১০ জুন, ২০২৫ ০৯:৪৪
আগামী ২৫ বছর তীব্র গ্রীষ্মের গরমে নয়, বরং শীতল ও সহনীয় আবহাওয়ায় হজ পালন করবেন বিশ্বের লাখ লাখ মুসল্লি। এমন তথ্যই জানিয়েছে সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিশেষ হজ পঞ্জিকায় ২০২৬ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত হজের সময় ও সম্ভাব্য আবহাওয়ার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
সৌদি আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সাল থেকেই হজ মৌসুম পড়বে অপেক্ষাকৃত শীতল ঋতুগুলোতে। হজের সময় ধাপে ধাপে বসন্ত, শীত ও শরৎকালের মধ্যে আবর্তিত হবে। ফলে চরম গরমে শারীরিক কষ্ট, হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা বা প্রাণহানির ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি বলেন, “২০২৪ ও ২০২৫ সালই গ্রীষ্মকালের শেষ হজ। এরপর আমরা প্রবেশ করব অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও আরামদায়ক আবহাওয়ার এক নতুন চক্রে।”
প্রতি বছর হজ ১১ দিন করে এগিয়ে আসে হিজরি চান্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে, কারণ এটি সৌর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের চেয়ে ছোট। এর ফলে হজ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুতে পড়ে।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই বৈশ্বিক ধর্মীয় আয়োজনের আবহাওয়াগত পরিবর্তন আসন্ন বছরগুলোতে হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২০২৬–২০৩৩: বসন্তকাল (মার্চ–মে)
২০৩৪–২০৪১: শীতকাল (জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি, ডিসেম্বরে আংশিক)
২০৪২–২০৪৯: শরৎকাল (সেপ্টেম্বর–নভেম্বর)
২০৫০: গ্রীষ্মকাল (আগস্ট) – আবারও গরমের হজে ফেরা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা মুসল্লিদের শুধু শারীরিক স্বস্তিই দেবে না, বরং সৌদি সরকারের পক্ষে হজ ব্যবস্থাপনা সহজতর ও দক্ষ করে তুলবে। তাপদাহজনিত অসুস্থতা, ভিড় ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যে সংকট প্রতি বছর দেখা দেয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে সৌদি সরকারের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে মুসলিম বিশ্ব। অনেকেই এটিকে হজ ব্যবস্থাপনায় সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।
আগামী ২৫ বছর তীব্র গ্রীষ্মের গরমে নয়, বরং শীতল ও সহনীয় আবহাওয়ায় হজ পালন করবেন বিশ্বের লাখ লাখ মুসল্লি। এমন তথ্যই জানিয়েছে সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিশেষ হজ পঞ্জিকায় ২০২৬ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত হজের সময় ও সম্ভাব্য আবহাওয়ার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
সৌদি আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সাল থেকেই হজ মৌসুম পড়বে অপেক্ষাকৃত শীতল ঋতুগুলোতে। হজের সময় ধাপে ধাপে বসন্ত, শীত ও শরৎকালের মধ্যে আবর্তিত হবে। ফলে চরম গরমে শারীরিক কষ্ট, হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা বা প্রাণহানির ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি বলেন, “২০২৪ ও ২০২৫ সালই গ্রীষ্মকালের শেষ হজ। এরপর আমরা প্রবেশ করব অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও আরামদায়ক আবহাওয়ার এক নতুন চক্রে।”
প্রতি বছর হজ ১১ দিন করে এগিয়ে আসে হিজরি চান্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে, কারণ এটি সৌর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের চেয়ে ছোট। এর ফলে হজ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুতে পড়ে।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই বৈশ্বিক ধর্মীয় আয়োজনের আবহাওয়াগত পরিবর্তন আসন্ন বছরগুলোতে হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২০২৬–২০৩৩: বসন্তকাল (মার্চ–মে)
২০৩৪–২০৪১: শীতকাল (জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি, ডিসেম্বরে আংশিক)
২০৪২–২০৪৯: শরৎকাল (সেপ্টেম্বর–নভেম্বর)
২০৫০: গ্রীষ্মকাল (আগস্ট) – আবারও গরমের হজে ফেরা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা মুসল্লিদের শুধু শারীরিক স্বস্তিই দেবে না, বরং সৌদি সরকারের পক্ষে হজ ব্যবস্থাপনা সহজতর ও দক্ষ করে তুলবে। তাপদাহজনিত অসুস্থতা, ভিড় ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যে সংকট প্রতি বছর দেখা দেয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে সৌদি সরকারের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে মুসলিম বিশ্ব। অনেকেই এটিকে হজ ব্যবস্থাপনায় সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।
১১ জুন, ২০২৫ ১৯:২৩
ভোলা সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে পড়শির হামলা যুবক নিহতসহ একই পরিবারের অন্তত ৯জন আহত হয়েছেন। পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি বজলু জোমাদ্দারের নেতৃত্বে তার ছেলে-সন্তানেরা ১০ জুন বিকেল তিনটার দিকে অস্ত্রসমেত হামলা চালিয়ে ইসমাইল হাওলাদারসহ (২৬) পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখম করে। তাদের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একদিন বাদে ইসমাইলসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে আসা হয়। শেবাচিমে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
নিহত ইসমাইলের দুলাভাই মো. মাইদুল দেওয়ান (৩৫) বরিশালটাইমসকে জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত বজলু জোমাদ্দারের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। ১০ জুন বিকেলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথার কাটাকাটি হলে বজলু জোমাদ্দারের নেতৃত্বে তার ছেলে মফিজ জোমাদ্দার (৩৫), সবুজ জোমাদ্দার (৪০), মিজান জোমাদ্দার (৩০), শ্যালক কামাল বেপারীসহ অন্তত ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এসময় তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে ধারালো চাইনিজ কুঠাল দিয়ে ইসমাইলের মাথায় কোপ দেয়, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই চিত্র দেখে স্বজনেরা এগিয়ে গেলে একে একে সকলকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে। তাৎক্ষণিকভাবে ইসমাইলসহ ৮জনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিন বাদে বুধবার (১১ জুন) তাদের মধ্যে ইসমাইল, বিউটি বেগম এবং খাদিজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মি. মাইদুল জানান, সকালে শেবাচিমে ভর্তি করা হলে রাতে ইসমাইল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে বুধবার সকালে হামলাকারী বজলু জোমাদ্দারসহ তার ছেলে-সন্তানদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) সাইফুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, এই ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান চলছে। কিন্তু ঘটনার পরে সকলে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপন করায় গ্রেপ্তার করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’
ভোলা সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে পড়শির হামলা যুবক নিহতসহ একই পরিবারের অন্তত ৯জন আহত হয়েছেন। পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি বজলু জোমাদ্দারের নেতৃত্বে তার ছেলে-সন্তানেরা ১০ জুন বিকেল তিনটার দিকে অস্ত্রসমেত হামলা চালিয়ে ইসমাইল হাওলাদারসহ (২৬) পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখম করে। তাদের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একদিন বাদে ইসমাইলসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে আসা হয়। শেবাচিমে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
নিহত ইসমাইলের দুলাভাই মো. মাইদুল দেওয়ান (৩৫) বরিশালটাইমসকে জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত বজলু জোমাদ্দারের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। ১০ জুন বিকেলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথার কাটাকাটি হলে বজলু জোমাদ্দারের নেতৃত্বে তার ছেলে মফিজ জোমাদ্দার (৩৫), সবুজ জোমাদ্দার (৪০), মিজান জোমাদ্দার (৩০), শ্যালক কামাল বেপারীসহ অন্তত ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এসময় তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে ধারালো চাইনিজ কুঠাল দিয়ে ইসমাইলের মাথায় কোপ দেয়, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই চিত্র দেখে স্বজনেরা এগিয়ে গেলে একে একে সকলকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে। তাৎক্ষণিকভাবে ইসমাইলসহ ৮জনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিন বাদে বুধবার (১১ জুন) তাদের মধ্যে ইসমাইল, বিউটি বেগম এবং খাদিজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মি. মাইদুল জানান, সকালে শেবাচিমে ভর্তি করা হলে রাতে ইসমাইল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে বুধবার সকালে হামলাকারী বজলু জোমাদ্দারসহ তার ছেলে-সন্তানদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) সাইফুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, এই ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান চলছে। কিন্তু ঘটনার পরে সকলে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপন করায় গ্রেপ্তার করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’
১১ জুন, ২০২৫ ১৮:৪২
বরগুনায় একদিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোসাই দাস এবং দুপুরের দিকে চান মিয়ার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
মৃত চান মিয়া (৭৫) সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার এবং গোসাই দাস (৭০) বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত সোমবার অসুস্থ অবস্থায় চান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু পজেটিভ হলে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। ভর্তির একদিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চান মিয়ার মৃত্যু হয়।
চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থ অবস্থায় তিনদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়। সকালে নতুন করে বাবার রক্ত পরীক্ষা করলে ৬৪ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়।
এর আগে গত রোববার অসুস্থ অবস্থায় গোসাই দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় স্বজনরা। এরপর দুপুরের দিকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে এলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধায় তার মৃত্যু হয়।
গোসাই দাসের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, দুপুর পর্যন্ত বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। ক্লিনিকে পরীক্ষার পর বাসায় গিয়ে খাবারও খেয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হঠাৎ করেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে অক্সিজেন লাগানো হলেও মারা যান।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বরিশালটাইমসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানান, তারা বয়স্ক ছিলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসা জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
বরগুনায় একদিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোসাই দাস এবং দুপুরের দিকে চান মিয়ার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
মৃত চান মিয়া (৭৫) সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার এবং গোসাই দাস (৭০) বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত সোমবার অসুস্থ অবস্থায় চান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু পজেটিভ হলে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। ভর্তির একদিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চান মিয়ার মৃত্যু হয়।
চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থ অবস্থায় তিনদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়। সকালে নতুন করে বাবার রক্ত পরীক্ষা করলে ৬৪ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়।
এর আগে গত রোববার অসুস্থ অবস্থায় গোসাই দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় স্বজনরা। এরপর দুপুরের দিকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে এলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধায় তার মৃত্যু হয়।
গোসাই দাসের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, দুপুর পর্যন্ত বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। ক্লিনিকে পরীক্ষার পর বাসায় গিয়ে খাবারও খেয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হঠাৎ করেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে অক্সিজেন লাগানো হলেও মারা যান।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বরিশালটাইমসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানান, তারা বয়স্ক ছিলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসা জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
১১ জুন, ২০২৫ ১৮:৩৩
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খয়বার হোসেন সরকার (রাজা মাস্টার) দলীয় সভায় জামায়াত নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের কচুকাটা করতে হবে।’ তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ রাতারাতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বক্তব্যটি স্থানীয় জামায়াত নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউ কেউ এই বক্তব্যকে উসকানিমূলক আখ্যা দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বুধবার (১১ জুন) এক ভিডিও বার্তায় খয়বার হোসেন সরকার তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘গতকাল আমার বাড়িতে বিএনপির এক উঠান বৈঠকে জামায়াত সম্পর্কে যা বলেছি, তা ছিল অনিচ্ছাকৃত ও মুখ ফসকে বলা মন্তব্য (স্লিপ অব টাং)। আমি এ জন্য দুঃখিত ও অনুতপ্ত।’
তিনি বিএনপি ও জামায়াতের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ ও পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খয়বার হোসেন সরকার (রাজা মাস্টার) দলীয় সভায় জামায়াত নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের কচুকাটা করতে হবে।’ তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ রাতারাতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বক্তব্যটি স্থানীয় জামায়াত নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউ কেউ এই বক্তব্যকে উসকানিমূলক আখ্যা দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বুধবার (১১ জুন) এক ভিডিও বার্তায় খয়বার হোসেন সরকার তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘গতকাল আমার বাড়িতে বিএনপির এক উঠান বৈঠকে জামায়াত সম্পর্কে যা বলেছি, তা ছিল অনিচ্ছাকৃত ও মুখ ফসকে বলা মন্তব্য (স্লিপ অব টাং)। আমি এ জন্য দুঃখিত ও অনুতপ্ত।’
তিনি বিএনপি ও জামায়াতের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ ও পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.