Bkash

বরিশাল

প্রাণ ফিরে পেয়েছে বরিশাল মহানগরীর অক্সিজেন কারখানা বেল’স পার্ক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্রাণ ফিরে পেয়েছে বরিশাল মহানগরীর অক্সিজেন কারখানা বেল’স পার্ক

নগর প্রশাসকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে শনিবার রাতভর বরিশাল মহানগরীর শ্রান্তি–বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র বেল’স পার্ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে নগরীর সর্ববৃহৎ এ উদ্যানটির চারপাশসহ অভ্যন্তরভাগে এখন সর্বস্তরের মানুষ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। নগর প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও।

তবে নগরীর নবগ্রাম রোড–চৌমহনী লেকের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়, বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়, আমতলা মোড়ের স্বাধীনতা পার্ক এবং ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন ‘শতায়ু অঙ্গন’-এর মতো নগরীর অনেক শ্রান্তি–বিনোদন কেন্দ্র এখনো অবৈধ দখলদারদের কব্জায় রয়েছে। নগরীকে এসব স্থাপনা অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে অবিলম্বে আরও নিবিড় কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

এমনকি বরিশাল মহানগরীর ‘প্রাকৃতিক হৃদস্পন্দন’ খ্যাত বেল’স পার্কের সর্বনাশ ঠেকাতে অনেক আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন নগরীর সাধারণ মানুষ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা। কিন্তু নানা বাধার কারণে তা এতদিন হয়ে ওঠেনি।

শেষ পর্যন্ত বেল’স পার্ক থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন নগরবাসী। শনিবার রাতভর উচ্ছেদ অভিযানে নগর ভবনের বিপুল সংখ্যক পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছাড়াও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা অংশ নেন।

রোববার সকালে নগর প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাসেম সরেজমিনে বেল’স পার্ক ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষ বেল’স পার্কের অনুরূপ অভিযানের মাধ্যমে নগরীর স্বাধীনতা পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, নবগ্রাম রোড–চৌমহনী লেকের চারপাশসহ শতায়ু অঙ্গনকে অবৈধ স্থাপনা ও জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

রোববার বিকেলে বেল’স পার্কের ওয়াকওয়েতে হাঁটতে আসা একাধিক ভ্রমণকারীও নগর প্রশাসকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে অবিলম্বে অন্যান্য শ্রান্তি–বিনোদনের কেন্দ্রগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি করেন।

১৯৬৬ সালে বরিশাল স্টেডিয়াম নির্মাণের আগে পর্যন্ত এই বেল’স পার্কেই তৎকালীন বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলার ফুটবল লিগসহ সব ধরনের খেলাধুলা এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো।

পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজও এ ময়দানেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এখনো প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসসহ বিজয় দিবসে সম্মিলিত কুচকাওয়াজ বেল’স পার্কেই অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিটিশ আমলের শেষদিকে তৎকালীন বরিশাল তথা বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ‘মি. বেল’ বগুড়া–আলেকান্দা মৌজার চাঁদমারী এলাকায় প্রায় ৯ একর জমির ওপর একটি মুক্ত উদ্যান ও তার দু’পাশ ঘিরে লেক খনন করেন। তখন তার নাম অনুসারেই উদ্যানটির নামকরণ হয় ‘বেল’স পার্ক’।

গণপূর্ত অধিদপ্তর এ পার্কটির মালিকানা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকলেও বছর কয়েক আগে উদ্যানটির দু’পাশে জেলা প্রশাসন থেকে নকশা–খচিত বিশাল প্রস্তরখণ্ডে ভূমির মালিক ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ ময়দানের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে জেলা প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই।

২০০৪ সালে প্রথম নির্বাচিত সিটি মেয়র মুজিবুর রহমান সারোয়ারের উদ্যোগে সরকারি প্রায় ১ কোটি টাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যানটির চারপাশে ওয়াকওয়ে, বসার বেঞ্চ, ছাতা, শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নির্মাণ ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন লাইট বসানো হয়। পাশাপাশি শোভা বৃদ্ধির জন্য পুরো মাঠের ওয়াকওয়ের মাঝখানে ও চারপাশে গাছ লাগানো হয়েছিল।

সে সময় থেকে উদ্যানটির পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় সিটি করপোরেশন। প্রতিদিনই নগরীর বিপুল সংখ্যক মানুষ এ উদ্যানে সকাল–বিকেলে হাঁটতে ও বিনোদনে আসা শুরু করেন। তবে ১/১১ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অজ্ঞাত কারণে এখান থেকে সব ‘গার্ডেন লাইট’ খুলে নেওয়ায় ভুতুরে পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে সান্ধ্য ভ্রমণকারীরা এ উদ্যান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন।

২০১১ সালে তৎকালীন সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন তহবিল সংগ্রহ করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যানটিতে দ্বিতীয় ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ পূর্বপাশে মুরাল স্থাপন করেন।

পাশাপাশি উদ্যানটির পূর্ব পাশের নালাটি সংস্কার করে সেখানে শাপলার আবাদ ছাড়াও সংলগ্ন বাঁধরোডে পাকা ফুটপাথ নির্মাণ ও পাশে সোনালু গাছ লাগানো হয়, যা এখনো নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

দ্বিতীয় দফায় সংস্কারের পর উদ্যানটিতে প্রাতঃ ও বৈকালিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েক বছর ধরে ভ্রমণকারীর তুলনায় আড্ডাবাজদের ভিড় বাড়তে থাকে। সাথে দিনরাত উদ্যানটির পুরো এলাকাই থাকত কিশোর গ্যাংয়ের দখলে।

স্থানীয় এক কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানেই উদ্যানটির উত্তর পাশে অবৈধ দোকানপাট গজিয়ে উঠতে শুরু করে। পুরো পার্ক জুড়ে নানা ধরনের পথ–খাবারের দোকান আড্ডাবাজদের জন্য বাড়তি সুবিধা সৃষ্টি করছিল।

এমনকি এ উদ্যানে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় বছরখানেক আগে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী পর্যন্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। তবে নগরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত অবৈধ দখলমুক্ত হওয়ায় বেল’স পার্ক তার অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেই আশা করছেন নগরবাসী।

আরও পড়ুন:

হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ এম ব্যারিস্টার মাসুম

সেলিম রাঢ়ী, হিজলা

সেলিম রাঢ়ী, হিজলা

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ এম ব্যারিস্টার মাসুম

বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।

জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।


বরিশালে ৯২ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ৯২ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।

বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।

বাবুগঞ্জে অসহায় শাহিনুরের পাশে মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবুগঞ্জে অসহায় শাহিনুরের পাশে মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ

পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.