https://joinnavy.navy.mil.bd/

বরিশাল

ফের বেপরোয়া উজিরপুরের মাদক বিক্রেতা রিপন

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফের বেপরোয়া উজিরপুরের মাদক বিক্রেতা রিপন

বরিশালের উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা রিপন মোল্লা (৪০) ওরফে চোরা রিপন। সে ওই ইউপির বাহেরঘাট গ্রামের জোড়া ব্রীজ সংলগ্ন মোল্লাবাড়ির মৃত. মালেক মোল্লার ছেলে।

উজিরপুরসহ আশপাশের থানাগুলোতে তার বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন অনেকবার। জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানে চলতি বছরের ২২ এপ্রিল র‌্যাবের গুলিতে নিহত হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী রিপনের ছেলে কলেজছাত্র সিয়াম মোল্লা (১৭)। নিহত সিয়াম কোনো মাদকের সাথে জড়িত ছিলো না।

কিন্তু তার মাদক ব্যবসায়ী বাবা রিপনের কারণে নিহতের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিশোর সিয়ামকে মাদক ব্যবসায়ী তকমা লাগিয়েছিলো। তবে এলাকাবাসী তার প্রতিবাদ জানিয়ে সিয়াম নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনও করেছিলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রিপন অনেক বছর ধরে এলাকায় গাঁজা, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে। স্থানীয় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় এই ব্যবসা করে আসছিলো।

চলতি বছরের এপ্রিলে রিপনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সিয়াম মোল্লা র‌্যাবের গুলিতে নিহত হওয়ার পরে কিছুদিন রিপনের মাদক ব্যবসা বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি আগের চেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক বিক্রেতা রিপন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিপন প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এর আগে এলাকায় বেশ কয়েকবার চুরি করে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েছিলো। যার কারণে নিজ এলাকায় চোরা রিপন নামে বেশি পরিচিত মাদক বিক্রেতা রিপন মোল্লা।

উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পুলিশ রিপনকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নটি পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী। আর রিপনের বসতবাড়ি দুই উপজেলার সীমান্ত বাহেরঘাট গ্রামের জোড়া ব্রীজ সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদক বিক্রেতা রিপন দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোকে মাদকের অভয়ারন্য বানিয়ে ফেলেছে। এসব এলাকার বয়স্ক থেকে শুরু করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

মাদক কারবারি রিপনের কয়েকজন প্রতিবেশি জানিয়েছেন, রিপন অনেক আগে থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন। এছাড়া স্ত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো, যার কারণে দুটি সন্তানসহ স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছিলো।

রিপনের সাবেক স্ত্রীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, রিপন পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত ছিলো। নিজ গ্রামের এক নারীর সাথে রিপন দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিলো। আর সেই পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় অনেকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রিপনের অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুটি সন্তান নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদে বাধ্য হই।

রিপনের মাদক ব্যবসার বিষয়ে তিনি বলেন, মাদকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে অনেকদিন জেল খেটেছেন রিপন। তিনি মানুষের মুখে রিপনের মাদক বিক্রির কথা শুনেছেন, তবে তিনি কখনও দেখেননি।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে থানার উপ-পরিদর্শক জ্যোতিন্ময় জানান, মাদক কারবারি রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে মোট কয়টি মামলা রয়েছে এবং কোন মামলায় আদালতের ওয়ারেন্ট রয়েছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন:

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১০ নভেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে বরিশাল নগরীতে মিছিল করার জন্য কালীবাড়িতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

রোববার দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর (৩৫) বাকেরগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের পনু মিয়ার ছেলে। সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদল নেতা আশিক মাহমুদ বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে নগরীতে মিছিল করার জন্য ৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরীর কালীবাড়ি রোডে আসে বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর।

পরবর্তীতে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসার সামনে থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।’

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বরিশালে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে ছাত্রদল। পরে পুলিশ তাকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।

শনিবার রাতে নগরীর কালীবাড়ি রোড থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে দেওয়া হয় বলে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান।

গ্রেপ্তার বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর (৩৫) বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের পনু মিয়ার ছেলে।

সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের নেতা আশিক মাহমুদ বলেন, “লকডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে নগরীতে মিছিল করার জন্য কালীবাড়ি রোডে আসেন বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসার সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।”

ওসি মিজানুর বলেন, রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পবিপ্রবির এক কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড় মারার দায়ে দুই কর্মকর্তার পদাবনতি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পবিপ্রবির এক কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড় মারার দায়ে দুই কর্মকর্তার পদাবনতি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) এক কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগে দু’কর্মকর্তাকে পদাবনতি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জারি করা পৃথক অফিস আদেশে বলা হয়, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মো: লোকমান হোসেন (মিঠু) এবং পরিবহন শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মাহমুদ-আল-জামানকে নিজ নিজ বিভাগে সেকশন অফিসার পদে পদাবনতি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার মাহমুদ আল জামান রেজিস্ট্রার শাখার সেকশন অফিসার সাকিন রহমানের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা-বিধিমালা অনুযায়ী কার্যকর করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের দোষী সাব্যস্ত করে নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পদাবনতির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.