Bkash

বরিশাল

বাবুগঞ্জে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

১১ আগস্ট, ২০২৫ ০৯:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবুগঞ্জে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব ও বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের যৌথ আয়োজনে রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১১ থেকে বাবুগঞ্জের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রিজ এলাকায় ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বাবুগঞ্জে কর্মরত সকল পেশাদার সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

এসময় সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করাসহ সাংবাদিকদের ৩ দফা দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামের বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাফেজ মোঃ রহমতউল্লাহ মাতুব্বর, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ফরিদ হোসেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব প্রকৌশলী জি.এম রাব্বি প্রমুখ।

সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক সাইফুর রহিম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন নয়ন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মামুন, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রোকন মিয়া, উজিরপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাসুম, উজিরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরদার, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মুন্না প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, খানপুরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক রুবেল সরদার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শাহিন মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মহিউদ্দিন খাঁন রানা, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির, নবীন দাস, আলিফ হাসান সাব্বির, মাসুদ হাওলাদার, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য শফিকুল ইসলাম, নুরে আলম, রফিকুল ইসলাম ছোটন, ওবায়দুল ইসলাম উজ্জ্বল, সুমন আকন, ফাহিম আহমেদ প্রমুখ। সাংবাদিকদের ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'খুলনার সাংবাদিক মানিক সাহা, যশোরের সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু, ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাস, সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল, ঢাকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির পরে সর্বশেষ নৃশংস হত্যার শিকার হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তাকে প্রকাশ্য চৌরাস্তায় জনসম্মুখে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পেশাদার সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করলেও রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার হচ্ছে না বলে একের পর এক নিষ্ঠাবান সাহসী সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন। এই ক্ষতি রাষ্ট্রের, এই লজ্জা, এই ব্যর্থতা ক্ষমতাসীন সরকারের।'

এসময় বক্তারা আরো বলেন, 'রাষ্ট্রের অপরাধ দমনে পুলিশের মতো সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের আত্মরক্ষার কোনো হাতিয়ার নেই। তাই সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। কোনো সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হত্যা-নির্যাতনের শিকার হলে সেই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। সাংবাদিক তুহিনের খুনিদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। এছাড়াও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। সাংবাদিকদের উপস্থাপন করা এই ৩ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন বক্তারা।' #

বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

রবিবার (১০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, রাফি, সিফাত ও সুহানের নাম জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় চলমান স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের ১৪তম দিনে বিকেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ও ধূমপান নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে মহিউদ্দিন রনিও রয়েছেন। সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী নেত্রীরাও জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনার পর দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনা সদস্যরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের ক্ষতি ঠেকাতে রাতেই বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমঝোতা বৈঠকেই হাতাহাতি থেকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে মহিউদ্দিন রনিসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ, স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ভেঙে দিতে তাদের ওপর একটি পক্ষ হামলা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, “নথুল্লাবাদের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএম কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত। গুরুতর আহত পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর জানান, আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কেউ নেই। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটেছে। পুলিশ সেখানে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ভেতরে ঢোকেনি। তবে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলেও তিনি জানান।

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিল্টন বহিস্কার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ০১:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিল্টন বহিস্কার

দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক যুগ্ম আহ্বায়ককে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ওসমান গনি স্বাক্ষরিত পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন মো. রিয়াজ খান মিল্টন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সু-স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিয়াজ খান মিল্টনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। দলের কোন নেতাকর্মীকে তার সাথে যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেয়া হলো।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এ সিদ্বান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খান মো. আনোয়ার বলেন, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারণে মিল্টনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সিকদার লিটুকে কুপিয়ে হত্যা ও তার একটি হাত কর্তনের মামলায় গত ৬ জুলাই গ্রেফতার হন মিল্টন।

বর্তমানে ওই মামলার আসামী হিসেবে কারান্তরীণ রয়েছেন তিনি।’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ০০:৫৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে বরিশালে আসা এবং শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করাসহ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা। রোববার বিকেল ৫টার দিকে সংগঠক মহিউদ্দিন রনির এমন আল্টিমেটাম ঘোষণা পরপরই বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টা থেকে টানা চতুর্থ দিনের মতো শহরের নথুল্লাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশালের কিছু অংশসহ পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সবরকম যানবাহন চলাচল রয়েছে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

জানা গেছে, স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং শেবাচিম হাসপাতালে অনিয়ম বন্ধ করাসহ ৩ দফা দাবিতে দুই সপ্তাহ আগে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বরিশালে আসেন সংগঠক মহিউদ্দিন রনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত এই শিক্ষার্থীর ডাকে সাড়া দিয়ে যৌক্তিক ইস্যুতে রাজপথে নেমে আসেন শতশত মানুষ। প্রথম ১০ দিন তারা বরিশাল শহরের সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সম্মুখে মানববন্ধনসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে ছাত্র-জনতা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়। গত ৪ দিন যাবৎ বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানাধীন নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা নিয়ে শনিবার বাস শ্রমিকদের সাথে ছাত্র-জনতার হাতাহাতির মতো ঘটনাও ঘটে। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং শেবাচিম হাসপাতালে অনিয়ম বন্ধ করা ইস্যুটি যৌক্তিক হওয়ায় উভয়পক্ষ রাতে বৈঠক করে সমঝোতায় আসেন। এবং ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকে।

জানা গেছে, রোববার ১১টায় চতুর্থ দিনের মতো নথুল্লাবাদ এলাকায় রনির নেতৃত্বে মহাসড়ক অবরোধ করলে সড়কের দুই পাশে কয়েক শ যানবাহন আটকে যায়। এবং যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এদিন দুপুর ২টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে সংগঠক মহিউদ্দিন রনিসহ ছাত্র-জনতাকে সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও সেখানে উত্তেজনাকর পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ফয়জুল করিমসহ তার অনুগত কর্মী-সমর্থকেরা। এরপরে দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ রাখা হয় এবং বিকেল ৫টার দিকে সেখানে সাংবাদিক সম্মেলন করে ছাত্র-জনতা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সরে যান।

২০২২ সালে রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে প্রতিবাদ করে আলোচনায় আসা রনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং শেবাচিম হাসপাতালে অনিয়ম বন্ধ করাসহ ৩ দফা দাবিতে দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চলছে। কিন্তু এই যৌক্তিক ইস্যু নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা তার স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোনো মাথা ব্যথা নেই। রোববার সড়ক ছেড়ে দিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে আসবেন এবং শেবাচিমের দুর্নীতি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন। নতুবা সাধারণ মানুষের এই দাবি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আরও কঠোর কর্মসূচির বিষয়টিও আলোচনায় রাখা হয়েছে।

ছাত্র-জনতা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পরে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে এবং যাত্রী সাধারণের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেন ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার। তিনি জানান, তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা রোববারও মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে বিকেল ৫টার দিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে শেবাচিমের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছে। এদিন বেলা ১১টায় শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.