০৫ জুন, ২০২৫ ১৪:২৯
ভোলার লালমোহন উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজার পাহারাদারদের ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমোহন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে সমিতির প্রধান কার্যালয়ে ৯জন পাহারাদার ও স্টাফকে এই ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিল- গুঁড়া চাল, তেল, পেয়াজ, রসুন, আদা ও মুরগি।
এ সময় লালমোহন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদুর রহমান, মো. রতন মুন্সী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজিব হাসনাত শাকিল ও পৌরসভা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আহমেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজার পাহারাদারদের ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমোহন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে সমিতির প্রধান কার্যালয়ে ৯জন পাহারাদার ও স্টাফকে এই ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিল- গুঁড়া চাল, তেল, পেয়াজ, রসুন, আদা ও মুরগি।
এ সময় লালমোহন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদুর রহমান, মো. রতন মুন্সী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজিব হাসনাত শাকিল ও পৌরসভা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আহমেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
০৪ জুন, ২০২৫ ১১:৫৬
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনুমানিক ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার হেক্টরে শসা। আউশ ধান আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টরে। নিম্নচাপের প্রভাবে এই উপজেলায় ১৪৪ হেক্টরে গ্রীষ্মকালীন সবজি, ৩৪ হেক্টরে আউশের বীজতলা ও ১০৫ হেক্টরে রোপা আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। এতে করে প্রায় ৩ হাজার কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে চাষ করা শসা, করলা, লাউ, চিচিঙ্গা, পেঁপে, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি আউশ ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাষের প্রাথমিক ধাপেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আব্দুল্লাহপুর, আসলামপুর, চরমাদ্রাজ, ওসমানগঞ্জ, চরকুকরিমুকরি, রসুলপুর ও আমিনাবাদ ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সবুজে ভরা কৃষিজমিগুলো এখন পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, ১ একর ৬০ শতাংশ জমিতে শসার চাষাবাদ করেছেন। এতে তাঁর ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ঋণ নিয়ে এই শসা চাষাবাদ করেন। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ১ একর জমির শসাখেত নষ্ট হয়ে গেছে।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা জানান, সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে চরফ্যাশনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি বিশেষ করে শসা, করলা ও চিচিঙ্গাসহ বেশ কিছু সবজি এবং আউশ ধানের বীজতলাসহ সদ্য রোপণ করা আউশ ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান লেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারে প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনুমানিক ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার হেক্টরে শসা। আউশ ধান আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টরে। নিম্নচাপের প্রভাবে এই উপজেলায় ১৪৪ হেক্টরে গ্রীষ্মকালীন সবজি, ৩৪ হেক্টরে আউশের বীজতলা ও ১০৫ হেক্টরে রোপা আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। এতে করে প্রায় ৩ হাজার কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে চাষ করা শসা, করলা, লাউ, চিচিঙ্গা, পেঁপে, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি আউশ ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাষের প্রাথমিক ধাপেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আব্দুল্লাহপুর, আসলামপুর, চরমাদ্রাজ, ওসমানগঞ্জ, চরকুকরিমুকরি, রসুলপুর ও আমিনাবাদ ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সবুজে ভরা কৃষিজমিগুলো এখন পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, ১ একর ৬০ শতাংশ জমিতে শসার চাষাবাদ করেছেন। এতে তাঁর ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ঋণ নিয়ে এই শসা চাষাবাদ করেন। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ১ একর জমির শসাখেত নষ্ট হয়ে গেছে।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা জানান, সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে চরফ্যাশনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি বিশেষ করে শসা, করলা ও চিচিঙ্গাসহ বেশ কিছু সবজি এবং আউশ ধানের বীজতলাসহ সদ্য রোপণ করা আউশ ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান লেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারে প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
০৪ জুন, ২০২৫ ০৬:৩০
ভোলায় ঈদকে কেন্দ্র করে বিক্রির উদ্দেশ্য পরম যত্নে লালন-পালন করা গড়ে তোলা ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের বিশাল আকারের ৪টি গরু এখনও বিক্রি হয়নি। ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অন্যদিকে এসব গরু হাটে তোলার পর দামাদামি করে কোনো কোনো ক্রেতা উৎপাদন খরচও বলছেন না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বড় আকারের গরু। কিন্তু এ বছর ক্রেতারা বড় গরুর দিকে ঝুঁকছে না, আর এতেই বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
সরেজমিনে ভোলা শহরের ‘গরুর হাট’ ও আলীনগর মাদরাসা বাজার পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু।
বিপাকে পড়া খামারিদের মধ্যে একজন সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত খাঁন ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল কালাম খাঁন। তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ১১টি গরু রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে লাইভ ওয়েটে ২২ মণ ওজনের ব্রাহমা জাতের একটি ষাঁড় ‘কালো বদর’ ও ফ্রিজিয়ান ১৬ মণ ওজনের আরেকটি ষাঁড় ‘কালো পাহাড়’। এ বছর ঈদুল আজহায় বিক্রির উদ্দেশ্য ফার্মটিতে দুটি বিশাল আকারের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে তোলা হচ্ছে ভোলার বিভিন্ন হাটে। কালা বদরের দাম দেওয়া হয়েছে ৭ লাখ ও কালো পাহাড়ের দাম দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। কিন্তু নেই ক্রেতাদের আগ্রহ।
খামারি আবুল কালাম খাঁন বলেন, আমার খামারের একটি ব্রাহমা জাতের গাভীর বাচ্চা হচ্ছে ২২ মণের কালো বদর ও ফ্রিজিয়ান শাহিওয়াল ক্রসের ১৬ মণ ওজনের কালো পাহাড় । সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঁচা ঘাস, খৈল,খড়, ভূসি খাইয়ে বড় করেছি।
প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ টাকা প্রতিটি ষাঁড়ের পেছনে ব্যয় হচ্ছে। কালা বদরের বয়স ৪ বছর ও কালো পাহাড়ের বয়স ৩ বছর। দাম চেয়েছি ৭ লাখ ও ৫ লাখ টাকা। ষাঁড়গুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ও ৪ লাখ টাকা।
বিক্রির উদ্দেশ্য হাটে তোলার পর কয়েকজন ক্রেতা ষাঁড় দুটির পেছনে ব্যয় হওয়া দামও বলেনি, ক্রেতাও কম, এ দামে বিক্রি করলে চালানও উঠবে না। এখন গরু নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছি।
শুধু আবুল কালাম খাঁন নয়, একই চিত্র পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতা গ্রামের খামারি মো. আল আমিনের। আল আমিনের খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ২৫টি গরু রয়েছে। বিক্রির উদ্দেশ্য এ বছর প্রস্তুত করেছেন লাইভ ওয়েট ২২ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় নাম ‘রাজাবাবু’ ও ১৬ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের আরেকটি গাভী। ক্রেতারা কাঙ্খিত দাম না বলায় তিনিও বিপাকে পড়েছেন।
মো. আল আমিন বলেন, দাম কমিয়ে আমার ২২ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম নির্ধারণ করেছি ৬ লাখ টাকা। কয়েকজন ক্রেতা রাজাবাবুর দাম বলেছেন সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ১৬ মণ ওজনের অন্য গরুটির দাম নির্ধারণ করেছি সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ক্রেতারা বলছেন ২ লাখের মতো। এসব দামে গরু বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা মূলধনও উঠবে না। খামারে গরু যত বড় হচ্ছে দৈনিক খরচ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।
ক্রেতা মো. জসিম ও শাহে আলম, রশিদ বলেন, হাটে এসেছি কোরবানির জন্য গরু কিনতে। আমাদের বাজেট ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সোয়া ১ লাখ টাকা। ছোট ও মাঝারি ধরনের গরু দামাদামি করছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সার্বিক পরামর্শে খামারিরা গরুগুলো লালন পালন করেছেন। ভোলায় এ বছর বড় গরুর ক্রেতা কম থাকায় খামারিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন এবং ক্রেতারা দামও কম বলছেন।
এদিকে শেষ মুহূর্তে হলেও গরুগুলো ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা খামারিদের। উল্লেখ্য, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানিয়েছে চলতি বছর ভোলা জেলায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২৫৩টি। চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ হাজার ৫১৬টি।
ভোলায় ঈদকে কেন্দ্র করে বিক্রির উদ্দেশ্য পরম যত্নে লালন-পালন করা গড়ে তোলা ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের বিশাল আকারের ৪টি গরু এখনও বিক্রি হয়নি। ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অন্যদিকে এসব গরু হাটে তোলার পর দামাদামি করে কোনো কোনো ক্রেতা উৎপাদন খরচও বলছেন না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বড় আকারের গরু। কিন্তু এ বছর ক্রেতারা বড় গরুর দিকে ঝুঁকছে না, আর এতেই বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
সরেজমিনে ভোলা শহরের ‘গরুর হাট’ ও আলীনগর মাদরাসা বাজার পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু।
বিপাকে পড়া খামারিদের মধ্যে একজন সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত খাঁন ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল কালাম খাঁন। তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ১১টি গরু রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে লাইভ ওয়েটে ২২ মণ ওজনের ব্রাহমা জাতের একটি ষাঁড় ‘কালো বদর’ ও ফ্রিজিয়ান ১৬ মণ ওজনের আরেকটি ষাঁড় ‘কালো পাহাড়’। এ বছর ঈদুল আজহায় বিক্রির উদ্দেশ্য ফার্মটিতে দুটি বিশাল আকারের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে তোলা হচ্ছে ভোলার বিভিন্ন হাটে। কালা বদরের দাম দেওয়া হয়েছে ৭ লাখ ও কালো পাহাড়ের দাম দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। কিন্তু নেই ক্রেতাদের আগ্রহ।
খামারি আবুল কালাম খাঁন বলেন, আমার খামারের একটি ব্রাহমা জাতের গাভীর বাচ্চা হচ্ছে ২২ মণের কালো বদর ও ফ্রিজিয়ান শাহিওয়াল ক্রসের ১৬ মণ ওজনের কালো পাহাড় । সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঁচা ঘাস, খৈল,খড়, ভূসি খাইয়ে বড় করেছি।
প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ টাকা প্রতিটি ষাঁড়ের পেছনে ব্যয় হচ্ছে। কালা বদরের বয়স ৪ বছর ও কালো পাহাড়ের বয়স ৩ বছর। দাম চেয়েছি ৭ লাখ ও ৫ লাখ টাকা। ষাঁড়গুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ও ৪ লাখ টাকা।
বিক্রির উদ্দেশ্য হাটে তোলার পর কয়েকজন ক্রেতা ষাঁড় দুটির পেছনে ব্যয় হওয়া দামও বলেনি, ক্রেতাও কম, এ দামে বিক্রি করলে চালানও উঠবে না। এখন গরু নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছি।
শুধু আবুল কালাম খাঁন নয়, একই চিত্র পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতা গ্রামের খামারি মো. আল আমিনের। আল আমিনের খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ২৫টি গরু রয়েছে। বিক্রির উদ্দেশ্য এ বছর প্রস্তুত করেছেন লাইভ ওয়েট ২২ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় নাম ‘রাজাবাবু’ ও ১৬ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের আরেকটি গাভী। ক্রেতারা কাঙ্খিত দাম না বলায় তিনিও বিপাকে পড়েছেন।
মো. আল আমিন বলেন, দাম কমিয়ে আমার ২২ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম নির্ধারণ করেছি ৬ লাখ টাকা। কয়েকজন ক্রেতা রাজাবাবুর দাম বলেছেন সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ১৬ মণ ওজনের অন্য গরুটির দাম নির্ধারণ করেছি সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ক্রেতারা বলছেন ২ লাখের মতো। এসব দামে গরু বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা মূলধনও উঠবে না। খামারে গরু যত বড় হচ্ছে দৈনিক খরচ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।
ক্রেতা মো. জসিম ও শাহে আলম, রশিদ বলেন, হাটে এসেছি কোরবানির জন্য গরু কিনতে। আমাদের বাজেট ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সোয়া ১ লাখ টাকা। ছোট ও মাঝারি ধরনের গরু দামাদামি করছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সার্বিক পরামর্শে খামারিরা গরুগুলো লালন পালন করেছেন। ভোলায় এ বছর বড় গরুর ক্রেতা কম থাকায় খামারিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন এবং ক্রেতারা দামও কম বলছেন।
এদিকে শেষ মুহূর্তে হলেও গরুগুলো ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা খামারিদের। উল্লেখ্য, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানিয়েছে চলতি বছর ভোলা জেলায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২৫৩টি। চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ হাজার ৫১৬টি।
২৫ মে, ২০২৫ ১৫:১১
জুলাই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চাঁনখানপুলে ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পলাতক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলাল।
আজ রবিবার ট্রাইব্যুলাল এ আদেশ দেয়।
এদিন শুনানির শুরুতেই শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাঁনখারপুলের ওই হত্যায় সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমারচক্রবর্তীসহ অন্য সাত আসামি মাঠ পর্যায়ে হত্যার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন।
তাই আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন চিফ প্রসিকিউটর।
পরে এ মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে পলাতক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, বাকিরা পলাতক। গ্রেফতার ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলামকে আজ সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
জুলাই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চাঁনখানপুলে ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পলাতক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলাল।
আজ রবিবার ট্রাইব্যুলাল এ আদেশ দেয়।
এদিন শুনানির শুরুতেই শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাঁনখারপুলের ওই হত্যায় সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমারচক্রবর্তীসহ অন্য সাত আসামি মাঠ পর্যায়ে হত্যার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন।
তাই আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন চিফ প্রসিকিউটর।
পরে এ মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে পলাতক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, বাকিরা পলাতক। গ্রেফতার ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলামকে আজ সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.