dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, ৪ দিন ধরে অন্ধকারে ১৭ ইউনিয়ন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৪৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, ৪ দিন ধরে অন্ধকারে ১৭ ইউনিয়ন

বরিশাল থেকে ২০০৪ সালে গজারিয়া নদীর তলদেশ হয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়। নদীর তলদেশের ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই এই উপজেলায়। এতে জনজীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে ১৭টি ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন পুরো উপজেলাতেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। মার্কেটে ব্যবসায়ীদের ক্রেতাশূন্য অন্ধকার দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে। পানির অভাবে অনেক পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে রান্নাবান্না করতে পারেনি। ফলে খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার মসজিদগুলোতেও অজুর পানি নেই। ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতালে রোগীদের কষ্ট দ্বিগুণ বেড়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে সেবাগ্রহীতা সকালে এসে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করতে পারছেন না। বিভিন্ন পোলট্রি খামারিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওষুধের ফার্মেসিতে ফ্রিজে রাখা ইনসুলিন এবং ইনজেকশনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লাখো মানুষ এখন বেকায়দায়।

নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসা মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, আমি জয়নগর ইউনিয়ন থেকে সকাল ১০টায় অফিসে এসেছি ছেলের ভোটার আইডি কার্ড করাতে। বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছি। আমাদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।

মেহেন্দিগঞ্জ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত সোহাগ বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ওষুধের ফার্মেসিগুলো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রেবিকবিসি, টিটি বাক্স, ইনসুলিন, সাপোজিটর যেগুলো ফ্রিজে রাখা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় এসব ইনজেকশনগুলো রোগীদের দেওয়া যাচ্ছে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি দ্রুত বিদ্যুৎ সার্ভিসের ব্যবস্থা করে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ বন্ধ ও ফটোকপি মেশিন বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবাও দেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের প্রতিটা সেবাই বিদ্যুতের সঙ্গে সম্পর্ক।

কখন বিদ্যুৎ পাবো তার নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছে না। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম শেখ বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। আমাদের সকল ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এজিএম হারুন অর রশিদ বলেন, গজারিয়া নদীতে জাহাজ নোঙর করার সময় গ্যারাপির আঘাতে নদীর তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতবিক্ষত হয়। তিনটি পেজে সমস্যা হয়েছে।

আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ও বরিশালের ডুবুরি কাজ করছেন। আমরা ঘটনার পরপরই সমস্যা সমাধানের জন্য বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছি। সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। তা ঠিক করা হচ্ছে। ঠিক হলেই দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হবে। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রিয়াজুর রহমান বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের বিদ্যুৎটা ৩৩ কেবি লাইনের মাধ্যমে বরিশাল থেকে মুলাদি হয়ে মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে গজারিয়া নদীর তলদেশ হয়ে মেহেন্দিগঞ্জে আসে। নদীর তলদেশের ক্যাবল ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ নেই।

তিনি বলেন, আমরা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বরিশাল জেলা প্রশাসক স্যারকে জানিয়েছি। স্যার বিষয়টি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবকে জানিয়েছেন। তারা দ্রুত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আনার ব্যবস্থা করছেন। আশা করি আগামী একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে।

আরও পড়ুন:

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। 

এদিকে  শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির  অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে  সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর  অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে  অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান  তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস  পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।

অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক  পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য, অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য,  অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও  পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।

সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।

সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক। 

হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে।  যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। 

বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.