেছেন। তবে সংবাদ প্রকাশ করে হাসিব-রাকিবকে বিতর্কিত করার ‘ভগবান’র সেই মিশনও সফল হয়নি। তার অনুগত অনেক পত্রিকায় প্রেরিত সেই সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে।
বাস্তবতা বলছে- সমঝোতার বদলে পরিস্থিতি আরও উষ্কে দিয়ে বরিশাল মিডিয়ায় বিভাজন আরও বিস্তৃত ঘটানোর অভিপ্রায় ওই ‘ভগবান’র উদ্দেশই ছিল, হাসিব-রাকিব বিরোধী ওই সংবাদ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার অতিউৎসাহী ভুমিকা।
সূত্র জানায়, দুই সাংবাদিককে নিয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের নতুন পর্ব সম্পর্কে পুলিশ-প্রশাসনও অবগত হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে নাম প্রকাশে অপরাগতা জানিয়ে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, পাল্টাপাল্টি মামলা গ্রহণে তারা ইচ্ছুক নন। এখন ঘটনার বাস্তবতা পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে তারা কতিপয় মিডিয়ার হুমকি-ধামকির মুখে রয়েছেন বলে আভাস দেন।
সর্বশেষ আজ দুপুরের প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, থানা পুলিশ দ্বারা বিমুখ হওয়ায় সেই ‘ভগবান’র পরামর্শে জাকির ও তার অনুসারীরা ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু তানিয়াকে বিভিন্ন প্রলোভন এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের অনুকুলে নিয়ে বরিশাল আদালতে মামলা দিতে সেখানকার বারান্দায় সকাল থেকে ঘুরে ফিরছে। লজ্জাস্কর বিষয় হচ্ছে, তানিয়া নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি মাদক ব্যবসায়ী। অথচ সেই মাদক ব্যবসায়ী নারীকে নিয়েই মূলধারার বা বিরোধীমতের সাংবাদিকদের আইনী ভাবে শায়েস্তা করতে ‘ভগবান’র এই উদ্যোগ কমবেশি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় কথা উঠেছে স্থানীয় সাংবাদিকতা এখন কোন পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়।
এদিকে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে হাসিব-রাকিবের পক্ষে বরিশাল মিডিয়ার বড় একটি অংশ এতদিন মৌন সমর্থন দিয়ে আসলেও এখন তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলার চিন্তা ভাবনায় অগ্রসর হয়েছে। সম্ভবত ২/১ দিনের মধ্যেই এই আন্দোলনের ডাক আসতে পারে।’
(‘‘বরিশাল মিডিয়ার ভগবানরুপী এই অনুঘটকের প্রায় তিনযুগ ধরে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং নেতৃত্ব কুক্ষিগত করাসহ তার অতীত কালো অধ্যায় নিয়ে আসছে বিস্তারিত প্রতিবেদন’’)

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫৫
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৮
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.