https://joinnavy.navy.mil.bd/

বরিশাল

হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বরিশালের মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতারা

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ০২:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বরিশালের মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতারা

নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা

ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশালের ৬ টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের মধ্যেকার বিভাজনের রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এবং তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই বিভাজন শেষ পর্যন্ত এত প্রকট হয় যে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। উপায়ান্ত না পেয়ে বরিশাল বিএনপির এই বিভক্তি নিয়ে দলটির হাইকমান্ড সপ্তাহখানেক পূর্বে শালিস করে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেয়। এমন লেজেগোবরে অবস্থার মধ্যে সোমবার বরিশালের ৫টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছিল, একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়বেন এবং নির্বাচনের আগে বরিশাল বিএনপিতে অসন্তোস আরও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতারা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধীতাতো দূরের কথা, নির্বাচন ইস্যুতে কিঞ্চিত শব্দও করেননি। বরং দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল কিভাবে ঘরে তোলা যায় সেই লক্ষে তোড়জোড় চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত সোমবার রাতে বরিশাল ৩ আসন উহ্য রেখে বাকি ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৪ মো. রাজিব আহসান, বরিশাল-৫ মো. মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, বরিশাল জেলার ৬টি আসন থেকেই একাধিক বিএনপি নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এবং স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। এনিয়ে কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

উদাহরণস্বরূপ বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এবং বরিশাল-৫ (বরিশাল মহানগর ও সদর) আসনকে চিহ্নিত করা যায়। বরিশাল-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পেয়েছেন সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সান্টুর ওপর থেকে হাইকমান্ডের নজর সরাতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ কৌশল নিয়েছিলেন।

কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরিশাল-২ আসনে সেই সান্টুকে মনোনয়ন দেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এরপরেই পাল্টে যায় উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির রাজনীতির মেরুকরণ। মনোনয়ন বঞ্চিতদের পাশাপাশি তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও এই আসনে সান্টুর ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জোরালো ঘোষণা দিয়েছেন।

বরিশাল ৫ সদর আসনে পাঁচবারের এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার ধানের শীষে নির্বাচন করার অধিকার পেয়েছেন। মর্যাদার আসন হিসেবে বিবেচিত এখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রভাবশালী অন্তত হাফডজন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যেকার কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে গিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের শোকজ খেয়েছিলেন।

বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এতটাই ধারণ করেছিল যে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন পিতৃতুল্য মজিবর রহমান সরোয়ারকে নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে একাধিকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এনিয়ে বরিশাল বিএনপির রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী হতে থাকলে বিষয়টি হাইকমান্ডের নজরে আসে। এবং একদিনের নোটিসে তাদের সকলকে রাজধানী ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে ডেকে নিতে বাধ্য হন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় বরিশালের একটি আসন বাদে বাকি ৫টিতে প্রার্থীতা ঘোষণা দেওয়ার পরে সকলেই সেই পূর্ব বিরোধ ভুলে গেছেন। এবং আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে কি ভাবে বিজয়ী করে তাদের নেতা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালি করা যায় সে পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে প্রার্থিতা ঘোষণার পরে বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবং বরিশালের ৫টি আসনে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে, তাদের সাথে স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যোগাযোগও বাড়িয়েছেন।

বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জানান, তার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ড মজিবর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, এই সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘরে তুলতে শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমত উল্লাহও অনুরূপ অভিব্যক্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং ধানের শীষ প্রশ্নে নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ।

বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীন জানান, তিনিও বরিশাল ৫ সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল তাকে বঞ্চিত করেছে। এনিয়ে তার কোনো রাগ বা অনুরাগ নেই। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভাজিত বরিশাল বিএনপি যে ঐক্যবদ্ধ এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের এমন আচরণে বিএনপির হাইকমান্ডও খুশি বলে মন্তব্য পাওয়া গেছে।

তবে পূর্বের এই বিভাজন নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করতে চাইছেন না বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। বর্ষীয়াণ এই রাজনৈতিক জানান, নেতা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিয়েছেন। এবং মনোনয়ন বঞ্চিতরাও সোমবার সন্ধ্যার পরে তার সাথে বিভিন্ন মাধ্যম যোগাযোগ করেছেন। নির্বাচনে ধানের শীষকে কি ভাবে বিজয়ী করা যায়, সকলে সেই লক্ষে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আছেন।’

আরও পড়ুন:

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১০ নভেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে বরিশাল নগরীতে মিছিল করার জন্য কালীবাড়িতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

রোববার দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর (৩৫) বাকেরগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের পনু মিয়ার ছেলে। সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদল নেতা আশিক মাহমুদ বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে নগরীতে মিছিল করার জন্য ৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরীর কালীবাড়ি রোডে আসে বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর।

পরবর্তীতে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসার সামনে থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।’

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বরিশালে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে ছাত্রদল। পরে পুলিশ তাকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।

শনিবার রাতে নগরীর কালীবাড়ি রোড থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে দেওয়া হয় বলে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান।

গ্রেপ্তার বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর (৩৫) বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের পনু মিয়ার ছেলে।

সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের নেতা আশিক মাহমুদ বলেন, “লকডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে নগরীতে মিছিল করার জন্য কালীবাড়ি রোডে আসেন বাহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসার সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।”

ওসি মিজানুর বলেন, রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পবিপ্রবির এক কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড় মারার দায়ে দুই কর্মকর্তার পদাবনতি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পবিপ্রবির এক কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড় মারার দায়ে দুই কর্মকর্তার পদাবনতি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) এক কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগে দু’কর্মকর্তাকে পদাবনতি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জারি করা পৃথক অফিস আদেশে বলা হয়, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মো: লোকমান হোসেন (মিঠু) এবং পরিবহন শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মাহমুদ-আল-জামানকে নিজ নিজ বিভাগে সেকশন অফিসার পদে পদাবনতি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার মাহমুদ আল জামান রেজিস্ট্রার শাখার সেকশন অফিসার সাকিন রহমানের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা-বিধিমালা অনুযায়ী কার্যকর করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের দোষী সাব্যস্ত করে নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পদাবনতির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.