https://joinnavy.navy.mil.bd/

পটুয়াখালী

কলাপাড়ায় ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কলাপাড়ায় ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে!

পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলায় ভুক্তভোগী পরিবারের ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবদল নেতার পরিবারের বিরুদ্ধে। ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট ২য় আমলী

আদালতে ইতিমধ্যে মামলাও দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আব্দুল সত্তার ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, যুবদলের নেতার পরিবারের সদস্য মোঃ ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার,তার ছেলে ইব্রাহিম সাউগার কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি,আরেক ছেলে জাহিদ সাউগার নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা, ছোট ছেলে উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ।

স্থানীয় সাউগার পরিবার প্রথমে আমাদের পূর্ব পুরুষের জমিতে ভূয়া ওয়ারিশ দেখিয়ে পায়রাবন্দর কতৃপক্ষকে বোকা বানিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পাওয়ার পর আমরা সঠিক কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে ইব্রাহিম সাউগারের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কাছে।

অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক দ্রুত এলএ শাখার কর্মকর্তাদের কতৃক প্রতারক ইব্রাহিম সাউগারের পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। এলএ শাখা কতৃপক্ষ তখন ইব্রাহিম সাউগারের পরিবারকে এমন প্রতারণার আশ্রয় থেকে সরে যেতে বলেন।

মামলার বাদী ও বাউফল উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল সত্তার আরও বলেন,ইব্রাহিম সাউগারের দ্যোচুচরা রাজনৈতিক পরিবার এবার বেকায়দায় পড়েছেন, তারা এমনটা বুঝতে পেরে আমাকে খুঁজে বের করেন। পাশাপাশি প্রতারণার কৌশলও খুঁজে বের করেন সাউগার পরিবার।

একপর্যায়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলা ও জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন প্রতারক সাউগার পরিবার। বিনিময়ে আমার জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।

এরপর,ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমি সমাধানের পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হই। প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের ২য় তলায় জনৈক এ্যাডভোকেটের চেম্বারে একাধিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে সোলেনামা করি, আমি।

সোলেনামা অনুযায়ী আমার জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ লক্ষ টাকার আপোষ হয়। এসময় ২ লক্ষ টাকা আমাকে নগদ প্রদান করে সাউগার পরিবার। পাশাপাশি বাকী ৩৮ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন প্রতারক ওই পরিবার। প্রদত্ত চেকটির নম্বর ছিলো ৩৭৬২৫০২। যার ক্ষেপুপাড়া উত্তরা ব্যাংক শাখার সঞ্চায়ী হিসাব নম্বর ১২৩০৩১।

এরপর শালিসি মোতাবেক জমির ক্ষতিপূরণের বাকি ৩৮ লক্ষ টাকা সময় মত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে সাউগার পরিবার। ২০২৪ সালের ৯ জুন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের ২য় তলায় ওই এ্যাডভোকেটের চেম্বারে ফের শালিসিতে বসেন তারা। পরে টাকা পরিশোধ করার জন্য মৌখিকভাবে ওয়াদা করে চলে যায়।

কিন্তু ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ শালিসিতে বসে পূর্বের চেকে প্রদত্ত ৩৮ লক্ষ টাকা দিতে সাফ অস্বীকার করেন প্রতারক সাউগার পরিবার। এসব প্রতারণার নাটেরগুরু ছিলেন শান্তি সাউগারের ছেলে যুবদলের নেতা ইব্রাহিম সাউগার।

২০২৫ সালের ৬ এপ্রিল যুবদলের নেতার পরিবারের প্রতারণার শিকার হয়ে পটুয়াখালী আদালতে আমরা আরেকটি মামলা দায়ের করি। এই মামলার বাদিনী আমার পুত্রবধূ সালেহা হোসেন। কারণ আমার ব্যাংক হিসাব নম্বর ছিলো না। যেকারণে ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার সালেহার ব্যাংক হিসেবে জমির ক্ষতিপূরণের ৩৮ লক্ষ টাকা দেওয়ার ওয়াদা করেছিলো।

আদালতে দায়ের করা ৩৮ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতি মামলার বিষয়ে কথা হলে পটুয়াখালী সদর নৌ-ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ দিলীপ কুমার বলেন, ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার পরিবারের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলার তদন্ত চলছে। বাদী ও বিবাদীদের উভয়কেই নোটিশ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে খুব শীঘ্রই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এদিকে চেক জালিয়াতি মামলার আসামি ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার বলেন,যে জমি নিয়ে প্রথমে আব্দুল সত্তার আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার প্রকৃত মালিক আমরা কেউ না। প্রকৃত মালিকের ৯৮ বছর যাবৎ কোনো খোঁজ নেই। তারপর থেকে খরিদ ও রেকর্ড সূত্রে আমরা মালিক।

৯৮ বছর যাবৎ প্রকৃত জমির মালিকের কোনো খোঁজ নেই,আপনি কিভাবে জমির মালিক হলেন? এমন প্রশ্নে চুপসে যান শান্তি সাউগার। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

এদিকে শান্তি সাউগারের ছেলে ও লালুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইব্রাহিম সাউগার বলেন,আমার বাবা যা বলেছেন তা সঠিক নয়। আপনাদের (সংবাদকর্মী) সঙ্গে আমি কাগজপত্র নিয়ে পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতি ভবনে সমঝোতা করার জন্য বসতে চাই।

আরও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পটুয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মিছিলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে এ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা এলাকায় এসে শেষ হয়।

 জানা যায়, দশমিনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জায়েদ প্যাদার নেতৃত্ব এ ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়েছে।

জায়েদ প্যাদা নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে আবারও রাজপথে। এরপর ভিডিওটি মুহুর্তই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারের সামনে কাফনের কাপড় পরে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাধা ছিল।
 এসময় দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হটাও ইউনুস বাঁচাও দেশ- লেখা ছিল। মিছিলে ৩৫-৪০জন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাদের ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরনে, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
 
এ বিষয় দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বরিশালটাইমসকে জানান, ভোরে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ভিডিও নজরে এসেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ সন্তান লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা–বাবা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ সন্তান লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা–বাবা

এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন ২২ বছর বয়সী লামিয়া আক্তার। ঘটনাটি লামিয়ার পরিবারে আনন্দ বয়ে আনলেও এখন সন্তানদের লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মা–বাবা।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামে লামিয়ার বাড়ি। তাঁর স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার একই উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্বামী সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ছোট মুদি ব্যবসা করেন। দুই পরিবারই দরিদ্র এবং তাদের বসতভিটা ছাড়া জমিজমা নেই।

২০২০ সালে পারিবারিকভাবে সোহেলের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। চার বছর পর গত জুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে তিনটি সন্তান আছে। গর্ভধারণের পর থেকেই ভয় ও উদ্বেগে ছিলেন তিনি ও স্বজনেরা। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাসান, মো. হোসাইন, মো. মোয়াজ্জিন, মোসা. লামিবা ও মোসা. উমামা।

পাঁচ সন্তানের জন্মের পর লামিয়া এখন নিজের বাবার বাড়িতে আছেন। নবজাতকদের পরিচর্যা করছেন তাঁর মা শাহনাজ বেগম (৪০)। তবে মায়ের দুধে পাঁচটি শিশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।

শাহনাজ বেগম বলেন, পাঁচটি শিশুই সুস্থ আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাদের পেছনে ব্যয় বাড়ছে। দুই দিনে ১ হাজার ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়। এত খরচ বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ফারুক হাওলাদারের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো বিশ্রামে থাকার কথা থাকলেও অভাবের কারণে তাঁকে আবার ইটভাটায় কাজে যেতে হচ্ছে।

শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সন্তানের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সন্তানদের সুস্থভাবে বড় করতে সবার কাছে সহায়তা চান।

এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, দরিদ্র এই দুই পরিবারের পক্ষে পাঁচটি শিশু লালন–পালন করা খুবই কঠিন। শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কোনো তহবিল তাঁদের নেই। তবে চিকিৎসার সব সহায়তা দেওয়া হবে।

জেলের জালে ধরা পড়লো ২১ কেজির 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জেলের জালে ধরা পড়লো ২১ কেজির 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশাল ‘কালো পোয়া’ মাছ। বিরল এই সামুদ্রিক মাছটি স্থানীয়ভাবে ‘দাঁতিনা’ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।

এর আগে 'এফবি ভাই ভাই' ট্রলারে গত ৩ দিন আগে গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছটি উঠে আসে।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিসে আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ফয়সাল ফিস আড়তের রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। “শুনেছি মাছটির বায়ু থলি (এয়ার ব্লাডার) অনেক দামি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব,” বলেন তিনি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এক লাখ টাকার একটি মাছ এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে 'ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার'ও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.