dreamliferupatolibarisal

জাতীয়

উপদেষ্টারা আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন: সামান্তা শারমিন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

উপদেষ্টারা আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন: সামান্তা শারমিন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন। এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট আজ দেশের সাধারণ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের ছাত্র-জনতা, শিক্ষক-চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নিজেদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ খবর আসছে, তারা ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য গাড়ি কেনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। অথচ যখন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয় তখন তাদের উত্তর থাকে, ‘সরকারের হাতে টাকা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু তারা এখন দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করে, তাদের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থান পরিলক্ষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন ভেবেছিলাম, দেশে একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠিত হবে।

কিন্তু সেই আশাও বিফলে গেছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পিতভাবে যেভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, তা ঠেকাতে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ জাতিকে শুধু একটি নির্বাচনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, অথচ শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও দাবি পূরণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গুলি করে গণহত্যা চালানো আর শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা দুটোই সমান অপরাধ।’

শিক্ষকদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলার কথা তুলে ধরে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষকদের অবমূল্যায়নই হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা সব ক্ষেত্রেই অবহেলা করা হয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এই ন্যূনতম দাবিগুলোর জন্যও শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা এই সরকারের দেউলিয়াত্বকেই প্রমাণ করে।’

শিক্ষা উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপদেষ্টা যেহেতু নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তিনি অন্তত শিক্ষকদের দুরবস্থার জায়গাটি বুঝবেন। কিন্তু মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর তার ভূমিকা দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না, সময় দেন না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের উপদেষ্টারা যদি সবসময় মানুষের জন্য অ্যাভেইলেবল না থাকেন, তাহলে তাদের সেই জায়গায় থাকার নৈতিকতা কী?’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জাতীয়করণ দূরে থাক, শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বা চিকিৎসা ভাতা পর্যন্ত বাড়ানো যাচ্ছে না! আর এসব দাবি জানাতে আসায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এনসিপি শিক্ষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা আপনাদের ন্যায্য দাবিতে অবিচল থাকুন। সরকারকে এ দাবি মানতেই হবে।’

শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে সামান্তা শারমিন ছাড়াও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সচিবালয়ে যায় এবং সেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় শিক্ষক নেতারা জানান, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি।

বৈঠক শেষে দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিরে এসে শিক্ষকরা দুটি ঘোষণা দেন। এক) তারা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ছাড়বেন না। দুই) মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করবেন।

ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষকরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন ও অধ্যক্ষ আজিজীর নেতৃত্বে একটি পক্ষ শহীদ মিনারের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওনা হয়। অন্যদিকে, আরেক পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনেই থেকে যায় এবং সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচির ঘোষণা দাবি করেন। তারা শহীদ মিনারে যেতে অস্বীকৃতি জানান।

দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ অ্যাকশনে নামে। প্রথমে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক রাস্তায় পড়ে যান এবং আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

মানবতাবিরোধী অপরাধ/ ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মানবতাবিরোধী অপরাধ/ ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হলো।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন আসামি। তাদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে ছিলেন। এদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। একজন এখন অবসরকালীন ছুটিতে।

এর আগে, আজ সকাল ৭টার পর বাংলাদেশ জেল প্রিজনভ্যানের গাড়িতে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তারা সবাই সাধারণ পোশাকে ছিলেন।

মামলার একটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।

গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে) ; র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম সেনা হেফাজতে ছিলেন।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তারা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‌্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তারা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।

অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তারা দেশত্যাগ করেছেন।

এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক।

শনিবারও স্কুল-কলেজে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শনিবারও স্কুল-কলেজে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত

শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শনিবারও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমাদের বড় দাবি পূরণ হয়েছে। এটা আমাদের বড় বিজয়। আন্দোলন করে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। আগামীকাল থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরছি।

দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, গত আট দিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল। বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখব। যে আট দিন শ্রেণিকক্ষে যেতে পারিনি, সেই আট দিন পুষিয়ে দেব।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই ধাপে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এদিকে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

‘ভোটের মাঠে ১ লাখ সেনা, দেড় লাখ পুলিশ থাকবে’

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

‘ভোটের মাঠে ১ লাখ সেনা, দেড় লাখ পুলিশ থাকবে’

নির্বাচনকে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মাঠে থাকবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটের দিন প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে সারাদেশে।’

তিনি আরও জানান, ‘দেশে এখন নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান।’ সচিব বলেন, সম্প্রতি লুট হওয়া অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে, বাকি অংশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বৈঠকে আলোচনা করা হয়নি বলে জানান তিনি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.