২৯ জুন, ২০২৫ ১৮:৪৮
ঝালকাঠির পূর্ব গুয়াটনে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস এবং ছানা হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানায় ফৌজদারি আইনে এবং বন বিভাগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলাগুলো হয়েছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক রয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় থাকা তালগাছ কাটার অপরাধে সদর থানায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেনের নামে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাবুই পাখির ছানা হত্যা ও ডিম ধ্বংস করার অপরাধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী ‘POR নং ০১/ঝাল/২০২৪-২৫’ নামে একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, বাবুই পাখির আবাসস্থল ও পাখি হত্যা করার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আশা করি, আদালত ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দেবেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, তাল গাছ কেটে আবাসস্থল ধ্বংস ও পাখি হত্যার অপরাধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি সদর থানা ও আরেকটি জেলা জজ আদালতে। ঘটনাটি নিয়ে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। মোবারক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির পার্শ্ববর্তী একটি সড়কের পাশে ওই তালগাছটি বহু বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয় ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি গাছটি ক্রয় করে কাটেন, যার সহযোগিতায় ছিলেন ফারুক হোসেন। গাছ কাটার সময় অসংখ্য বাসা নিচে পড়ে গিয়ে ডিম ভেঙে যায় এবং ছানাগুলো মাটিতে পড়ে মারা যায়।
ঝালকাঠির পূর্ব গুয়াটনে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস এবং ছানা হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানায় ফৌজদারি আইনে এবং বন বিভাগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলাগুলো হয়েছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক রয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় থাকা তালগাছ কাটার অপরাধে সদর থানায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেনের নামে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাবুই পাখির ছানা হত্যা ও ডিম ধ্বংস করার অপরাধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী ‘POR নং ০১/ঝাল/২০২৪-২৫’ নামে একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, বাবুই পাখির আবাসস্থল ও পাখি হত্যা করার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আশা করি, আদালত ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দেবেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, তাল গাছ কেটে আবাসস্থল ধ্বংস ও পাখি হত্যার অপরাধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি সদর থানা ও আরেকটি জেলা জজ আদালতে। ঘটনাটি নিয়ে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। মোবারক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির পার্শ্ববর্তী একটি সড়কের পাশে ওই তালগাছটি বহু বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয় ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি গাছটি ক্রয় করে কাটেন, যার সহযোগিতায় ছিলেন ফারুক হোসেন। গাছ কাটার সময় অসংখ্য বাসা নিচে পড়ে গিয়ে ডিম ভেঙে যায় এবং ছানাগুলো মাটিতে পড়ে মারা যায়।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৪০
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝালকাঠির বিভিন্ন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার সবগুলো উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি প্রবল স্রোতে খালে ঢুকে এবং তীর উপচে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করায় দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুগন্ধা, বিষখালী, হলতা, বাসন্ডা, ধানসিঁড়ি নদী ও গাবখান চ্যানেলের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে ২-৩ মিটার। ইতোমধ্যে জেলার চার উপজেলার ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বিশেষভাবে ঝালকাঠি সদরের কেওড়া, কৃত্তিপাশা, পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, রাজাপুরের বড়ইয়া, নিজামিয়া, পালট, বাদুরতলা, নলছিটির নাচনমহল ও ভবানিপুর এবং কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও পাটিকালঘাটা এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বিষখালীর জোয়ারের পানি সদর উপজেলার বৈদারাপুর, ভাটারাকান্দা, সাচিলাপুর, কিস্তাকাঠি, মানকিসুন্দর, নাপিতেরহাট এবং কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করেছে। কাঁঠালিয়ার চিংড়াখালী, জয়খালী, মশাবুনিয়া, ছৈলারচর, কচুয়া, রঘুয়ারদরি চর ও জাঙ্গালিয়া গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে। ডুবে গেছে আউরা ও শৌলজালিয়া আশ্রয়ণ এলাকা, কাঁঠালিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর।
এতে কৃষিজমি, মাছের ঘের এবং কাঁচা-পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি শহরের পুরাতন কলাবাগ, লঞ্চঘাট ও পৌর মিনিপার্ক এলাকা থেকেও সুগন্ধা নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, শুধুমাত্র বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, পানি আরও বাড়লে প্লাবিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝালকাঠির বিভিন্ন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার সবগুলো উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি প্রবল স্রোতে খালে ঢুকে এবং তীর উপচে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করায় দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুগন্ধা, বিষখালী, হলতা, বাসন্ডা, ধানসিঁড়ি নদী ও গাবখান চ্যানেলের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে ২-৩ মিটার। ইতোমধ্যে জেলার চার উপজেলার ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বিশেষভাবে ঝালকাঠি সদরের কেওড়া, কৃত্তিপাশা, পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, রাজাপুরের বড়ইয়া, নিজামিয়া, পালট, বাদুরতলা, নলছিটির নাচনমহল ও ভবানিপুর এবং কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও পাটিকালঘাটা এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বিষখালীর জোয়ারের পানি সদর উপজেলার বৈদারাপুর, ভাটারাকান্দা, সাচিলাপুর, কিস্তাকাঠি, মানকিসুন্দর, নাপিতেরহাট এবং কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করেছে। কাঁঠালিয়ার চিংড়াখালী, জয়খালী, মশাবুনিয়া, ছৈলারচর, কচুয়া, রঘুয়ারদরি চর ও জাঙ্গালিয়া গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে। ডুবে গেছে আউরা ও শৌলজালিয়া আশ্রয়ণ এলাকা, কাঁঠালিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর।
এতে কৃষিজমি, মাছের ঘের এবং কাঁচা-পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি শহরের পুরাতন কলাবাগ, লঞ্চঘাট ও পৌর মিনিপার্ক এলাকা থেকেও সুগন্ধা নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, শুধুমাত্র বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, পানি আরও বাড়লে প্লাবিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৩০
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা কৃষক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কমিটি ঘোষণা করেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক চাষি মোঃনান্না খলিফা। এসময় জেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে হাজী মোহাম্মদ শামীম মল্লিককে আহবায়ক ও মোঃ মোস্তফা কামাল মিন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়। এতে দশটি ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। এ সময় মঞ্জুরুল ইসলাম সুইট, রফিকুল ইসলাম সবুজ আকন, কাজী খোরশেদ আলম, মুজিবুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা কৃষক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কমিটি ঘোষণা করেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক চাষি মোঃনান্না খলিফা। এসময় জেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে হাজী মোহাম্মদ শামীম মল্লিককে আহবায়ক ও মোঃ মোস্তফা কামাল মিন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়। এতে দশটি ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। এ সময় মঞ্জুরুল ইসলাম সুইট, রফিকুল ইসলাম সবুজ আকন, কাজী খোরশেদ আলম, মুজিবুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জুলাই, ২০২৫ ২৩:৪৬
ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেনকে (৫৫) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সাতুরিয়া ইঁদুরবাড়ি গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে সন্ধ্যায় রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তোফাজ্জেল হোসেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, তোফাজ্জেল হোসেনদের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. ইব্রাহীম হাওলাদার ও আবদুল হাইয়ের বিরোধ আছে। জুমার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতেই ওই দুজনসহ চারজন তাকে ঘিরে ধরেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে লিমনের করা অভিযোগ তুলে নিতে বলেন তারা। তোফাজ্জেল হোসেন এতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন ইব্রাহীম ও আবদুল হাই।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সাতুরিয়ায় নিজের বাড়ির পাশে গুলিবিদ্ধ হন লিমন। বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে র্যাবের সদস্যরা তাকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। ওই ঘটনার পর র্যাব লিমনসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করে। সেই মামলায় র্যাবের পক্ষে ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন ইব্রাহীম হাওলাদার।
শুক্রবারের ঘটনায় লিমনের বাবার লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রবেশ করে মো. ইব্রাহীম ও আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন বাঁশ কাটার চেষ্টা করেন। এতে তোফাজ্জেল বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করেন আসামিরা। এ ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম তাদের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালত মো. ইব্রাহীমকে দুই বছরের ও আবদুল হাইকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ২০২৪ সালে এক মাস কারাভোগ করে ইব্রাহীম হাওলাদার জামিনে বের হয়ে লিমনের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন।
তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমার ছেলে লিমন হোসেনের করা অভিযোগ তুলে নিতে অস্বীকার করায় আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। ইব্রাহীম হাওলাদারের নেতৃত্বে এর আগেও আমার ওপর হামলা হয়েছে।’
লিমন হোসেন বলেন, ‘আমি আমার বাবার ওপরে এ হামলার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত ইব্রাহীম হাওলাদারের দাবি, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে লিমন প্রভাব খাটিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেনকে (৫৫) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সাতুরিয়া ইঁদুরবাড়ি গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে সন্ধ্যায় রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তোফাজ্জেল হোসেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, তোফাজ্জেল হোসেনদের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. ইব্রাহীম হাওলাদার ও আবদুল হাইয়ের বিরোধ আছে। জুমার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতেই ওই দুজনসহ চারজন তাকে ঘিরে ধরেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে লিমনের করা অভিযোগ তুলে নিতে বলেন তারা। তোফাজ্জেল হোসেন এতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন ইব্রাহীম ও আবদুল হাই।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সাতুরিয়ায় নিজের বাড়ির পাশে গুলিবিদ্ধ হন লিমন। বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গেলে র্যাবের সদস্যরা তাকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। ওই ঘটনার পর র্যাব লিমনসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করে। সেই মামলায় র্যাবের পক্ষে ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন ইব্রাহীম হাওলাদার।
শুক্রবারের ঘটনায় লিমনের বাবার লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রবেশ করে মো. ইব্রাহীম ও আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন বাঁশ কাটার চেষ্টা করেন। এতে তোফাজ্জেল বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করেন আসামিরা। এ ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম তাদের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালত মো. ইব্রাহীমকে দুই বছরের ও আবদুল হাইকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ২০২৪ সালে এক মাস কারাভোগ করে ইব্রাহীম হাওলাদার জামিনে বের হয়ে লিমনের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন।
তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমার ছেলে লিমন হোসেনের করা অভিযোগ তুলে নিতে অস্বীকার করায় আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। ইব্রাহীম হাওলাদারের নেতৃত্বে এর আগেও আমার ওপর হামলা হয়েছে।’
লিমন হোসেন বলেন, ‘আমি আমার বাবার ওপরে এ হামলার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত ইব্রাহীম হাওলাদারের দাবি, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে লিমন প্রভাব খাটিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.