২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:২৮
বরিশালের ২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে এক সময়কার তরুণ নেতা গোলাম ফারুক অভি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার একটি জোরালো গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মডেল ও অভিনয়শিল্পী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাবেক এই সাংসদ ২০০২ সালের শেষের দেশত্যাগ করেছিলেন। তারপরে দীর্ঘ বছর ধরে তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আলোচিত হত্যা মামলাটি থেকে খালাস পেয়েছে তিনি।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, তৎসময়ের জনপ্রিয় এমপি অভির দেশে ফিরে নিজ এলাকা উজিরপুর-বানারীপাড়া থেকে সাংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত তার কোনো মন্তব্য না পাওয়া গেলেও বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিশেষ করে ভোটারদের মুখে মুখে অভির দেশে ফেরা এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
বরিশাল ২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন সরফুদ্দিন সান্টু, দুলাল হোসেন, রওনাকুল ইসলাম টিপু এবং সাইফ মাহমুদ জুয়েল। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বীতার ঘোষণা দিয়ে মাঠে আছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাস্টার আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভব্য প্রার্থীদের তৎপরতার মধ্যে হঠাৎই আলোচনায় আসলেন কানাডায় অবস্থানরত সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গোলাম ফারুক অভি বিএনপির ছাত্রসংগঠনের নেতা হলেও তিনি ১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। এবং সংসদীয় এলাকার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০০২ সালের শেষের দিকে মডেল ও অভিনয়শিল্পী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যাকাণ্ডে আলোচিত এই নেতার নামটি জড়িয়ে যায়। তৎকালীন সময়ে পুলিশ এই হত্যা মামলায় একমাত্র অভিকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন।
সূত্রগুলো জানায়, আলোচিত এই মামলাটির কারণে সাবেক এমপি অভির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দুর্বিসহ ওঠে এবং তার করান্তরীণ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ২০০৭ সালে ও ২০১৮ সালে ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে লাল নোটিস জারি করে। তবে অভি শুরু থেকেই মডেল তিন্নির প্রাণবিয়োগের ঘটনাটিকে আত্মহত্যা দাবি করে আসছিলেন এবং আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে লড়াইও করছিলেন।
সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে অভির এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় ৫ বছর স্থগিত থাকার পরে ২০১৫ সালে মামলাটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১৯ অগাস্ট মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। রায়ের তারিখ ৪১ বার পরিবর্তন করার পর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য পুনরায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০২২ সালে মামলাটির সাক্ষ্য পর্ব আবার নতুন করে শুরু হয়। ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা: শাহীনুর আক্তার এই মামলা থেকে গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দেন।
হত্যা মামলায় আদালত থেকে রেহাই পাওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার-প্রকাশ হলেও সাবেক এই এমপিকে কোনোর রূপ মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। এবং তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তাও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যে উজিরপুর-বানারীপাড়ার মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে অভি দেশে ফিরছেন এবং নির্বাচনে অংশ নিবেন।
স্থানীয় অনেকে বলছেন, গোলাম ফারুক অভি দীর্ঘ দুই যুগ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তিন্নি হত্যা মামলায় তিনি খালাসপ্রাপ্ত হওয়ার পরে এলাকায় অনেকের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। এবং ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নিতেও তার আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে। জনপ্রিয় এই নেতৃত্ব যদি স্বতন্ত্র হিসেবেও প্রার্থী হন তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিদের ঘাম ঝরতে পারে।
নিশ্চিত হওয়া গেছে, আলোচিত মামলা থেকে অভির দেশে ফেরা এবং উজিরপুর-বানারীপাড়া আসনে তার নির্বাচন অংশ নেওয়ার গুঞ্জনে স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন। তাদের নেতার সিদ্ধান্ত আসা মাত্রই মাঠে নেমে পড়তে পারেন।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, জনপ্রিয় অভি ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক হিসেব পাল্টে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার বিষয়টি অনেকের কাছে চিন্তার হতে পারে। তবে অভি আদৌ দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেবেন কী না সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই রাজনৈতিক কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই এখন দেখতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
বরিশালের ২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে এক সময়কার তরুণ নেতা গোলাম ফারুক অভি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার একটি জোরালো গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মডেল ও অভিনয়শিল্পী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাবেক এই সাংসদ ২০০২ সালের শেষের দেশত্যাগ করেছিলেন। তারপরে দীর্ঘ বছর ধরে তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আলোচিত হত্যা মামলাটি থেকে খালাস পেয়েছে তিনি।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, তৎসময়ের জনপ্রিয় এমপি অভির দেশে ফিরে নিজ এলাকা উজিরপুর-বানারীপাড়া থেকে সাংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত তার কোনো মন্তব্য না পাওয়া গেলেও বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিশেষ করে ভোটারদের মুখে মুখে অভির দেশে ফেরা এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
বরিশাল ২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন সরফুদ্দিন সান্টু, দুলাল হোসেন, রওনাকুল ইসলাম টিপু এবং সাইফ মাহমুদ জুয়েল। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বীতার ঘোষণা দিয়ে মাঠে আছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাস্টার আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভব্য প্রার্থীদের তৎপরতার মধ্যে হঠাৎই আলোচনায় আসলেন কানাডায় অবস্থানরত সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গোলাম ফারুক অভি বিএনপির ছাত্রসংগঠনের নেতা হলেও তিনি ১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। এবং সংসদীয় এলাকার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০০২ সালের শেষের দিকে মডেল ও অভিনয়শিল্পী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যাকাণ্ডে আলোচিত এই নেতার নামটি জড়িয়ে যায়। তৎকালীন সময়ে পুলিশ এই হত্যা মামলায় একমাত্র অভিকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন।
সূত্রগুলো জানায়, আলোচিত এই মামলাটির কারণে সাবেক এমপি অভির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দুর্বিসহ ওঠে এবং তার করান্তরীণ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ২০০৭ সালে ও ২০১৮ সালে ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে লাল নোটিস জারি করে। তবে অভি শুরু থেকেই মডেল তিন্নির প্রাণবিয়োগের ঘটনাটিকে আত্মহত্যা দাবি করে আসছিলেন এবং আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে লড়াইও করছিলেন।
সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে অভির এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় ৫ বছর স্থগিত থাকার পরে ২০১৫ সালে মামলাটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১৯ অগাস্ট মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। রায়ের তারিখ ৪১ বার পরিবর্তন করার পর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য পুনরায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০২২ সালে মামলাটির সাক্ষ্য পর্ব আবার নতুন করে শুরু হয়। ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা: শাহীনুর আক্তার এই মামলা থেকে গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দেন।
হত্যা মামলায় আদালত থেকে রেহাই পাওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার-প্রকাশ হলেও সাবেক এই এমপিকে কোনোর রূপ মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। এবং তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তাও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যে উজিরপুর-বানারীপাড়ার মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে অভি দেশে ফিরছেন এবং নির্বাচনে অংশ নিবেন।
স্থানীয় অনেকে বলছেন, গোলাম ফারুক অভি দীর্ঘ দুই যুগ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তিন্নি হত্যা মামলায় তিনি খালাসপ্রাপ্ত হওয়ার পরে এলাকায় অনেকের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। এবং ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নিতেও তার আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে। জনপ্রিয় এই নেতৃত্ব যদি স্বতন্ত্র হিসেবেও প্রার্থী হন তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিদের ঘাম ঝরতে পারে।
নিশ্চিত হওয়া গেছে, আলোচিত মামলা থেকে অভির দেশে ফেরা এবং উজিরপুর-বানারীপাড়া আসনে তার নির্বাচন অংশ নেওয়ার গুঞ্জনে স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন। তাদের নেতার সিদ্ধান্ত আসা মাত্রই মাঠে নেমে পড়তে পারেন।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, জনপ্রিয় অভি ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক হিসেব পাল্টে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার বিষয়টি অনেকের কাছে চিন্তার হতে পারে। তবে অভি আদৌ দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেবেন কী না সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই রাজনৈতিক কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই এখন দেখতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।
এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।
অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক।
হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে। যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.