১২ জুলাই, ২০২৫ ২০:১৬
চালক না থাকায় ১২ দিন ধরে পড়ে আছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স। এতে সদর হাসপাতালের রোগীদের জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী নিয়ে বরিশালে যেতে ৪০০ টাকার জায়গায় গুনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জামাল হোসেন এবং সিভিল সার্জনের চালক আবু বকর ছিদ্দিককে ভোলায় বদলি করা হয়। তাদের বদলির পর সদর হাসপাতালে কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে হাসপাতালের জরুরি পরিবহনসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জামাল হোসেন ও আবু বকর ছিদ্দিক ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি ভোলায়। অতীতেও তারা ভোলায় বদলি হয়ে সুবিধা নিয়েছেন। এবারও ‘অটো রিলিজ’ সুবিধার আড়ালে তারা সেখানে ফিরে যান। জামাল হোসেন ২০০৪ সালে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। এরপর ভোলা সদর ও টিবি হাসপাতালে ছয় বছর এবং বরিশালের মুলাদীতে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। আবু বকর ছিদ্দিক ২০১১ সালে মনপুরায় যোগ দিয়ে তজুমদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরে প্রায় ১২ বছর কর্মরত ছিলেন।
একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি আদেশের অপপ্রয়োগ। ঢাকায় প্রভাবশালী মহলের সুপারিশে বদলির আদেশটি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।’ এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। একদিকে টাকা গুনতে হচ্ছে তিনগুণ, অন্যদিকে বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঝালকাঠি থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া ৪০০ টাকা।
এখন সেখানে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা। রানাপাশা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়েছিলাম। ডাক্তার বরিশালে স্থানান্তর করেন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ১২০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে নিতে হয়েছে।’
শেখেরহাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাবিকে ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে বরিশালে স্থানান্তর করলে এক হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে। অথচ সরকারি গাড়িতে খরচ হতো ৪০০ টাকা।’ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানান্তরে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। নবগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি সেবার নামে শুধু কাগজে সুবিধা দেখি, বাস্তবে গরিবের কপালে শুধু ভোগান্তি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র একজন চালকের মাধ্যমে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা।
রাজস্ব আয় সত্ত্বেও কোনো অতিরিক্ত চালক নিয়োগ কিংবা চালক পুল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুপারিশের মাধ্যমে বদলির আদেশটি তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চালক জামাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছিল, তিন কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান না করলে চতুর্থ দিন থেকে তা কার্যকর হবে। সে অনুযায়ী ৪ জুলাই আমি ভোলায় যোগদান করেছি।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, বদলির পরপরই বিষয়টি বিভাগীয় পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো বিকল্প চালক আসেননি।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, “বদলির চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছিল। তিনি চালকদের রিলিজ না দিতে বলেন। কিন্তু আদেশে ‘অটো রিলিজ’ শর্ত থাকায় তারা নিজেরাই ভোলায় যোগ দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অটো রিলিজ’ সাধারণত জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে প্রযোজ্য হয়। একটি সাধারণ বদলিতে এই শর্ত প্রয়োগ যৌক্তিক নয়। এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাস্তবতা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।’ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝালকাঠির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেনগুপ্ত বলেন, ‘চালক নেই, অথচ গাড়ি আছে; এ যেন কল্পকাহিনি।
এটি শুধু প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি।’ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত বিকল্প চালক দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।’ তবে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা না করে আদেশটি কেন দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
চালক না থাকায় ১২ দিন ধরে পড়ে আছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স। এতে সদর হাসপাতালের রোগীদের জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী নিয়ে বরিশালে যেতে ৪০০ টাকার জায়গায় গুনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জামাল হোসেন এবং সিভিল সার্জনের চালক আবু বকর ছিদ্দিককে ভোলায় বদলি করা হয়। তাদের বদলির পর সদর হাসপাতালে কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে হাসপাতালের জরুরি পরিবহনসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জামাল হোসেন ও আবু বকর ছিদ্দিক ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি ভোলায়। অতীতেও তারা ভোলায় বদলি হয়ে সুবিধা নিয়েছেন। এবারও ‘অটো রিলিজ’ সুবিধার আড়ালে তারা সেখানে ফিরে যান। জামাল হোসেন ২০০৪ সালে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। এরপর ভোলা সদর ও টিবি হাসপাতালে ছয় বছর এবং বরিশালের মুলাদীতে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। আবু বকর ছিদ্দিক ২০১১ সালে মনপুরায় যোগ দিয়ে তজুমদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরে প্রায় ১২ বছর কর্মরত ছিলেন।
একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রশাসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি আদেশের অপপ্রয়োগ। ঢাকায় প্রভাবশালী মহলের সুপারিশে বদলির আদেশটি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।’ এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। একদিকে টাকা গুনতে হচ্ছে তিনগুণ, অন্যদিকে বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঝালকাঠি থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া ৪০০ টাকা।
এখন সেখানে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা। রানাপাশা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়েছিলাম। ডাক্তার বরিশালে স্থানান্তর করেন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ১২০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে নিতে হয়েছে।’
শেখেরহাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাবিকে ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে বরিশালে স্থানান্তর করলে এক হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে। অথচ সরকারি গাড়িতে খরচ হতো ৪০০ টাকা।’ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানান্তরে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। নবগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি সেবার নামে শুধু কাগজে সুবিধা দেখি, বাস্তবে গরিবের কপালে শুধু ভোগান্তি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র একজন চালকের মাধ্যমে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা।
রাজস্ব আয় সত্ত্বেও কোনো অতিরিক্ত চালক নিয়োগ কিংবা চালক পুল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুপারিশের মাধ্যমে বদলির আদেশটি তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চালক জামাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছিল, তিন কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান না করলে চতুর্থ দিন থেকে তা কার্যকর হবে। সে অনুযায়ী ৪ জুলাই আমি ভোলায় যোগদান করেছি।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, বদলির পরপরই বিষয়টি বিভাগীয় পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো বিকল্প চালক আসেননি।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, “বদলির চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছিল। তিনি চালকদের রিলিজ না দিতে বলেন। কিন্তু আদেশে ‘অটো রিলিজ’ শর্ত থাকায় তারা নিজেরাই ভোলায় যোগ দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অটো রিলিজ’ সাধারণত জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে প্রযোজ্য হয়। একটি সাধারণ বদলিতে এই শর্ত প্রয়োগ যৌক্তিক নয়। এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাস্তবতা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।’ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝালকাঠির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেনগুপ্ত বলেন, ‘চালক নেই, অথচ গাড়ি আছে; এ যেন কল্পকাহিনি।
এটি শুধু প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি।’ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত বিকল্প চালক দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।’ তবে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা না করে আদেশটি কেন দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৫
ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।
সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।
ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।
সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৪
এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।
অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।
নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।
আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।
এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।
অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।
নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।
আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:২০
ঝালকাঠির নলছিটিতে গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সিএনজি চালককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলা
প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর দোয়ারীর মেয়ে জান্নাতি আক্তার এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জান্নাতি আক্তার বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর এলাকার ফিরোজ হাওলাদার ওরফে ফিরোজ ড্রাইভারের চারটি গরু চুরি হয়। প্রতিদিনের মতো গাড়ি চালিয়ে ওইদিন রাতেও আমার বাবা বাড়িতে ফিরেন। রাতের খাবার খেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন। তখন একজন মানুষের মতো দেখতে পান পরে আমার মাকে লাইট নিয়ে আসতে বলে পরে আর কাউকে দেখতে পাননি। পরেরদিন সকালে শুনতে পান পাশের বাসায় ফিরোজ হাওলাদারের চারটি গরু চুরি হয়ে গেছে। তখন গিয়ে এসব খুলে বললে তাদের সন্দেহ হন আমার বাবা গরু চুরির সাথে জড়িত । পরে তারা থানায় মামলা করলে পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পরিবারের চারজন সদস্য তার আয়ের আমাদের সংসার চলে। এখন আয় বন্ধ থাকায় আমাদের না খেয়ে দিন কাটছে। সঠিক তদন্ত করে আমার বাবাকে মুক্তি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ফিরোজ হাওলাদার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। এরজন্য তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, গরু চুরির একটি মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।'
ঝালকাঠির নলছিটিতে গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সিএনজি চালককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলা
প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর দোয়ারীর মেয়ে জান্নাতি আক্তার এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জান্নাতি আক্তার বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর এলাকার ফিরোজ হাওলাদার ওরফে ফিরোজ ড্রাইভারের চারটি গরু চুরি হয়। প্রতিদিনের মতো গাড়ি চালিয়ে ওইদিন রাতেও আমার বাবা বাড়িতে ফিরেন। রাতের খাবার খেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন। তখন একজন মানুষের মতো দেখতে পান পরে আমার মাকে লাইট নিয়ে আসতে বলে পরে আর কাউকে দেখতে পাননি। পরেরদিন সকালে শুনতে পান পাশের বাসায় ফিরোজ হাওলাদারের চারটি গরু চুরি হয়ে গেছে। তখন গিয়ে এসব খুলে বললে তাদের সন্দেহ হন আমার বাবা গরু চুরির সাথে জড়িত । পরে তারা থানায় মামলা করলে পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পরিবারের চারজন সদস্য তার আয়ের আমাদের সংসার চলে। এখন আয় বন্ধ থাকায় আমাদের না খেয়ে দিন কাটছে। সঠিক তদন্ত করে আমার বাবাকে মুক্তি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ফিরোজ হাওলাদার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। এরজন্য তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, গরু চুরির একটি মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।'
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.