
০৪ জুন, ২০২৫ ১৬:৪৭
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গরুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে গরুর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত কৃষক ও খামারিরা। এতে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।
প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। গরুর খাবারের রুচি কমে যায়।
জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে। সে সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। গরুর চেয়ে বাছুর আক্রান্ত হলে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।
সরকারি সহায়তা ও প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিনের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস ধরে উপজেলায় লাম্পি স্কিন প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে আসা টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহানারা বেগম জানান, তার গোয়ালে অন্তত ১৮টি গরু আছে।
এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত হয়েছে। একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গত সোমবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এই গরুটির কষ্ট দেখে গত সাত দিনে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানুষ হলে হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারত। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এই খামারি।
কুয়াকাটা থেকে আসা রাকিবুল একটি বাছুর গরুর মাথায় পানি ঢালছিলেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার গরুর শরীর। ১৯টি গরুর মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে নিয়ে আসা বাছুরটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মাথায় পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে ব্যস্ত তিনি। তার গোয়ালে আক্রান্ত পশুগুলোর একেকটির ওষুধ কিনতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
নীলগঞ্জ থেকে দুটি গরু নিয়ে আসা মুসা হাওলাদার বলেন, এখানে ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবায় কোনো ঘাটতি রাখছেন না। তবে ৩০০ টাকা করে প্রতি ডোজ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। তাই সরকারিভাবে এ রোগের ওষুধ সরবরাহের দাবি করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ বিল্লাহ বলেন, দেশে গবাদিপশুর জন্য এই লাম্পি ডিজিজ একটি প্রাণঘাতী সংক্রমক ভাইরাস, যা মশা, মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের বিশ্রামের সময়ও থাকছে না। চাষিরা তাদের যত্নে লালিত পশু নিয়ে এসে অনেক সময় কান্নাও জুড়ে দেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
মারুফ বিল্লাহ বলেন, এই রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে না। তাই চাষিদের বাড়তি মূল্যে কিনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত শতকরা ১২ শতাংশ গরুর মৃত্যু হয়। যেহেতু এটি সংক্রামক জাতীয় একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাই খামারিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গরুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে গরুর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত কৃষক ও খামারিরা। এতে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।
প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। গরুর খাবারের রুচি কমে যায়।
জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে। সে সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। গরুর চেয়ে বাছুর আক্রান্ত হলে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।
সরকারি সহায়তা ও প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিনের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস ধরে উপজেলায় লাম্পি স্কিন প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে আসা টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহানারা বেগম জানান, তার গোয়ালে অন্তত ১৮টি গরু আছে।
এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত হয়েছে। একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গত সোমবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এই গরুটির কষ্ট দেখে গত সাত দিনে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানুষ হলে হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারত। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এই খামারি।
কুয়াকাটা থেকে আসা রাকিবুল একটি বাছুর গরুর মাথায় পানি ঢালছিলেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার গরুর শরীর। ১৯টি গরুর মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে নিয়ে আসা বাছুরটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মাথায় পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে ব্যস্ত তিনি। তার গোয়ালে আক্রান্ত পশুগুলোর একেকটির ওষুধ কিনতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
নীলগঞ্জ থেকে দুটি গরু নিয়ে আসা মুসা হাওলাদার বলেন, এখানে ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবায় কোনো ঘাটতি রাখছেন না। তবে ৩০০ টাকা করে প্রতি ডোজ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। তাই সরকারিভাবে এ রোগের ওষুধ সরবরাহের দাবি করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ বিল্লাহ বলেন, দেশে গবাদিপশুর জন্য এই লাম্পি ডিজিজ একটি প্রাণঘাতী সংক্রমক ভাইরাস, যা মশা, মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের বিশ্রামের সময়ও থাকছে না। চাষিরা তাদের যত্নে লালিত পশু নিয়ে এসে অনেক সময় কান্নাও জুড়ে দেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
মারুফ বিল্লাহ বলেন, এই রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে না। তাই চাষিদের বাড়তি মূল্যে কিনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত শতকরা ১২ শতাংশ গরুর মৃত্যু হয়। যেহেতু এটি সংক্রামক জাতীয় একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাই খামারিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৬
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মিছিলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে এ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা এলাকায় এসে শেষ হয়।
জানা যায়, দশমিনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জায়েদ প্যাদার নেতৃত্ব এ ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়েছে।
জায়েদ প্যাদা নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে আবারও রাজপথে। এরপর ভিডিওটি মুহুর্তই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারের সামনে কাফনের কাপড় পরে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাধা ছিল।
এসময় দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হটাও ইউনুস বাঁচাও দেশ- লেখা ছিল। মিছিলে ৩৫-৪০জন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাদের ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরনে, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এ বিষয় দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বরিশালটাইমসকে জানান, ভোরে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ভিডিও নজরে এসেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মিছিলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে এ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা এলাকায় এসে শেষ হয়।
জানা যায়, দশমিনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জায়েদ প্যাদার নেতৃত্ব এ ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়েছে।
জায়েদ প্যাদা নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে আবারও রাজপথে। এরপর ভিডিওটি মুহুর্তই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারের সামনে কাফনের কাপড় পরে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাধা ছিল।
এসময় দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হটাও ইউনুস বাঁচাও দেশ- লেখা ছিল। মিছিলে ৩৫-৪০জন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাদের ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরনে, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এ বিষয় দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বরিশালটাইমসকে জানান, ভোরে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ভিডিও নজরে এসেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৪
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন ২২ বছর বয়সী লামিয়া আক্তার। ঘটনাটি লামিয়ার পরিবারে আনন্দ বয়ে আনলেও এখন সন্তানদের লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মা–বাবা।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামে লামিয়ার বাড়ি। তাঁর স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার একই উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্বামী সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ছোট মুদি ব্যবসা করেন। দুই পরিবারই দরিদ্র এবং তাদের বসতভিটা ছাড়া জমিজমা নেই।
২০২০ সালে পারিবারিকভাবে সোহেলের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। চার বছর পর গত জুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে তিনটি সন্তান আছে। গর্ভধারণের পর থেকেই ভয় ও উদ্বেগে ছিলেন তিনি ও স্বজনেরা। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাসান, মো. হোসাইন, মো. মোয়াজ্জিন, মোসা. লামিবা ও মোসা. উমামা।
পাঁচ সন্তানের জন্মের পর লামিয়া এখন নিজের বাবার বাড়িতে আছেন। নবজাতকদের পরিচর্যা করছেন তাঁর মা শাহনাজ বেগম (৪০)। তবে মায়ের দুধে পাঁচটি শিশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।
শাহনাজ বেগম বলেন, পাঁচটি শিশুই সুস্থ আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাদের পেছনে ব্যয় বাড়ছে। দুই দিনে ১ হাজার ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়। এত খরচ বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ফারুক হাওলাদারের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো বিশ্রামে থাকার কথা থাকলেও অভাবের কারণে তাঁকে আবার ইটভাটায় কাজে যেতে হচ্ছে।
শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সন্তানের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সন্তানদের সুস্থভাবে বড় করতে সবার কাছে সহায়তা চান।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, দরিদ্র এই দুই পরিবারের পক্ষে পাঁচটি শিশু লালন–পালন করা খুবই কঠিন। শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কোনো তহবিল তাঁদের নেই। তবে চিকিৎসার সব সহায়তা দেওয়া হবে।
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন ২২ বছর বয়সী লামিয়া আক্তার। ঘটনাটি লামিয়ার পরিবারে আনন্দ বয়ে আনলেও এখন সন্তানদের লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মা–বাবা।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামে লামিয়ার বাড়ি। তাঁর স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার একই উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্বামী সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ছোট মুদি ব্যবসা করেন। দুই পরিবারই দরিদ্র এবং তাদের বসতভিটা ছাড়া জমিজমা নেই।
২০২০ সালে পারিবারিকভাবে সোহেলের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। চার বছর পর গত জুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে তিনটি সন্তান আছে। গর্ভধারণের পর থেকেই ভয় ও উদ্বেগে ছিলেন তিনি ও স্বজনেরা। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাসান, মো. হোসাইন, মো. মোয়াজ্জিন, মোসা. লামিবা ও মোসা. উমামা।
পাঁচ সন্তানের জন্মের পর লামিয়া এখন নিজের বাবার বাড়িতে আছেন। নবজাতকদের পরিচর্যা করছেন তাঁর মা শাহনাজ বেগম (৪০)। তবে মায়ের দুধে পাঁচটি শিশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।
শাহনাজ বেগম বলেন, পাঁচটি শিশুই সুস্থ আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাদের পেছনে ব্যয় বাড়ছে। দুই দিনে ১ হাজার ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়। এত খরচ বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ফারুক হাওলাদারের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো বিশ্রামে থাকার কথা থাকলেও অভাবের কারণে তাঁকে আবার ইটভাটায় কাজে যেতে হচ্ছে।
শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সন্তানের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সন্তানদের সুস্থভাবে বড় করতে সবার কাছে সহায়তা চান।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, দরিদ্র এই দুই পরিবারের পক্ষে পাঁচটি শিশু লালন–পালন করা খুবই কঠিন। শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কোনো তহবিল তাঁদের নেই। তবে চিকিৎসার সব সহায়তা দেওয়া হবে।

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৭
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশাল ‘কালো পোয়া’ মাছ। বিরল এই সামুদ্রিক মাছটি স্থানীয়ভাবে ‘দাঁতিনা’ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।
এর আগে 'এফবি ভাই ভাই' ট্রলারে গত ৩ দিন আগে গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছটি উঠে আসে।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিসে আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফয়সাল ফিস আড়তের রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। “শুনেছি মাছটির বায়ু থলি (এয়ার ব্লাডার) অনেক দামি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব,” বলেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এক লাখ টাকার একটি মাছ এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে 'ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার'ও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশাল ‘কালো পোয়া’ মাছ। বিরল এই সামুদ্রিক মাছটি স্থানীয়ভাবে ‘দাঁতিনা’ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।
এর আগে 'এফবি ভাই ভাই' ট্রলারে গত ৩ দিন আগে গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছটি উঠে আসে।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিসে আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফয়সাল ফিস আড়তের রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। “শুনেছি মাছটির বায়ু থলি (এয়ার ব্লাডার) অনেক দামি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব,” বলেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এক লাখ টাকার একটি মাছ এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে 'ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার'ও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.