২০ জুন, ২০২৫ ১৬:৪৮
গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি অগোছালো প্রশাসনকে নিয়মনীতির আলোকে শৃঙ্খলা ও জনসেবা নিশ্চিত করতে গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন বিচক্ষণ ইউএনও আমিনুল ইসলাম। তিনি ১ জানুয়ারি বাউফলে যোগদান করার পর আইন-শৃঙ্খলাসহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে ফিরে এসেছে।
অভ্যুত্থান পরবতী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসে। যোগদানের পরে তার কর্মদক্ষতায় উপজেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে।
শুধু তাই নয়, ২০২৫ সনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শতভাগ নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলে উপজেলার শিক্ষক সমাজের কাছে ইউএনও আমিনুল ইসলাম একটি আলাদা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
উপজেলার একাধিক শিক্ষকরা বলছেন- ইউএনও স্যার বাউফলে আসার পরে পরীক্ষায় কোনো ধরনের নকল করার সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া অতীতের চেয়ে ভালো পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে।
রাজস্বের কল্যাণেই রাষ্ট্র তার স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালিত করে জনসেবা নিশ্চিত করতে পারে। এমন বাস্তবতায় সেদিকেই নজর দিয়েছেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। তার একান্ত প্রচেষ্টা মাধ্যমে বাউফল উপজেলার বাংলা ১৪৩২ সনের হাট-বাজার ও খেয়াঘাট ইজারার মাধ্যমে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করা হয়েছে, যা বাউফল উপজেলা ইতিহাসে বিরল।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ঐতিহ্যবাহী কালাইয়া হাট-বাজারের কথা। গত বাংলা ১৪৩১ সনে ইজারা মূল্য ১,৫৫,০০,০০০/-( এককোটি পঞ্চান্ন লক্ষ) টাকা ছিল। আর চলতি বছর (বাংলা ১৪৩২ সনে) ইজারা হয়েছে ৩,৮১,৫০,০০০/- (তিনকোটি একাশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি। এভাবে সকল হাট-বাজার ও খেয়াঘাট গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি মূল্যে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইজারা দিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধি করে সর্বকালের সেরা রেকর্ড গড়লেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম।
বাউফল পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে সেবা সহজীকরণ ও স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তি করার ফলে পৌরবাসী তার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাউফলের পূর্ব সানেশ্বর দাখিল মাদরাসার সুপার এএফএম ফরিদ উদ্দিন, ভরিপাশা সৈয়দ মর্তুজা দাখিল মাদরাসার সুপার মো.জাকারিয়া ও কারখানা আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো.হাবিবুর রহমানসহ অনেক শিক্ষকরা জানায়, ইউএনও আমিনুল ইসলাম স্যারকে পেয়ে তারা গর্বিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পরে উপজেলার আইনশৃঙ্খলাসহ সব সেক্টরের সেবা স্থবির হয়ে পরে। আমিনুল স্যারের বিচক্ষণ নেতৃত্বে অভ্যুত্থানপরবর্তী একটি অগোছালো পৌরসভা, উপজেলা পরিষদসহ অন্যান্য দপ্তরের সেবাকার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়েছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের ফলে নকলমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাউফল উপজেলায়।
এছাড়া বাউফলের বিভিন্ন ইউনিয়নের বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা ও প্রতিবন্ধীভাতাভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউএনও আমিনুল ইসলাম বাউফলে আসার পর থেকে প্রকৃত ভাতা প্রত্যাশিরা কাউকে কোনো ধরনের ঘুষ কিংবা উৎকোচ না দিয়েই তারা ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ এর আগে একেক নাম প্রতি দিতে হতো ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা, যা এখন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ।
এছাড়া বাউফলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মাদকনিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। বাউফলের অন্যতম সমস্যা জলমহল ও বালু মহল থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খাস আদায় করেছেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতাদের সেবা নিশ্চিত করে কাজের গতি ফিরিয়ে এনেছেন। এমন বাস্ত বতায় সচেতন মহল বলছেন- ইউএনও আমিনুল ইসলামের ছোঁয়ায় চব্বিশের আগষ্ট পরবর্তী অগোছালো এক বাউফল শৃঙ্খলে ফিরে বদলে গেছে চিত্র!
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন সেবকমাত্র। আমি আমার জায়গা থেকে রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাউফলকে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমার চেষ্টা চলমান থাকবে। সেক্ষেত্রে উপজেলার সচেতন নাগরিক সহ সাংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি অগোছালো প্রশাসনকে নিয়মনীতির আলোকে শৃঙ্খলা ও জনসেবা নিশ্চিত করতে গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন বিচক্ষণ ইউএনও আমিনুল ইসলাম। তিনি ১ জানুয়ারি বাউফলে যোগদান করার পর আইন-শৃঙ্খলাসহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে ফিরে এসেছে।
অভ্যুত্থান পরবতী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসে। যোগদানের পরে তার কর্মদক্ষতায় উপজেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে।
শুধু তাই নয়, ২০২৫ সনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শতভাগ নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলে উপজেলার শিক্ষক সমাজের কাছে ইউএনও আমিনুল ইসলাম একটি আলাদা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
উপজেলার একাধিক শিক্ষকরা বলছেন- ইউএনও স্যার বাউফলে আসার পরে পরীক্ষায় কোনো ধরনের নকল করার সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া অতীতের চেয়ে ভালো পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে।
রাজস্বের কল্যাণেই রাষ্ট্র তার স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালিত করে জনসেবা নিশ্চিত করতে পারে। এমন বাস্তবতায় সেদিকেই নজর দিয়েছেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। তার একান্ত প্রচেষ্টা মাধ্যমে বাউফল উপজেলার বাংলা ১৪৩২ সনের হাট-বাজার ও খেয়াঘাট ইজারার মাধ্যমে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করা হয়েছে, যা বাউফল উপজেলা ইতিহাসে বিরল।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ঐতিহ্যবাহী কালাইয়া হাট-বাজারের কথা। গত বাংলা ১৪৩১ সনে ইজারা মূল্য ১,৫৫,০০,০০০/-( এককোটি পঞ্চান্ন লক্ষ) টাকা ছিল। আর চলতি বছর (বাংলা ১৪৩২ সনে) ইজারা হয়েছে ৩,৮১,৫০,০০০/- (তিনকোটি একাশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি। এভাবে সকল হাট-বাজার ও খেয়াঘাট গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি মূল্যে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইজারা দিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধি করে সর্বকালের সেরা রেকর্ড গড়লেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম।
বাউফল পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে সেবা সহজীকরণ ও স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তি করার ফলে পৌরবাসী তার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাউফলের পূর্ব সানেশ্বর দাখিল মাদরাসার সুপার এএফএম ফরিদ উদ্দিন, ভরিপাশা সৈয়দ মর্তুজা দাখিল মাদরাসার সুপার মো.জাকারিয়া ও কারখানা আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো.হাবিবুর রহমানসহ অনেক শিক্ষকরা জানায়, ইউএনও আমিনুল ইসলাম স্যারকে পেয়ে তারা গর্বিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পরে উপজেলার আইনশৃঙ্খলাসহ সব সেক্টরের সেবা স্থবির হয়ে পরে। আমিনুল স্যারের বিচক্ষণ নেতৃত্বে অভ্যুত্থানপরবর্তী একটি অগোছালো পৌরসভা, উপজেলা পরিষদসহ অন্যান্য দপ্তরের সেবাকার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়েছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের ফলে নকলমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাউফল উপজেলায়।
এছাড়া বাউফলের বিভিন্ন ইউনিয়নের বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা ও প্রতিবন্ধীভাতাভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউএনও আমিনুল ইসলাম বাউফলে আসার পর থেকে প্রকৃত ভাতা প্রত্যাশিরা কাউকে কোনো ধরনের ঘুষ কিংবা উৎকোচ না দিয়েই তারা ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ এর আগে একেক নাম প্রতি দিতে হতো ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা, যা এখন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ।
এছাড়া বাউফলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মাদকনিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। বাউফলের অন্যতম সমস্যা জলমহল ও বালু মহল থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খাস আদায় করেছেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতাদের সেবা নিশ্চিত করে কাজের গতি ফিরিয়ে এনেছেন। এমন বাস্ত বতায় সচেতন মহল বলছেন- ইউএনও আমিনুল ইসলামের ছোঁয়ায় চব্বিশের আগষ্ট পরবর্তী অগোছালো এক বাউফল শৃঙ্খলে ফিরে বদলে গেছে চিত্র!
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন সেবকমাত্র। আমি আমার জায়গা থেকে রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাউফলকে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমার চেষ্টা চলমান থাকবে। সেক্ষেত্রে উপজেলার সচেতন নাগরিক সহ সাংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:৫২
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৮
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩১
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.