dreamliferupatolibarisal

পটুয়াখালী

দুমকিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীজুড়ে চলছে মা ইলিশ নিধন

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

১০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দুমকিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীজুড়ে চলছে মা ইলিশ নিধন

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর দুমকিতে চলছে নির্বিঘ্নে মা–ইলিশ শিকার। প্রজনন মৌসুমে দিনরাত নদীতে চলছে শত শত জেলের অবাধ ইলিশ আহরণ। মৎস্য বিভাগের অভিযান চললেও থামানো যাচ্ছে না জেলেদের বেপরোয়া তৎপরতা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে চলছে চোর–পুলিশের লুকোচুরি খেলা।

শুক্রবার সকালে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকায় পায়রা–পাতাবুনিয়া নদীর মোহনায় দেখা যায়—অভিযান দলের সামনেই ট্রলারে জাল ফেলছে জেলেরা। অভিযান শুরু হতেই দ্রুতগামী ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চেপে তীরে উঠে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যায় তারা। জেলেদের তুলনায় প্রশাসনের টহল টিমের নৌযান অত্যন্ত ধীরগতির হওয়ায় জেলেদের ধরাছোঁয়া পর্যন্ত পাওয়া যায় না। প্রশাসন একদিকে গেলে আবার অন্যদিকে নেমে পড়ে জেলেরা।

স্থানীয়দের দাবি, দুমকির পাঙ্গাশিয়া, রাজগঞ্জ, পশ্চিম লেবুখালী, আঙ্গারিয়া, বাহেরচর, জলিশা, চরগরবদি ও কলাগাছিয়া এলাকায় প্রতিদিন শতাধিক ট্রলারে মা–ইলিশ নিধন চলছে। এতে প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের ইলিশ সম্পদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে ৮টি নৌকা ও ১ লাখ ১৩ হাজার মিটার নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮ জন জেলেকে কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. এজাজুল হক।

দুমকি উপজেলা মৎস্য অফিসের ফিল্ড অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, “প্রতিদিন দুটি টিম মৎস্য অফিস ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে নামছে। তবুও জেলেরা কৌশলে সময় বদলে নদীতে নামে, ফলে অভিযান কার্যকর হচ্ছে না।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু জেলে আগেভাগেই অভিযান দলের সময়সূচি জেনে ফাঁকি দিয়ে অন্য সময়ে মাছ ধরে নেয়। নিষিদ্ধ সময়ে বাজারে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি না হলেও গোপনে সংরক্ষণের অভিযোগও রয়েছে। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রজনন মৌসুমে অভিযান ও টহল আরও জোরদার করা হবে। তবে সংশ্লিষ্টদের মত, বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা না থাকায় অনেক জেলে জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে নদীতে নামছে।

আরও পড়ুন:

জুলাইযোদ্ধা শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায়, তিন আসামির সাজা

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাইযোদ্ধা শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায়, তিন আসামির সাজা

পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

স্ত্রী-পুত্রসহ সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্ত্রী-পুত্রসহ সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।

সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।

এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। 

অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।

তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে দুদকের অভিযান

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে দুদকের অভিযান

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।

দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.