২৬ মে, ২০২৫ ০১:৪৬
বরিশালের বিতর্কিত ছাত্রদল নেতা সবুজ আকনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে হাইকমান্ড। স্ত্রীর বড় বোনোর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ তাকে বহিষ্কার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে বরিশালের এই আলোচিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কোন যুক্তিতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সবুজ আকনকে বহিষ্কার করা হয়। এনিয়ে বরিশাল ছাত্রদলের নেতাদের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও অনেকে বলছেন, সবুজের অপকর্মের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। কেন্দ্রীয় সংসদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের প্রমাণ পেয়েই কার্যকর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্র নিশ্চিত করে, বাবুগঞ্জের বাসিন্দা সবুজ আকন বিগত দিনে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে তিনি অসংখ্য বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সরকারি ভূমি দখল নেওয়াসহ চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
বাবুগঞ্জের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে তাদের দোসর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয় ছাত্রদল নেতা সবুজ আকন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ঘরনার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির চেয়ার দখল করেছেন, যা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে আলোচনা-সমালোচনা চলামান থাকার মধ্যেই এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর বোনের ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২০ মে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অবশ্য ছাত্রদল নেতা আত্মপক্ষ সমর্থনে একদিন বাদে অর্থাৎ ২১ মে বরিশাল প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগসমূহ অস্বীকার করেন এবং মামলাটি হয়রানিমূলক বলে দাবি করেন। তখন তিনি ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন এবং বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে এই বক্তব্যের স্বপক্ষে সবুজ কোন অকাট্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ধর্ষণকান্ডে জড়িয়ে পড়ার খবরটি মোটা দাগে ফলাও করে প্রকাশ করে স্থানীয়সহ দেশের প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমগুলো, যা নিয়ে কদিন বরিশালে সরব আলোচনা-সমালোচনা শোনা যায়। তখনই ধারনা করা যায়, বিতর্কিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শাস্তির খড়গ আসছে। তাছাড়া শত্রুভাবাপন্ন জেলা ছাত্রদলের একটি অংশও চাচ্ছিলেন সবুজের বিরুদ্ধে হাইকমান্ড যেনো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিছুটা বিলম্বে হলেও সবুজকে বহিষ্কারের খবরে সেই বিরোধী অংশটিকে রোববার আত্মতৃপ্তির ঢেকুর গিলতে দেখা গেছে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রদলের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সবুজ আকন নিজের গ্রাম বাবুগঞ্জে গত বছরের ৫ আগস্টের পরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে একাধিকবার সতর্ক করলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। এবং একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে নিজেকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গেছেন। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় শীর্ষস্থানীয় নেতারা আর নিরব-নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না।
সূত্রগুলো নিশ্চিত করে, ধর্ষণের অভিযোগসহ সবুজ আকনের সকল অপরাধের ফিরিস্তি ছাত্রদলের প্রতিপক্ষ অংশটি হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছে দেয়। সেই অভিযোগ প্রাথমিক তদন্ত করতেই তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অপকর্মের প্রমাণ পায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ, যার প্রেক্ষিতে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিন্ন তথ্য দিয়ে ঢাকার একটি সূত্র জানায়, সবুজের বিরুদ্ধে উত্থ্যাপিত অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তের স্বার্থে তাকে আপাতত বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে বাকি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হতে পারে।
অবশ্য ইতিমধ্যেই এই নেতার সাথে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির রোববার তাদের বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন দেন।
তবে ধর্ষণ-চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সবুজ আকন। এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলছেন, কিছুদিন পরে জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হবে, এনিয়ে দলীয় একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া স্ত্রীর বোনের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। জমি সংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে রাজনৈতিকভাবে শায়েস্তা করতে এমন অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি।’
বরিশালের বিতর্কিত ছাত্রদল নেতা সবুজ আকনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে হাইকমান্ড। স্ত্রীর বড় বোনোর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ তাকে বহিষ্কার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে বরিশালের এই আলোচিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কোন যুক্তিতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সবুজ আকনকে বহিষ্কার করা হয়। এনিয়ে বরিশাল ছাত্রদলের নেতাদের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও অনেকে বলছেন, সবুজের অপকর্মের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। কেন্দ্রীয় সংসদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের প্রমাণ পেয়েই কার্যকর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্র নিশ্চিত করে, বাবুগঞ্জের বাসিন্দা সবুজ আকন বিগত দিনে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে তিনি অসংখ্য বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সরকারি ভূমি দখল নেওয়াসহ চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
বাবুগঞ্জের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে তাদের দোসর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয় ছাত্রদল নেতা সবুজ আকন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ঘরনার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির চেয়ার দখল করেছেন, যা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে আলোচনা-সমালোচনা চলামান থাকার মধ্যেই এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর বোনের ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২০ মে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অবশ্য ছাত্রদল নেতা আত্মপক্ষ সমর্থনে একদিন বাদে অর্থাৎ ২১ মে বরিশাল প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগসমূহ অস্বীকার করেন এবং মামলাটি হয়রানিমূলক বলে দাবি করেন। তখন তিনি ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন এবং বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে এই বক্তব্যের স্বপক্ষে সবুজ কোন অকাট্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ধর্ষণকান্ডে জড়িয়ে পড়ার খবরটি মোটা দাগে ফলাও করে প্রকাশ করে স্থানীয়সহ দেশের প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমগুলো, যা নিয়ে কদিন বরিশালে সরব আলোচনা-সমালোচনা শোনা যায়। তখনই ধারনা করা যায়, বিতর্কিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শাস্তির খড়গ আসছে। তাছাড়া শত্রুভাবাপন্ন জেলা ছাত্রদলের একটি অংশও চাচ্ছিলেন সবুজের বিরুদ্ধে হাইকমান্ড যেনো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিছুটা বিলম্বে হলেও সবুজকে বহিষ্কারের খবরে সেই বিরোধী অংশটিকে রোববার আত্মতৃপ্তির ঢেকুর গিলতে দেখা গেছে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রদলের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সবুজ আকন নিজের গ্রাম বাবুগঞ্জে গত বছরের ৫ আগস্টের পরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে একাধিকবার সতর্ক করলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। এবং একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে নিজেকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গেছেন। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় শীর্ষস্থানীয় নেতারা আর নিরব-নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না।
সূত্রগুলো নিশ্চিত করে, ধর্ষণের অভিযোগসহ সবুজ আকনের সকল অপরাধের ফিরিস্তি ছাত্রদলের প্রতিপক্ষ অংশটি হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছে দেয়। সেই অভিযোগ প্রাথমিক তদন্ত করতেই তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অপকর্মের প্রমাণ পায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ, যার প্রেক্ষিতে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিন্ন তথ্য দিয়ে ঢাকার একটি সূত্র জানায়, সবুজের বিরুদ্ধে উত্থ্যাপিত অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তের স্বার্থে তাকে আপাতত বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে বাকি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হতে পারে।
অবশ্য ইতিমধ্যেই এই নেতার সাথে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির রোববার তাদের বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন দেন।
তবে ধর্ষণ-চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সবুজ আকন। এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলছেন, কিছুদিন পরে জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হবে, এনিয়ে দলীয় একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া স্ত্রীর বোনের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। জমি সংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে রাজনৈতিকভাবে শায়েস্তা করতে এমন অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি।’
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৩
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬