০৬ জুন, ২০২৫ ১৭:২৩
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটিতে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এবার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় বুকিং হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া ঠিক থাকলে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেলে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। তবে ১০-১১ জুন পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা জানালেন অনেকেই। এ দুই দিনের জন্য আগাম বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের ১০-১১ জুনে অলরেডি ৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল তাজওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, তাদেরও ওই তারিখে আগাম বুকিং রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে মূলত সরকারি ছুটি কার্যকর হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অফিস আদালত সচল হবে। ৭ জুন থেকে কোরবানি শুরু হবে। যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এ জন্য ১০-১১ জুন এই দুইদিন মূলত বিনোদন, ভ্রমণের মুখ্য সময়।
এই পিক টাইমে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ। ১২ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকার কথা বললেন অধিকাংশরা। তবে আধুনিক সেবা সংবলিত ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে এখনও গেস্ট রয়েছে। তাদের ৯-১০-১১ জুনে এখনই শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
এছাড়াও পর্যটকের ভিড়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কিংবা অশোভন আচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। বাসে আসা পর্যটককে নির্দিষ্ট হোটেলে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থার কথাও জানালেন একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল রাজমহলের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজি বলে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মুঠোফোনে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। টানা ১০ দিনের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হবে। আশা করছি পেছনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব। এ সময় তিনি হোটেলে রাজমহলে ১০% ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছেও।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। মূলত ৯ জুন থেকে কুয়াকাটায় ১১ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়ের সম্ভাবনা থাকছে। পর্যটক বরণে কুয়াকাটার ছোট-বড়-মাঝারি আধুনিক ও তারকা মানের অন্তত ২৩০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, ইতোমধ্যেই পর্যটক বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন এখানে আসা পর্যটকের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ঈদ পরবর্তী আগত পর্যটক-দর্শনার্থীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তিনটি স্পটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায়।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা লাখো পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটা দর্শনীয় স্পটগুলোতে আলাদা আলাদা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে টুরিস্ট পুলিশ।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটিতে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এবার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় বুকিং হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া ঠিক থাকলে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেলে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। তবে ১০-১১ জুন পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা জানালেন অনেকেই। এ দুই দিনের জন্য আগাম বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের ১০-১১ জুনে অলরেডি ৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল তাজওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, তাদেরও ওই তারিখে আগাম বুকিং রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে মূলত সরকারি ছুটি কার্যকর হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অফিস আদালত সচল হবে। ৭ জুন থেকে কোরবানি শুরু হবে। যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এ জন্য ১০-১১ জুন এই দুইদিন মূলত বিনোদন, ভ্রমণের মুখ্য সময়।
এই পিক টাইমে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ। ১২ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকার কথা বললেন অধিকাংশরা। তবে আধুনিক সেবা সংবলিত ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে এখনও গেস্ট রয়েছে। তাদের ৯-১০-১১ জুনে এখনই শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
এছাড়াও পর্যটকের ভিড়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কিংবা অশোভন আচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। বাসে আসা পর্যটককে নির্দিষ্ট হোটেলে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থার কথাও জানালেন একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল রাজমহলের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজি বলে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মুঠোফোনে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। টানা ১০ দিনের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হবে। আশা করছি পেছনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব। এ সময় তিনি হোটেলে রাজমহলে ১০% ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছেও।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। মূলত ৯ জুন থেকে কুয়াকাটায় ১১ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়ের সম্ভাবনা থাকছে। পর্যটক বরণে কুয়াকাটার ছোট-বড়-মাঝারি আধুনিক ও তারকা মানের অন্তত ২৩০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, ইতোমধ্যেই পর্যটক বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন এখানে আসা পর্যটকের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ঈদ পরবর্তী আগত পর্যটক-দর্শনার্থীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তিনটি স্পটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায়।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা লাখো পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটা দর্শনীয় স্পটগুলোতে আলাদা আলাদা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে টুরিস্ট পুলিশ।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
বঙ্গোপসাগরে অবৈধ কাঠের ট্রলিং ট্রলার ও অবৈধ জাল বন্ধের দাবিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা এগারোটায় কুয়াকাটা, মহিপুর ও কলাপাড়ার সর্বস্তরের জেলেদের আয়োজনে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পর্যটন পার্কের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আশার আলো মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ, কুয়াকাটা জেলে সমিতির সভাপতি আবু হানিফ ঘরামী ও কুয়াকাটা মাঝি সমিতির সভাপতি চান মিয়া সহ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধনে কুয়াকাটার মৎস্য সংশ্লিষ্ট ৭ টি সংগঠনের দুই শতাধিক জেলেরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ১০ বছর যাবত অবৈধ ট্রলিংয়ের ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে কিছু অসাধু জেলেরা। এতে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনাসহ ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। কমছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রলিং বন্ধ না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহনের হুশিয়ারি দেন জেলেরা।
বঙ্গোপসাগরে অবৈধ কাঠের ট্রলিং ট্রলার ও অবৈধ জাল বন্ধের দাবিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা এগারোটায় কুয়াকাটা, মহিপুর ও কলাপাড়ার সর্বস্তরের জেলেদের আয়োজনে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পর্যটন পার্কের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আশার আলো মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ, কুয়াকাটা জেলে সমিতির সভাপতি আবু হানিফ ঘরামী ও কুয়াকাটা মাঝি সমিতির সভাপতি চান মিয়া সহ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধনে কুয়াকাটার মৎস্য সংশ্লিষ্ট ৭ টি সংগঠনের দুই শতাধিক জেলেরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ১০ বছর যাবত অবৈধ ট্রলিংয়ের ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে কিছু অসাধু জেলেরা। এতে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনাসহ ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। কমছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রলিং বন্ধ না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহনের হুশিয়ারি দেন জেলেরা।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:২৫
পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ডুবে নিখোঁজ জেলে ইমরানের (২২) এর দুইদিন পর লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসি।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে তেঁতুলিয়া নদীর কালাইয়া এলাকার খাল গোড়ার চর থেকে স্থানীয় লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত ইমরান চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায় সাহেব গ্রামের মনির শরীফের ছেলে। সে পেশায় একজন জেলে ছিল।
জানাগেছে,গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরে নিমদী ঘাটে মাছ রেখে বরফ আনতে কালাইয়া যায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে। বৈরি আবহাওয়া, বৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ডুবে নিখোঁজ হয় সে ।
মো. হাবীব শরীফ বলেন, আমরা দুইজন একই সঙ্গে দুইটা নৌকা নিয়ে বের হই। ইমরান বরফ কেনার জন্য কালাইয়া বন্দর ঘাটের দিকে যায়। বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় জেলেরা নৌকাটি উল্টে নদীতে ভাসছে দেখে আমাকে জানায়। এসময় গিয়ে দেখি ইমরান নেই ভাসছে তার নৌকা।
এ বিষয়ে কালাইয়া বন্দর নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিখোঁজ জেলেকে ( রবিবার) সকালে কালাইয়ার চরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা নিখোঁজ ইমরানের লাশ বলে শনাক্ত করে। পরে তার মৃত লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ডুবে নিখোঁজ জেলে ইমরানের (২২) এর দুইদিন পর লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসি।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে তেঁতুলিয়া নদীর কালাইয়া এলাকার খাল গোড়ার চর থেকে স্থানীয় লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত ইমরান চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায় সাহেব গ্রামের মনির শরীফের ছেলে। সে পেশায় একজন জেলে ছিল।
জানাগেছে,গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরে নিমদী ঘাটে মাছ রেখে বরফ আনতে কালাইয়া যায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে। বৈরি আবহাওয়া, বৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ডুবে নিখোঁজ হয় সে ।
মো. হাবীব শরীফ বলেন, আমরা দুইজন একই সঙ্গে দুইটা নৌকা নিয়ে বের হই। ইমরান বরফ কেনার জন্য কালাইয়া বন্দর ঘাটের দিকে যায়। বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় জেলেরা নৌকাটি উল্টে নদীতে ভাসছে দেখে আমাকে জানায়। এসময় গিয়ে দেখি ইমরান নেই ভাসছে তার নৌকা।
এ বিষয়ে কালাইয়া বন্দর নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিখোঁজ জেলেকে ( রবিবার) সকালে কালাইয়ার চরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা নিখোঁজ ইমরানের লাশ বলে শনাক্ত করে। পরে তার মৃত লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:১৯
পটুয়াখালীর বাউফলে নিম্নচাপের প্রভাবে তেঁতুলিয়া, কারখানা ও লোহালিয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে।গত ২৪ জুলাই থেকে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এর ফলে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কাছিপাড়া, কেশবপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও পুকুর ডুবে গেছে।
বিশেষ করে তেঁতুলিয়া নদী ঘেরা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরাংশে বসতবাড়ি ও কাঁচা রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দক্ষিণ চরওয়াডেলের খানকা বাজার থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি একাধিক স্থানে ভেঙে পড়েছে।
কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার বলেন, শুক্রবার থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। রাস্তা-ঘাট সব পানির নিচে। বসতঘরেও পানি উঠেছে। সন্তানদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি।কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মজিবুর রহমান বলেন, তেঁতুলিয়া নদীর পানি ঢুকে আমাদের আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বীজ পচে যাচ্ছে। এতে করে এলাকায় আমন চাষে বীজ সংকট দেখা দিতে পারে।
চন্দ্রদ্বীপের বাসিন্দা ইমরান হাওলাদার বলেন, আমাদের চারপাশে নদী, কিন্তু বেড়িবাঁধ নেই। ফলে জোয়ারের সময় পানি বাড়িতেই ঢুকে পড়ে। পানির সঙ্গে বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড়ও ঢুকে পড়ে। প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যেই কাটছে রাত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, “জোয়ারের পানিতে বীজতলা ও সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে—এমন খবর পেয়েছি। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছি।”
বাউফল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সদস্য সচিব মস্তফা মাইদুল বলেন, আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিন মনিটর করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পটুয়াখালীর বাউফলে নিম্নচাপের প্রভাবে তেঁতুলিয়া, কারখানা ও লোহালিয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে।গত ২৪ জুলাই থেকে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এর ফলে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কাছিপাড়া, কেশবপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও পুকুর ডুবে গেছে।
বিশেষ করে তেঁতুলিয়া নদী ঘেরা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরাংশে বসতবাড়ি ও কাঁচা রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দক্ষিণ চরওয়াডেলের খানকা বাজার থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি একাধিক স্থানে ভেঙে পড়েছে।
কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার বলেন, শুক্রবার থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। রাস্তা-ঘাট সব পানির নিচে। বসতঘরেও পানি উঠেছে। সন্তানদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি।কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মজিবুর রহমান বলেন, তেঁতুলিয়া নদীর পানি ঢুকে আমাদের আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বীজ পচে যাচ্ছে। এতে করে এলাকায় আমন চাষে বীজ সংকট দেখা দিতে পারে।
চন্দ্রদ্বীপের বাসিন্দা ইমরান হাওলাদার বলেন, আমাদের চারপাশে নদী, কিন্তু বেড়িবাঁধ নেই। ফলে জোয়ারের সময় পানি বাড়িতেই ঢুকে পড়ে। পানির সঙ্গে বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড়ও ঢুকে পড়ে। প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যেই কাটছে রাত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, “জোয়ারের পানিতে বীজতলা ও সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে—এমন খবর পেয়েছি। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছি।”
বাউফল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সদস্য সচিব মস্তফা মাইদুল বলেন, আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিন মনিটর করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.