dreamliferupatolibarisal

জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছে কমিশন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছে কমিশন

বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছে কমিশন। এরই মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ দলসহ অনানুষ্ঠানিকভাবে অভিজ্ঞজনের মতামত নেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বসে বিস্তারিত আলোচনা করে তাদের মতামত নেবে কমিশন।

এদিকে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের একটি সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সনদে মোট ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ৮ দফা অঙ্গীকারনামায় প্রথমেই বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’-এর দলিল হিসেবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব। সনদ সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’

অঙ্গীকারনামার শেষ দফায় বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।’

এ বিষয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে দলগুলোকে মতামত পাঠাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে পারে। তার পরই জুলাই সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, সনদের ভাষ্যের কোনো শব্দ, বাক্য গঠন বা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা আগামী বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। অবশ্য জুলাই সনদের এই সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া তৈরির আগে কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন করে সনদের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরপর তা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।

সনদের পটভূমিতে বলা হয়েছে, স্বৈরাচারী শাসক পালিয়ে যাওয়ার পর ‘জনগণের মননে রাষ্ট্র-কাঠামো পুনর্গঠনের এক প্রবল অভিপ্রায় সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার, বিশেষ করে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার, ধসে পড়া নির্বাচনি ব্যবস্থার পুনর্গঠন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন ও বিধি-বিধানের সংস্কার, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসিত জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

অবশ্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং নোট অব ডিসেন্টের মতো বিষয়গুলো নিয়ে যে সমন্বিত খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে দলগুলোর পক্ষ থেকে কী ধরনের মতামত আসে, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। বিশেষ করে বিএনপি এসব বিষয়ে কী অবস্থান নেবে, সেদিকেই নজর বেশি। যদিও বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপিকে জুলাই সনদের আরও ছাড় দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মিত্র দলগুলো।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার গতকাল বলেন, ‘আমরা আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় সম্মত হবে। কয়েকটি দল ৯-১০টি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিলেও বেশিরভাগ দলই একমত পোষণ করেছে। এখন নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া দলগুলো গণতন্ত্র এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া মেনে নেবে বলে বিশ্বাস করি।’

সনদ কবে নাগাদ ঘোষণা হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. মজুমদার বলেন, ‘আমরা তো এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। দলগুলো যত দ্রুত সাড়া দেবে তত দ্রুত আমরা এগোতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া বাস্তবায়ন ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছি। এ লক্ষ্যে বিশিষ্ট ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ ঘোষণা করা হবে।’

জানা গেছে, সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত যাতে পরবর্তী সরকারের সময়ও বাস্তবায়ন করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে জুলাই জাতীয় সনদের ‘সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া’ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। সনদের কোনো শব্দ, বাক্য ও নীতিমালা সংবিধান বা অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই সনদের প্রাধান্য থাকবে। এই সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, দেরি না করে সেগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে সরকার।

জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো অনুলিপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর ৫ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কারবিষয়ক ৭০টি, নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি ও দুর্নীতি দমনবিষয়ক ২৭টি সুপারিশ ছিল। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো সরাসরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নযোগ্য হওয়ায় সেগুলো স্প্রেডশিটে রাখা হয়নি। অন্যদিকে, সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর তালিকা সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, মোট ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট তাদের মতামত কমিশনের কাছে প্রেরণ করে। অনেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও প্রদান করে। মতামত গ্রহণের পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মোট ৪৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ করতে কিছু দলের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে কমিশন অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মোট ২০টি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় মিলিত হয়। ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে মোট ২৩টি সেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঐকমত্য হওয়া সংস্কার প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে সরকার। গত ২৯ জুলাই দলগুলোকে জুলাই সনদের একটি খসড়া দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া নিয়ে দলগুলো মতামতও দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে সমন্বিত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সমন্বিত খসড়া নিয়ে দলগুলোর মতামতও আমলে নেবে কমিশন।

অন্যদিকে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে।

জানা যায়, ঐকমত্য কমিশন দ্বিতীয় দফায় ১৯টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানালেও বেশকিছু ইস্যুতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। ফলে এ নিয়ে ‘না সূচক’ মনোভাবের কথাই জানিয়েছে দলগুলো। বিশেষ করে সংসদের উচ্চকক্ষে একশ আসন পিআর পদ্ধতি বা সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন করার বিষয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। নোট অব ডিসেন্ট সত্ত্বেও ১৯টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানায় ঐকমত্য কমিশন।

রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন সূত্র বলছে, সংস্কারের বিষয়গুলো ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ সংযুক্ত করা হবে। এরপরই সব দলগুলো চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষর করে সেটির স্বীকৃতি দেবে। তবে তার আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির দাবি তোলে বেশকিছু দল। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সরকার ও কমিশনের পক্ষে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গতকাল বলেন, ‘আমরা সনদের খসড়া পেয়েছি। যেহেতু বেশ বড় সেটি পড়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই আমরা দ্রুত মতামত দেবে।’

বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা তো অতীতের জুলাই সনদের খসড়ায় মতামত দিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পেয়েছি। জোটের ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে মতামত দেওয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল রাতে বলেন, ‘জুলাই সনদের সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়ার একটি কপি সন্ধ্যায় হাতে পেয়েছি। এখন সেটি পড়ে দেখব লেখা ঠিকভাবে আছে কি না? এরপর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে মতামত জানানো হবে।’

আরও পড়ুন:

মানবতাবিরোধী অপরাধ/ ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মানবতাবিরোধী অপরাধ/ ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হলো।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন আসামি। তাদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে ছিলেন। এদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। একজন এখন অবসরকালীন ছুটিতে।

এর আগে, আজ সকাল ৭টার পর বাংলাদেশ জেল প্রিজনভ্যানের গাড়িতে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তারা সবাই সাধারণ পোশাকে ছিলেন।

মামলার একটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।

গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে) ; র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম সেনা হেফাজতে ছিলেন।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তারা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‌্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তারা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।

অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তারা দেশত্যাগ করেছেন।

এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক।

শনিবারও স্কুল-কলেজে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শনিবারও স্কুল-কলেজে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত

শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শনিবারও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমাদের বড় দাবি পূরণ হয়েছে। এটা আমাদের বড় বিজয়। আন্দোলন করে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। আগামীকাল থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরছি।

দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, গত আট দিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল। বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখব। যে আট দিন শ্রেণিকক্ষে যেতে পারিনি, সেই আট দিন পুষিয়ে দেব।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই ধাপে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এদিকে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

‘ভোটের মাঠে ১ লাখ সেনা, দেড় লাখ পুলিশ থাকবে’

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

‘ভোটের মাঠে ১ লাখ সেনা, দেড় লাখ পুলিশ থাকবে’

নির্বাচনকে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মাঠে থাকবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটের দিন প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে সারাদেশে।’

তিনি আরও জানান, ‘দেশে এখন নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান।’ সচিব বলেন, সম্প্রতি লুট হওয়া অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে, বাকি অংশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বৈঠকে আলোচনা করা হয়নি বলে জানান তিনি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.