
২৩ জুন, ২০২৫ ১৬:৪৫
বরিশাল শহরের কাউনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিপা রানী ও তার স্বজনদের পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখমের মামলায় অভিযুক্তদের এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৪ জুন মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানাধীন ২ নং ওয়ার্ডের নাপিতবাড়ি কলোনিসংলগ্ন নিপা রানীসহ তার স্বজনদের কুপিয়ে জখম করে একই এলাকার সাব্বির (৩৫) এবং দোলনসহ কজন যুবক, যারা বিগতদিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল। সেই ঘটনার দুদিনের মাথায় অর্থাৎ ১৬ জুন কাউনিয়া থানা পুলিশ ৩২৬সহ বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এরপরে সাতদিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সফলতা পায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দোলন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অসীম দেওয়ানের অনুসারী এবং সাব্বির বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মঈন তুষারের ক্যাডার হিসেবে সমাধিক পরিচিত। ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তারা দুজন এলাকায় নিপা রানীর পরিবারের ওপর হামলায় করায় এলাকাবাসীও তাদের ওপর ক্ষুব্ধ।
এই মামলার বাদী নিপা রানীর অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র স্থানীয় সাব্বির, দোলন এবং সুজিতসহ ৪/৫ জনে মিলে তাদের ওপর হামলা করে। তখন হামলাকারীদের প্রতিরোধে প্রসেনজিৎ সোম, মালা রানী সিংহ এবং সমন্বয় এগিয়ে গেলে তাদের লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এবং একপর্যায়ে তাদের সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রসেনজিৎ এবং মালাকে জখম করে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি মামলা করার পরে সপ্তাহখানেক সময় অতিবাহিত হলেও তাদের আইনে আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ।
বাদীর অভিযোগ, হামলাকারী সাব্বির, দোলন এবং সুজিত দাস (৩৫) এলাকায় ঘুরছেন। এবং প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি কাউনিয়া থানা পুলিশকে একাধিকবার অবহিত করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক সূত্রও হামলাকারীদের এলাকায় অবস্থান এবং ঘোরাঘুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আহত মালা রানীর অভিযোগ, তার স্বামী সঞ্জিবকে একাধিকবার ফোন করে হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত দোলন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের নির্লুপ্তায় ক্ষুব্ধ বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা কখন কোথায় অবস্থান করছেন, তা নিশ্চিতভাবে জানানোর পরেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যার দরুণ অভিযুক্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং হুমকি-ধামকি দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে।
তবে মামলাটি তদন্তকারী কাউনিয়া থানা পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা আত্মগোপনে আছেন। তাদের ধরতে তদন্তকারী কর্মকর্তা একাধিক স্থানে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু বাগে আনা যাচ্ছে না।’
বরিশাল শহরের কাউনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিপা রানী ও তার স্বজনদের পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখমের মামলায় অভিযুক্তদের এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৪ জুন মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানাধীন ২ নং ওয়ার্ডের নাপিতবাড়ি কলোনিসংলগ্ন নিপা রানীসহ তার স্বজনদের কুপিয়ে জখম করে একই এলাকার সাব্বির (৩৫) এবং দোলনসহ কজন যুবক, যারা বিগতদিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল। সেই ঘটনার দুদিনের মাথায় অর্থাৎ ১৬ জুন কাউনিয়া থানা পুলিশ ৩২৬সহ বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এরপরে সাতদিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সফলতা পায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দোলন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অসীম দেওয়ানের অনুসারী এবং সাব্বির বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মঈন তুষারের ক্যাডার হিসেবে সমাধিক পরিচিত। ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তারা দুজন এলাকায় নিপা রানীর পরিবারের ওপর হামলায় করায় এলাকাবাসীও তাদের ওপর ক্ষুব্ধ।
এই মামলার বাদী নিপা রানীর অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র স্থানীয় সাব্বির, দোলন এবং সুজিতসহ ৪/৫ জনে মিলে তাদের ওপর হামলা করে। তখন হামলাকারীদের প্রতিরোধে প্রসেনজিৎ সোম, মালা রানী সিংহ এবং সমন্বয় এগিয়ে গেলে তাদের লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এবং একপর্যায়ে তাদের সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রসেনজিৎ এবং মালাকে জখম করে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি মামলা করার পরে সপ্তাহখানেক সময় অতিবাহিত হলেও তাদের আইনে আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ।
বাদীর অভিযোগ, হামলাকারী সাব্বির, দোলন এবং সুজিত দাস (৩৫) এলাকায় ঘুরছেন। এবং প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি কাউনিয়া থানা পুলিশকে একাধিকবার অবহিত করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক সূত্রও হামলাকারীদের এলাকায় অবস্থান এবং ঘোরাঘুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আহত মালা রানীর অভিযোগ, তার স্বামী সঞ্জিবকে একাধিকবার ফোন করে হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত দোলন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের নির্লুপ্তায় ক্ষুব্ধ বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা কখন কোথায় অবস্থান করছেন, তা নিশ্চিতভাবে জানানোর পরেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যার দরুণ অভিযুক্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং হুমকি-ধামকি দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে।
তবে মামলাটি তদন্তকারী কাউনিয়া থানা পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা আত্মগোপনে আছেন। তাদের ধরতে তদন্তকারী কর্মকর্তা একাধিক স্থানে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু বাগে আনা যাচ্ছে না।’

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:২২
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মাঝরাতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনার পর ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে একটি লঞ্চ জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করলে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা-পুলিশ যৌথভাবে লঞ্চটি জব্দ করে।
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘চাঁদপুরে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে লঞ্চটি ঝালকাঠিতে পৌঁছলে সেটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যান। পরে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, ‘লঞ্চ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত ও এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মাঝরাতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনার পর ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে একটি লঞ্চ জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করলে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা-পুলিশ যৌথভাবে লঞ্চটি জব্দ করে।
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘চাঁদপুরে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে লঞ্চটি ঝালকাঠিতে পৌঁছলে সেটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যান। পরে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, ‘লঞ্চ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত ও এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৮
মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী। আহত ও নিহতদের চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁদপুরের হরিণা এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আহতদের প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ থেকেই চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিল। হরিণা এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের মাঝামাঝি অংশে ধাক্কা দেয়।
এতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী। আহত ও নিহতদের চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁদপুরের হরিণা এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আহতদের প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ থেকেই চাঁদপুর ঘাটে নেওয়া হয়েছে এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিল। হরিণা এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের মাঝামাঝি অংশে ধাক্কা দেয়।
এতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:০০
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৪
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:২২
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৫