Bkash

বরিশাল

জুলাই যোদ্ধাকে ‘ডেভিল’ ট্যাগ দিয়ে গ্রেপ্তার: পুলিশের দাবি আ’লীগের দোসর!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাই যোদ্ধাকে ‘ডেভিল’ ট্যাগ দিয়ে গ্রেপ্তার: পুলিশের দাবি আ’লীগের দোসর!

বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে আন্দোলনে জড়িত এক যুবকের পরিচয় নিয় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। হোসাইন আল সুহান নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের দাবি, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা।

অন্যদিকে সুহান গত জুলাই আগস্টজুড়ে স্বৈরাচারী সরকার পতনে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ করে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

থানার ভেতরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের। এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগর ভবনের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক থেকে সুহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে ও সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কোতয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করে মূল ফটকে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা।

সুহানকে গ্রেপ্তারের খবরে রোববার দুপুর থেকে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সোমবার দুপুর তিনটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা কাজে ফিরেছেন।

পুলিশ কমিশনার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, সুহানকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলাসহ গত জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সুহান ছাত্রলীগ নেতা তার প্রমান এই ছবিতে।

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সদস্য তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বলেন, ‘মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। তাই আমরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের সমন্বয়ক সুহানকে নিয়ে গেছে। তার মুক্তির দাবিতে আমরা এখন থানায় অবস্থান নিয়েছি।’

কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের ক্যাডার সুহান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও পলাতক শেখ হাসিনার মামাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী। তাকে গ্রেপ্তারের সময় স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনের কয়েকজন সদস্য জোর করে টহল পিকআপে উঠেছিল। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুহানকে হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারী মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে সোমবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহত করার অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

মামলায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে জনতার উপর হামলা, হত্যা করতে আঘাতসহ মারধর-জখমসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, ডিসির প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বলেন। শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা সবাই একসাথে স্মারকলিপি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে যেতেই পুলিশ শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেয় এবং হোসাইন আল সুহানকে ধরে নিয়ে যায়।

একজন জুলাই যোদ্ধাকে এভাবে ডেবিল ট্যাগ দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে না। আমারা জানতে চাই কার র্নিদেশে গ্রেপ্তার করা হলো এবং কেন পুলিশ আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের গায় হাত দিলো।

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য একজন জুলাই যোদ্ধাকে ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সুহান যখন ৮ম শ্রেণিতে পড়াকালে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে অংশগ্রহন করে, সেই মিছিলের ছবি দিয়ে তাকে ফ্যাসিস্টের দোসর বানিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুরো স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ও পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

বরিশালে যারা গত জুলাই আগষ্টে সরকার পতনের আন্দোলন করেছে তারা সুহানকে চেনে এবং জানে। সুহানের গায়ে ১৭ টি গুলি (স্প্রিন্টারের) আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহানের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে সরকার পতনে পুলিশের গুলি স্বৈরাচারী সরকারের নেতা কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়। আমার ছেলে আহার নিদ্রা পরিহার করে রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়েছে।

আমার ছেলের বাচ্চাকালের একটা ছবি বের করে ছেলে পেলেদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভুল প্রমাণিত করতে চাচ্ছে একটি মহল, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এরই সাথে আমার ছেলেকে জামিনে যাতে বিলম্ব না করে, সে বিষয় আদালতে দাবিগুলি পেশ করবো।

প্রসঙ্গত, ২৩ দিন ধরে চলা আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের পাশাপাশি গত ১১ আগস্ট শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি গেটে আমরণ অনশনে বসেন কয়েক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে অনশন থেকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ সময় দুই পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে দাবি করা হয়। গত রোববার শেবাচিম হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে আন্দোলনে নামে।

একই সময় ছাত্রজনতা শেবাচিমের প্রধান গেটে অবস্থানকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রজনতার ছোড়া ইটে চিকিৎসক আহত হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়।

এরপর রোববার দুপুর থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে হাসপাতাল শাটডাউনের কথা জানান।

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা দূর, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট নির্মুলের দাবিতে চলমান এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কয়েকজন নেতা। এর মধ্যে সুহান একজন, যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে।

মহিউদ্দিন রনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলন, দলীয় লেজুর ভিত্তিক ডাক্তারদের নিয়োগ,এবং দালাল নির্মূল এর যে দাবি ছাত্র জনতা তুলেছেন, এই দাবী সরকার যদি মেনে নেয় তাহলে একটি কুচক্রী মহল সন্ত্রাসবাদ কায়েম দালাল সিন্ডিকেট পরিচালনা স্বাস্থ্যখাতকে কেন্দ্র করে অনিয়ম দুর্নীতি করতে না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

বরিশালে শ্বশুরকে হত্যার পর লাশ গুম, ঘাতক জামাই গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে শ্বশুরকে হত্যার পর লাশ গুম, ঘাতক জামাই গ্রেপ্তার

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্বশুরকে অপহরণ করে হত্যা এবং লাশ গুমের ঘটনায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত অখিল হালদার মন্টুর লাশ উদ্ধার করে শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত অখিল হালদার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন দুধ ব্যবসায়ী। নিহতের মেয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে দুই বছর আগে বাবা-মায়ের অমতে কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করেন নিহত অখিল হালদার মন্টুর মেয়ে আঁখি হালদার। প্রথমে আঁখির পরিবার প্রেমের ওই বিয়ে মেনে নেয়নি।

পরবর্তীতে বিয়ে মেনে নিলেও কিছুদিন পর থেকে টাকার জন্য আঁখিকে মারধর করতো স্বামী কৃষ্ণ বাড়ৈ। বিষয়টি পারিবারিকভাবে কয়েকবার সমাধান করা হলেও কৃষ্ণের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

সম্প্রতি কৃষ্ণকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার বাবা কানাই বাড়ৈ ১ লাখ টাকা ছেলের শ্বশুর অখিল হালদারকে দেন। পরে বিদেশ না যাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি টাকা দিয়ে কৃষ্ণকে ভ্যান কিনে দেওয়ার কথা হয়।

যা নিয়ে পরবর্তীতে শ্বশুর ও জামাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে বাকি টাকাও ফেরত দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে ভ্যান গাড়ি কেনার জন্য জামাই-শ্বশুর একত্রে বাড়ি থেকে বের হন।

তবে স্থানীয়রা জানান, অখিল হালদার মন্টু বুধবার দুপুরে দুধ বিক্রি করতে গৈলা বাজারে যান। দুধ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে আগৈলঝাড়ার রাজিহার বাজারের ওয়াপদা সড়কে আসলে শ্বশুর মন্টুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ। ২০ আগস্ট বাড়িতে না ফেরায় পরের দিন ২১ আগস্ট মন্টুর স্ত্রী বিউটি হালদার আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম জানান, সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে প্রাথমিক তদন্তে নামে পুলিশ। আর তদন্তের শুরুতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন আলামতে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মেয়ে জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈকে সন্দেহ হয় পুলিশের।  

পরে ২২ আগস্ট তাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্বশুর মন্টুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। সেইসঙ্গে আটক কৃষ্ণ বাড়ৈই হত্যার পুরো ঘটনা বর্ণনা শেষে যেখানে লাশ গুম করেছে সেখানে নিয়ে যায় এবং তার দেখানো জায়গা রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সড়কের পাশে খালের কচুরিপানার নিচ থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে মন্টুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে মামলায় নিহতের মেয়ে জামাতা কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে শ্বশুরকে হত্যার পর তার ভ্যান ও ৫টি দুধের কলস নিয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ মাদারীপুর সদরে গিয়ে বিক্রি করে দেন। যা উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বলেন, আমার স্বামীর অমতে প্রায় দুই বছর পূর্বে মেয়ে আঁখি হালদার কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করায় প্রথম থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে জামাই আমাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। যার সূত্র ধরেই তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।

এদিকে অভিযুক্ত জামাই কৃষ্ণ জানান, শ্বশুরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষোভের কারণেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শ্বশুর অখিলকে। অপরদিকে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করা অভিযুক্ত কৃষ্ণের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার-পরিজন। এমনকি ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্ত কৃষ্ণের স্ত্রী আঁখিও।

এলাকাবাসী জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাভীর দুধ সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে পাইকারি দিতেন নিহত অখিল হালদার। কারো সাথে কখনো কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়নি তার। তবে জামাই মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করতো শ্বশুর-শাশুড়ির উপর। এরই ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকাণ্ড।

বরিশালে ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র সাব-ইনেসপেক্টর পরিচয়ে প্রতারণা করা মেহেদী হাসান শাওন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কারারক্ষীরা।

আজ শনিবার সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করে ডেপুটি জেলারকে ডিজিএফআই সদস্য পরিচয় দিয়ে এক কারাবন্দীর সাথে সাক্ষাৎ করার অনুরোধ করেন মেহেদী। বিষয়টি ডেপুটি জেলারকে সন্দেহজনক মনে হলে তিনি শাওনের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চান।

কিন্তু তিনি কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে কারারক্ষীরা তাকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বরিশালে আলোচিত লিটু হত্যা মামলার আসামি মিলন গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:২৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

 বরিশালে আলোচিত লিটু হত্যা মামলার আসামি মিলন গ্রেপ্তার

অবশেষে বরিশালের বহু আলোচিত প্রকাশ্য দিবালোকে লিটু সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি মিলন গাজীকে গ্রেফতার করেছে বিমান বন্দর থানা পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ডিএমপি ঢাকার উত্তরখান থানা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত মিলন গাজি বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন পূর্ব বিল্ববাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই পূর্ববিরোধের জেরে লিটন সিকদার লিটুকে প্রকাশ্যে অসংখ্য সাক্ষীর উপস্থিতিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলায় মিলন গাজীকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।

এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির সিকদার জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামি পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.