dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

জুলাই যোদ্ধাকে ‘ডেভিল’ ট্যাগ দিয়ে গ্রেপ্তার: পুলিশের দাবি আ’লীগের দোসর!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাই যোদ্ধাকে ‘ডেভিল’ ট্যাগ দিয়ে গ্রেপ্তার: পুলিশের দাবি আ’লীগের দোসর!

বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে আন্দোলনে জড়িত এক যুবকের পরিচয় নিয় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। হোসাইন আল সুহান নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের দাবি, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা।

অন্যদিকে সুহান গত জুলাই আগস্টজুড়ে স্বৈরাচারী সরকার পতনে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ করে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

থানার ভেতরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের। এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগর ভবনের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক থেকে সুহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে ও সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কোতয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করে মূল ফটকে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা।

সুহানকে গ্রেপ্তারের খবরে রোববার দুপুর থেকে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সোমবার দুপুর তিনটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা কাজে ফিরেছেন।

পুলিশ কমিশনার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, সুহানকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলাসহ গত জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সুহান ছাত্রলীগ নেতা তার প্রমান এই ছবিতে।

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সদস্য তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বলেন, ‘মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। তাই আমরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের সমন্বয়ক সুহানকে নিয়ে গেছে। তার মুক্তির দাবিতে আমরা এখন থানায় অবস্থান নিয়েছি।’

কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের ক্যাডার সুহান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও পলাতক শেখ হাসিনার মামাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী। তাকে গ্রেপ্তারের সময় স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনের কয়েকজন সদস্য জোর করে টহল পিকআপে উঠেছিল। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুহানকে হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারী মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে সোমবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহত করার অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

মামলায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে জনতার উপর হামলা, হত্যা করতে আঘাতসহ মারধর-জখমসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, ডিসির প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বলেন। শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা সবাই একসাথে স্মারকলিপি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে যেতেই পুলিশ শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেয় এবং হোসাইন আল সুহানকে ধরে নিয়ে যায়।

একজন জুলাই যোদ্ধাকে এভাবে ডেবিল ট্যাগ দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে না। আমারা জানতে চাই কার র্নিদেশে গ্রেপ্তার করা হলো এবং কেন পুলিশ আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের গায় হাত দিলো।

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য একজন জুলাই যোদ্ধাকে ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সুহান যখন ৮ম শ্রেণিতে পড়াকালে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে অংশগ্রহন করে, সেই মিছিলের ছবি দিয়ে তাকে ফ্যাসিস্টের দোসর বানিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুরো স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ও পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

বরিশালে যারা গত জুলাই আগষ্টে সরকার পতনের আন্দোলন করেছে তারা সুহানকে চেনে এবং জানে। সুহানের গায়ে ১৭ টি গুলি (স্প্রিন্টারের) আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহানের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে সরকার পতনে পুলিশের গুলি স্বৈরাচারী সরকারের নেতা কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়। আমার ছেলে আহার নিদ্রা পরিহার করে রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়েছে।

আমার ছেলের বাচ্চাকালের একটা ছবি বের করে ছেলে পেলেদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভুল প্রমাণিত করতে চাচ্ছে একটি মহল, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এরই সাথে আমার ছেলেকে জামিনে যাতে বিলম্ব না করে, সে বিষয় আদালতে দাবিগুলি পেশ করবো।

প্রসঙ্গত, ২৩ দিন ধরে চলা আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের পাশাপাশি গত ১১ আগস্ট শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি গেটে আমরণ অনশনে বসেন কয়েক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে অনশন থেকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ সময় দুই পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে দাবি করা হয়। গত রোববার শেবাচিম হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে আন্দোলনে নামে।

একই সময় ছাত্রজনতা শেবাচিমের প্রধান গেটে অবস্থানকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রজনতার ছোড়া ইটে চিকিৎসক আহত হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়।

এরপর রোববার দুপুর থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে হাসপাতাল শাটডাউনের কথা জানান।

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা দূর, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট নির্মুলের দাবিতে চলমান এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কয়েকজন নেতা। এর মধ্যে সুহান একজন, যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে।

মহিউদ্দিন রনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের এই যৌক্তিক আন্দোলন, দলীয় লেজুর ভিত্তিক ডাক্তারদের নিয়োগ,এবং দালাল নির্মূল এর যে দাবি ছাত্র জনতা তুলেছেন, এই দাবী সরকার যদি মেনে নেয় তাহলে একটি কুচক্রী মহল সন্ত্রাসবাদ কায়েম দালাল সিন্ডিকেট পরিচালনা স্বাস্থ্যখাতকে কেন্দ্র করে অনিয়ম দুর্নীতি করতে না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। 

এদিকে  শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির  অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে  সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর  অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে  অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান  তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস  পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।

অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক  পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য, অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য,  অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও  পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।

সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।

সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক। 

হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে।  যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। 

বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.