
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪০
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নেওয়া গরিবের ল্যাট্রিন, গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের নামে চলেছে দুর্নীতির মহোৎসব। আসছে ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে, কিন্তু কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪৭ শতাংশ। যেসব কাজ হয়েছে, সেগুলোও দুর্নীতিতে সয়লাব।
বেশির ভাগ কাজেই দরপত্রের স্পেসিফিকেশন মানা হয়নি। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৮০ ভাগ পাবলিক টয়লেট ইতোমধ্যেই অব্যবহৃত, পরিত্যক্ত।
অভিযোগ আছে-ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে প্রকল্পের টাকা লোপাট করে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন প্রকল্পটির একচ্ছত্র অধিপতি প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. তবিবুর রহমান তালুকদার।
খোদ সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন ও অনুসন্ধানে প্রকল্পটিতে পুকুরচুরির তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিন কোনো কোনো জেলায় পানির ছোট স্কিমের কাজ বন্ধ পাওয়া গেছে। পাবলিক টয়লেট ও কমিউনিটি ক্লিনিকের টয়লেট নির্মাণকাজ চলমান। ইতোমধ্যে কয়েকবার সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি। পরিদর্শনকৃত পানির ছোট ৪৭টি স্কিমের মধ্যে ৪টির (৯%) নির্মাণকাজে স্পেসিফিকেশন অনুসারে মাটির ৩ ফুট নিচে স্থাপন করা হয়েছে এবং ২১% এইচডিপিই পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৩টি (১১%) স্কিমের কাজ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী হয়নি।
নির্মাণকাজের ত্রুটির কারণে ল্যান্ডিং স্টেশন ভেঙে গেছে এবং কলাম বাঁকা হয়েছে। পাবলিক টয়লেটে প্রবেশের জন্য ২ ধরনের র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে র্যাম্পের গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়নি।
এ কারণে পাবলিক টয়লেটগুলো বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হয়নি। পাবলিক টয়লেট ৪৭টির মধ্যে ৩৮টি (৮০ দশমিক ৮৫%) বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে না। কোনো কোনো টয়লেট বছরে মাত্র ২-৩ দিন ব্যবহার হলেও বাকি অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। প্রকল্পের ৩৬টি হাত ধোয়ার স্টেশনের মধ্যে ১১টি (৩০%) ভালো অবস্থায় থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা হয় না। বাকি ৭০% স্টেশনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, টাইলস ভাঙা, ফিটিংস নষ্ট এবং পানিতে অস্বাভাবিক আয়রনের উপস্থিতির কারণে সেগুলো অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পরিদর্শনকৃত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নির্মিত ১৯টি টয়লেটের মধ্যে ১৭টি (৮৯ দশমিক ৪৭%) ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ অবস্থার কারণ-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জন্য অর্থের জোগান না থাকা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব এবং ফিটিংস চুরির ভয়। পরিদর্শনকৃত ১২২টি (১০০%) ল্যাট্রিনই স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী স্থাপন করা হয়নি।
যেমন-রিংয়ের নিচে ৩ ইঞ্চি স্থানীয় বালি, বালির ওপর ৩ ইঞ্চি খোয়া এবং এর ওপর রিং স্থাপন; একইভাবে রিংয়ের বাইরের পাশে ৬ ইঞ্চি পুরো বালি দেওয়া হয়নি। ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া পানির বড় স্কিমগুলো জলাশয়, পুকুর ও ডোবা ভরাট করে করা হয়েছে, কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি।
নজিরবিহীন এই দুর্নীতির কারিগর তবিবুর রহমানকেই নতুন করে শুরু হতে যাওয়া ১৮৮৯ কোটি টাকার স্যানিটেশন প্রকল্পের পিডি নিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রকল্পও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নের কথা।
এ নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য; এখনো এত প্রিয় কেন তবিবুর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, ‘আইএমইডির এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন আমার নজরে আসেনি। এটা দেখে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এ প্রতিবেদককে প্রতিবেদনটির কপি সরবরাহ করতেও বলেন তিনি।
প্রতিবেদনটি আইএমইডির ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে জানালে তিনি বলেন, ‘এটা হয়তো আগে-পরে হয়েছে। অসুবিধা নেই। এটা আমরা দেখব। আর দুর্নীতির সঙ্গে যদি পিডির সংশ্লিষ্টতা থাকে, সে যদি খারাপ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এতে অসুবিধা নেই।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই প্রকল্পের অর্থ লোপাটের একচ্ছত্র ‘সম্রাট’ প্রকল্প পরিচালক মো. তবিবুর রহমান তালুকদার। প্রকল্পের বিল ও ঠিকারদারকে দেওয়া চেক তার একক সইতে পাশ হয়ে যায়। এতে নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীদের কোনো করণীয় নেই। এই সুযোগে তিনি পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে নজিরবিহীন লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ আছে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য তবিবুর অবৈধ টাকায় সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে মায়ের নামে ছয়তলা আলিশান বাড়ি করেছেন। ধানমন্ডি ২৭-এ কিনেছেন ৫ হাজার স্কয়ার ফুটের বাণিজ্যিক ফ্লোর।
এছাড়া ধানমন্ডিতে দুটি ও ব্যাংককে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। দেশে রয়েছে একাধিক গাড়ি। অঢেল সম্পদের অনুষঙ্গ হিসাবে ব্যক্তি জীবনে নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অপকর্মেও জড়িয়েছেন। বিয়ে করেছেন ছয়টি। একাধিক স্ত্রীকে আলাদা বাড়িও করে দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার এসব দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানও করছে বলে জানা গেছে। তবে প্রভাব খাটিয়ে দুদককে তিনি ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. তবিবুর রহমান তালুকদার মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে আপনার সঙ্গে মোবাইলে কোনো কথা বলব না। কথা বলতে হলে সামনাসামনি আসবেন।’ তখনই সাক্ষাতের সময় চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার যখন সময় হবে তখন আপনাকে জানাব।’
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নেওয়া গরিবের ল্যাট্রিন, গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের নামে চলেছে দুর্নীতির মহোৎসব। আসছে ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে, কিন্তু কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪৭ শতাংশ। যেসব কাজ হয়েছে, সেগুলোও দুর্নীতিতে সয়লাব।
বেশির ভাগ কাজেই দরপত্রের স্পেসিফিকেশন মানা হয়নি। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৮০ ভাগ পাবলিক টয়লেট ইতোমধ্যেই অব্যবহৃত, পরিত্যক্ত।
অভিযোগ আছে-ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে প্রকল্পের টাকা লোপাট করে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন প্রকল্পটির একচ্ছত্র অধিপতি প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. তবিবুর রহমান তালুকদার।
খোদ সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন ও অনুসন্ধানে প্রকল্পটিতে পুকুরচুরির তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিন কোনো কোনো জেলায় পানির ছোট স্কিমের কাজ বন্ধ পাওয়া গেছে। পাবলিক টয়লেট ও কমিউনিটি ক্লিনিকের টয়লেট নির্মাণকাজ চলমান। ইতোমধ্যে কয়েকবার সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি। পরিদর্শনকৃত পানির ছোট ৪৭টি স্কিমের মধ্যে ৪টির (৯%) নির্মাণকাজে স্পেসিফিকেশন অনুসারে মাটির ৩ ফুট নিচে স্থাপন করা হয়েছে এবং ২১% এইচডিপিই পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৩টি (১১%) স্কিমের কাজ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী হয়নি।
নির্মাণকাজের ত্রুটির কারণে ল্যান্ডিং স্টেশন ভেঙে গেছে এবং কলাম বাঁকা হয়েছে। পাবলিক টয়লেটে প্রবেশের জন্য ২ ধরনের র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে র্যাম্পের গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়নি।
এ কারণে পাবলিক টয়লেটগুলো বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হয়নি। পাবলিক টয়লেট ৪৭টির মধ্যে ৩৮টি (৮০ দশমিক ৮৫%) বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে না। কোনো কোনো টয়লেট বছরে মাত্র ২-৩ দিন ব্যবহার হলেও বাকি অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। প্রকল্পের ৩৬টি হাত ধোয়ার স্টেশনের মধ্যে ১১টি (৩০%) ভালো অবস্থায় থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা হয় না। বাকি ৭০% স্টেশনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, টাইলস ভাঙা, ফিটিংস নষ্ট এবং পানিতে অস্বাভাবিক আয়রনের উপস্থিতির কারণে সেগুলো অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পরিদর্শনকৃত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নির্মিত ১৯টি টয়লেটের মধ্যে ১৭টি (৮৯ দশমিক ৪৭%) ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ অবস্থার কারণ-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জন্য অর্থের জোগান না থাকা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব এবং ফিটিংস চুরির ভয়। পরিদর্শনকৃত ১২২টি (১০০%) ল্যাট্রিনই স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী স্থাপন করা হয়নি।
যেমন-রিংয়ের নিচে ৩ ইঞ্চি স্থানীয় বালি, বালির ওপর ৩ ইঞ্চি খোয়া এবং এর ওপর রিং স্থাপন; একইভাবে রিংয়ের বাইরের পাশে ৬ ইঞ্চি পুরো বালি দেওয়া হয়নি। ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া পানির বড় স্কিমগুলো জলাশয়, পুকুর ও ডোবা ভরাট করে করা হয়েছে, কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি।
নজিরবিহীন এই দুর্নীতির কারিগর তবিবুর রহমানকেই নতুন করে শুরু হতে যাওয়া ১৮৮৯ কোটি টাকার স্যানিটেশন প্রকল্পের পিডি নিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রকল্পও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নের কথা।
এ নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য; এখনো এত প্রিয় কেন তবিবুর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, ‘আইএমইডির এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন আমার নজরে আসেনি। এটা দেখে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এ প্রতিবেদককে প্রতিবেদনটির কপি সরবরাহ করতেও বলেন তিনি।
প্রতিবেদনটি আইএমইডির ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে জানালে তিনি বলেন, ‘এটা হয়তো আগে-পরে হয়েছে। অসুবিধা নেই। এটা আমরা দেখব। আর দুর্নীতির সঙ্গে যদি পিডির সংশ্লিষ্টতা থাকে, সে যদি খারাপ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এতে অসুবিধা নেই।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই প্রকল্পের অর্থ লোপাটের একচ্ছত্র ‘সম্রাট’ প্রকল্প পরিচালক মো. তবিবুর রহমান তালুকদার। প্রকল্পের বিল ও ঠিকারদারকে দেওয়া চেক তার একক সইতে পাশ হয়ে যায়। এতে নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীদের কোনো করণীয় নেই। এই সুযোগে তিনি পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে নজিরবিহীন লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ আছে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য তবিবুর অবৈধ টাকায় সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে মায়ের নামে ছয়তলা আলিশান বাড়ি করেছেন। ধানমন্ডি ২৭-এ কিনেছেন ৫ হাজার স্কয়ার ফুটের বাণিজ্যিক ফ্লোর।
এছাড়া ধানমন্ডিতে দুটি ও ব্যাংককে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। দেশে রয়েছে একাধিক গাড়ি। অঢেল সম্পদের অনুষঙ্গ হিসাবে ব্যক্তি জীবনে নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অপকর্মেও জড়িয়েছেন। বিয়ে করেছেন ছয়টি। একাধিক স্ত্রীকে আলাদা বাড়িও করে দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার এসব দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানও করছে বলে জানা গেছে। তবে প্রভাব খাটিয়ে দুদককে তিনি ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. তবিবুর রহমান তালুকদার মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে আপনার সঙ্গে মোবাইলে কোনো কথা বলব না। কথা বলতে হলে সামনাসামনি আসবেন।’ তখনই সাক্ষাতের সময় চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার যখন সময় হবে তখন আপনাকে জানাব।’

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৭
বিভিন্ন সময় দল থেকে বহিষ্কার হওয়া ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। রবিবার বিকেলে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে, বিগত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় যথাক্রমে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দীন কামু; ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মিজানুর রহমান মিঠু; ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ; ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-ফরহাদ চৌধুরী শামীম; ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. সাঈদুর রহমান জুবের; ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আব্দুর রহিম মতছির; ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মুনিম; ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. মুজিবুর রহমান; ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা- এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী; ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বদরুল আজাদ রানা; ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান মামুন; ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির সুহিন; ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা অ্যাড. রুকশানা বেগম শাহনাজ; ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-সেলিম আহমদ রনি; ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আলী আব্বাস; ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন; ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া; ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. আব্দুল মুকিত; ৩২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা- অ্যাড. হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ; ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম; ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিলওয়ার হোসেন জয়; ৩৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা উসমান হারুন পনির; ৩৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আলতাফ হোসেন সুমন; ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল হাছিব; ৪২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সুমন আহমদ সিকদার; ২২,২৩,২৪নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সালেহা কবির শেলী; ১০,১১,১২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের রুহেনা বেগম মুক্তা ও অ্যাড. জহুরা জেসমিন; ১৬,১৭,১৮ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কামরুন নাহার পিন্নিসহ ২নং ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিপূর্বে পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতানা রাজিয়া ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলে তার প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সময় দল থেকে বহিষ্কার হওয়া ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। রবিবার বিকেলে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে, বিগত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় যথাক্রমে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দীন কামু; ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মিজানুর রহমান মিঠু; ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ; ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-ফরহাদ চৌধুরী শামীম; ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. সাঈদুর রহমান জুবের; ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আব্দুর রহিম মতছির; ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মুনিম; ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. মুজিবুর রহমান; ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা- এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী; ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বদরুল আজাদ রানা; ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান মামুন; ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির সুহিন; ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা অ্যাড. রুকশানা বেগম শাহনাজ; ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-সেলিম আহমদ রনি; ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আলী আব্বাস; ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন; ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া; ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. আব্দুল মুকিত; ৩২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা- অ্যাড. হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ; ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম; ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিলওয়ার হোসেন জয়; ৩৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা উসমান হারুন পনির; ৩৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আলতাফ হোসেন সুমন; ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল হাছিব; ৪২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সুমন আহমদ সিকদার; ২২,২৩,২৪নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সালেহা কবির শেলী; ১০,১১,১২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের রুহেনা বেগম মুক্তা ও অ্যাড. জহুরা জেসমিন; ১৬,১৭,১৮ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কামরুন নাহার পিন্নিসহ ২নং ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিপূর্বে পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতানা রাজিয়া ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলে তার প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৭
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে ১২৩ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। কিন্তু এ কর্মসূচি ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ রবিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি আমাকে বলেন... ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো... ইউ গট মাই আনসার।’
দিকে নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও দল নিবন্ধনের দাবিতে অনড় রয়েছেন তারেক রহমান। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মূল গেটের সামনে সরেজমিন দেখা যায়, তারেক রহমানের হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় শুয়ে আছে। তেমন কথাও বলছেন না।
তার আশপাশে মানুষের ভিড়। কেউ আসছেন তার সঙ্গে সংহতি জানাতে, কেউ আসছে শুধু তাকে দেখতে। এমন মানুষের ভিড়েই চোখ বন্ধ করে নীরবে শুয়ে আছেন তারেক। দুর্বল হয়ে এসেছে কণ্ঠস্বর, ঠিকমতো কথা আর বলতে পারছেন না তিনি।
এ সময় নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আছেন কি না জানতে চাইলে খুবই ধীরে তারেক রহমান বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।'
ইসি থেকে আর কেউ যোগাযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ আর যোগাযোগ করেনি। সেদিন (বৃহস্পতিবার) যে একজন উপসচিব এসেছিলেন... তিনি যে গিয়েছেন আর কেউ এরপর আসেনি।
কেউ যোগাযোগ করেনি। কোনো চিঠি বা কিছুই দেয়নি।'
শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই।’
গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন দাবি-আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এরপর দাবি-আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন প্রদান করা হবে। সেদিন দল নিবন্ধনের তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে তারেক রহমানের ‘আম জনতার দল’। এরপর বিকেল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে অনশনে বসে যান তারেক। সে অনশনের এখন ১২৩ ঘণ্টা চলমান রয়েছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে ১২৩ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। কিন্তু এ কর্মসূচি ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ রবিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি আমাকে বলেন... ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো... ইউ গট মাই আনসার।’
দিকে নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও দল নিবন্ধনের দাবিতে অনড় রয়েছেন তারেক রহমান। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মূল গেটের সামনে সরেজমিন দেখা যায়, তারেক রহমানের হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় শুয়ে আছে। তেমন কথাও বলছেন না।
তার আশপাশে মানুষের ভিড়। কেউ আসছেন তার সঙ্গে সংহতি জানাতে, কেউ আসছে শুধু তাকে দেখতে। এমন মানুষের ভিড়েই চোখ বন্ধ করে নীরবে শুয়ে আছেন তারেক। দুর্বল হয়ে এসেছে কণ্ঠস্বর, ঠিকমতো কথা আর বলতে পারছেন না তিনি।
এ সময় নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আছেন কি না জানতে চাইলে খুবই ধীরে তারেক রহমান বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।'
ইসি থেকে আর কেউ যোগাযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ আর যোগাযোগ করেনি। সেদিন (বৃহস্পতিবার) যে একজন উপসচিব এসেছিলেন... তিনি যে গিয়েছেন আর কেউ এরপর আসেনি।
কেউ যোগাযোগ করেনি। কোনো চিঠি বা কিছুই দেয়নি।'
শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই।’
গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন দাবি-আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এরপর দাবি-আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন প্রদান করা হবে। সেদিন দল নিবন্ধনের তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে তারেক রহমানের ‘আম জনতার দল’। এরপর বিকেল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে অনশনে বসে যান তারেক। সে অনশনের এখন ১২৩ ঘণ্টা চলমান রয়েছে।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০৯
বছর ঘুরে আবারও নিকটে এসে পড়ছে পবিত্র রমজান মাস। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) ইসলাম ধর্মবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইসলামিক ইনফরমেশন’ তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আসন্ন রমজান নিয়ে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে তারা জানায়, রমজান শুরু হতে ১০০ দিন বাকি আছে।
২০২৬ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজান মাস শুরু হতে পারে।
সেই অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) থেকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রোজা শুরু হতে পারে।
আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থা এমিরেট অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে ১৪৪৭ হিজরি সনের রমজানের চাঁদ আকাশে উঠবে। কিন্তু ওইদিন সূর্যাস্তের মাত্র ১ মিনিট পরই চাঁদটি অস্ত যাবে। ফলে এটি খালি চোখে দেখা যাবে না।
তাই ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু না হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে রমজান।’
আগামী বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং কুয়েতে রমজানের শুরুর কয়েকদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে। রমজান যত শেষের দিকে যাবে এই সময় ততই বৃদ্ধি পাবে। এটি বাড়তে বাড়তে ১৩ ঘণ্টা দীর্ঘ হবে।
সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানায়, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসবে।
মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পরেই বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ শুরু হয়ে থাকে। সে হিসেবে বাংলাদেশে আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রমজানের প্রথমদিন এবং ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বছর ঘুরে আবারও নিকটে এসে পড়ছে পবিত্র রমজান মাস। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) ইসলাম ধর্মবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইসলামিক ইনফরমেশন’ তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আসন্ন রমজান নিয়ে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে তারা জানায়, রমজান শুরু হতে ১০০ দিন বাকি আছে।
২০২৬ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজান মাস শুরু হতে পারে।
সেই অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) থেকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রোজা শুরু হতে পারে।
আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থা এমিরেট অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে ১৪৪৭ হিজরি সনের রমজানের চাঁদ আকাশে উঠবে। কিন্তু ওইদিন সূর্যাস্তের মাত্র ১ মিনিট পরই চাঁদটি অস্ত যাবে। ফলে এটি খালি চোখে দেখা যাবে না।
তাই ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু না হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে রমজান।’
আগামী বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং কুয়েতে রমজানের শুরুর কয়েকদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে। রমজান যত শেষের দিকে যাবে এই সময় ততই বৃদ্ধি পাবে। এটি বাড়তে বাড়তে ১৩ ঘণ্টা দীর্ঘ হবে।
সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানায়, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসবে।
মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পরেই বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ শুরু হয়ে থাকে। সে হিসেবে বাংলাদেশে আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রমজানের প্রথমদিন এবং ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.