০৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৪২
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এবং বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি ইউনিয়নের হঠাৎ করে ভূমিদস্যু একটি গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চরকরমজীর বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদারের নেতৃত্বে চরামদ্দির সঠিখোলা গ্রামের আইয়ুব আলীসহ অন্তত ৫/৬ জনের গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে দুই ইউনিয়নের ২০টির বেশি পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। বিশেষ করে কারও জমি দখলে ব্যর্থ হলে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে মামলা-মোকাদ্দমা করাসহ প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানি করার অভিযোগ আছে। এবং জমি নিয়ে আদালতে মামলা করে পরাস্ত হয়েছেন, পরবর্তীতে একই জমি নিজের দাবি করে ভূমি অফিসসহ পুলিশের কাছে অভিযোগ করারও উদাহরণ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদার লতিফ বাহিনী হয়রানি করেছে, এমন অন্তত ১৫ টি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে বরিশালের চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকরমজী এবং চরামদ্দির সঠিখোলা গ্রামে। দুটি গ্রামের মাঝখান দিয়ে নদী বয়ে গেছে এবং নদীর তীরবর্তী সরকারি ভূমি রয়েছে। এই ভূমি সরকারের তরফ থেকে পূর্বে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার পাশে বরিশাল সদর উপজেলার অংশে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদার বিগত সময়ে সরকারি খাস জমি থেকে ইটভাটার মাটি কেটে নিয়েছেন। ওই সময় তার দল ক্ষমতায় থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেনি। আ’লীগের পতন হলে তিনি আড়ালে থেকে চরামদ্দির সঠিখোলার বাসিন্দা আইয়ুব আলীকে সামনে ফেলে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন। তাদের কয়েকজনের ভূমিদস্যুতায় দুটি গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
ভুক্তভোগীদের একজন মো. হান্নান জানান, চরসঠিখোলা মৌজায় ২৫ বছর আগে সরকার তাকে ২০ ভূমি বন্দোবস্ত দেয়। এই ভূমিতে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই ভূমিটি আইয়ুব আলী নিজের দাবি করে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন, যার নেপথ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদার। একই বছরের ২৪ জুলাই আদালত হান্নানের পক্ষে রায় দেন, যার অনুলিপি বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে পাঠানো হয়।
হান্নানের অভিযোগ, মামলা দিয়ে হয়রানির পরে সেই আইয়ুব আলী কিছুদিন পূর্বে বাকেরগঞ্জ ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছেন। এবং মাঝে মধ্যে হুমকিও দিচ্ছেন, হয় জমি ছেড়ে দিবি, নয়তো প্রাণ যাবে।
অনুরুপ অভিযোগ করেছেন, কামরুল ইসলাম নান্টু, গিয়াস, নজরুল, সবুজ, পিন্টু, শাহীন, তোফাজ্জেল এবং সিরাজসহ অন্তত ১৫ জন বাসিন্দা। তারা জানান, প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সৈয়দ ফয়জুল করিম (রহ:) ক্বিরাতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জমিও এখন আইয়ুব আলী নিজের দাবি করেন। এনিয়ে তিনি একাধিক জনের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করেন। কিন্তু সবখানেই তার দুই নম্বরি ধরা পড়ছে, তারপরেও হয়রানি করে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যেকার আরেকজন সিরাজ অভিযোগ করেন, সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া তার ভূমিটি আইয়ুব আলী নিজের দাবি করেন। এবং ভূমিটি সরকার তাকে নতুন করে বন্দোবস্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এর স্বপক্ষে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছেন না। এমনকি তিনি প্রশাসনের যে সব স্থানে অভিযোগ করেছেন, সেখানে গিয়েও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই লতিফ সিকদার এবং সহযোগী আইয়ুব আলীর হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ঐক্যবব্ধ হয়েছে। তারা পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগ নেতা লতিফসহ তার গ্রুপের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে।
তবে লতিফ সিকদার জমি নিয়ে কারও সাথে বিরোধ নেই দাবি করলেও চতুর আইয়ুব আলী বলছেন, কাগজপত্র আছে বিধায় আমালতে যাচ্ছি, মামলা করছি। কিন্তু আপনিতো মামলায় হেরেছেন প্রশ্নে তিনি বলেন একটি আদালতে হারলে, আরেকটিতে মামলা করার সুযোগ আছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জের এসিল্যান্ড তন্ময় হালদার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তেমন একটা জানা নেই। তবে আইয়ুব আলী নামের জনৈক ব্যক্তি সঠিখোলা এলাকার একটি জমি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন, সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। এবং তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।’
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এবং বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি ইউনিয়নের হঠাৎ করে ভূমিদস্যু একটি গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চরকরমজীর বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদারের নেতৃত্বে চরামদ্দির সঠিখোলা গ্রামের আইয়ুব আলীসহ অন্তত ৫/৬ জনের গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে দুই ইউনিয়নের ২০টির বেশি পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। বিশেষ করে কারও জমি দখলে ব্যর্থ হলে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে মামলা-মোকাদ্দমা করাসহ প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানি করার অভিযোগ আছে। এবং জমি নিয়ে আদালতে মামলা করে পরাস্ত হয়েছেন, পরবর্তীতে একই জমি নিজের দাবি করে ভূমি অফিসসহ পুলিশের কাছে অভিযোগ করারও উদাহরণ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদার লতিফ বাহিনী হয়রানি করেছে, এমন অন্তত ১৫ টি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে বরিশালের চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকরমজী এবং চরামদ্দির সঠিখোলা গ্রামে। দুটি গ্রামের মাঝখান দিয়ে নদী বয়ে গেছে এবং নদীর তীরবর্তী সরকারি ভূমি রয়েছে। এই ভূমি সরকারের তরফ থেকে পূর্বে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার পাশে বরিশাল সদর উপজেলার অংশে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদার বিগত সময়ে সরকারি খাস জমি থেকে ইটভাটার মাটি কেটে নিয়েছেন। ওই সময় তার দল ক্ষমতায় থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেনি। আ’লীগের পতন হলে তিনি আড়ালে থেকে চরামদ্দির সঠিখোলার বাসিন্দা আইয়ুব আলীকে সামনে ফেলে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন। তাদের কয়েকজনের ভূমিদস্যুতায় দুটি গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
ভুক্তভোগীদের একজন মো. হান্নান জানান, চরসঠিখোলা মৌজায় ২৫ বছর আগে সরকার তাকে ২০ ভূমি বন্দোবস্ত দেয়। এই ভূমিতে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই ভূমিটি আইয়ুব আলী নিজের দাবি করে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন, যার নেপথ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিকদার। একই বছরের ২৪ জুলাই আদালত হান্নানের পক্ষে রায় দেন, যার অনুলিপি বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে পাঠানো হয়।
হান্নানের অভিযোগ, মামলা দিয়ে হয়রানির পরে সেই আইয়ুব আলী কিছুদিন পূর্বে বাকেরগঞ্জ ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছেন। এবং মাঝে মধ্যে হুমকিও দিচ্ছেন, হয় জমি ছেড়ে দিবি, নয়তো প্রাণ যাবে।
অনুরুপ অভিযোগ করেছেন, কামরুল ইসলাম নান্টু, গিয়াস, নজরুল, সবুজ, পিন্টু, শাহীন, তোফাজ্জেল এবং সিরাজসহ অন্তত ১৫ জন বাসিন্দা। তারা জানান, প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সৈয়দ ফয়জুল করিম (রহ:) ক্বিরাতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জমিও এখন আইয়ুব আলী নিজের দাবি করেন। এনিয়ে তিনি একাধিক জনের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করেন। কিন্তু সবখানেই তার দুই নম্বরি ধরা পড়ছে, তারপরেও হয়রানি করে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যেকার আরেকজন সিরাজ অভিযোগ করেন, সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া তার ভূমিটি আইয়ুব আলী নিজের দাবি করেন। এবং ভূমিটি সরকার তাকে নতুন করে বন্দোবস্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এর স্বপক্ষে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছেন না। এমনকি তিনি প্রশাসনের যে সব স্থানে অভিযোগ করেছেন, সেখানে গিয়েও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই লতিফ সিকদার এবং সহযোগী আইয়ুব আলীর হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ঐক্যবব্ধ হয়েছে। তারা পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগ নেতা লতিফসহ তার গ্রুপের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে।
তবে লতিফ সিকদার জমি নিয়ে কারও সাথে বিরোধ নেই দাবি করলেও চতুর আইয়ুব আলী বলছেন, কাগজপত্র আছে বিধায় আমালতে যাচ্ছি, মামলা করছি। কিন্তু আপনিতো মামলায় হেরেছেন প্রশ্নে তিনি বলেন একটি আদালতে হারলে, আরেকটিতে মামলা করার সুযোগ আছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জের এসিল্যান্ড তন্ময় হালদার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তেমন একটা জানা নেই। তবে আইয়ুব আলী নামের জনৈক ব্যক্তি সঠিখোলা এলাকার একটি জমি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন, সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। এবং তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।’
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.