১৫ জুলাই, ২০২৫ ১৫:১৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে ‘ছাত্রকল্যাণ ফি’ নেওয়া হলেও, সেই অর্থ থেকে শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। কারণ, এ অর্থ সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো আলাদা তহবিল বা নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব। ফলে প্রতি বছর লাখ টাকার বেশি আয় হলেও তা শিক্ষার্থীদের সরাসরি কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে না। এই অবস্থায় দ্রুত কল্যাণ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তির সময় একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে গেলে যে পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়, এর মধ্যে ২৫০ টাকা এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তির সময় ১০০ টাকা নেওয়া হয় ছাত্রছাত্রী কল্যাণ ফি খাতে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবছর ১৫৭০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। সেই হিসেবে শুধুমাত্র স্নাতকেরই প্রতি বছর কল্যান তহবিলে ২,৩৫,৫০০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু এ খাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এই ফি জমা হতে থাকে। যেটা শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে লাগছে না।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হলে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর আবেদন করা হয়, ওই সময় প্রশাসন দায়সারাভাবে কিছু টাকা দেয়, যা অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় কোনো কাজেই আসে না। অতীতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সহায়তার আবেদন করলেও কার্যকর সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের সময় এক শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু কোনো সহায়তা না পাওয়ায় চিকিৎসার অভাবে ওই শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ছাত্রকল্যাণ তহবিলের টাকা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে ব্যয় করা উচিত। কেউ অসুস্থ হলে বা আর্থিক সংকটে পড়লে এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হলে সেটি শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবিক উপকারে আসবে। আমরা চাই, এই অর্থ যেন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময় যে খাতগুলোতে টাকা নেওয়া হয় তার জন্য আলাদা কোনো একাউন্ট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আয় একটি মাত্র একাউন্টে সংরক্ষিত থাকে। আলাদা হিসাব না থাকা সত্বেও কেনো আলাদা খাতে টাকা নেওয়া এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার শাখা ভালো বলতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ.দা) ড. মো. মুহসিন উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে যে টাকা ফি হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হলেও পরবর্তীতে তা রাষ্ট্রীয় তহবিলের অংশ হয়ে যায়। অর্থাৎ, এই টাকা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানায় থাকে না। বরং এটি জমা থাকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে। ইউজিসি। ইউজিসি প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। কোন খাত থেকে আয় হয়েছে তার ভিত্তিতে নয়, বরং ইউজিসির বিবেচনায় যে খাতে অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন সেই খাতেই অর্থ দেয়। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ইচ্ছামতো অর্থ ব্যয়ের সুযোগ থাকে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ রেখে আলাদা তহবিল গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই অর্থ রাষ্ট্রের মালিকানায় চলে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে তা সংরক্ষণ করে নিজস্ব কল্যাণ তহবিল গঠন করার সুযোগ নেই। তবে, ইউজিসি থেকে দান ও অনুদান খাতে কিছু অর্থ প্রদান করা হয়, যার একটি নির্দিষ্ট অংশ উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, “আমি নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি কীভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে, সে সম্পর্কে এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানাতে পারবো।”
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে ‘ছাত্রকল্যাণ ফি’ নেওয়া হলেও, সেই অর্থ থেকে শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। কারণ, এ অর্থ সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো আলাদা তহবিল বা নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব। ফলে প্রতি বছর লাখ টাকার বেশি আয় হলেও তা শিক্ষার্থীদের সরাসরি কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে না। এই অবস্থায় দ্রুত কল্যাণ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তির সময় একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে গেলে যে পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়, এর মধ্যে ২৫০ টাকা এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তির সময় ১০০ টাকা নেওয়া হয় ছাত্রছাত্রী কল্যাণ ফি খাতে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবছর ১৫৭০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। সেই হিসেবে শুধুমাত্র স্নাতকেরই প্রতি বছর কল্যান তহবিলে ২,৩৫,৫০০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু এ খাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এই ফি জমা হতে থাকে। যেটা শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে লাগছে না।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হলে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর আবেদন করা হয়, ওই সময় প্রশাসন দায়সারাভাবে কিছু টাকা দেয়, যা অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় কোনো কাজেই আসে না। অতীতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সহায়তার আবেদন করলেও কার্যকর সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের সময় এক শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু কোনো সহায়তা না পাওয়ায় চিকিৎসার অভাবে ওই শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ছাত্রকল্যাণ তহবিলের টাকা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে ব্যয় করা উচিত। কেউ অসুস্থ হলে বা আর্থিক সংকটে পড়লে এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হলে সেটি শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবিক উপকারে আসবে। আমরা চাই, এই অর্থ যেন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময় যে খাতগুলোতে টাকা নেওয়া হয় তার জন্য আলাদা কোনো একাউন্ট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আয় একটি মাত্র একাউন্টে সংরক্ষিত থাকে। আলাদা হিসাব না থাকা সত্বেও কেনো আলাদা খাতে টাকা নেওয়া এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার শাখা ভালো বলতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ.দা) ড. মো. মুহসিন উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে যে টাকা ফি হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হলেও পরবর্তীতে তা রাষ্ট্রীয় তহবিলের অংশ হয়ে যায়। অর্থাৎ, এই টাকা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানায় থাকে না। বরং এটি জমা থাকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে। ইউজিসি। ইউজিসি প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। কোন খাত থেকে আয় হয়েছে তার ভিত্তিতে নয়, বরং ইউজিসির বিবেচনায় যে খাতে অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন সেই খাতেই অর্থ দেয়। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ইচ্ছামতো অর্থ ব্যয়ের সুযোগ থাকে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ রেখে আলাদা তহবিল গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই অর্থ রাষ্ট্রের মালিকানায় চলে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে তা সংরক্ষণ করে নিজস্ব কল্যাণ তহবিল গঠন করার সুযোগ নেই। তবে, ইউজিসি থেকে দান ও অনুদান খাতে কিছু অর্থ প্রদান করা হয়, যার একটি নির্দিষ্ট অংশ উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, “আমি নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি কীভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে, সে সম্পর্কে এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানাতে পারবো।”
১৬ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৪৫
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পালন করে ববি প্রসাশন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমে সকলে কালোব্যাচ ধারণ করে এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এতে অংশ নেন ছাত্র নেতাকর্মীরা, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সহ উপাচার্য মহাদয়।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন "জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের সংগ্রামের ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। সেই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমরা এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। এটি শুধুই স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ বার্তাও।"
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, তারা চান প্রতিবছর এমন কর্মসূচি আয়োজন হোক যাতে ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার বার্তাও ছড়িয়ে পড়ে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আহ্বায়ক জনাব সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের গণআন্দোলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু তরুণ-ছাত্র জনতা জীবন উৎসর্গ করেন। তাদের স্মরণে এই সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি পালন করেছি ।
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পালন করে ববি প্রসাশন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমে সকলে কালোব্যাচ ধারণ করে এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এতে অংশ নেন ছাত্র নেতাকর্মীরা, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সহ উপাচার্য মহাদয়।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন "জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের সংগ্রামের ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। সেই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমরা এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। এটি শুধুই স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ বার্তাও।"
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, তারা চান প্রতিবছর এমন কর্মসূচি আয়োজন হোক যাতে ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার বার্তাও ছড়িয়ে পড়ে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আহ্বায়ক জনাব সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের গণআন্দোলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু তরুণ-ছাত্র জনতা জীবন উৎসর্গ করেন। তাদের স্মরণে এই সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি পালন করেছি ।
১৬ জুলাই, ২০২৫ ০১:৩৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবারে আমাদের লক্ষ্য সংসদ ভবন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টায় বরিশালের ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে নগর ভবনের সামনে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে এটি ছিল এনসিপির ১৫তম দিনের কর্মসূচি। এ উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর বরিশালের হাসপাতাল রোডে ল কলেজ এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর সদর রোড ঘুরে ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনি যদি আওয়ামী লীগকে মিন করে ইনক্লুসিভ নির্বাচন বলে থাকেন, তাহলে হাসিনা গেছে যে পথে, আপনারাও যাবেন সে পথে। এই সিলেক্টিভ নির্বাচন কমিশন দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এবং যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে তারা ভোলায় এক পদযাত্রায় অংশ নেন। এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল (বুধবার) গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করার কথা রয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবারে আমাদের লক্ষ্য সংসদ ভবন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টায় বরিশালের ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে নগর ভবনের সামনে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে এটি ছিল এনসিপির ১৫তম দিনের কর্মসূচি। এ উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর বরিশালের হাসপাতাল রোডে ল কলেজ এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর সদর রোড ঘুরে ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনি যদি আওয়ামী লীগকে মিন করে ইনক্লুসিভ নির্বাচন বলে থাকেন, তাহলে হাসিনা গেছে যে পথে, আপনারাও যাবেন সে পথে। এই সিলেক্টিভ নির্বাচন কমিশন দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এবং যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে তারা ভোলায় এক পদযাত্রায় অংশ নেন। এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল (বুধবার) গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করার কথা রয়েছে।
১৫ জুলাই, ২০২৫ ২০:১১
রাজনৈতিক সহিংসতার একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন।১৪ জুলাই কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জয়নালের বিরুদ্ধে বিএনপি অফিসে ভাঙচুরসহ একাধিক রাজনৈতিক সহিংসতার মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে পৃথক আরেক ঘটনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ মামলার বাদী আলামিনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। গণঅধিকার পরিষদের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৪ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান তাকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বরিশাল সদর থানার আদালত শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) এনামুল হক।
রাজনৈতিক সহিংসতার একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন।১৪ জুলাই কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জয়নালের বিরুদ্ধে বিএনপি অফিসে ভাঙচুরসহ একাধিক রাজনৈতিক সহিংসতার মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে পৃথক আরেক ঘটনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ মামলার বাদী আলামিনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। গণঅধিকার পরিষদের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৪ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান তাকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বরিশাল সদর থানার আদালত শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) এনামুল হক।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.