
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

০৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০১
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকার হাটে সরকারে নির্ধারিত শতকরা ৫ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও দ্বিগুনের বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বদলি ইজারাদার,শহীদ মল্লিক, হুমাউন মোল্লা, ও সালাম বেপারীর বিরুদ্ধে। তবে তাদের দাবি অতিরিক্ত কোন খাজনা আদায় করা হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী নৌকা ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে খাজনার তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি। এদিকে নৌকা হাটের মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম মিয়া জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনা শতকরা ৫টাকা সেখানে ক্রেতারা আমাকে ১২টাকা খাজনা আদায়ের রশিদ দেখিয়েছেন। এর দায় ভার আমি নিবোনা।
এদিকে ক্রেতারা ইজারাদারদের চাপে পড়ে খাজনার জন্য অতিরিক্ত দ্বিগুন অর্থ দিতে হচ্ছে তাদের। আটঘর-কুড়িয়ানার নৌকার হাটে সরজমিনে গিয়ে দ্বিগুণ খাজনা আদায়ের সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে।
সেখানে সরকারের নির্ধারিত টোলের কোনো তালিকা দেখতে পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনার হার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। খাজনা আদায়কারীরা যে পরিমাণ টাকা চায়, তাদের সেই পরিমাণ টাকা দিতে হয়।
এছাড়াও মেইন রাস্তার উপর নৌকার হাট উঠিয়ে বেচাকেনা করায় সৃষ্টি হয় যানজট, ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।
শরিফ হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুনেছি হাটে খাজনা দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি নির্ধারিত হার রয়েছে।
কিন্তু আমরা সরকারি হার সম্পর্কে জানি না বা খাজনা আদায়ের টোলঘরে টাঙানো নাই। জানতে চাইলে, ইজারাদারের লোকেরা আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। তাই বাধ্য হয়ে তারা যা বলে তাই দিয়ে আসতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি হাটবাজারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীরা ইজারা আদায় করে। ফলে তারা তাদের ইচ্ছে মতো জোর করে খাজনা আদায় করেন। সেক্ষেত্রে আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীরা সরকারি হার দেখার কথা বললে মার খেতে হয়।
এ বিষয়ে বদলি ইজারাদার হুমাউন বলেন, নৌকার হাটে কোন অতিরিক্ত খাজনার টাকা আদায় করা হচ্ছে না এর পূর্বের ইজারাদার আব্দুর রহিম যে হারে খাজনা আদায় করেছে আমারও সেই হারে খাজনা নিচ্ছি বেশি নেয়ার অভিযোগটি মিথ্যে।
আরেক ইজারাদার আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ইজারাদার আব্দুর রহিম এর কাছ থেকে উপ ইজারা ২৫ লাক টাকায় ক্রয় করে নিয়েছি আগের ইজারাদার যেভাবে খাজনা আদায় করেছে আমরাও সেভাবে আদায় করতেছি। সরকারি ভাবে কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি।
এ বিষয়ে মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম বলেন, আমাকে শহীদ,হুমাউন, সালামরা একদিনের জন্য খাজনা উঠাইতে দেয়নি।এক প্রকার জোর জবরদস্তির পরে তাদের খাজনা আদায় করতে দিয়েছি ৩৮ লাখ টাকায় কিন্তু তারা আমাকে ১৫ লাক টাকা দিয়েছে বাকি টাকা নিয়ে এখন টালবাহানা করছে। আমার ছাপানো রশিদে টাকা না তুলে তাদের ছাপানো রশিদে দ্বিগুণ খাজনা আদায় করছে। এ বিষয়ে আমি শীগ্রই কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানাবো।
এ প্রসঙ্গে স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইজারা নিয়ে একটু সমস্যা ছিলো সেটা উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত আদায়ের কোন সুযোগ নাই। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকার হাটে সরকারে নির্ধারিত শতকরা ৫ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও দ্বিগুনের বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বদলি ইজারাদার,শহীদ মল্লিক, হুমাউন মোল্লা, ও সালাম বেপারীর বিরুদ্ধে। তবে তাদের দাবি অতিরিক্ত কোন খাজনা আদায় করা হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী নৌকা ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে খাজনার তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি। এদিকে নৌকা হাটের মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম মিয়া জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনা শতকরা ৫টাকা সেখানে ক্রেতারা আমাকে ১২টাকা খাজনা আদায়ের রশিদ দেখিয়েছেন। এর দায় ভার আমি নিবোনা।
এদিকে ক্রেতারা ইজারাদারদের চাপে পড়ে খাজনার জন্য অতিরিক্ত দ্বিগুন অর্থ দিতে হচ্ছে তাদের। আটঘর-কুড়িয়ানার নৌকার হাটে সরজমিনে গিয়ে দ্বিগুণ খাজনা আদায়ের সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে।
সেখানে সরকারের নির্ধারিত টোলের কোনো তালিকা দেখতে পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনার হার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। খাজনা আদায়কারীরা যে পরিমাণ টাকা চায়, তাদের সেই পরিমাণ টাকা দিতে হয়।
এছাড়াও মেইন রাস্তার উপর নৌকার হাট উঠিয়ে বেচাকেনা করায় সৃষ্টি হয় যানজট, ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।
শরিফ হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুনেছি হাটে খাজনা দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি নির্ধারিত হার রয়েছে।
কিন্তু আমরা সরকারি হার সম্পর্কে জানি না বা খাজনা আদায়ের টোলঘরে টাঙানো নাই। জানতে চাইলে, ইজারাদারের লোকেরা আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। তাই বাধ্য হয়ে তারা যা বলে তাই দিয়ে আসতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি হাটবাজারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীরা ইজারা আদায় করে। ফলে তারা তাদের ইচ্ছে মতো জোর করে খাজনা আদায় করেন। সেক্ষেত্রে আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীরা সরকারি হার দেখার কথা বললে মার খেতে হয়।
এ বিষয়ে বদলি ইজারাদার হুমাউন বলেন, নৌকার হাটে কোন অতিরিক্ত খাজনার টাকা আদায় করা হচ্ছে না এর পূর্বের ইজারাদার আব্দুর রহিম যে হারে খাজনা আদায় করেছে আমারও সেই হারে খাজনা নিচ্ছি বেশি নেয়ার অভিযোগটি মিথ্যে।
আরেক ইজারাদার আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ইজারাদার আব্দুর রহিম এর কাছ থেকে উপ ইজারা ২৫ লাক টাকায় ক্রয় করে নিয়েছি আগের ইজারাদার যেভাবে খাজনা আদায় করেছে আমরাও সেভাবে আদায় করতেছি। সরকারি ভাবে কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি।
এ বিষয়ে মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম বলেন, আমাকে শহীদ,হুমাউন, সালামরা একদিনের জন্য খাজনা উঠাইতে দেয়নি।এক প্রকার জোর জবরদস্তির পরে তাদের খাজনা আদায় করতে দিয়েছি ৩৮ লাখ টাকায় কিন্তু তারা আমাকে ১৫ লাক টাকা দিয়েছে বাকি টাকা নিয়ে এখন টালবাহানা করছে। আমার ছাপানো রশিদে টাকা না তুলে তাদের ছাপানো রশিদে দ্বিগুণ খাজনা আদায় করছে। এ বিষয়ে আমি শীগ্রই কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানাবো।
এ প্রসঙ্গে স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইজারা নিয়ে একটু সমস্যা ছিলো সেটা উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত আদায়ের কোন সুযোগ নাই। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৩
বরিশালের বানারীপাড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্বার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি মামলার আসামি হিসেবে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে বরিশালে আদালতে পাঠানো হবে।

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:২২
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মাঝরাতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনার পর ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে একটি লঞ্চ জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করলে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা-পুলিশ যৌথভাবে লঞ্চটি জব্দ করে।
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘চাঁদপুরে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে লঞ্চটি ঝালকাঠিতে পৌঁছলে সেটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যান। পরে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, ‘লঞ্চ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত ও এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৮
মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী। আহত ও নিহতদের চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁদপুরের হরিণা এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আহতদের প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ থেকেই চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিল। হরিণা এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের মাঝামাঝি অংশে ধাক্কা দেয়।
এতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বরিশালের বানারীপাড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্বার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি মামলার আসামি হিসেবে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে বরিশালে আদালতে পাঠানো হবে।
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মাঝরাতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনার পর ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে একটি লঞ্চ জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করলে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা-পুলিশ যৌথভাবে লঞ্চটি জব্দ করে।
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘চাঁদপুরে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে লঞ্চটি ঝালকাঠিতে পৌঁছলে সেটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যান। পরে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, ‘লঞ্চ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত ও এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী। আহত ও নিহতদের চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁদপুরের হরিণা এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আহতদের প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ থেকেই চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিল। হরিণা এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের মাঝামাঝি অংশে ধাক্কা দেয়।
এতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৩২
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৩
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:১২
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৮