
২১ জুলাই, ২০২৫ ২০:৫১
বরিশালের হিজলা উপজেলার তৎকালীন কুচাই পট্টি ইউনিয়নের এক ভূমি খেকো চক্রের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগী কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২ টায় হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে, হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর বলেন, হিজলা উপজেলার তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের চরবিশকাঠালী মৌজার যাহার সিট নং ৪,জে এল নং ১৯ বর্তমানে যাহার অবস্থান তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নে বর্তমান শরিয়তপুরের কুচাইপট্টি ইউনিয়নে। এই জমিটি ১৯৯১-১৯৯৩ সালে বিভিন্ন অসহায় শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে তৎকালীন বরিশাল জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত ব্যবস্থা করে দেন। সে সময় থেকে আমরা সরকারের সেলামি ও খাজনা প্রদান করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে কুচাইপট্টি ইউনিয়নের কিছু ভাসমান ভূমিদস্যু জোর জবরদস্তি ভোগদখল করে আসছে।
কৃষকদের দাবি, তারা ২০০৮ সাল আগ পর্যন্ত ওই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা তাদের জমি দখল করে নেয়।
বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ক্ষমতা প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে মোঃ আবুল হাশেম বেপারীর ছেলে,কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ভূমিদস্যু খোকন (খোকা)বেপারী, যিনি কচাইপট্টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, শরিয়তপুর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন স্বপন'র ভাই।
এই ভূমিদস্যু তার ভাইয়ের ক্ষমতায় আওয়ামী আমলে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত আমাদের প্রায় ৬০০ একর মত জমি ভোগ দখল করেছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ২৪ এর জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা এর কারনে আমরা ভুক্তভোগী কৃষকরা আমাদের স্বীয় জমি ভোগ দখল করতে পারছি না। জমি থেকে প্রায় রাতেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এই প্রভাবশালীরা।
হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া গ্রামের আবুল হাসেম দাবি করেন, “পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, কিন্তু ১৭ বছরেও কোন সমাধান পাইনি।”
তার মতে, খোকা বেপারী সাথে কথাবার্তার সময়, রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরেক ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জমির কাছে যেতে পারিনি। জমির কাছে গেলে আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে।"
বর্তমানে খোকা বেপারী জমির কিছু অংশ ছাড়তে চাইলেও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা সেই জমি নিজের কব্জায় নিতে চাইছেন।"
ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাজাহান সরদার, নান্নু খান, সেকান্দার সরদার, রাহেলা বেগম, মন্নান খান সহ অন্যান্যরা।ভুক্তভোগী কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বরিশালের হিজলা উপজেলার তৎকালীন কুচাই পট্টি ইউনিয়নের এক ভূমি খেকো চক্রের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগী কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২ টায় হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে, হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর বলেন, হিজলা উপজেলার তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের চরবিশকাঠালী মৌজার যাহার সিট নং ৪,জে এল নং ১৯ বর্তমানে যাহার অবস্থান তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নে বর্তমান শরিয়তপুরের কুচাইপট্টি ইউনিয়নে। এই জমিটি ১৯৯১-১৯৯৩ সালে বিভিন্ন অসহায় শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে তৎকালীন বরিশাল জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত ব্যবস্থা করে দেন। সে সময় থেকে আমরা সরকারের সেলামি ও খাজনা প্রদান করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে কুচাইপট্টি ইউনিয়নের কিছু ভাসমান ভূমিদস্যু জোর জবরদস্তি ভোগদখল করে আসছে।
কৃষকদের দাবি, তারা ২০০৮ সাল আগ পর্যন্ত ওই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা তাদের জমি দখল করে নেয়।
বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ক্ষমতা প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে মোঃ আবুল হাশেম বেপারীর ছেলে,কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ভূমিদস্যু খোকন (খোকা)বেপারী, যিনি কচাইপট্টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, শরিয়তপুর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন স্বপন'র ভাই।
এই ভূমিদস্যু তার ভাইয়ের ক্ষমতায় আওয়ামী আমলে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত আমাদের প্রায় ৬০০ একর মত জমি ভোগ দখল করেছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ২৪ এর জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা এর কারনে আমরা ভুক্তভোগী কৃষকরা আমাদের স্বীয় জমি ভোগ দখল করতে পারছি না। জমি থেকে প্রায় রাতেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এই প্রভাবশালীরা।
হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া গ্রামের আবুল হাসেম দাবি করেন, “পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, কিন্তু ১৭ বছরেও কোন সমাধান পাইনি।”
তার মতে, খোকা বেপারী সাথে কথাবার্তার সময়, রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরেক ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জমির কাছে যেতে পারিনি। জমির কাছে গেলে আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে।"
বর্তমানে খোকা বেপারী জমির কিছু অংশ ছাড়তে চাইলেও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা সেই জমি নিজের কব্জায় নিতে চাইছেন।"
ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাজাহান সরদার, নান্নু খান, সেকান্দার সরদার, রাহেলা বেগম, মন্নান খান সহ অন্যান্যরা।ভুক্তভোগী কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
বরিশালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের সন্তানদের বিভাগীয় ৩২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে আজ শনিবার সকাল ১০ টায় বেলস্ পার্কে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের সন্তানদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী, সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ বরিশাল খোন্দকার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আহসান হাবিব, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. সোহরাব হোসেন, জেলা প্রশাসক বরিশাল মো. খায়রুল আলম সুমনসহ বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলা থেকে আসা অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের সন্তানরা।
শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। পরে প্রধান অতিথি বেলুন, ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অতিথিরা বিভাগীয় পর্যায়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন। এ সময় ক্রীড়াবিদদের প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপস্থিত অতিথিরা।
বরিশালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের সন্তানদের বিভাগীয় ৩২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে আজ শনিবার সকাল ১০ টায় বেলস্ পার্কে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের সন্তানদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী, সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ বরিশাল খোন্দকার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আহসান হাবিব, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. সোহরাব হোসেন, জেলা প্রশাসক বরিশাল মো. খায়রুল আলম সুমনসহ বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলা থেকে আসা অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের সন্তানরা।
শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। পরে প্রধান অতিথি বেলুন, ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অতিথিরা বিভাগীয় পর্যায়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন। এ সময় ক্রীড়াবিদদের প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপস্থিত অতিথিরা।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩১
ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসের কারণে তীব্র শীতে কাবু বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। তাই শীতের তীব্রতার থেকে বাঁচতে বরিশালে ফুটপাতে বসা শীতের পোশাকের দোকানের কদর বেড়েছে অনেকটা। সব শ্রেনীর মানুষ ভীড় করছেন সিটি কর্পোরেশনের সামনে জেলা পরিষদের পুকুর পাড় ঘিরে বসা অস্থায়ী শীতের পোষাক বিক্রির দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা হয়েছে।
এদিকে, এই হাড় কাঁপানো শীত যেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, শিশু ও বয়স্ক মানুষও পড়েছেন বিপাকে। হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা তাদের। শীত থেকে বাঁচতে অনেকেই খোলা জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বা পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরিধান করে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন।
তবে প্রচণ্ড শীতের কাছে এসব উদ্যোগ অনেক ক্ষেত্রেই অকার্যকর হয়ে পড়ছে, ফলে দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তাই শীতের তীব্রতার থেকে একটু দূরে থাকার জন্য বরিশালে ফুটপাতে বসা শীতের পোশাকের কদর বেড়েছে অনেকটা।
শনিবার সরজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীত থেকে কিছুটা বাঁচার জন্য শীতের পোশাক কিনতে সব শ্রেনীর মানুষ ভীড় করছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সামনে জেলা পরিষদের পুকুর পাড় ঘিরে বসা অস্থায়ী শীতের পোষাক বিক্রির দোকান গুলোতে। বিশেষ করে বরিশালের ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের সামনে অস্থানীয় দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভীড় ক্রেতাদের।
পোষাক বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও কমদামে দেশি বিদেশী পুরানো পোষাক বিক্রি করছেন তারা। ৫০ টাকা থেকে ২শ’ টাকার মধ্যে কাপড় কিনতে পারেন ক্রেতারা। তাই এই মাকের্টে ক্রেতাদের ভীড় থাকে। বেচাকেনা আগের চেয়ে একটু ভালো রয়েছে এবছর।
দেখা গেছে, ঘর-বাড়ি না থাকা মানুষগুলো লঞ্চঘাট অথবা বাসর্টামিনালের রাত যাপন করছেন। শুধু তাই নয় তাদের মত অনেকেই শীতবস্ত্রের অভাবে খোলা আকাশের নিচে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এ বছর কোন সংগঠন শীতবস্ত্র নিয়েও তাদের কাছে এখনও হাজির হতে দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিভাগের প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে এবং জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিকে শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপ বেড়েছে। যারা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এ অবস্থায় প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসের কারণে তীব্র শীতে কাবু বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। তাই শীতের তীব্রতার থেকে বাঁচতে বরিশালে ফুটপাতে বসা শীতের পোশাকের দোকানের কদর বেড়েছে অনেকটা। সব শ্রেনীর মানুষ ভীড় করছেন সিটি কর্পোরেশনের সামনে জেলা পরিষদের পুকুর পাড় ঘিরে বসা অস্থায়ী শীতের পোষাক বিক্রির দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা হয়েছে।
এদিকে, এই হাড় কাঁপানো শীত যেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, শিশু ও বয়স্ক মানুষও পড়েছেন বিপাকে। হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা তাদের। শীত থেকে বাঁচতে অনেকেই খোলা জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বা পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরিধান করে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন।
তবে প্রচণ্ড শীতের কাছে এসব উদ্যোগ অনেক ক্ষেত্রেই অকার্যকর হয়ে পড়ছে, ফলে দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তাই শীতের তীব্রতার থেকে একটু দূরে থাকার জন্য বরিশালে ফুটপাতে বসা শীতের পোশাকের কদর বেড়েছে অনেকটা।
শনিবার সরজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীত থেকে কিছুটা বাঁচার জন্য শীতের পোশাক কিনতে সব শ্রেনীর মানুষ ভীড় করছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সামনে জেলা পরিষদের পুকুর পাড় ঘিরে বসা অস্থায়ী শীতের পোষাক বিক্রির দোকান গুলোতে। বিশেষ করে বরিশালের ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের সামনে অস্থানীয় দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভীড় ক্রেতাদের।
পোষাক বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও কমদামে দেশি বিদেশী পুরানো পোষাক বিক্রি করছেন তারা। ৫০ টাকা থেকে ২শ’ টাকার মধ্যে কাপড় কিনতে পারেন ক্রেতারা। তাই এই মাকের্টে ক্রেতাদের ভীড় থাকে। বেচাকেনা আগের চেয়ে একটু ভালো রয়েছে এবছর।
দেখা গেছে, ঘর-বাড়ি না থাকা মানুষগুলো লঞ্চঘাট অথবা বাসর্টামিনালের রাত যাপন করছেন। শুধু তাই নয় তাদের মত অনেকেই শীতবস্ত্রের অভাবে খোলা আকাশের নিচে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এ বছর কোন সংগঠন শীতবস্ত্র নিয়েও তাদের কাছে এখনও হাজির হতে দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিভাগের প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে এবং জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিকে শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপ বেড়েছে। যারা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এ অবস্থায় প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩২
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বরিশালে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মূল প্রতিপক্ষ ৮ দলীয় জোটের দুই শরিকের মধ্যে আসন সমঝোতা না হবার মধ্যে উভয় দলই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে প্রচার প্রচারণা জোরদার করছে। এ জোটের মধ্যে এখনো বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী নিয়েই প্রকাশ্যে ও পর্দার অন্তরালে টানাপোড়েন চলছে। উভয় দলই প্রার্থী ঘোষণার পরে শক্ত প্রচারণায়ও রয়েছেন গত কয়েকমাস ধরে। এমনকি ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াত ইসলামী, উভয়ই বরিশাল সদর আসনে তাদের দাবী অগ্রগণ্য বলে প্রকাশ্যে নানা যুক্তিও উপস্থাপন করে চলেছেন। গত সপ্তাহেই বরিশাল প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ও দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করিম ‘বরিশাল সদর আসনটি অন্য কারো দাবী করা উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে জামায়াত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল এ প্রসঙ্গে সরাসরি কোন মন্তব্য না করে ‘জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী নির্ধারণ হবে’ বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী ইতোপূর্বে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি সংসদীয় আসনেই প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রচারণার মাঠেও জোটের এ মূল দুই শরিকই সরগরম প্রচারণায় রয়েছেন। এরইমধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ৮ দলীয় জোটের বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াতের আমীর উপস্থিত না হলেও বিশাল ঐ সমাবেশে দুটি দলের কর্মীরাই হাতপাখা ও দাড়িপাল্লার প্রতীক নিয়ে মহানগরীতে সমর্থনের পাল্লার জানান দিয়েছেন। তবে আমীরের বরিশাল সমাবেশে যোগ না দেয়ার বিষয়টি ‘সদর আসনে ইসলামী আন্দোলনকে ছাড় দেয়ার পূর্বাভাস’ বলে কেউ কেউ মন্তব্য করলেও দলের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বিষয়টি নাকচ করে বরিশাল সদর আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা সহ এ আসনে তাদেরই নির্বাচন করার অনেক যুক্তিও তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেই এনসিপি’র সাথে জামায়াতে ইসলামীর নতুন করে আলোচনার বিষয়টিও ৮ দলীয় জোট শরিকদের মাঝে নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। জোটের কোন কোন শরিকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনে জোটের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ের মধ্যে নতুন করে শরিক বৃদ্ধি করায় অনেক কিছুই এলোমেলো হতে চলেছে। এনসিপি কতটি আসন চাইবে এবং তাদের কতটি আসন দেয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত না হলেও দলটি ৮ দলীয় জোটভুক্ত হলে, তাদের আসন ছেড়ে দিতে গিয়ে এতদিনের সব হিসেব নতুন করে করতে হবে বলে মনে করছেন একাধিক শরিক দল নেতবৃন্দ।
তবে এসব কিছুর মধ্যে ৮ দলীয় জোটের মূল শরিক ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি রেজাউল করিম, পীর ছাহেব চরমোনাই শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের হাতে মনোনয়নের চূড়ান্ত কাগজ তুলে দিয়েছেন। যেখানে বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে মুফতি ফয়জুল করিমকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বরিশাল সদর আসনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে বরিশাল-৬ আসনটি ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে ইসলামী আন্দোলনের একাধিক সূত্র ‘বরিশাল সদর আসন নিয়ে কোন দল বা জোটের সাথে ছাড় দেয়া হবে না’ বলেই এখনো জানান হচ্ছে। জামায়াত ইসলামীর দায়িত্বশীল মহল প্রকাশ্যে কোন বক্তব্য না দিলেও ‘বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে’ বলে জানালেও তারা যে যথেষ্ট বিব্রত এবং কর্মীরা ক্ষুব্ধ তা আড়াল থাকছে না।
তবে বিএনপি ও তাদের শরিকরা পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। কারণ বরিশাল সদর আসনে ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী কোন দল থেকে কে হচ্ছেন, তার ওপরই তাদের ভোটের মাঠের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে ।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বরিশালে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মূল প্রতিপক্ষ ৮ দলীয় জোটের দুই শরিকের মধ্যে আসন সমঝোতা না হবার মধ্যে উভয় দলই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে প্রচার প্রচারণা জোরদার করছে। এ জোটের মধ্যে এখনো বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী নিয়েই প্রকাশ্যে ও পর্দার অন্তরালে টানাপোড়েন চলছে। উভয় দলই প্রার্থী ঘোষণার পরে শক্ত প্রচারণায়ও রয়েছেন গত কয়েকমাস ধরে। এমনকি ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াত ইসলামী, উভয়ই বরিশাল সদর আসনে তাদের দাবী অগ্রগণ্য বলে প্রকাশ্যে নানা যুক্তিও উপস্থাপন করে চলেছেন। গত সপ্তাহেই বরিশাল প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ও দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করিম ‘বরিশাল সদর আসনটি অন্য কারো দাবী করা উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে জামায়াত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল এ প্রসঙ্গে সরাসরি কোন মন্তব্য না করে ‘জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী নির্ধারণ হবে’ বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী ইতোপূর্বে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি সংসদীয় আসনেই প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রচারণার মাঠেও জোটের এ মূল দুই শরিকই সরগরম প্রচারণায় রয়েছেন। এরইমধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ৮ দলীয় জোটের বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াতের আমীর উপস্থিত না হলেও বিশাল ঐ সমাবেশে দুটি দলের কর্মীরাই হাতপাখা ও দাড়িপাল্লার প্রতীক নিয়ে মহানগরীতে সমর্থনের পাল্লার জানান দিয়েছেন। তবে আমীরের বরিশাল সমাবেশে যোগ না দেয়ার বিষয়টি ‘সদর আসনে ইসলামী আন্দোলনকে ছাড় দেয়ার পূর্বাভাস’ বলে কেউ কেউ মন্তব্য করলেও দলের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বিষয়টি নাকচ করে বরিশাল সদর আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা সহ এ আসনে তাদেরই নির্বাচন করার অনেক যুক্তিও তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেই এনসিপি’র সাথে জামায়াতে ইসলামীর নতুন করে আলোচনার বিষয়টিও ৮ দলীয় জোট শরিকদের মাঝে নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। জোটের কোন কোন শরিকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনে জোটের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ের মধ্যে নতুন করে শরিক বৃদ্ধি করায় অনেক কিছুই এলোমেলো হতে চলেছে। এনসিপি কতটি আসন চাইবে এবং তাদের কতটি আসন দেয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত না হলেও দলটি ৮ দলীয় জোটভুক্ত হলে, তাদের আসন ছেড়ে দিতে গিয়ে এতদিনের সব হিসেব নতুন করে করতে হবে বলে মনে করছেন একাধিক শরিক দল নেতবৃন্দ।
তবে এসব কিছুর মধ্যে ৮ দলীয় জোটের মূল শরিক ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি রেজাউল করিম, পীর ছাহেব চরমোনাই শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের হাতে মনোনয়নের চূড়ান্ত কাগজ তুলে দিয়েছেন। যেখানে বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে মুফতি ফয়জুল করিমকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বরিশাল সদর আসনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে বরিশাল-৬ আসনটি ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে ইসলামী আন্দোলনের একাধিক সূত্র ‘বরিশাল সদর আসন নিয়ে কোন দল বা জোটের সাথে ছাড় দেয়া হবে না’ বলেই এখনো জানান হচ্ছে। জামায়াত ইসলামীর দায়িত্বশীল মহল প্রকাশ্যে কোন বক্তব্য না দিলেও ‘বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে’ বলে জানালেও তারা যে যথেষ্ট বিব্রত এবং কর্মীরা ক্ষুব্ধ তা আড়াল থাকছে না।
তবে বিএনপি ও তাদের শরিকরা পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। কারণ বরিশাল সদর আসনে ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী কোন দল থেকে কে হচ্ছেন, তার ওপরই তাদের ভোটের মাঠের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে ।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.