
০৪ জুন, ২০২৫ ১৬:৪৭
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গরুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে গরুর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত কৃষক ও খামারিরা। এতে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।
প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। গরুর খাবারের রুচি কমে যায়।
জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে। সে সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। গরুর চেয়ে বাছুর আক্রান্ত হলে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।
সরকারি সহায়তা ও প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিনের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস ধরে উপজেলায় লাম্পি স্কিন প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে আসা টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহানারা বেগম জানান, তার গোয়ালে অন্তত ১৮টি গরু আছে।
এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত হয়েছে। একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গত সোমবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এই গরুটির কষ্ট দেখে গত সাত দিনে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানুষ হলে হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারত। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এই খামারি।
কুয়াকাটা থেকে আসা রাকিবুল একটি বাছুর গরুর মাথায় পানি ঢালছিলেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার গরুর শরীর। ১৯টি গরুর মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে নিয়ে আসা বাছুরটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মাথায় পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে ব্যস্ত তিনি। তার গোয়ালে আক্রান্ত পশুগুলোর একেকটির ওষুধ কিনতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
নীলগঞ্জ থেকে দুটি গরু নিয়ে আসা মুসা হাওলাদার বলেন, এখানে ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবায় কোনো ঘাটতি রাখছেন না। তবে ৩০০ টাকা করে প্রতি ডোজ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। তাই সরকারিভাবে এ রোগের ওষুধ সরবরাহের দাবি করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ বিল্লাহ বলেন, দেশে গবাদিপশুর জন্য এই লাম্পি ডিজিজ একটি প্রাণঘাতী সংক্রমক ভাইরাস, যা মশা, মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের বিশ্রামের সময়ও থাকছে না। চাষিরা তাদের যত্নে লালিত পশু নিয়ে এসে অনেক সময় কান্নাও জুড়ে দেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
মারুফ বিল্লাহ বলেন, এই রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে না। তাই চাষিদের বাড়তি মূল্যে কিনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত শতকরা ১২ শতাংশ গরুর মৃত্যু হয়। যেহেতু এটি সংক্রামক জাতীয় একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাই খামারিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গরুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে গরুর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত কৃষক ও খামারিরা। এতে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।
প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। গরুর খাবারের রুচি কমে যায়।
জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে। সে সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। গরুর চেয়ে বাছুর আক্রান্ত হলে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।
সরকারি সহায়তা ও প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিনের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস ধরে উপজেলায় লাম্পি স্কিন প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে আসা টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহানারা বেগম জানান, তার গোয়ালে অন্তত ১৮টি গরু আছে।
এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত হয়েছে। একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গত সোমবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এই গরুটির কষ্ট দেখে গত সাত দিনে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানুষ হলে হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারত। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এই খামারি।
কুয়াকাটা থেকে আসা রাকিবুল একটি বাছুর গরুর মাথায় পানি ঢালছিলেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার গরুর শরীর। ১৯টি গরুর মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে নিয়ে আসা বাছুরটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মাথায় পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে ব্যস্ত তিনি। তার গোয়ালে আক্রান্ত পশুগুলোর একেকটির ওষুধ কিনতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
নীলগঞ্জ থেকে দুটি গরু নিয়ে আসা মুসা হাওলাদার বলেন, এখানে ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবায় কোনো ঘাটতি রাখছেন না। তবে ৩০০ টাকা করে প্রতি ডোজ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। তাই সরকারিভাবে এ রোগের ওষুধ সরবরাহের দাবি করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ বিল্লাহ বলেন, দেশে গবাদিপশুর জন্য এই লাম্পি ডিজিজ একটি প্রাণঘাতী সংক্রমক ভাইরাস, যা মশা, মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের বিশ্রামের সময়ও থাকছে না। চাষিরা তাদের যত্নে লালিত পশু নিয়ে এসে অনেক সময় কান্নাও জুড়ে দেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
মারুফ বিল্লাহ বলেন, এই রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে না। তাই চাষিদের বাড়তি মূল্যে কিনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত শতকরা ১২ শতাংশ গরুর মৃত্যু হয়। যেহেতু এটি সংক্রামক জাতীয় একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাই খামারিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৮
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ) আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিমের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় শহীদ পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জিহাদের ভাই জিন্নাত মোল্লা, শহীদ জসিমউদ্দীনের স্ত্রী মোসা রুমা এবং শহীদ মিলনের চাচা মোঃ কাওসার হাওলাদার।
মনোনয়ন সংগ্রহকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে আসন্ন এই নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে, সে সরকার সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করবে এবং একটি নতুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, নতুন সরকার সেই আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তারা।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ) আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিমের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় শহীদ পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জিহাদের ভাই জিন্নাত মোল্লা, শহীদ জসিমউদ্দীনের স্ত্রী মোসা রুমা এবং শহীদ মিলনের চাচা মোঃ কাওসার হাওলাদার।
মনোনয়ন সংগ্রহকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে আসন্ন এই নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে, সে সরকার সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করবে এবং একটি নতুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, নতুন সরকার সেই আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তারা।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২
বড়দিনসহ সাপ্তাহিক ছুটিকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ। সমুদ্র, বন আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমিতে ভিড় করতে শুরু করছে হাজারো মানুষ। এই বন্ধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে ৯০ শতাংশ হোটেলের আবাসিক কক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়েজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পর্যটকদের আগমন উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা, মনিটরিং টিম, সেবার মান বৃদ্ধি, পরিছন্নতা কার্যক্রমসহ পর্যটকদের বরণে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
স্বাভাবিকভাবে কুয়াকাটা থাকা আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা থাকলেও এইবার সেই পরিমাণ লাখের বেশি পৌঁছাতে পারে বলে আশা পর্যটক ব্যবসায়ীদের। তাই বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সব শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বছরের পর্যটন মৌসুমে বিশেষ করে নভেম্বর থেকে পাঁচ-ছয় মাস মুখর থাকে পর্যটকে তবে বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে ডিসেম্বরের শুরুতেই পর্যটকরা ভিড় তেমন না থকলেও শেষের দিকে আগমনটা হবে চোখে পড়ার মতো।
হোটেল সিকদার রিসোর্টের পরিচালক আল-আমিন খান বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আমাদের রিসোর্ট ভালো বুকিং রয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো রুম খালি নেই।
হোটেল গ্রান্ড প্লাসিডের পরিচালক মোহাম্মদ মারুফ হাসান জানায়, ইতিমধ্যে আমাদের হোটেলের ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। কিছু পরিমাণ ফোন আসছে আশা করি বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হয়ে যাবে। আমরা পর্যটকদের বরণের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. কলিম মাহমুদ জানায়, এই বন্ধ উপলক্ষে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটবে তাই আমরা পাঁচজনের একটি টিম নিয়ে মনিটরিং সেল গঠন করেছি, এছাড়াও নির্দিষ্ট খাদ্যের মূল্য তালিকা, পর্যাপ্ত খাবার নিশ্চিত করা, বাসি-পচা খাবার মুক্ত রাখা, পর্যটকদের হয়রানিসহ সব বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। যাতে সব পর্যটক কুয়াকাটা বেড়াতে আসে সুন্দরভাবে ফিরে যেতে পারে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, কুয়াকাটায় সর্বমোট ২০০টির বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে তার মধ্যে আগামী ২৫-২৬ তারিখের জন্য বেশিরভাগ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকের চাপ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনেক পর্যটক রাতে গন্তব্যে ফিরে যায়।
কুয়াকাটায় উৎসব, আয়োজন ও পর্যটকদের সমাগমে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
বড়দিনসহ সাপ্তাহিক ছুটিকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ। সমুদ্র, বন আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমিতে ভিড় করতে শুরু করছে হাজারো মানুষ। এই বন্ধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে ৯০ শতাংশ হোটেলের আবাসিক কক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়েজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পর্যটকদের আগমন উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা, মনিটরিং টিম, সেবার মান বৃদ্ধি, পরিছন্নতা কার্যক্রমসহ পর্যটকদের বরণে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
স্বাভাবিকভাবে কুয়াকাটা থাকা আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা থাকলেও এইবার সেই পরিমাণ লাখের বেশি পৌঁছাতে পারে বলে আশা পর্যটক ব্যবসায়ীদের। তাই বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সব শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বছরের পর্যটন মৌসুমে বিশেষ করে নভেম্বর থেকে পাঁচ-ছয় মাস মুখর থাকে পর্যটকে তবে বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে ডিসেম্বরের শুরুতেই পর্যটকরা ভিড় তেমন না থকলেও শেষের দিকে আগমনটা হবে চোখে পড়ার মতো।
হোটেল সিকদার রিসোর্টের পরিচালক আল-আমিন খান বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আমাদের রিসোর্ট ভালো বুকিং রয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো রুম খালি নেই।
হোটেল গ্রান্ড প্লাসিডের পরিচালক মোহাম্মদ মারুফ হাসান জানায়, ইতিমধ্যে আমাদের হোটেলের ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। কিছু পরিমাণ ফোন আসছে আশা করি বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হয়ে যাবে। আমরা পর্যটকদের বরণের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. কলিম মাহমুদ জানায়, এই বন্ধ উপলক্ষে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটবে তাই আমরা পাঁচজনের একটি টিম নিয়ে মনিটরিং সেল গঠন করেছি, এছাড়াও নির্দিষ্ট খাদ্যের মূল্য তালিকা, পর্যাপ্ত খাবার নিশ্চিত করা, বাসি-পচা খাবার মুক্ত রাখা, পর্যটকদের হয়রানিসহ সব বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। যাতে সব পর্যটক কুয়াকাটা বেড়াতে আসে সুন্দরভাবে ফিরে যেতে পারে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, কুয়াকাটায় সর্বমোট ২০০টির বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে তার মধ্যে আগামী ২৫-২৬ তারিখের জন্য বেশিরভাগ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকের চাপ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনেক পর্যটক রাতে গন্তব্যে ফিরে যায়।
কুয়াকাটায় উৎসব, আয়োজন ও পর্যটকদের সমাগমে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:২২
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজছাত্র সিয়াম (১৭) হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মামলার ১ নম্বর আসামি মো. রাইয়ান ও ২ নম্বর আসামি মো. রাশেদ।
বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক কমান্ডার শাহাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পরই অপরাধীরা এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায় এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল তাৎক্ষণিকভাবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তাদের পালানোর রুট এবং সম্ভাব্য সব কৌশল বিশ্লেষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল ও টাকা-পয়সার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে র্যাব কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার সুবিদখালী সরকারি কলেজের পাশে বালুর মাঠে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সিয়ামকে। সে ঢাকার রমিজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর মাদারবুনিয়ায় নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সিয়াম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে সিয়াম ও তার খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন সুবিদখালী সরকারি কলেজের উত্তর পাশে বালুর মাঠে ঘুরতে যায়। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে পরিচয় জানতে চেয়ে তর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে সিয়ামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে আঘাত করে। এতে সিয়াম গুরুতর আহত হলে হামলাকারীরাই তাকে নিজেদের মোটরসাইকেলে করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যায়। পৌনে ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা সিয়ামের খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও পিটিয়ে আহত করে। মামুন বর্তমানে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতেই মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজছাত্র সিয়াম (১৭) হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মামলার ১ নম্বর আসামি মো. রাইয়ান ও ২ নম্বর আসামি মো. রাশেদ।
বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক কমান্ডার শাহাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পরই অপরাধীরা এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায় এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল তাৎক্ষণিকভাবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তাদের পালানোর রুট এবং সম্ভাব্য সব কৌশল বিশ্লেষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল ও টাকা-পয়সার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে র্যাব কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার সুবিদখালী সরকারি কলেজের পাশে বালুর মাঠে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সিয়ামকে। সে ঢাকার রমিজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর মাদারবুনিয়ায় নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সিয়াম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে সিয়াম ও তার খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন সুবিদখালী সরকারি কলেজের উত্তর পাশে বালুর মাঠে ঘুরতে যায়। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে পরিচয় জানতে চেয়ে তর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে সিয়ামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে আঘাত করে। এতে সিয়াম গুরুতর আহত হলে হামলাকারীরাই তাকে নিজেদের মোটরসাইকেলে করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যায়। পৌনে ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা সিয়ামের খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও পিটিয়ে আহত করে। মামুন বর্তমানে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতেই মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.