
১২ জুলাই, ২০২৫ ২০:১৬
চালক না থাকায় ১২ দিন ধরে পড়ে আছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স। এতে সদর হাসপাতালের রোগীদের জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী নিয়ে বরিশালে যেতে ৪০০ টাকার জায়গায় গুনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জামাল হোসেন এবং সিভিল সার্জনের চালক আবু বকর ছিদ্দিককে ভোলায় বদলি করা হয়। তাদের বদলির পর সদর হাসপাতালে কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে হাসপাতালের জরুরি পরিবহনসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জামাল হোসেন ও আবু বকর ছিদ্দিক ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি ভোলায়। অতীতেও তারা ভোলায় বদলি হয়ে সুবিধা নিয়েছেন। এবারও ‘অটো রিলিজ’ সুবিধার আড়ালে তারা সেখানে ফিরে যান। জামাল হোসেন ২০০৪ সালে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। এরপর ভোলা সদর ও টিবি হাসপাতালে ছয় বছর এবং বরিশালের মুলাদীতে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। আবু বকর ছিদ্দিক ২০১১ সালে মনপুরায় যোগ দিয়ে তজুমদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরে প্রায় ১২ বছর কর্মরত ছিলেন।
একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি আদেশের অপপ্রয়োগ। ঢাকায় প্রভাবশালী মহলের সুপারিশে বদলির আদেশটি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।’ এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। একদিকে টাকা গুনতে হচ্ছে তিনগুণ, অন্যদিকে বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঝালকাঠি থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া ৪০০ টাকা।
এখন সেখানে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা। রানাপাশা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়েছিলাম। ডাক্তার বরিশালে স্থানান্তর করেন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ১২০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে নিতে হয়েছে।’
শেখেরহাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাবিকে ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে বরিশালে স্থানান্তর করলে এক হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে। অথচ সরকারি গাড়িতে খরচ হতো ৪০০ টাকা।’ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানান্তরে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। নবগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি সেবার নামে শুধু কাগজে সুবিধা দেখি, বাস্তবে গরিবের কপালে শুধু ভোগান্তি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র একজন চালকের মাধ্যমে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা।
রাজস্ব আয় সত্ত্বেও কোনো অতিরিক্ত চালক নিয়োগ কিংবা চালক পুল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুপারিশের মাধ্যমে বদলির আদেশটি তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চালক জামাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছিল, তিন কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান না করলে চতুর্থ দিন থেকে তা কার্যকর হবে। সে অনুযায়ী ৪ জুলাই আমি ভোলায় যোগদান করেছি।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, বদলির পরপরই বিষয়টি বিভাগীয় পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো বিকল্প চালক আসেননি।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, “বদলির চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছিল। তিনি চালকদের রিলিজ না দিতে বলেন। কিন্তু আদেশে ‘অটো রিলিজ’ শর্ত থাকায় তারা নিজেরাই ভোলায় যোগ দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অটো রিলিজ’ সাধারণত জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে প্রযোজ্য হয়। একটি সাধারণ বদলিতে এই শর্ত প্রয়োগ যৌক্তিক নয়। এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাস্তবতা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।’ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝালকাঠির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেনগুপ্ত বলেন, ‘চালক নেই, অথচ গাড়ি আছে; এ যেন কল্পকাহিনি।
এটি শুধু প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি।’ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত বিকল্প চালক দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।’ তবে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা না করে আদেশটি কেন দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
চালক না থাকায় ১২ দিন ধরে পড়ে আছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স। এতে সদর হাসপাতালের রোগীদের জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী নিয়ে বরিশালে যেতে ৪০০ টাকার জায়গায় গুনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জামাল হোসেন এবং সিভিল সার্জনের চালক আবু বকর ছিদ্দিককে ভোলায় বদলি করা হয়। তাদের বদলির পর সদর হাসপাতালে কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে হাসপাতালের জরুরি পরিবহনসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জামাল হোসেন ও আবু বকর ছিদ্দিক ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি ভোলায়। অতীতেও তারা ভোলায় বদলি হয়ে সুবিধা নিয়েছেন। এবারও ‘অটো রিলিজ’ সুবিধার আড়ালে তারা সেখানে ফিরে যান। জামাল হোসেন ২০০৪ সালে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। এরপর ভোলা সদর ও টিবি হাসপাতালে ছয় বছর এবং বরিশালের মুলাদীতে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। আবু বকর ছিদ্দিক ২০১১ সালে মনপুরায় যোগ দিয়ে তজুমদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরে প্রায় ১২ বছর কর্মরত ছিলেন।
একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি আদেশের অপপ্রয়োগ। ঢাকায় প্রভাবশালী মহলের সুপারিশে বদলির আদেশটি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।’ এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। একদিকে টাকা গুনতে হচ্ছে তিনগুণ, অন্যদিকে বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঝালকাঠি থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া ৪০০ টাকা।
এখন সেখানে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা। রানাপাশা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়েছিলাম। ডাক্তার বরিশালে স্থানান্তর করেন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ১২০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে নিতে হয়েছে।’
শেখেরহাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাবিকে ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে বরিশালে স্থানান্তর করলে এক হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে। অথচ সরকারি গাড়িতে খরচ হতো ৪০০ টাকা।’ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানান্তরে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। নবগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি সেবার নামে শুধু কাগজে সুবিধা দেখি, বাস্তবে গরিবের কপালে শুধু ভোগান্তি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র একজন চালকের মাধ্যমে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা।
রাজস্ব আয় সত্ত্বেও কোনো অতিরিক্ত চালক নিয়োগ কিংবা চালক পুল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুপারিশের মাধ্যমে বদলির আদেশটি তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চালক জামাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছিল, তিন কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান না করলে চতুর্থ দিন থেকে তা কার্যকর হবে। সে অনুযায়ী ৪ জুলাই আমি ভোলায় যোগদান করেছি।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, বদলির পরপরই বিষয়টি বিভাগীয় পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো বিকল্প চালক আসেননি।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, “বদলির চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছিল। তিনি চালকদের রিলিজ না দিতে বলেন। কিন্তু আদেশে ‘অটো রিলিজ’ শর্ত থাকায় তারা নিজেরাই ভোলায় যোগ দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অটো রিলিজ’ সাধারণত জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে প্রযোজ্য হয়। একটি সাধারণ বদলিতে এই শর্ত প্রয়োগ যৌক্তিক নয়। এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাস্তবতা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।’ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝালকাঠির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেনগুপ্ত বলেন, ‘চালক নেই, অথচ গাড়ি আছে; এ যেন কল্পকাহিনি।
এটি শুধু প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি।’ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত বিকল্প চালক দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।’ তবে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা না করে আদেশটি কেন দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪২
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৩২
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৩
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:১২

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১০
ঝালকাঠির রাজাপুরে কনকনে ঠান্ডায় ৫০০ টাকার বাজি ধরে খালে ১০০ বার ডুব দেওয়ার পর মো. বাবুল মোল্লা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়ইয়া কাচারিবাজার সংলগ্ন খালে এই ঘটনা ঘটে।
বাবুল মোল্লা বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রামের মো. আনসার আলী মোল্লার ছেলে।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, সকালবেলায় বাবুল মোল্লা এক বস্তা চাল মাথায় নিয়ে বড়ইয়া কাঁছারি বাজারে আসেন। শীতের সকালে পরিশ্রমের কারণে শরীর গরম হয়ে গেলে তিনি বাজারে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে খালে নেমে টানা ১০০ বার ডুব দেওয়ার বাজি ধরেন।
খালে ডুব দেওয়ার পর পাড়ে উঠে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনেরা তাকে উষ্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তমাল হালদার জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হাইপোথারমিয়া হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজাপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল টাইমস
ঝালকাঠির রাজাপুরে কনকনে ঠান্ডায় ৫০০ টাকার বাজি ধরে খালে ১০০ বার ডুব দেওয়ার পর মো. বাবুল মোল্লা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়ইয়া কাচারিবাজার সংলগ্ন খালে এই ঘটনা ঘটে।
বাবুল মোল্লা বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রামের মো. আনসার আলী মোল্লার ছেলে।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, সকালবেলায় বাবুল মোল্লা এক বস্তা চাল মাথায় নিয়ে বড়ইয়া কাঁছারি বাজারে আসেন। শীতের সকালে পরিশ্রমের কারণে শরীর গরম হয়ে গেলে তিনি বাজারে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে খালে নেমে টানা ১০০ বার ডুব দেওয়ার বাজি ধরেন।
খালে ডুব দেওয়ার পর পাড়ে উঠে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনেরা তাকে উষ্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তমাল হালদার জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হাইপোথারমিয়া হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজাপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল টাইমস

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৪
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ৫০০ টাকার বাজি ধরে খালে ১০০ বার ডুব দিতে গিয়ে বাবুল মোল্লা (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড়ইয়া কাছারি বাড়ি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবুল মোল্লা উপজেলার বড়ইয়া মোল্লাবাড়ি এলাকার আনসার মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, আজ সকালে বাবুল মোল্লা এক বস্তা চাল মাথায় নিয়ে বড়ইয়া কাঁছারি বাড়ি বাজারে আসেন। শীতের সকালে পরিশ্রমের কারণে শরীর গরম হয়ে গেলে তিনি বাজারে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে খালে নেমে টানা ১০০ বার ডুব দেওয়ার বাজি ধরেন। এরপর তিনি খালে নেমে একটানা ১০০ বার ডুব দেন।
ডুব দেওয়া শেষে খালের পাড়ে উঠে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনেরা তাঁকে উষ্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ৫০০ টাকার বাজি ধরে খালে ১০০ বার ডুব দিতে গিয়ে বাবুল মোল্লা (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড়ইয়া কাছারি বাড়ি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবুল মোল্লা উপজেলার বড়ইয়া মোল্লাবাড়ি এলাকার আনসার মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, আজ সকালে বাবুল মোল্লা এক বস্তা চাল মাথায় নিয়ে বড়ইয়া কাঁছারি বাড়ি বাজারে আসেন। শীতের সকালে পরিশ্রমের কারণে শরীর গরম হয়ে গেলে তিনি বাজারে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে খালে নেমে টানা ১০০ বার ডুব দেওয়ার বাজি ধরেন। এরপর তিনি খালে নেমে একটানা ১০০ বার ডুব দেন।
ডুব দেওয়া শেষে খালের পাড়ে উঠে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনেরা তাঁকে উষ্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫৯
জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনীতিতে প্রতিবাদী কণ্ঠের প্রতীক হয়ে ওঠা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির স্মরণে ঝালকাঠির নলছিটির ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাটের নতুন নামকরণ করা হবে।
নলছিটি লঞ্চঘাটের নতুন নাম রাখা হবে ‘শহীদ শরীফ ওসমান হাদি লঞ্চঘাট’।
বর্তমানে ঘাটটির সংস্কার ও রংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। সব কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ ঘাটটির উদ্বোধন করবেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মপরিচালক আব্দুল্লাহিল বাকী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের যুগ্মপরিচালক আব্দুল্লাহিল বাকী বলেন, ‘নলছিটি অঞ্চলের নৌযাত্রীদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল যাতায়াত নিশ্চিত করতে লঞ্চ ঘাটটি আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত একটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই ঘাটটির নামকরণ করা হয়েছে, যাতে এটি কেবল একটি অবকাঠামো নয়, বরং ন্যায় ও প্রতিবাদের চেতনার স্মারক হিসেবেও বিবেচিত হয়।’
গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরপর এভারকেয়ার ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নলছিটি পৌর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানান, এই নামকরণ নলছিটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এতে এলাকার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ন্যায়বোধ, প্রতিবাদ ও নাগরিক অধিকারের বিষয়ে আরও সচেতন হবে বলে তারা আশা করছেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার হাড়িখালী গ্রামের মুন্সি বাড়িতে জন্মগ্রহণকারী শহীদ শরীফ ওসমান হাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তার সক্রিয় ভূমিকা তাকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তিনি ইনকিলাব মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করে সংগঠনটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বক্তব্যে ছিলেন সোচ্চার।
তার শাহাদাতের পর জন্মভূমিতে তার নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণকে নলছিটির মানুষ দেখছেন প্রতিবাদী রাজনীতির প্রতি সম্মান ও ইতিহাসের স্মারক হিসেবে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনীতিতে প্রতিবাদী কণ্ঠের প্রতীক হয়ে ওঠা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির স্মরণে ঝালকাঠির নলছিটির ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাটের নতুন নামকরণ করা হবে।
নলছিটি লঞ্চঘাটের নতুন নাম রাখা হবে ‘শহীদ শরীফ ওসমান হাদি লঞ্চঘাট’।
বর্তমানে ঘাটটির সংস্কার ও রংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। সব কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ ঘাটটির উদ্বোধন করবেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মপরিচালক আব্দুল্লাহিল বাকী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের যুগ্মপরিচালক আব্দুল্লাহিল বাকী বলেন, ‘নলছিটি অঞ্চলের নৌযাত্রীদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল যাতায়াত নিশ্চিত করতে লঞ্চ ঘাটটি আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত একটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই ঘাটটির নামকরণ করা হয়েছে, যাতে এটি কেবল একটি অবকাঠামো নয়, বরং ন্যায় ও প্রতিবাদের চেতনার স্মারক হিসেবেও বিবেচিত হয়।’
গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরপর এভারকেয়ার ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নলছিটি পৌর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানান, এই নামকরণ নলছিটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এতে এলাকার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ন্যায়বোধ, প্রতিবাদ ও নাগরিক অধিকারের বিষয়ে আরও সচেতন হবে বলে তারা আশা করছেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার হাড়িখালী গ্রামের মুন্সি বাড়িতে জন্মগ্রহণকারী শহীদ শরীফ ওসমান হাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তার সক্রিয় ভূমিকা তাকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তিনি ইনকিলাব মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করে সংগঠনটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বক্তব্যে ছিলেন সোচ্চার।
তার শাহাদাতের পর জন্মভূমিতে তার নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণকে নলছিটির মানুষ দেখছেন প্রতিবাদী রাজনীতির প্রতি সম্মান ও ইতিহাসের স্মারক হিসেবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.