dreamliferupatolibarisal

পটুয়াখালী

বাউফলে বিরোধপূর্ণ ভূমির ৪০০ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

০৬ জুলাই, ২০২৫ ২০:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে বিরোধপূর্ণ ভূমির ৪০০ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০০ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৬ জুলাই) উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে ডিয়ারা কচুয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে ওসি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি।

ভুক্তভোগীরা জানান, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ডিয়ারা কচুয়া গ্রামের ১৯১, ২০১১,২১২, ৩৫৩ ও ৩৬৯ খতিয়ানের ১৯৭,১৯৮,২০২, ২০৩ ও ২০৪ দাগের ২১ একর ৩৬ শতাংশ জমির মালিক তিন ভাই আবুল হাশেম মাতব্বর, আবুল কাশেম মাতব্বর এবং আবদুল হাকিম মাতব্বর। এর মধ্যে আবুল হাশেমের ওয়ারিশগণ তাদের পুরো জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাদের কোনো জমি নেই। তারপরেও গায়ের জোরে হাকিম এবং কাশেম মাতব্বরের ওয়ারিশদের জমির দখলের চেষ্টা করছেন। দফায় দফায় প্রায় ৪০০ কাছ কেটে নিয়ে গেছেন।

আবদুল হাকিম মাতব্বরের ছেলে মো. বাবুল মাতব্বর (৫৩) এবং আবুল কাশেম মাতব্বরের বড় ছেলে সামসুল হক মাতব্বর অভিযোগ করেছেন, তাদের চাচা আবুল হাশেমের সব জমি বিক্রি করে দিয়েছেন তার ওয়ারিশেরা। এরপরেও তাঁর (আবুল হাশেম) মেঝ ছেলে আবদুল লতিফ মাতব্বরের ছেলে সাকিব হাসান ওরফে সিজার মাতব্বর (৩৩) সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের দুই পরিবারের ১৪ একর ২৪ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে চাষাবাদ করছেন। তাদের বাড়ির ৬২ শতাংশ জমির মেহগনি, চাম্বুল ও রেইনট্রি প্রজাতির প্রায় ৪০০ গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার পাননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিপুল পরিমাণ গাছ কেটে একটি ট্রলার বোঝাই করে রাখা হয়েছে। কিছু গাছ ট্রলারে উঠানোর জন্য সড়কের ওপর রাখা হয়েছে। ছোট, বড় সাইজের প্রায় ৪০০ গাছ কাটা হয়।

স্থানীয় ইব্রাহিম নামের এক গাছ ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় আট লাখ টাকা মূল্যের গাছ কাটা হয়েছে।

গাছ কাটার দায়িত্বে থাকা শ্রমিক মো. রিয়াজ সরদার (২৫) বলেন, সিজার মাতব্বরের নির্দেশে তারা আটজন শ্রমিক পেট্রোল চালিত তিনটি যন্ত্র দিয়ে গাছগুলো কেটেছেন।

গ্রাম পুলিশ মো. হাবিবুর রহমান ও দফাদার মো. কবির হোসেন বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে বলি। কিন্তু তারা তা শোনেননি, দ্বিতীয় দিনের মতো আজকে গাছ কেটেছেন।

এ বিষয়টি তাঁরা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাবুদ্দিনকে জানিয়েছেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও দফাদারকে পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গাছ কোনো পক্ষকেই কেটে ফেলা গাছ না নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানান ওসি।’

আরও পড়ুন:

জুলাইযোদ্ধা শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায়, তিন আসামির সাজা

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাইযোদ্ধা শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায়, তিন আসামির সাজা

পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

স্ত্রী-পুত্রসহ সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্ত্রী-পুত্রসহ সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।

সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।

এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। 

অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।

তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে দুদকের অভিযান

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে দুদকের অভিযান

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।

দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.