ভোলা

নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা-গাড়ি ভাঙচুর

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ মে, ২০২৫ ১৫:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা-গাড়ি ভাঙচুর

নরসিংদীর বেলাবোতে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িদের গ্রেফতার অভিযানে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশকে বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় বিন্নাবাইদ ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সিনতাজ মোহাম্মদ সালমানকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছন ডিবি পুলিশ সদস্য আব্দুস সালাম। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান। এর আগে শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেলাবো উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের চর কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবদুস সালাম, শেখ মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাজিব হাসান, পুলিশ সদস্য শামসুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও মো. হাসমত আলী।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার চর কাশিমনগর এলাকার পারভেজ (২৬), বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের রতন চেয়ারম্যানের ছেলে সিনতাজ মোহাম্মদ সালমান (৩২), কাশিমনগরের নিয়ত আলীর ছেলে মো. মজিবুর (৪০), মজিদ মিয়ার ছেলে ডা.আব্দুল জলিল (৪৫), মৃত আ. মালেক মিয়ার ছেলে মো. মোবারক হোসেন (৪২), গোশলাকান্দা এলাকার মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে মো. শাহজাহান (৪০), ইকতিয়ার হোসেন (৩৮), ইদ্রিস মেম্বারের ছেলে সেন্টু মিয়া (৪২), চর ছায়েট এলাকার হাবিবুর (৩৮) ও চর কাশিমনগরের হোসেন আলীর ছেলে ইব্রাহিম খলিলসহ (৪৩) ৪০-৫০ জন।

হামলায় আহত ডিবি পুলিশের এসআই ও মামলার বাদী আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ওই এলাকায় গিয়ে মাঠের কাছে একটি মসজিদে আমিসহ এসআই জসিম মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হই। মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্র পারভেজ নামের একজন এসে জিজ্ঞেস করে আমরা কারা এবং এখানে কেন এসেছি। তখন আমরা আমাদের পরিচয় দেই। পরিচয় দেওয়ামাত্র ‘ডিবি পুলিশ এখানে কেন আসবে’ বলেই চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে। পরে তারা হামলা চালায়। মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লি ও বেলাবো থানা পুলিশের সহায়তায় আমরা স্থান ত্যাগ করে বেলাবো হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।’

নরসিংদী পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, আহত পুলিশ সদস্যরা সুস্থ আছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ভোলায় ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৪ জুন, ২০২৫ ০৬:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

ভোলায় ঈদকে কেন্দ্র করে বিক্রির উদ্দেশ্য পরম যত্নে লালন-পালন করা গড়ে তোলা ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের বিশাল আকারের ৪টি গরু এখনও বিক্রি হয়নি। ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অন্যদিকে এসব গরু হাটে তোলার পর দামাদামি করে কোনো কোনো ক্রেতা উৎপাদন খরচও বলছেন না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বড় আকারের গরু। কিন্তু এ বছর ক্রেতারা বড় গরুর দিকে ঝুঁকছে না, আর এতেই বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

সরেজমিনে ভোলা শহরের ‘গরুর হাট’ ও আলীনগর মাদরাসা বাজার পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু।

বিপাকে পড়া খামারিদের মধ্যে একজন সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত খাঁন ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল কালাম খাঁন। তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ১১টি গরু রয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে লাইভ ওয়েটে ২২ মণ ওজনের ব্রাহমা জাতের একটি ষাঁড় ‘কালো বদর’ ও ফ্রিজিয়ান ১৬ মণ ওজনের আরেকটি ষাঁড় ‘কালো পাহাড়’। এ বছর ঈদুল আজহায় বিক্রির উদ্দেশ্য ফার্মটিতে দুটি বিশাল আকারের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে তোলা হচ্ছে ভোলার বিভিন্ন হাটে। কালা বদরের দাম দেওয়া হয়েছে ৭ লাখ ও কালো পাহাড়ের দাম দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। কিন্তু নেই ক্রেতাদের আগ্রহ।

খামারি আবুল কালাম খাঁন বলেন, আমার খামারের একটি ব্রাহমা জাতের গাভীর বাচ্চা হচ্ছে ২২ মণের কালো বদর ও ফ্রিজিয়ান শাহিওয়াল ক্রসের ১৬ মণ ওজনের কালো পাহাড় । সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঁচা ঘাস, খৈল,খড়, ভূসি খাইয়ে বড় করেছি।

প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ টাকা প্রতিটি ষাঁড়ের পেছনে ব্যয় হচ্ছে। কালা বদরের বয়স ৪ বছর ও কালো পাহাড়ের বয়স ৩ বছর। দাম চেয়েছি ৭ লাখ ও ৫ লাখ টাকা। ষাঁড়গুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ও ৪ লাখ টাকা।

বিক্রির উদ্দেশ্য হাটে তোলার পর কয়েকজন ক্রেতা ষাঁড় দুটির পেছনে ব্যয় হওয়া দামও বলেনি, ক্রেতাও কম, এ দামে বিক্রি করলে চালানও উঠবে না। এখন গরু নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছি।

শুধু আবুল কালাম খাঁন নয়, একই চিত্র পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতা গ্রামের খামারি মো. আল আমিনের। আল আমিনের খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ২৫টি গরু রয়েছে। বিক্রির উদ্দেশ্য এ বছর প্রস্তুত করেছেন লাইভ ওয়েট ২২ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় নাম ‘রাজাবাবু’ ও ১৬ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের আরেকটি গাভী। ক্রেতারা কাঙ্খিত দাম না বলায় তিনিও বিপাকে পড়েছেন।

মো. আল আমিন বলেন, দাম কমিয়ে আমার ২২ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম নির্ধারণ করেছি ৬ লাখ টাকা। কয়েকজন ক্রেতা রাজাবাবুর দাম বলেছেন সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ১৬ মণ ওজনের অন্য গরুটির দাম নির্ধারণ করেছি সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ক্রেতারা বলছেন ২ লাখের মতো। এসব দামে গরু বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা মূলধনও উঠবে না। খামারে গরু যত বড় হচ্ছে দৈনিক খরচ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।

ক্রেতা মো. জসিম ও শাহে আলম, রশিদ বলেন, হাটে এসেছি কোরবানির জন্য গরু কিনতে। আমাদের বাজেট ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সোয়া ১ লাখ টাকা। ছোট ও মাঝারি ধরনের গরু দামাদামি করছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সার্বিক পরামর্শে খামারিরা গরুগুলো লালন পালন করেছেন। ভোলায় এ বছর বড় গরুর ক্রেতা কম থাকায় খামারিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন এবং ক্রেতারা দামও কম বলছেন।

এদিকে শেষ মুহূর্তে হলেও গরুগুলো ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা খামারিদের। উল্লেখ্য, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানিয়েছে চলতি বছর ভোলা জেলায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২৫৩টি। চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ হাজার ৫১৬টি।

ভোলায় ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ মে, ২০২৫ ১৫:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জুলাই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চাঁনখানপুলে ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পলাতক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলাল।

আজ রবিবার ট্রাইব্যুলাল এ আদেশ দেয়।

এদিন শুনানির শুরুতেই শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাঁনখারপুলের ওই হত্যায় সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমারচক্রবর্তীসহ অন্য সাত আসামি মাঠ পর্যায়ে হত্যার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন।

তাই আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন চিফ প্রসিকিউটর।

পরে এ মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে পলাতক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, বাকিরা পলাতক। গ্রেফতার ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলামকে আজ সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.