
১২ জুলাই, ২০২৫ ২০:১৬
চালক না থাকায় ১২ দিন ধরে পড়ে আছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স। এতে সদর হাসপাতালের রোগীদের জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী নিয়ে বরিশালে যেতে ৪০০ টাকার জায়গায় গুনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জামাল হোসেন এবং সিভিল সার্জনের চালক আবু বকর ছিদ্দিককে ভোলায় বদলি করা হয়। তাদের বদলির পর সদর হাসপাতালে কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে হাসপাতালের জরুরি পরিবহনসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জামাল হোসেন ও আবু বকর ছিদ্দিক ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি ভোলায়। অতীতেও তারা ভোলায় বদলি হয়ে সুবিধা নিয়েছেন। এবারও ‘অটো রিলিজ’ সুবিধার আড়ালে তারা সেখানে ফিরে যান। জামাল হোসেন ২০০৪ সালে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। এরপর ভোলা সদর ও টিবি হাসপাতালে ছয় বছর এবং বরিশালের মুলাদীতে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। আবু বকর ছিদ্দিক ২০১১ সালে মনপুরায় যোগ দিয়ে তজুমদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরে প্রায় ১২ বছর কর্মরত ছিলেন।
একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি আদেশের অপপ্রয়োগ। ঢাকায় প্রভাবশালী মহলের সুপারিশে বদলির আদেশটি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।’ এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। একদিকে টাকা গুনতে হচ্ছে তিনগুণ, অন্যদিকে বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঝালকাঠি থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া ৪০০ টাকা।
এখন সেখানে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা। রানাপাশা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়েছিলাম। ডাক্তার বরিশালে স্থানান্তর করেন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ১২০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে নিতে হয়েছে।’
শেখেরহাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাবিকে ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে বরিশালে স্থানান্তর করলে এক হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে। অথচ সরকারি গাড়িতে খরচ হতো ৪০০ টাকা।’ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানান্তরে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। নবগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি সেবার নামে শুধু কাগজে সুবিধা দেখি, বাস্তবে গরিবের কপালে শুধু ভোগান্তি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র একজন চালকের মাধ্যমে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা।
রাজস্ব আয় সত্ত্বেও কোনো অতিরিক্ত চালক নিয়োগ কিংবা চালক পুল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুপারিশের মাধ্যমে বদলির আদেশটি তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চালক জামাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছিল, তিন কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান না করলে চতুর্থ দিন থেকে তা কার্যকর হবে। সে অনুযায়ী ৪ জুলাই আমি ভোলায় যোগদান করেছি।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, বদলির পরপরই বিষয়টি বিভাগীয় পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো বিকল্প চালক আসেননি।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, “বদলির চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছিল। তিনি চালকদের রিলিজ না দিতে বলেন। কিন্তু আদেশে ‘অটো রিলিজ’ শর্ত থাকায় তারা নিজেরাই ভোলায় যোগ দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অটো রিলিজ’ সাধারণত জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে প্রযোজ্য হয়। একটি সাধারণ বদলিতে এই শর্ত প্রয়োগ যৌক্তিক নয়। এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাস্তবতা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।’ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝালকাঠির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেনগুপ্ত বলেন, ‘চালক নেই, অথচ গাড়ি আছে; এ যেন কল্পকাহিনি।
এটি শুধু প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি।’ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত বিকল্প চালক দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।’ তবে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা না করে আদেশটি কেন দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
চালক না থাকায় ১২ দিন ধরে পড়ে আছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স। এতে সদর হাসপাতালের রোগীদের জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী নিয়ে বরিশালে যেতে ৪০০ টাকার জায়গায় গুনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জামাল হোসেন এবং সিভিল সার্জনের চালক আবু বকর ছিদ্দিককে ভোলায় বদলি করা হয়। তাদের বদলির পর সদর হাসপাতালে কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে হাসপাতালের জরুরি পরিবহনসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জামাল হোসেন ও আবু বকর ছিদ্দিক ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি ভোলায়। অতীতেও তারা ভোলায় বদলি হয়ে সুবিধা নিয়েছেন। এবারও ‘অটো রিলিজ’ সুবিধার আড়ালে তারা সেখানে ফিরে যান। জামাল হোসেন ২০০৪ সালে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। এরপর ভোলা সদর ও টিবি হাসপাতালে ছয় বছর এবং বরিশালের মুলাদীতে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। আবু বকর ছিদ্দিক ২০১১ সালে মনপুরায় যোগ দিয়ে তজুমদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরে প্রায় ১২ বছর কর্মরত ছিলেন।
একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি আদেশের অপপ্রয়োগ। ঢাকায় প্রভাবশালী মহলের সুপারিশে বদলির আদেশটি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।’ এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। একদিকে টাকা গুনতে হচ্ছে তিনগুণ, অন্যদিকে বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঝালকাঠি থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া ৪০০ টাকা।
এখন সেখানে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা। রানাপাশা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়েছিলাম। ডাক্তার বরিশালে স্থানান্তর করেন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ১২০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে নিতে হয়েছে।’
শেখেরহাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাবিকে ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে বরিশালে স্থানান্তর করলে এক হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে। অথচ সরকারি গাড়িতে খরচ হতো ৪০০ টাকা।’ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানান্তরে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। নবগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি সেবার নামে শুধু কাগজে সুবিধা দেখি, বাস্তবে গরিবের কপালে শুধু ভোগান্তি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র একজন চালকের মাধ্যমে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা।
রাজস্ব আয় সত্ত্বেও কোনো অতিরিক্ত চালক নিয়োগ কিংবা চালক পুল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুপারিশের মাধ্যমে বদলির আদেশটি তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চালক জামাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছিল, তিন কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান না করলে চতুর্থ দিন থেকে তা কার্যকর হবে। সে অনুযায়ী ৪ জুলাই আমি ভোলায় যোগদান করেছি।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, বদলির পরপরই বিষয়টি বিভাগীয় পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো বিকল্প চালক আসেননি।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, “বদলির চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছিল। তিনি চালকদের রিলিজ না দিতে বলেন। কিন্তু আদেশে ‘অটো রিলিজ’ শর্ত থাকায় তারা নিজেরাই ভোলায় যোগ দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অটো রিলিজ’ সাধারণত জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে প্রযোজ্য হয়। একটি সাধারণ বদলিতে এই শর্ত প্রয়োগ যৌক্তিক নয়। এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাস্তবতা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।’ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝালকাঠির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেনগুপ্ত বলেন, ‘চালক নেই, অথচ গাড়ি আছে; এ যেন কল্পকাহিনি।
এটি শুধু প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি।’ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত বিকল্প চালক দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।’ তবে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা না করে আদেশটি কেন দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৬
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার বরিশাল বিভাগের একমাত্র নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন।
গত কয়েকদিন থেকে তিনি ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি-নলছিটি) আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন। দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটাররা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর সাথে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে ৮ নভেম্বর নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো গণসংযোগ করেছেন। ওইদিন বিকেলে তিনি স্থানীয় বাজারে মতবিনিময় সভা করেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।
গণসংযোগকালে বিএনপির প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহবান করেছেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধানের শীষের প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায়, সেই পরিবর্তনের প্রতীক হলো ধানের শীষ। নির্বাচিত হলে ঝালকাঠি-২ আসনের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গণসংযোগ ও মতবিনিমিয় সভায় বক্তব্য রাখেন-বিএনপির ঝালকাঠি জেলা শাখার সাবেক উপদেষ্টা মো. গোলাম মোস্তফা সালু, সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবিব মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল খানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
বরিশাল বিভাগের একমাত্র নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ বিএনপি প্রার্থীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার বরিশাল বিভাগের একমাত্র নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন।
গত কয়েকদিন থেকে তিনি ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি-নলছিটি) আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন। দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটাররা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর সাথে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে ৮ নভেম্বর নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো গণসংযোগ করেছেন। ওইদিন বিকেলে তিনি স্থানীয় বাজারে মতবিনিময় সভা করেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।
গণসংযোগকালে বিএনপির প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহবান করেছেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধানের শীষের প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায়, সেই পরিবর্তনের প্রতীক হলো ধানের শীষ। নির্বাচিত হলে ঝালকাঠি-২ আসনের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গণসংযোগ ও মতবিনিমিয় সভায় বক্তব্য রাখেন-বিএনপির ঝালকাঠি জেলা শাখার সাবেক উপদেষ্টা মো. গোলাম মোস্তফা সালু, সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবিব মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল খানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
বরিশাল বিভাগের একমাত্র নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ বিএনপি প্রার্থীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৫
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দুলাল শরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে পূর্ব মালিপুর গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যুবদল কর্মী আজমল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় এবছর (২০২৫ সালে) একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আজমল হোসেন। এ মামলায় দুলাল শরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশালটাইমসকে জানান, গ্রেপ্তার আসামি দুলাল শরিফকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দুলাল শরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে পূর্ব মালিপুর গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যুবদল কর্মী আজমল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় এবছর (২০২৫ সালে) একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আজমল হোসেন। এ মামলায় দুলাল শরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশালটাইমসকে জানান, গ্রেপ্তার আসামি দুলাল শরিফকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৬
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি -২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনে বিএনপির
এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত জুলফিকার আলী ভুট্টোর স্ত্রী ও ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নাম ঘোষণা করেন।
ঝালকাঠি -২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জিবা আমিনা আল গাজী।
দীর্ঘদিন ধরে তারা এই আসনটিতে গণসংযোগ করে আসছেন। এদিকে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর -কাঁঠালিয়া) আসনের এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন নি দলটি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি -২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনে বিএনপির
এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত জুলফিকার আলী ভুট্টোর স্ত্রী ও ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নাম ঘোষণা করেন।
ঝালকাঠি -২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জিবা আমিনা আল গাজী।
দীর্ঘদিন ধরে তারা এই আসনটিতে গণসংযোগ করে আসছেন। এদিকে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর -কাঁঠালিয়া) আসনের এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন নি দলটি।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.